মৃত্যু পর্যন্ত হজের শিক্ষার ওপর অটল থাকার উপায়



মুফতি অহিদুল আলম, অতিথি লেখক, ইসলাম
মৃত্যু পর্যন্ত হজের শিক্ষার ওপর অটল থাকার উপায়, ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যু পর্যন্ত হজের শিক্ষার ওপর অটল থাকার উপায়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজ ইসলামের পাঁচ রুকনের অন্যতম একটি। যারা আর্থিক ও শারীরিক দিক থেকে সামর্থ্যবান তাদের ওপর সারা জীবনে একবার হজ করা ফরজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরা পরপর আদায় করো, কেননা এ দু’টি কাজ দারিদ্র্য ও গোনাহ নিশ্চিহ্ন করে দেয়। যেমন রেত লোহার মরিচা এবং সোনা ও রুপার ময়লা দূর করে দেয়। আর কবুল হওয়া হজের সওয়াব বা বিনিময় জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।’ –সুনানে আবু দাউদ

হজ এমন একটি ইবাদত, যার উসিলায় মানবজীবনের গোনাহসমূহ মাফ হয় আর মকবুল হজের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। সে লক্ষ্যে হজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমল।

হজপালনকারীকে (নারী-পুরুষ) হজের পর হজের শিক্ষা পালন করে চলতে হয়। কারণ, একজন হজপালনকারীর প্রতি সমাজের লোকের প্রত্যাশা থাকে একটু ভিন্ন। তিনি অন্য দশজনের চেয়ে আমলে-আখলাকে, চলনে-বলনে ভিন্ন হবেন, তিনি সৎ কাজের আদেশ দেবেন, অসৎ কাজ থেকে মানুষকে বিরত থাকার আহবান জানাবেন।

ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, হজপালনকারী নিম্নের কাজগুলো পালন করে চললে, আমৃত্যু হজের পবিত্রতা রক্ষা করে হজের শিক্ষার ওপর অটল থাকতে পারবেন। আমলগুলো হলো-

পুরুষদের জন্য
১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করুন। টাখনুর ওপরে কাপড় পরিধান করুন। সুন্নতি পোশাকে অভ্যস্থ হোন। মাথায় টুপি রাখুন ও দাঁড়ি এক মুষ্ঠি পরিমাণ রাখুন।

২. জীবিত মা-বাবার থাকা-খাওয়া, পোশাক ও চিকিৎসাসহ সব বিষয়ে তাদের খুশি রাখুন। আপনার দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা নির্ভর করছে মা-বাবার খেদমতের মাঝে। মা-বাবা বেঁচে না থাকলে মৃত মা-বাবার মাগফিরাতের জন্য প্রতিদিন, প্রতি মোনাজাতে দোয়া করুন। খবরদার! তাদের কথা ভুলে যাবেন না।

৩. স্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করুন ও তার অধিকারের প্রতি যত্নবান হোন। শ্বশুর-শাশুড়ি ও অন্য আত্নীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।

নারীদের জন্য
৪. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময় মতো আদায় করুন, রমজানের রোজা রাখুন, ইসলামি শরিয়তের বিধানমতো পর্দা করুন, সতীত্ব সংরক্ষণ করুন ও স্বামীর (শরিয়তের গণ্ডির মধ্যে) আনুগত্য করুন।
৫. শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি আন্তরিকতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে যত্ন নিন। নিজের মা-বাবার মতো আপন মনে করুনন। তাদের সঙ্গে শত্রুতা, ঘৃণা, ঝগড়া ও কটূকথা পরিহার করুন। কারণ আপনার প্রিয় স্বামী তার পেট থেকেই জন্ম নিয়েছেন।

নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য
. সর্বাবস্থায় আল্লাহতায়ালাকে ভয় করুন। সত্য ও সঠিক কথা বলুন। কখনও মিথ্যা বলবেন না।

৭. প্রতিদিন কমপক্ষে কোরআনে কারিমের ১০ আয়াত তেলাওয়াত করুন। ঘরে, অফিসে, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে কিংবা নিজের গাড়িতে কোরআন শরিফ রাখুন। সুযোগ হলেই তেলাওয়াত করুন। এটা সম্ভব না হলে জিকির করুন।

৮. টেলিভিশন, ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদির সিনেমা, নাটক, নাচ-গান ও বাদ্য থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদে রাখুন।

. খাওয়া-দাওয়া ছাড়া সপ্তাহে একদিন ঘরোয়া মাহফিল করুন। প্রতিদিন ৫-১০ মিনিটের জন্য হলেও বুজুর্গানে দ্বীনের লিখিত কিতাবাদি থেকে তালিম করুন।

১০. দুনিয়া ও আখেরাতের যেকোনো বিষয়ে কোনো খাঁটি আলেম ও আল্লাহওয়ালাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন। তাদের সংশ্রবে থাকুন।

১১. দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে লেগে থাকুন।

১২. দ্বীনি মাদরাসা ও মক্তব প্রতিষ্ঠা করে তার পরিচালনা কিংবা দেখভাল করুন। অথবা সাধ্যমতো সহযোগিতা করুন, পদ-পদবির মোহ পরিত্যাগ করুন।

১৩. ছেলে-মেয়েদেরকে দ্বীনি শিক্ষা দিন। দুনিয়াতে যতটুকু পান কিন্তু কবরে, হাশরে ইজ্জতের অভাব হবে না।

এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু দারদা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন (চার শ্রেণির মানুষ নাজাতের উপযুক্ত) ক. তুমি আলেম হও, খ. অথবা আলেমের ছাত্র হও, গ. অথবা আলেমের কথা শ্রবণকারী ও অনুসরণ কারী হও ও ঘ. অথবা আলেমকে ভালোবাসো। পঞ্চম শ্রেণি হয়ো না। অর্থাৎ আলেম বিদ্বেষী হয়ো না। তাহলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। -বায়হাকি: ১৫৭৯

বর্ণিত হাদিসের ব্যাখ্যায় আলেমরা বলেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত চার শ্রেণির লোকের সম্পর্ক ইলমে দ্বীন ও খাঁটি আলেমের সঙ্গে। ইলমে দ্বীন শিক্ষা ও আলেম তৈরির একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো- মাদরাসা। সদকায়ে জারিয়ার শ্রেষ্ঠ খাতও মাদরাসা।

লেখক: খতিব, মসজিদ আল মাগফিরাহ, উত্তরা, ঢাকা।

   

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;