আল্লাহতায়ালার সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি মানুষ



মাহমুদা নওরীন, অতিথি লেখক, ইসলাম
সূরা তাগাবুনে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহতায়ালার সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি মানুষ, ছবি: সংগৃহীত

সূরা তাগাবুনে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহতায়ালার সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি মানুষ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সূরা তাগাবুন কোরআনে কারিমের ৬৪তম সূরা। মদিনায় নাজিল হওয়া এ সূরায় রয়েছে ১৮ আয়াত। আল্লাহতায়ালার একত্ববাদ, গুণাবলী, আকাশ ও ভূমণ্ডলের সৃষ্টি, মানুষের গোপন ও প্রকাশ্য কাজগুলোসহ সব বিষয়ে আল্লাহর অসীম জ্ঞান, অতীতের জাতিগুলোর ইতিহাস এবং পরকাল সূরা তাগাবুনের আলোচ্য বিষয়ের অন্যতম।

এছাড়া কিয়ামতের দিনে এক দল মানুষের সফল হওয়া ও অন্য দলের ব্যর্থ হওয়া, আল্লাহ ও তার নবীর প্রতি আনুগত্য, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির প্রতি মোহাবিষ্ট না হওয়া এবং দান-খয়রাতের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে এ সূরায়।

সূরা তাগাবুনের প্রথমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসাও তারই। তিনি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’

উল্লেখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, আল্লাহতায়ালা বিশ্বজগতের সবকিছুর মালিক ও সবকিছুর ওপর কর্তৃত্বশীল। তার নির্দেশ সবকিছুর ওপর কার্যকর হয়, সব প্রশংসা আল্লাহরই প্রশংসা। কারণ সব অস্তিত্বের স্রষ্টা ও মূল উৎস তিনিই। কাজেই সবকিছুর সূচনা ও সমাপ্তি তার হাতে, তার শক্তি সীমাহীন।

বস্তুত আল্লাহতায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করা ছাড়াও তাকে দিয়েছেন পছন্দ করার স্বাধীনতা। তাই কেউ কেউ আল্লাহ ও তার নিদর্শনগুলোকে বিশ্বাস করে। অন্যদিকে অনেকেই খোদায়ী পরীক্ষার বিধানকে অপব্যবহার করে অবিশ্বাসী হয়। আল্লাহ তাদের উভয়ের কার্যকলাপ দেখেন। আর এটাই হলো- সূরা তাগাবুনের দ্বিতীয় আয়াতের মূল বক্তব্য।

তৃতীয় আয়াতে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন বলছেন, ‘তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, এরপর সুন্দর করেছেন তোমাদের আকৃতি। তারই কাছে ফিরে যাবে সব কিছ।’

পরম করুণাময় আল্লাহ সৃষ্টিজগত সৃষ্টি করেছেন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। তাইতো বিশ্ব চরাচরে দেখা যায়, খোদায়ী নিয়মের নিখুঁত রাজত্ব। সর্বশক্তিমান ও সর্বশ্রেষ্ঠ আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন সুন্দর বাহ্যিক আকৃতি এবং তাদেরকে দিয়েছেন বিবেক ও বুদ্ধিমত্তা যা সুন্দর করে তাদের মনকে। সব সৃষ্টির মাঝে যা রয়েছে কেবল মানুষের মধ্যেই দিয়েছেন তার কিছু নমুনা। মোট কথা, আল্লাহ মানুষের কল্যাণের জন্য যা যা দরকার তার সবই তিনি তাদেরকে দিয়েছেন।

