কোথায়, কখন ঈদ জামাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে, সকাল সাড়ে ৮টায়। এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে হবে ঈদের পাঁচটি জামাত।

শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সুপ্রিম কোর্টের, বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ এ জামাতে অংশ নেবেন।

তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে ঈদগাহের জামাত না হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এরপর পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমানের ইমামতিতে প্রথম জামাত সকাল ৭টা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছর দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে। এবার সেখানে হবে ঈদুল ফিতরের ১৯৬তম জামাত। সকাল ১০টায় এ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

ঈদের এই জামাতে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বরাবরের মতই শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনে কয়েক বছর ধরে শোলাকিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান।আয়োজকদের দাবি, প্রায় ২২ একর আয়তনের এ মাঠে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ সেখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। সকাল ৯টায় এ ময়দানে ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল হক কাসেমী।

ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল ৮টায় এবং ৯টায় দুটি জামাত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় হবে জমঈয়তে আহলে হাদীসের প্রধান জামাত।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৮টায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সকাল ৮টায় এবং ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৮টায় জামাত হবে।

আজিমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৮ টায়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। আবহাওয়া ভালো না থাকলে বা বৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত তিনটি মসজিদে ঈদ জামাত হবে।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদ জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এছাড়া মগবাজারের বিটিসিএল (সাবেক টিঅ্যান্ডটি) কলোনির জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছয়টি জামাত হবে। মারকাজুল ফিকরিল ইসলামী (বড় মসজিদ) মসজিদে সকাল ৭টায়, সকাল সোয়া ৭টায় সি ব্লকের উম্মে কুলসুম জামে মসজিদে, সাড়ে ৭টায় এফ ব্লক জামে মসজিদে, ৮টায় জি ব্লকের বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে ঈদ জামাত হবে। কে ব্লকের মদিনাতুল উলুম মসজিদে সকাল সোয়া ৮টায় এবং এন ব্লকের ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হবে।

ঢাকার ১ হাজার ৪৩৫টি মসজিদ ও ১৮৯টি ঈদগাহে ঈদের জামাত হবে এবার। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। এখানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। লালদীঘিরপাড়স্থ চসিক শাহী জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এছাড়া চসিকের তত্ত্বাবধানে সকাল ৮টায় সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুর বাজার জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন) ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত এলাকার মসজিদ বা ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদের প্রধান জামাত স্টেডিয়ামসংলগ্ন জিমন্যাসিয়াম মাঠে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী

মহানগরীর হযরত শাহ মখদুম রূপোস (র.) কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের আগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

বরিশাল

মহানগরীর সাড়ে ৫০০ মসজিদের মধ্যে তিন শতাধিক মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোডে আঞ্জুমান-ই-হেমায়েত ইসলাম মাঠে। সকাল সাড়ে আটটায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরীর বান্দ রোডে হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও নেছারাবাদ দরবার শরিফে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে। বরিশাল নগরীর জামে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, জামে এবাদুল্লাহ মসজিদ ও জামে কসাই মসজিদে সকাল ৮টায় ও সাড়ে ৯টায় দুটি করে জামাত হবে। নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দার খানবাড়ি জামে মসজিদ, সাগরদী ইসলামিয়া জামে মসজিদ, মল্লিক বাড়ি মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট

নগরে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় শাহী ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। শাহী ঈদগাহে মন্ত্রী, সিটি মেয়র, এমপিসহ শীর্ষ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে সর্বস্তরের মানুষ একসঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করবেন। এছাড়া হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদ ও হজরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার মসজিদ, টিলাগড় মদনী ঈদগাহ, সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে ঈদের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত হবে সকাল ৮টায়। নগরীর কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে তিনটি। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম, সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় ও সাড়ে ৯টায় তৃতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলার ছোট বড় ঈদগাহ, পাড়ার মসজিদ মিলিয়ে কয়েক শতাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রংপুর

মহানগরীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় প্রশাসন, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাকর্মীসহ প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করবেন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বিকল্প স্থান হিসেবে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দুই পর্বে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং সকাল ৯টায় ওই জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও রংপুর মহানগরীর ৭৫টিসহ জেলার প্রায় এক হাজার ২০০ ঈদগাহ মাঠে জামাত আদায় করবেন মুসল্লিরা।

এদিকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগরীর দামোদরপুর বড় ময়দান মাঠে এবং গঙ্গাচড়া উপজেলার তালুক হাবু ঈদগাহ মাঠে। এই দুই ঈদগাহে প্রতি বছর অর্ধলাখের বেশি মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। মহানগরীর মুন্সিপাড়া ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়, হযরত মাওলানা কেরামত আলী (রহ.) মাজারসংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায়, মন্ডলপাড়া বড় ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে ৯টায়, বড় রংপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ৯টায়, বদরগঞ্জ চান্দামাড়ি কারামতিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া পীরগাছা জেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কাউনিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, তারাগঞ্জ চৌপথি ঈদগাহ, পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও সদর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, গঙ্গাচড়ার পাইকান বড় জুমা মসজিদ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধাপ স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ মাঠে এবং বুড়িরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বুড়িরহাট মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এদিকে সিটি করপোরেশনের আয়োজনে মহানগরীর ৫০টি ঈদগাহে নামাজ আদায় হবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত।

খুলনা

ঈদের প্রধান জামাতের আয়োজন করা হয়েছে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে। নগরীর প্রথম ও প্রধান এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। প্রতিকূল আবহাওয়া বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোও ঈদ জামাত আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মডেল মসজিদে এবং সকাল ৯টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের প্রায় দুই হাজার মসজিদ ও ঈদগাহে এবার ঈদুল ফিতরের নামাজ হবে। প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায় আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। সেখানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল পৌনে ৯টায়।

এছাড়া ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা এবং সাড়ে ৯টায় দুটি জামাত হবে। আকুয়া মার্কাজ মসজিদে সকাল সোয়া ৭টায়, ময়মনসিংহ মার্কাজ মসজিদ সকাল ৮টায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, ভাটিকাশর জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, জেলাখানা মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে হবে ঈদ জামাত।

এছাড়া জেলার ৭৩টি স্থানে বড় পরিসরে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে এবার।

   

রিজিক বৃদ্ধির ৪ আমল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কোরআন-হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, ছবি : সংগৃহীত

কোরআন-হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুমিন মাত্রই বিশ্বাস করেন যে, তার আয়-উপার্জন, জীবন-মৃত্যু এবং সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্য ইত্যাদি র্নিধারণ হয়ে যায়; যখন তিনি মায়ের উদরে থাকেন। আর এসব তিনি লাভ করেন তার জন্য বরাদ্দ উপায়-উপকরণগুলোর মাধ্যমে। তাই আমাদের কর্তব্য হলো- হাত গুটিয়ে বসে না থেকে এর জন্য র্নিধারিত উপায়-উপকরণ সংগ্রহে চেষ্টা করা। যেমন চাষাবাদ, ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিল্প-চারু, চাকরি-বাকরি বা অন্য কিছু।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তিনিই তো তোমাদের জন্য জমিনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে প্রান্তরে বিচরণ করো এবং তার রিজিক থেকে তোমরা আহার করো। আর তার নিকটই পুনরুত্থান।’ -সুরা আল মুলক : ১৫

কোরআন-হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমল ও উপায়ের কথা বর্ণিত হয়েছে। সেখান থেকে ৪টি আমলের কথা উল্লেখ করা হলো-

তওবা-ইস্তেগফার : তওবা-ইস্তিগফার করার মাধ্যমে বান্দার রিজিক বাড়ে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আমি তাদের বলেছি, নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে উন্নতি দান করবেন এবং তোমাদের বাগবাগিচা এবং নদীনালা দান করবেন।’ -সুরা নুহ : ১০-১২

হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাগাতার তওবা-ইস্তেগফার করবে; আল্লাহতায়ালা সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন; সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ -সুনানে আবু দাউদ : ১৫১৮

