পবিত্র রমজানের পবিত্রতম রজনী



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের পবিত্রতম রজনী হলো লাইলাতুল কদর বা শবে কদও, যা রমজানে রোজার মাসের এক অনন্য উপহার স্বরূপ। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার পক্ষ হতে এমন গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় রজনী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতদের ছাড়া অন্য কোনো উন্মতকে প্রদান করা হয় নি। মুসলমান তথা উম্মতে মুহাম্মদী এই অপরিসীম সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছে।

আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদীকে শ্রেষ্ঠ উম্মতের মর্যাদা দিয়েছেন। কিন্তু এই শ্রেষ্ঠ উম্মতের হায়াত বা জীবনকাল অতীতের পূর্ববর্তী উম্মতগণের চেয়ে অনেক কম। কারণ, অতীতে অনেক নবীর উম্মত শত শত বছর বেঁচে ছিলেন। ফলে সুদীর্ঘ হায়াত পেয়ে তারা অনেক বেশি নেক আমল করেছেন। কম হায়াতের অধিকারী হলেও যাতে বেশি আমল ও সাওয়াব হাসিল করতে পারে, এজন্য উম্মতে মুহাম্মদীকে আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা শবে কদরের মতো মহান রাত্রি ইবাদতের জন্য দান করেছেন। এক রাত্রির ইবাদতের মাধ্যমে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সাওয়াব পাওয়ার সুযোগ একমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীতে দান করেছেন আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা।

পবিত্র কোরআনে ‘কদর’ শিরোনামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরা অবর্তীণ করার মাধ্যমে মাসটির গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন যে, ‘আমি লাইলাতুল কদরে কোরআন অবর্তীণ করেছি। আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হলো হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’ (সুরা কদর)।

অতএব, শবে কদরে ইবাদত করা হাজার মাস ইবাদত করার চেয়েও উত্তম। হাজার মাসে ৮৩ বছর ৪ মাস। এ হিসাবে কেউ যদি জীবনে ১২টি শবে কদর পায় ও ইবাদত করতে পারে, তাহলে তার এক হাজার বছর ইবাদতের সাওয়াবের সমতুল্য হবে। উল্লেখ্য, পবিত্র কোরআনে এ কথা বলা হয় নি যে, ‘শবে কদর হাজার মাসের সমান’, বরং বলা হয়েছে ‘শবে কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম’। কাজেই এটা স্পষ্ট যে, শবে কদরে ইবাদত করতে পারলে হাজার মাস নয়, বরং হাজার মাসের চেয়েও অধিক ইবাদতের সাওয়াব হাসিল করা সম্ভব।

শবে কদরের রাত্রিটির মর্যাদা ও গুরুত্ব সম্পর্কে, বিশেষত এ রাত্রিতে আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার বিশেষ রহমত ও দয়া সম্পর্কেও ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেছেন:

‘সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ তথা জিবরাইল (আ.) অবতরণ করেন, প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতি নিয়ে’ (সুরা কদর)।

পবিত্র হাদিসেও শবে কদরের মর্যাদা ও গুরুত্ব সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

‘যে ব্যক্তি ঈমান অবস্থায় সাওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে তার আগের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমান অবস্থায় সাওয়াবের আশায় শবে কদরে ইবাদত করবে, তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে’ (বোখারি ও মুসলিম)।

পবিত্র, মর্যাদাবান ও হাজার মাসের চেয়ে উত্তম শবে কদর প্রত্যেক রমজান মাসেই রয়েছে। কিন্তু তাকে সন্ধান করে নিতে হয়। বোখারি ও মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে ‘শবে কদর’ খোঁজ কর।