আসলে মানুষ হচ্ছে আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি। আর সব সৃষ্টিই ফিরে যাবে আল্লাহর কাছে। অথচ সবচেয়ে নিকৃষ্ট কিছু পর্যায় অতিক্রম করে যাত্রা শুরু করতে হয়েছে মানুষকে। মানুষের মহাযাত্রা হচ্ছে অসীমের দিকে, আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্যের দিকে। এভাবে মানুষকে এক মহান লক্ষ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে বলে আল্লাহতায়ালা সব সময় মানুষকে সুরক্ষা দিচ্ছেন। তিনি মানুষের ভেতর ও বাইরের সব খবর রাখেন। বিষয়টি সূরা তাগাবুনের চতুর্থ এভাবে বলা হয়েছে, ‘নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা আছে, তিনি তা জানেন। তিনি আরও জানেন তোমরা যা গোপনে করো এবং যা প্রকাশ্যে করো। আল্লাহ অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।’

এখানে তিন ধরনের জ্ঞানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত তিনি আকাশ ও ভূমণ্ডলের সবকিছু সম্পর্কে জানেন। দ্বিতীয়ত তিনি মানুষের সব ধরনের গোপন ও প্রকাশ্য কাজ সম্পর্কে জানেন। তৃতীয়ত আল্লাহ মানুষের মনের গোপন বিশ্বাস, চিন্তাধারা ও ইচ্ছার প্রকৃতিসহ তাদের অন্তরের সবকিছুর খবর রাখেন।

এটা স্পষ্ট যে, আল্লাহতায়ালার ক্ষমতা ও জ্ঞান সম্পর্কিত এসব বাস্তবতা মানুষের শিক্ষা, সংস্কার ও আত্মশুদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা মানুষকে আল্লাহর সৃষ্টি জগত, সৃষ্টির লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ও পরিপূর্ণতা অর্জনের পথে সক্রিয় হতে প্রস্তুত করে।

আমরা জানি, ইতিহাস চর্চা মানবজাতির শিক্ষার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা তুলে ধরেছেন অতীতের জাতিগুলোর শিক্ষণীয় সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। যা সূরা তাগাবুনের পঞ্চম আয়াতে আল্লাহ বলছেন, ‘তোমাদের আগে যারা কাফের ছিল, তাদের কাহিনী কি তোমাদের কাছে পৌঁছেনি? তাদের কাজের শাস্তি আস্বাদন করেছে তারা এবং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’

আমরা জানি, অতীতের অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে আল্লাহ প্রেরিত নবী-রাসূলদের অস্বীকার করার কারণে। তারা এই কুফুরি করত অহংকারের কারণে। তারা বলত, আমাদের মতো মানুষই আমাদের পথ দেখাতে চায়? এ তো এক অসম্ভব বিষয়! এভাবে তারা কুফুরি করত। কিন্তু আল্লাহতায়ালা তাদের আনুগত্য ও ঈমানের মুখাপেক্ষী নন।

সূরা তাগাবুনের ষষ্ঠ আয়াতে এ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, সারা বিশ্বের সব সৃষ্টিও যদি কাফের হয়ে যায় তাহলেও আল্লাহতায়ালার গৌরবময় মর্যাদার অশেষ উঁচু চূড়ায় বিন্দুমাত্রায় হেরফের হবে না, কিংবা তার মহামর্যাদার অশেষ ঔজ্জ্বল্যের একবিন্দুও ম্লান হবে না। বস্তুত মানুষই আল্লাহতায়ালার গঠনমূলক, উন্নয়নমূলক ও পূর্ণতাদায়ক নানা কর্মসূচির মুখাপেক্ষী।

   

সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে গিয়ে মো. মোস্তফা (৮৯) নামে আরও এক হজ যাত্রী মারা গেছেন। শনিবার (১৮ মে) মক্কায় মারা যান তিনি।

রোববার (১৯ মে) রাত ২টার হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত বুধবার (১৫ মে) চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবের প্রথম বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা যান। মো. আসাদুজ্জামান নামের ওই ব্যক্তি মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ দিকে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত (১৮ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী। মোট ৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৫ হাজার ১৩ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত মোট ৭২টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত মধ্যরাত পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু হয়েছে। সে হিসেবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। সর্বশেষ শনিবার (১৮ মে) মো. মোস্তফা নামের ৮৯ বছর বয়সী হজযাত্রী মক্কায় মারা যান।

;

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;