ন্যায়পরায়ণ লোকের স্থান হবে আল্লাহর পাশে



মাওলানা আবদুল জাব্বার, অতিথি লেখক, ইসলাম
ন্যায়পরায়ণ লোকের স্থান হবে আল্লাহর পাশে, ছবি: সংগৃহীত

ন্যায়পরায়ণ লোকের স্থান হবে আল্লাহর পাশে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবিক মূল্যবোধের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো- ন্যায়বিচার, সাম্য ও ইনসাফ। মানুষের মানবিক মূল্যবোধের অবনতি ও অবক্ষয়ের অন্যতম প্রমাণ হলো- ইনসাফের দেউলিয়াত্ব। এ অবস্থা সমাজের সর্বত্র বিরাজমান। ব্যক্তি থেকে শুরু করে রাষ্ট্র এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ন্যায়বিচারহীনতা দৃশ্যমান। অথচ ইসলামে এ ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে সতর্ক করে ইরশাদ করেছেন, ‘পূর্ববর্তী জাতিগুলোর বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ, তারা ইনসাফ করত না।’

সর্বত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ঐচ্ছিক কোনো কর্মসূচি নয়, এটি অপরিহার্য একটি বিধান। বিভিন্ন কারণে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। তার মধ্যে একটি হলো- স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতমূলক নীতি দর্শন। এ অবস্থায় অনেকেই নিরপেক্ষ থাকতে পারে না।

অথচ কোরআনে কারিমের বহু স্থানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বলা হয়েছে। আর ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারীরা আল্লাহর পছন্দের লোক। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘তোমরা সুবিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচাকারীদের ভালোবাসেন।’

মানবিক মূল্যবোধের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে, সব মানুষের প্রতি সুবিচার। বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থার দিকে তাকালে দেখা যায়, অনেকেক্ষেত্রে ওপর মহলের লোকেরা অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। যাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি নেই তাদের ওপর আইন কার্যকর করা হচ্ছে। অথচ ন্যায়বিচারের ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘তোমরা যখন মানুষের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে।’

ন্যায়পরায়ণ খলিফা আল্লাহতায়ালার কাছে খুব প্রিয়। পক্ষান্তরে অত্যাচারী রাষ্ট্রপ্রধান আল্লাহতায়ালার কাছে খুবই ঘৃণিত। এ প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ন্যায়পরায়ণ খলিফা কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত হবেন। আর অত্যাচারী রাষ্ট্রপ্রধান কিয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালার নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত ও সর্বাধিক শাস্তি প্রাপ্ত হবে। অধিকন্তু সে আল্লাহর দরবার থেকেও বহু দূরে অবস্থান করবে।’

অন্য এক হাদিস থেকে জানা যায়, কিয়ামতের ভয়াবহ ও লোমহর্ষক দিবসেও সে সব লোক আল্লাহতায়ালার ছায়া পাবে- তার অন্যতম হলেন- ন্যায়পরায়ণ শাসক। যেদিন আল্লাহর ছায়া ছাড়া কোনো ছায়া থাকবে না।

অন্য একটি হাদিস থেকে জানা যায়, ন্যায়পরায়ণ লোকদের আল্লাহতায়ালা তার পাশে স্থান দেবেন।

ইনসাফ ও ন্যায়পরায়ণতার ফলে সৎকর্মশীল সব লোকের পক্ষে সুষ্ঠু জীবনযাপন অত্যন্ত সহজ হয় এবং আল্লাহর আইন লঙ্ঘন, আল্লাহর নিষিদ্ধ ও ঘৃণিত কাজ প্রভৃতি পরিহার করার পথে কোনো বাধা প্রতিবন্ধকতা থাকে না, বস্তুত মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের সঙ্গে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতা অবলম্বন না করে, ততক্ষণ অন্য লোকের প্রতি কোনো সুবিচার করা তার পক্ষে সম্ভব হয় না। নিজের যাচাই-পরীক্ষা নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় সে অন্যের সঠিক ও নির্ভুল যাচাই কী করে করতে পারে? সুতরাং সর্বপ্রথম নিজেকে দেখা, যাচাই-পরীক্ষা করা ও নিজের প্রতি সুবিচার ও ইনসাফ কায়েম করা প্রত্যেকেরই কর্তব্য। এটি করলে অন্যের অন্যায়ের যাচাই ও পরীক্ষা করা তার পক্ষে সহজ হতে পারে।