ফলে রমজানের শেষ দশ দিনের  ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ তম তারিখে, অর্থাৎ বেজোড় তারিখের রাতে শবে কদর হতে পারে। এ রাতগুলোতে শবে কদর তালাশ বা সন্ধান করতে হবে। সমান গুরুত্ব দিয়ে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগৃুলোতে শবে কদর পাওয়ার আশায় ইবাদতে মশগুল হওয়াই উত্তম। কেউ কেউ শুধু ২৭ তারিখ দিবাগত রাতে ইবাদত করেন বা মনে করেন যে, ২৭ তারিখ রাতই শবে কদর। এমন ধারণা ভ্রান্ত। ইসলামী শরিয়তে তা সঠিক বলে অনুমোদিত নয়। 

তদুপরি, বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা ও উৎসবের আমেজে শবে কদর পালনের কিছু রেওয়াজ কোথাও কোথাও দেখা যায়, যা সম্পূর্ণভাবে পরিতাজ্য। কারণ, শবে কদর হলো নিজের ব্যক্তিগত আমলের মাধ্যমে সাওয়াব হাসিলের রাত। অহেতুক এবং ইসলাম সমর্থন করে না, এমন কোনো কিছু করার মাধ্যমে এ পবিত্র ও বরকতময় রাতকে নষ্ট করা চরম বোকামি। বরং এ রাতে ফরজ নামাজ তথা মাগরিব, ইশা ও ফজর নামাজ অবশ্যই জামাতের সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কেউ কেউ নফলের পেছনে ছুটে ফরজ নষ্ট করে। ফলে নফলের কারণে রাত জেগে কোনোক্রমেই ফজরের ফরজ নামাজ নষ্ট করা যাবে না। কারণ, সব নফল একত্রিত করলেও ফরজের সমান হয় না। তাই সর্বাবস্থায় ফরজ আমলগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং শবে কদরের রাতেও ফরজ নামাজ সবচেয়ে আগে সুষ্ঠুভাবে আদায় করতে হবে। অতঃপর, শবে কদরের রাতে অধিক পরিমাণে নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকার ইত্যাদি ইবাদত বেশি বেশি করতে হবে। এ রাতের নফল নামাজের জন্য আলাদা কোনো নিয়ম নেই। বরং অন্য সময়ের নফল নামাজের মতো এ রাতে নফল নামাজ আদায় করা যায়। বিশেষত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের প্রতিও এ রাতে বিশেষ মনোযোগী হওয়া দরকার।

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি হওয়া সাল্লামরকে বলেছিলেন, ‘আমি যদি শবে কদর পাই, তাহলে আমি কী দোয়া করবো?’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, ‘তুমি এ দোয়া করবে: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী’ (হে আল্লাহ, আপনি বড়ই ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন)- মুসনাদে আহমাদ/তিরমিজি শরিফ।     

   

বিপদাপদ কাটছেই না, কারণ জেনে নিন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফজরের নামাজ আদায়কারী আল্লাহর জিম্মায় থাকে, ছবি : সংগৃহীত

ফজরের নামাজ আদায়কারী আল্লাহর জিম্মায় থাকে, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নানাবিধ আমল, চিকিৎসা ও চেষ্টা-তদবির সত্ত্বেও অসুস্থতা থেকে সুস্থ হতে বিলম্ব হয় কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়- ফরজ নামাজ ঠিকমতো আদায় না করার কারণে। বিশেষ করে ফজরের নামাজ।

ফজরের নামাজ আদায়কারী দয়াময় আল্লাহর জিম্মায় থাকে। আল্লাহতায়ালা তাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখেন। সুতরাং তাকে যে অযথা কষ্ট দেবে, অন্যায়-অবিচার করবে, আল্লাহ তাকে কঠোর শাস্তি দেবেন। এ সম্পর্কে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর নিরাপত্তা লাভ করল। আর আল্লাহতায়ালা যদি তার নিরাপত্তা প্রদানের হক কারও থেকে দাবি করে বসেন, তাহলে সে আর রক্ষা পাবে না। তাই তাকে মুখ থুবড়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন।’ -সহিহ মুসলিম : ৬৫৭

এর মানে হলো, যে ফজরের নামাজ আদায় করল না; সে আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকে না। তো যে ব্যক্তি আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকে না, তাকে পৃথিবীর কে নিরাপত্তা দেবে? তাকে কে সুস্থ করবে?