পরহেজগারি অবলম্বন এবং আল্লার ওপর ভরসা : যেসব আমলে রিজিকে প্রবৃদ্ধি ঘটে, তার মধ্যে তাকওয়া-পরহেজগারি অবলম্বন এবং তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা অন্যতম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করবেন, যার কল্পনাও সে করতে পারবে না।’ -সুরা সাদ : ৩৫

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথার্থভাবে ভরসা রাখো। তিনি তোমাদের সেভাবে রিজিক দান করবেন, যেভাবে তিনি পাখিদের দান করে থাকেন। পাখিরা সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় (খালি পেটে) বাসা থেকে বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে বাসায় ফেরে।’ -জামে তিরমিজি : ২৩৪৪

সময়মতো নামাজ আদায় এবং ইবাদতের জন্য নিজেকে মুক্ত করা : সময়মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে রিজিক বাড়ে। নামাজ আদায় করার ফাঁকে ফাঁকে কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করতে হবে; কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করার ফাঁকে ফাঁকে নামাজ নয়। একই সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত পালনে নিজেকে ঝামেলামুক্ত করতে হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আপনি পরিবার-পরিজনকে নামাজ আদায়ের আদেশ দিন এবং নিজেও তার ওপর অটল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমিই আপনাকে রিজিক দিই। আর মুত্তাকিদের জন্যই শুভ পরিণাম।’ -সুরা ত্বহা : ১৩২

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি তোমার অন্তরকে খালি করো। আমি তোমার অন্তরকে অভাবমুক্ত হিসেবে পরিপূর্ণ করে দেব এবং তোমার দরিদ্র্যের পথ দূর করে দেব। আর যদি তা না করো, আমি তোমার হাত (দুনিয়ার) ব্যস্ততায় পূর্ণ করে দেবো এবং তোমার অভাব মেটাব না।’ -জামে তিরমিজি : ২৪৬৬

রিজিক অর্জনের চেষ্টায় থাকা : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে (জমিনে) ছড়িয়ে পড়ো আর আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) সন্ধান করো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ -সুরা জুমা : ১০

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রশি নিয়ে সকালবেলা পাহাড়ের দিকে বের হয়। এরপর লাকড়ি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং দানও করে। মানুষের কাছে হাত পাতার চেয়ে তার জন্য এটা উত্তম।’ -সহিহ বোখারি : ১৪৮০

;

গরমে মুমিনের আমল



মুফতি উমর ফারুক আশিকী
গরমে পশুপাখির প্রতি সদয় আচরণ কাম্য, ছবি : সংগৃহীত

গরমে পশুপাখির প্রতি সদয় আচরণ কাম্য, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে রব! আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলছে। আল্লাহতায়ালা তখন তাকে দুইটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো।’ -সহিহ বোখারি : ৩২৬০

মুমিন বান্দারা দয়াময় আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী হয়ে গ্রীষ্মের এই গরম সময়ে অফুরন্ত সওয়াব লাভের জন্য বেশ কিছু আমল করতে পারেন। আশা করা যায়, মহান আল্লাহর দয়ায় পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে- ইনশাআল্লাহ।

তওবা করা : মানুষের পাপের কারণে মানুষের ওপর নানা ধরনের বিপদাপদ আসে, তাই প্রতিকূল অবস্থাকে অনুকূলে আনতে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করার কোনো বিকল্প নেই।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘আর বলেছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা।’ -সুরা নুহ : ১০-১২

ইবাদতে গাফিলতি না করা : গরমের কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে গাফিলতি না করা। কারণ জাহান্নামের আগুন দুনিয়ার গরমের চেয়ে বহুগুণে উত্তপ্ত। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘পেছনে থাকা লোকগুলো আল্লাহর রাসুলের বিপক্ষে বসে থাকতে পেরে খুশি হলো। আর তারা অপছন্দ করল তাদের মাল ও জান নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করতে এবং তারা বলল, ‘তোমরা গরমের মধ্যে বের হয়ো না।’ বলো, জাহান্নামের আগুন অধিকতর গরম, যদি তারা বুঝত।’ -সুরা তওবা : ৮১