ন্যায়বিচারের জায়গা শুধু আদালত নয়। ইসলামে ন্যায়বিচার একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। এর দ্বারা সর্বত্র ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা বুঝায়। ন্যায়বিচারের অন্তর্ভুক্ত হলো- সময়কে যথাযথ কাজে লাগানো, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একচোখে দেখা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সঠিকভাবে ব্যবহার, একাধিক স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি সমান আচরণ করা, ছাত্রছাত্রীদের সমান চোখে দেখা প্রভৃতি।

কিন্তু ন্যায়বিচার নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অবহেলা করে। যা আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন। কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন।’

ন্যায়বিচারের অভাবে অবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। পূর্ববর্তী জাতিগুলোর বিশেষত বনি ইসরাইলের পতনের অন্যতম একটি কারণ ছিল এটি। তারা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এক ধরনের বিচার করত, আবার অসহায় ও নিম্ন শ্রেণীর লোকদের জন্য আরেক রকম বিচার করত।

কোনো সমাজে সুবিচার না থাকলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের অরাজকতা দেখা দেয়। ন্যায়বিচারের অভাবে অপরাধ ও অপরাধীর সংখ্যা বেড়ে যায়। নবী করিম (সা.) সেদিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘যদি কোনো জাতির মধ্যে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত না থাকে, তখন তাদের মধ্যে রক্তপাত ছড়িয়ে পড়ে।’

সর্বোপরি যেকোনো বিবেচনায় সর্বত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা দরকার। তাহলে অনেকাংশে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সবাই তার ন্যায্য অধিকার লাভ করবে।

ইসলামের বক্তব্য হলো- বিচার করলে ন্যায়বিচারের সঙ্গে করতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে সবল, দুর্বল, ধনী-গরিব এবং শাসক-শাসিতের মধ্যে উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখে। ফলে সামাজিক সংহতি ও কল্যাণ বৃদ্ধি পায়।

   

৮ হাজার কিলোমিটার হেঁটে ফ্রান্স থেকে মদিনায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুহাম্মদ বুলাবিয়ার, ছবি: সংগৃহীত

মুহাম্মদ বুলাবিয়ার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক ফরাসি নাগরিক পবিত্র উমরা পালনের জন্য ফ্রান্স থেকে হেঁটে আট মাসে মদিনায় পৌঁছেছেন। পথে অতিক্রম করেছেন ১৩টি দেশ, পাড়ি দিয়েছেন ৮ হাজার কিলোমিটার পথ।

বুধবার (১৫ মে) মদিনায় সৌদি প্রেস এজেন্সিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মুহাম্মদ বুলাবিয়ার জানান, এই দীর্ঘ পথ হেঁটে পাড়ি দেওয়ার জন্য দুই বছর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মদিনায় অবস্থান করছেন, তিনি এখন মক্কায় হেঁটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মক্কায় পৌঁছে তিনি পবিত্র উমরার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন। পরে হজের অপেক্ষায় মক্কায় অবস্থান করবেন। মদিনায় তিনি নবী কারিম (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করে পথের সব ক্লান্তি ভুলে গেছেন বলেও জানান।

তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল। আমি পায়ে হেঁটে মক্কায় পৌঁছাব। মদিনায় আসার পর মনে হয়, আমি গত আট মাস পথে ছিলাম। মদিনার পরিবেশ আমাকে সম্পূর্ণরূপে সতেজ করে তুলেছে।

ফরাসি পর্যটক মুহাম্মদ বুলাবিয়ার গত বছরের ২৭ আগস্ট প্যারিসের আইফেল টাওয়ার থেকে যাত্রা শুরু করেন। সৌদি আরব পৌঁছানোর আগে তিনি সুইজারল্যান্ড, ইতালি, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া, মন্টিনিগ্রো, আলবেনিয়া, মেসিডোনিয়া, গ্রীস, তুর্কিয়ে এবং জর্ডান পাড়ি দিয়েছেন।

ফরাসি নাগরিক মুহাম্মদ বুলাবিয়ারের বাবা তিউনিসিয়ান এবং মা মরক্কোর।

দীর্ঘপথে তার সঙ্গী ছিল একটি মানচিত্র এবং একটি ব্যাগ। যেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল, অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে একটি তাঁবুও তিনি বহন করেছেন। সবমিলিয়ে ২৫ কেজির একটি ব্যাগ তিনি প্যারিস থেকে বহন করেছেন।

বুলাবিয়ার জানান, তিনি বেশিরভাগ রাত রাস্তার পাশের মসজিদে কিংবা উদার অপরিচিতদের সঙ্গে কাটিয়েছেন।

পথের লোকজনের মনোভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি যেখানেই গেছি সেখানেই তারা আমাকে উৎসাহের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে এবং অগাধ সম্মান দিয়েছে। অনেকে তাদের বাড়িতে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সৌদি নাগরিকরা খুবই অতিথি পরায়ণ।

