রমজানে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাসের রোজা ব্যক্তিগত আমল হলেও তা মুসলিম উম্মাহ এবং সমাজের সকল মানুষকে নানাভাবে উজ্জীবিত ও উদ্বেলিত করে এবং সৃষ্টি করে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য। কারণ, মতাদর্শগত দিক থেকে, বিশ্বের সকল মুসলমান এক দেহ, এক প্রাণ, এক অন্তর। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলিমদের একটি শরীরের মতো বলেছেন। কারণ, নানা দেশের নানা রকমের মানুষগুলো ইসলামের আদর্শে একতাবদ্ধ রয়েছেন। ঈমান ও আমল তাদেরকে করেছে নিকটবর্তী ও পরস্পরের স্বজন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে:

‘আর তিনি তাদের অন্তরসমূহের মাঝে পারস্পরিক সম্প্রীতির বন্ধন স্থাপন করে দিয়েছেন। অথচ তুমি যদি দুনিয়ার যাবতীয় সম্পদও ব্যয় করতে, তবুও এ মানুষগুলোর অন্তরের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসার বন্ধন স্থাপন করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এদের মাঝে প্রীতি স্থাপন করে দিয়েছেন। অবশ্যই তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’ (সুরা আনফাল: আয়াত ৬৩)।

‘হে মানব সম্প্রদায়, আমি তোমাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর আমি তোমাদের জন্য জাতি ও গোত্র বানিয়েছি, যাতে করে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পারো। কিন্তু আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি হচ্ছে সে, যে আল্লাহ তায়াকে বেশি ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সবকিছু জানেন, সবকিছুর খবর রাখেন’ (সুরা হুজুরাত: আয়াত ১৩)।

‘তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো’ (সুরা বাকারা: আয়াত ৪৩)।

ফলে ইসলাম গোষ্ঠী, বর্ণ, অঞ্চল, গোত্র নয়, ঈমান ও আমলের ভিত্তিতে সমগ্র মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও একাকার হওয়ার আহ্বান ও অনুপ্রেরণা জাগায়। তৌহিদের ভিত্তিতে সুন্নাহর আলোকে বিশ্বের সকল মুসলমানের মধ্যে প্রীতি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা সৃষ্টি করে ইসলাম। সেই ঐক্যবদ্ধ মুসলিম জাতিসত্ত্বার কাছে আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার বিশেষ নেয়ামত হলো মাহে রমজান। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে:

‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রদান করা হয়েছিল, যাতে তোমরা সংযমশীল হতে পারো’ (সুরা বাকারা: আয়াত ১৮৩)।

‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহ রজ্জুকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো এবং কখনো বিচ্ছিন্ন হয়ো না। তোমরা তোমাদের উপর দেওয়া আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ করো, যখন তোমরা একে অপরের শত্রু ছিলে, অতঃপর তিনি তোমাদের মনের মাঝে ভালোবাসার সঞ্চার করে দিলেন। অতঃপর তোমরা তাঁর অনুগ্রহে একে অপরের ভাই হয়ে গেলে’ (সুরা বাকারা: আয়াত ১৯৮)।

‘তোমরা তাদের মতো হয়ে যেও না, যাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন আসার পরও তারা বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং নানা ধরনের মতানৈক্য সৃষ্টি করেছে, এরাই হচ্ছে সেসব মানুষ, যাদের জন্য কঠোর শাস্তি রয়েছে’ (সুরা আলে ইমরান: আয়াত ১০৫)।

মহানবী সাল্লøাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য হাদিসেও মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য, সংহতি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একটি হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

‘আমার কাছে প্রত্যাদেশ এসেছে যে, তোমরা পরস্পরে বিনয় অবলম্বন করো। কেউ কারো উপর জুলুম করো না। কেউ কারো উপর দম্ভ করো না’ (মুসলিম শরিফ: ৬৪)।

পবিত্র কোরআন ও হাদিসের এসব গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনায় ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র স্বার্থের ঊর্ধ্বে মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ দেখার তাগিদ করা হয়েছে। ঈমান ও আমলের ভিত্তিতে প্রতিটি মুসলমান একে অপরের ভাইয়ের মর্যাদা পেয়েছে। তার হক যেমন আদায় করতে হবে, তেমনি তাকে কোনোভাবেই কষ্ট দেওয়া ও দম্ভ করা যাবে না। রমজানের পবিত্র পরিস্থিতিতে কেবল নিজের সাওয়াব ও লাভের চিন্তা না করে মুসলিম উম্মাহর অপর ভাইয়ের কথা চিন্তা

করাও তাই অতীব গুরুত্বপূর্ণ। দরিদ্র ও অসহায়কে সাহায্য করা এবং রোজা পালনের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করাও প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।