পিপাসার্তকে পানি পান করানো : হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত সাদ ইবনে উবাদা (রা.) বলেন, (এক দিন) আমি (নবীজিকে) বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কোন সদকা উত্তম? তিনি বলেন, পানি পান করানো। -সুনানে নাসায়ি : ৩৬৬৫

চলমান গরমের সময় শহরেরে বিভিন্ন স্থানে পথচারীদের জন্য ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা রাখা হয় বিভিন্ন অফিস, দাতব্য সংগঠন কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ, সওয়াবের কাজ।

কেউ পানি চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে নিষেধ করেছেন নবী কারিম (সা.)। ইরশাদ হয়েছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এমন কী জিনিস আছে, যা কেউ চাইলে না দিয়ে তাকে বিদায় দেওয়াটা ঠিক নয়?

তিনি বলেন, পানি, লবণ ও আগুন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এই পানি সম্পর্কে তো আমরা জানি, কিন্তু লবণ ও আগুনের ব্যাপারে কেন বাধা দেওয়া যাবে না? তিনি বলেন, হে হুমায়রা! যে ব্যক্তি আগুন দান করল, সে যেন ওই আগুন দিয়ে রান্না করা যাবতীয় খাদ্যই দান করল।
যে ব্যক্তি লবণ দান করল, ওই লবণে খাদ্য যতটা সুস্বাদু হলো তা সবই যেন সে দান করল। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে এমন স্থানে পানি পান করালো, যেখানে তা সহজলভ্য, সে যেন একটি গোলামকে দাসত্বমুক্ত করল এবং যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে এমন স্থানে পানি পান করালো, যেখানে তা দুষ্প্রাপ্য, সে যেন তাকে জীবন দান করল। -সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৪৭৪

অন্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানো : তীব্র গরমে অনেক সময় মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। বয়োবৃদ্ধরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বাইরে যেতে পারেন না, তখন তাদের সাহায্য করার মাধ্যমে সদকার সওয়াব মেলে।

হজরত আবু জার (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার সৎকাজের আদেশ এবং তোমার অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ, স্বল্প দৃষ্টিসম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথ থেকে পাথর, কাঁটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। -জামে তিরমিজি : ১৯৫৬

পশুপাখির প্রতি সদয় হওয়া : গরমে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিও কষ্টে পড়ে। তাই মানুষের উচিত তাদের পশুপাখির প্রতি সদয় হওয়া।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়; সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখতে পেল, কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। বর্ণনাকারী বলেন, পানির পিপাসা কুকুরটাকে মুমূর্ষ করে দিয়েছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে ওড়নার সঙ্গে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ হতে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো), এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হলো। -সহিহ বোখারি : ৩৩২১

গরমের কারণে দুনিয়ার এই হাহাকার পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে, মহান রবের সন্তুষ্টি পেতে বর্ণিত আমলগুলো বেশি বেশি করা জরুরি।

 

;

আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।

তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে পোর্টালটি রয়েছে সেখানে আমরা নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছি। আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪ ’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, আপনারা সকলেই যাতে সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন সেজন্যই মূলত আজকের এই প্রশিক্ষণ। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনযোগী হতে পারেন তাহলে আপনারা হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা- সবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা। হজ অনেক পরিশ্রমসাধ্য ইবাদত, এর জন্য শারীরিক সামর্থ্য থাকা বাঞ্চনীয়। অনেকেরই সেই শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। যার কারণে তাদের পক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।

তিনি বলেন, অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে জমানো সঞ্চয় দিয়েই হজব্রত পালন করতে যান। এদেশের অধিকাংশ মানুষেরই দ্বিতীয় বার হজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। সে কারণে আপনার পরিশ্রম ও অর্থ যেন বিফলে না যায় সেজন্য অবশ্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)’র নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে হজ সম্পাদন করতে হবে। সহী ও শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে হবে।

