ওয়াজ মাহফিলের উপকারিতা



মুহাম্মাদ নুরুল ইসলাম, অতিথি লেখক, ইসলাম
সুস্থ-সমাজ গঠনে ওয়াজ মাহফিলের গুরুত্ব অপরিসীম

সুস্থ-সমাজ গঠনে ওয়াজ মাহফিলের গুরুত্ব অপরিসীম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়াজ মাহফিল- কৃষক, দিনমজুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষের জন্য সংক্ষিপ্ত পরিসরের একটি পাঠশালা। সেখানে শেখানো হয়, নামাজ কীভাবে পড়তে হয়? বলা হয়, নামাজ পড়ার ফজিলত, নামাজ না পড়ার ভয়াবহ শাস্তি। বয়ান করা হয়- দেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে ও অবস্থা নিয়ে। সেই পাঠশালা থেকে মানুষ তার প্রয়োজনীয় ইলম (জ্ঞান) হাসিল করে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমার পক্ষ হতে একটি হাদিস হলেও মানুষের কাছে পৌঁছে দাও।’ -সুনানে তিরমিজি : ২৬৬৯

এই হাদিসের ওপর আমলের বেশি সুবিধা হয় ওয়াজ মাহফিল ও তাবলিগের মাধ্যমে। না হয় একজন একজন করে রাসুলের বাণী সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া অসম্ভব। ওয়াজ মাহফিলে মানুষের জমায়েত হয়, কৃষক, দিনমজুররাও উপস্থিত হয়, ফলে বক্তারা কথা বলতে আনন্দ পায়, মন খুলে কথা বলে। যার নিমিত্তে শ্রোতারাও আনন্দচিত্তে, খুশিমনে বক্তার নসিহত শ্রবণ ও আমল করার চেষ্টা করে।

নবী কারিম (সা.)-এর যুগেও সাহাবারা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কে ঘিরে বসে নসিহত শ্রবণ করত। যুগে যুগে এভাবে হয়ে আমাদের পর্যন্ত এসেছে। আয়োজনের ক্ষেত্রে ভিন্নতা ঘটেছে তবে কথা কোরআন ও হাদিসেরই। তখন খোলা আকাশের নীচে, গাছের নীচে সবাই বসতেন। এখন মানুষের সুবিধার্থে প্যান্ডেল, স্টেজ করা হয়। মাইকের ব্যবস্থা করা হয়।

সুস্থ-সমাজ গঠনে ওয়াজ মাহফিলের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, সেখানে বলা হয়, কীভাবে একটি সুস্থ, ইসলামি সমাজ গঠন করা যায়! ওয়াজ মাহফিল নিয়ে আসে ব্যক্তিজীবনের পরিবর্তন। যখন সাহাবা, অলি-আউলিয়াদের কথা বলা হয়, তখন নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তন চলে আসে। নিজের জীবনেকে তাদের মতো করে গড়ার চেষ্টা করে।

ওয়াজ মাহফিল, ইসলামের ওপর চলার আগ্রহ বাড়ায়, ইসলামের ওপর চলতে সাহায্য করে। যখন ওয়াজে নামাজের ফজিলত, না পড়ার ভয়াবহ শাস্তির কথা বলা হয়, মেসওয়াক করার ফজিলত ও ফায়দার কথা বলা হয়, যখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণের কথা বলা হয়, তখন ইসলামের ওপর চলার আগ্রহী হয়। কারণ, একজন পাগলও তার লাভ-লোকসান বুঝে। সেখানে একজন সুস্থ-মস্তিষ্কের মানুষ কেন বোঝবে না যে, এই কাজটি করলে তার লাভ (জান্নাত) হবে, না করলে লোকসান (জাহান্নাম) হবে।

ওয়াজ মাহফিলে আল্লাহর কথা, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কথা বলা হয়। যেখানে কোরআন-হাদিস নিয়ে আলোচনা হয় আল্লাহর রহমত নাজিল হয়। রহমতের ফেরেশতারা বেষ্টন করে রাখে।

ওয়াজ মাহফিল দ্বারা কম বেশি সবাই সওয়াবের ভাগীদার হয়

 

ওয়াজ মাহফিল দ্বারা আমলে তেজ আসে। একটি বটিকে যদি ঘরে ফেলে রাখা হয়, সেটি ভোঁতা হয়ে যায়। ফেলে না রেখে কাজে লাগানো যায়, তাহলে তেজ বহাল থাকে। ঠিক তেমনি যত বেশি ওয়াজ মাহফিল হবে, সেখানে যত বেশি আমলের কথা বলা হবে, আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হবে, আমলের ফজিলতের কথা বলা হবে, ফলে আমলের তেজ থাকবে। যদি আমলের কথা বলা না হয় কিংবা শোনা না হয়, তাহলে আমলে অনীহা চলে আসবে, আস্তে আস্তে আমল ছেড়ে দেবে।