তদুপরি যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সকল মুসলমানের লক্ষ্য রাখা উচিত তা হলো, কোনোভাবেই কোনো মুসলমানকে কষ্ট না দেওয়া বা বিপদে না ফেলা। বিশেষত যারা ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত, তাদের দ্বারা ভেজাল বা দ্রব্যমূল্য যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেটা লক্ষ্য রাখা অপরিহার্য। মানুষকে কষ্ট দিয়ে বা বিপদে ফেলে কখনোই আল্লাহকে খুশি করা সম্ভব নয়। বরং এতে ঈমান ও আমল বরবাদ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যতই নামাজ, রোজা করা হোক না কেন, উপার্জন যদি হালাল না হয়, ঘুষ, দুর্নীতি, মজুতদারি, মূল্যবৃদ্ধি ও ভেজালের মাধ্যমে  হয়, তবে সেসব আমল কবুল না হওয়ারই কথা।

ফলে রমজানে নিজের সাওয়াব ও আর্থিক লাভের জন্য প্রচ-ভাবে ব্যক্তি স্বার্থের অনুসারী হওয়া ইসলামের ‘উম্মাহ কনসেপ্ট’ এবং ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য চেতনার সম্পূর্ণ বিরোধী। রোজার সময় নিজের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর অন্য সদস্যদের স্বার্থের দিকে মনোযোগী হওয়াও কর্তব্য। বিশেষ করে, দরিদ্র ও অসহায়দের আর্থিক ও নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা একান্ত অপরিহার্য। তদুপরি, চাকরিজীবীরা ঘুষ-দুর্নীতির দ্বারা এবং ব্যবসায়ীরা ভেজাল-মূল্যবৃদ্ধির দ্বারা সমাজের অন্য সদস্যদের বিন্দুমাত্র কষ্ট ও দুর্ভোগের কারণ হলে তাদের রোজা বা ইবাদত নস্যাৎ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে রমজান মাসে নিজের আমলের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহ, সমাজ ও অপরাপর মুসলমান নর-নারী তথা মানবতার স্বার্থ দেখাও বিশেষ কর্তব্য রূপে বিবেচিত হওয়া দরকার।       

   

সৌদি আলেমদের অভিমত

অনুমোদন ছাড়া হজ করা পাপ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজপালন করার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় অনুমতি নেওয়াকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। পবিত্র স্থানগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিত করতে শরিয়া আইনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সৌদির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ মতামত দিয়েছে, যারা রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া হজ করতে যাবেন তাদেরকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যারা হজ করবেন তারা এর মাধ্যমে পাপ করবেন।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আলেমদের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এরপর আলেমরা ঘোষণা দেন, হজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ জানায়, হজ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাবার সরবরাহ এবং অন্যান্য সেবা। যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করে হজ করবেন তারা আরও ভালো ও উন্নত সেবা পাবেন।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো- হজ। প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ করেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। যেসব মুসল্লির আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে, তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও হজ করার বিধান রয়েছে।

মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ করতে পারেন, সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এবার তারা হজ করার জন্য অনুমতির বিষয়টি আবশ্যিক করে দিয়েছে।

;

সৌদিগামীদের উমরা পালনের সুযোগ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য উমরার ভিসা ইস্যু বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। দেশটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের জন্য হজ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে। আর যেসব যাত্রীর উমরা ভিসা রয়েছে তারা ৮ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ২৯ জিলকদ (৬ জুন) এর মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবগামীদের জন্য নতুন সুসংবাদ দিয়েছে দেশটি। এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে উমরা পালন করা যাবে। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর বার্তায় দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

তাতে বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে এলে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে উমরা পালন করতে পারবেন। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি উমরা করতে পারবেন। চাই তা ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে উমরা করতে কোনো বাধা নেই।

পবিত্র হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল থেকে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। এতে আবাসন সুবিধা বিবেচনায় ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল পর্যন্ত চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

সৌদি আরব গত বছর থেকে উমরা-সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে উমরা ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা, স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটির মাধ্যমে মুসল্লিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা। উমরা ভিসায় সৌদি আরব ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া।

এ ছাড়া দেশটি উমরার অনুমতি পেতে আগ্রহীদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং মসজিদে হারাম ও নববিতে পালনীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের উমরা পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

;

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার মাধ্যম হলো তার মহান হুকমগুলো পালন করা। তার হুকুমগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম হুকুম হলো নামাজ। আর এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহর এতটা প্রিয় করে তোলে যে, সে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাই তখন মহান আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না। বরং তার চাওয়াকে পাওয়াতে রুপান্তরিত করে দেন ।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।

আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।

আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চাই, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।

আমি কোনো কাজ করতে চাইলে তা করতে কোনো দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

তাই যেকোনো সংকটপূর্ণ অবস্থায় কিংবা যেকোনো প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের জন্য উচিত হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারই কাছে ফেরা। তাতে মহান রবের ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন হবে ইনশাআল্লাহ ।

খুব গুরুত্ব সহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করা। আর নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ (নফল) নামাজ আদায় করাকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী আল-খাস’আমী রা. সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হুকুমগুলো আদায়ের মাধ্যমে, তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।

;

হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট আগামী ৯ মে থেকে শুরু হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। দ্রুতই যাত্রীদের ফ্লাইট শিডিউল জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গাইড ও মোনাজ্জেমসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

এদিকে, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

;