পথের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বুলাবিয়ার বলেন, যাত্রার সবচেয়ে কঠিন অংশ ছিল আবহাওয়া। ‘আমি অল্প সময়ে আবহওয়ার কয়েকটি রূপ দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমি যখন দেশ ছেড়েছিলাম তখন গরম ছিল। পথে বসন্ত ঋতু চলে গেল, শীত ও শরৎ ঋতু পেরিয়ে যখন গ্রিসের সীমান্তে পৌঁছলাম- তখন প্রচণ্ড তুষার ঝড়ের সম্মুখীন হতে হলো। ফলে দুই সপ্তাহ যাত্রা বন্ধ রাখতে হয়।’

;

৯ হজ এজেন্সিকে দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৯ হজ এজেন্সিকে দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত

৯ হজ এজেন্সিকে দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজকের মধ্যে ৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে না পারায় জন্য, ১২টি এজেন্সিকে ব্যাখ্যা প্রদানের পাশাপাশি সচিবালয়ে ডেকে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আজকের মধ্যে এই ১২টির মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এজেন্সি ভিসা করতে না পারার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়ের কাছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের বুকিং কম হওয়ায়, বুকিং হার দ্রুত বাড়াতে তাদেরকে তাগিদ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে বুকিং হার কম হলেও হজ যাত্রীদের সিডিউল ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ভিসা হয়েছে ৮০ হাজারেরও বেশি জনের। বাকি আছে এখনও ৪ হাজার ৮০০ জনের। এখন পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি হজ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে হজ অফিস।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বিকেলে বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার ৬৯৭ জনে ভিসা হয়েছে। ভিসা আবেদন ও প্রদান চলমান। যেহেতু ভিসা আবেদনের সার্ভার সচল রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি ভিসার কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

ধর্মমন্ত্রী ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানও আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। এদিকে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমে ভিসার আবেদনে সময় ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় প্রথম দফায় ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু সরকারিভাবে হজযাত্রীদের ভিসা হয়ে গেলেও ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই এ বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফায় সময় ১১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে নতুন করে ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধি না করে আবেদনের সার্ভার খোলা রেখেছে সৌদি আরব।

ঢাকা হজ অফিস সূত্রে গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ১৭ হাজার ৩১৬ জন।

বাংলাদেশ থেকে ৫৩টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।

;

৬ এজেন্সিকে শোকজ

১ হাজার ৮৭০ জনের হজযাত্রা অনিশ্চিত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
১ হাজার ৮৭০ জনের হজযাত্রা অনিশ্চিত, ছবি: বার্তা২৪.কম

১ হাজার ৮৭০ জনের হজযাত্রা অনিশ্চিত, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্ধারিত সময়ের পরও দুই দফায় সময় বাড়ানো হয় হজযাত্রীদের ভিসা করার জন্য। এরপরও কোনো হজযাত্রীর ভিসা আবেদন করেনি ৫টি এজেন্সি। আর একটি এজেন্সি মাত্র ৫ জনের ভিসার আবেদন করেছে। ফলে এসব এজেন্সির ১৮৭০ জন হজযাত্রী শেষ পর্যন্ত হজ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

কেন এসব এজেন্সি বর্ধিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা করানো হয়নি তার ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা. আবু তাহেরের সই করা একটি চিঠিতে এ শোকজ করা হয়। আগামীকাল বুধবার (১৫ মে) যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজ পাওয়া এজেন্সিগুলো হলো- ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০, ভিসা করা হয়েছে মাত্র ৫ জনের), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০)। এসব এজেন্সির মাধ্যমে মোট ১৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত আনসারি ওভারসিস মাত্র ৫ জনের ভিসা সম্পূর্ণ করেছে। বাকি পাঁচটি এজেন্সি একজন যাত্রীরও ভিসা আবেদন করতে পারেনি।

শোকজের চিঠিতে বলা হয়, গত ৯ মে থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ১৪১ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। ২৫৯টি এজেন্সি/লিড এজেন্সির অধিকাংশই হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করলেও একাধিকবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও ৬টি এজেন্সি এখন পর্যন্ত হজযাত্রীদের ভিসা করেনি। ভিসা সম্পন্ন না করায় হজযাত্রীদের হজে গমনে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা রয়েছে। এজেন্সির এমন কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার অন্তরায়। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন না করার বিষয়ে ১৫ মের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।

একইসঙ্গে সব হজযাত্রীর ভিসা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ করতে যাবেন ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

;