ওয়াজ মাহফিল দ্বারা কম বেশি সবাই সওয়াবের ভাগীদার হয়। মাহফিলে আমলের কথা শুনে কেউ যদি একটি আমল করে, যে আমল করল সে তো সওয়াব পাবে, যিনি এই আমলের কথা বললেন তিনিও সওয়াব পাবেন, যারা মাহফিলের আয়োজন করেছেন তারাও সওয়াবের ভাগীদার হবেন।

আমরা অনেকে বলে থাকি, এত এত ওয়াজ, মাহফিল হচ্ছে; কিন্তু কয়জন মানুষ হেদায়েত হচ্ছে? এক এলাকায় একটি মাহফিলই যথেষ্ট। এত ওয়াজ দিয়ে লাভ কী? এ ধরণের কথা যারা বলেন, তারা আজ থেকে এ কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। কেননা হেদায়েতের মালিক আল্লাহতায়ালা। তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেন, যাকে ইচ্ছা দেন না। এই ব্যাপারে কোনো মানুষের প্রশ্ন ওঠানো অযৌক্তিক। আল্লাহতায়ালা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলেন, আপনি যাকে পছন্দ করেন, তাকে হেদায়েত দিতে পারবেন না, তবে আল্লাহতায়ালাই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেন। কে সৎপথে আসবে, সে সম্পর্কে তিনিই ভালো জানেন। -সুরা কাসাস ৫৬

যেখানে স্বয়ং রাসুলকে এই ক্ষমতা দেননি যে, যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেবে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) শুধু সৎপথের দিকে আহবান করতে পারবেন। অন্য আয়াতে বলেন, ‘আপনি উপদেশ দিন। কেননা, উপদেশ বিশ্বাসীদের উপকারে আসে।’ -সুরা আয-যারিয়াত : ৫৫

আল্লাহতায়ালা নবী কারিম (সা.)-কে উপদেশ দিতে বলছেন। হেদায়েতের মালিক আল্লাহ! তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেবেন। আমাদের এতে মাথাব্যথা কেন? আলেমদের কাজ হলো- হক-বাতিল, হালাল-হারামের কথা বলে যাওয়া। যথাযথভাবে ইসলামের বিধান, কোরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের সামনে তুলে ধরা। মানুষকে উপদেশ দেওয়া। যে গ্রহণ করলো সে লাভবান হলো, যে গ্রহণ করলো না তার ক্ষতি হলো।

   

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;

আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির মালিকের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মিয়াকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাঃ আবু তাহির সাক্ষরিত এত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সনের হজ মৌসুমে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (হ.লা, ০৬৭২) এর অধীন ৪৪৮ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত রয়েছে। উক্ত এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে অদ্যাবধি কোন ভিসা করা হয়নি। তথাপি এজেন্সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এতে এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীগণ প্রতারিত হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে এবং তাঁদের এ বছর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (ই.লা. ০৬৭২) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মিয়া যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে এবং একইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এমতাবস্থায়, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (হলা. ০৬৭২) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মিয়া এর দেশ ত্যাগ রোধ করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে কেন এসব এজেন্সি বর্ধিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা করানো হয়নি তার ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলো ধর্ম মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি ৪৪৪ জন হজ যাত্রীর কারোরই ভিসার জন্য আবেদন করেনি। এমতাবস্থায় এই এজেন্সিসহ আরও ৫টি এজেন্সিকে শোকজ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা. আবু তাহেরের সই করা একটি চিঠিতে এ শোকজ করা হয়। গত বুধবার (১৫ মে) যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজ পাওয়া এজেন্সিগুলো হলো- ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০, ভিসা করা হয়েছে মাত্র ৫ জনের), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০)। এসব এজেন্সির মাধ্যমে মোট ১৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত আনসারি ওভারসিস মাত্র ৫ জনের ভিসা সম্পূর্ণ করেছে। বাকি পাঁচটি এজেন্সি একজন যাত্রীরও ভিসা আবেদন করতে পারেনি।

শোকজের চিঠিতে বলা হয়, গত ৯ মে থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ১৪১ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। ২৫৯টি এজেন্সি/লিড এজেন্সির অধিকাংশই হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করলেও একাধিকবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও ৬টি এজেন্সি এখন পর্যন্ত হজযাত্রীদের ভিসা করেনি। ভিসা সম্পন্ন না করায় হজযাত্রীদের হজে গমনে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা রয়েছে। এজেন্সির এমন কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার অন্তরায়। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন না করার বিষয়ে ১৫ মের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। একইসঙ্গে সব হজযাত্রীর ভিসা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে না পারায় জন্য, ১২টি এজেন্সিকে ব্যাখ্যা প্রদানের পাশাপাশি সচিবালয়ে ডেকে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আজকের মধ্যে এই ১২টির মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এজেন্সি ভিসা করতে না পারার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়ের কাছে।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ করতে যাবেন ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

;