ফরিদুল হক খান বলেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় শুধু একজন হজযাত্রী নয়, আপনার পরিচয়-আপনি একজন বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পাবে।

তিনি সৌদি আরবের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনে কোনরূপ বিচ্যুতি না ঘটে সেদিকে যত্নবান থাকার আহ্বান জানান।

এছাড়া, কারো জন্য দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকার জন্য হজযাত্রীদেরকে অনুরোধ জানান তিনি।

ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জরুল হক ও ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

প্রশিক্ষণে সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ঢাকার হজযাত্রীরা অংশগ্রহণ করছেন।

;

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আশঙ্কা এজেন্সি মালিকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা।

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কিছু ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং মক্কা হজ মিশনের কিছু কর্মকর্তাদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ এপ্রিল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ১ শাখা থেকে সৌদি সরকারের একটি চিঠির বরাতে জানানো হয়- আগামী ২৯ এপ্রিল হজ যাত্রীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ হয়ে যাবে।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে আবশ্যিকভাবে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে হবে। এজেন্সীর অবহেলার কারণে হজযাত্রীদের হজে গমন অনিশ্চিত হলে সে এজেন্সীর বিরুদ্ধে হজ ও উমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, গত ১০ ফ্রেব্রুয়ারি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে জানানো হয়, সৌদি সরকারের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের আবাসন, ক্যাটারিং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল প্রকার অনলাইন চুক্তি (সার্ভিস কোম্পানি, পরিবহান, ইত্যাদি) সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ এখনো অনেক এজেন্সির ৮০ শতাংশ কার্যক্রম বাকি।

এমন অবস্থায় সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এবং সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে হজ এজেন্সি মালিকেরা অনুরোধ করেন।

এছাড়াও কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেন তারা। সেগুলো হলো- দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল হাজির মিনার জোন নির্ধারণ করে ই হজ সিস্টেম আপডেট করতে হবে। ফাইনাল ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা ও সকল এজেন্সির হজযাত্রী অনুপাতে টিকেট নিশ্চিত করতে হবে। মোয়াজ্জেমদের জন্য বারকোড ভিসার বিষয়টি নিশ্চিত করা। যাদের সৌদি একাউন্টে এখনো রিয়াল জমা হয়নি তাদের একাউন্টে দ্রুত রিয়াল জমার ব্যবস্থা করা।

তারা বলেন, বর্তমানে সৌদি একাউন্টে টাকা ঢুকতে দেড় মাস সময় লাগে। যদি কারো একাউন্টে ১ পয়সাও কম থাকে তাহলে তার হজে যাওয়া সম্ভব হবে না। এবং বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন চার্জ একবারে হিসাব করে পাঠানো অনেকটা অসম্ভব। এছাড়া যাদের এখনো মেননজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা হয়নি তাদের জন্য দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও ভিসা ইস্যু কার্যক্রম অন্যান্য বছরের মতো সর্বশেষ ফ্লাইটের এক সপ্তাহ পূর্ব পর্যন্ত চালু রাখার দাবি জানান তারা। আরও বলেন, অতীতে দেখা গেছে অনেকে হজ করতে যাওয়ার ইচ্ছে করলেও সকল প্রস্তুতির পর মারা গেছেন। আবার কেউ মারাত্মক রোগাক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে যেতে পারেন না। তাই সেই হজযাত্রীর পরিবর্তে তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে জমাকৃত টাকা গচ্চা যেতো না। বর্তমানে যে অবস্থা আছে তাতে ভিসা ইস্যু এতো আগে বন্ধ হয়ে গেলে অহেতুক প্রচুর টাকা সৌদি আরবে চলে যাবে। এতে দেশের ক্ষতি হবে। যদি বিষয়টি সৌদি সরকারকে বুঝাতে আমরা সক্ষম হই তাহলে আমাদের বিশ্বাস সৌদি সরকার বাস্তবতা বুঝে অবশ্যই বিবেচনা করবেন।

;