সমাজের অনেকেই আছেন, বাকি চার ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো আদায় করেন। ফজরের নামাজ মাঝে-মধ্যে ছাড়েন কিংবা মাঝে-মধ্যে পড়েন। তাদের নিরাপত্তায় তো সমস্যা হবেই।

সারা বছরে একদিনও ফজরের নামাজ ছাড়া যাবে না। কখনও ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে উঠেই সর্বপ্রথম ফজরের নামাজ পড়তে হবে- যদি সেটা নিষিদ্ধ সময় না হয়। এভাবে চলতে থাকলে আমল ও প্রচেষ্টার ফল দ্রুত পাওয়া যাবে- ইনশাআল্লাহ।

আরেকটি কথা, আমল নিয়মিত করতে হবে এবং কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি চাইতে হবে। আমরা অনেকেই অনেক আমল করি, কিন্তু আমলের বিনিময়ে আমি কী চাচ্ছি; এটাই জানি না। প্রত্যেকটি আমলের বিনিময়ে আখেরাতের ফজিলত তো পাবেনই, দুনিয়ার কোনো নেক উদ্দেশ্যও হাসিল করতে পারেন।

মনে রাখতে হবে, আমল, নিয়ত, ফজরের নামাজ ও দীর্ঘদিনের বদ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা সহজ ও সুন্দর জীবনের অন্যতম নিয়ামক।

;

সৌদি আলেমদের অভিমত

অনুমোদন ছাড়া হজ করা পাপ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজপালন করার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় অনুমতি নেওয়াকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। পবিত্র স্থানগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিত করতে শরিয়া আইনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সৌদির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ মতামত দিয়েছে, যারা রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া হজ করতে যাবেন তাদেরকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যারা হজ করবেন তারা এর মাধ্যমে পাপ করবেন।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আলেমদের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এরপর আলেমরা ঘোষণা দেন, হজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ জানায়, হজ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাবার সরবরাহ এবং অন্যান্য সেবা। যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করে হজ করবেন তারা আরও ভালো ও উন্নত সেবা পাবেন।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো- হজ। প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ করেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। যেসব মুসল্লির আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে, তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও হজ করার বিধান রয়েছে।

মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ করতে পারেন, সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এবার তারা হজ করার জন্য অনুমতির বিষয়টি আবশ্যিক করে দিয়েছে।

;

সৌদিগামীদের উমরা পালনের সুযোগ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য উমরার ভিসা ইস্যু বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। দেশটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের জন্য হজ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে। আর যেসব যাত্রীর উমরা ভিসা রয়েছে তারা ৮ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ২৯ জিলকদ (৬ জুন) এর মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবগামীদের জন্য নতুন সুসংবাদ দিয়েছে দেশটি। এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে উমরা পালন করা যাবে। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর বার্তায় দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

তাতে বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে এলে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে উমরা পালন করতে পারবেন। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি উমরা করতে পারবেন। চাই তা ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে উমরা করতে কোনো বাধা নেই।

পবিত্র হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল থেকে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। এতে আবাসন সুবিধা বিবেচনায় ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল পর্যন্ত চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

সৌদি আরব গত বছর থেকে উমরা-সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে উমরা ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা, স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটির মাধ্যমে মুসল্লিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা। উমরা ভিসায় সৌদি আরব ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া।

এ ছাড়া দেশটি উমরার অনুমতি পেতে আগ্রহীদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং মসজিদে হারাম ও নববিতে পালনীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের উমরা পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

;

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার মাধ্যম হলো তার মহান হুকমগুলো পালন করা। তার হুকুমগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম হুকুম হলো নামাজ। আর এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহর এতটা প্রিয় করে তোলে যে, সে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাই তখন মহান আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না। বরং তার চাওয়াকে পাওয়াতে রুপান্তরিত করে দেন ।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।

আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।

আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চাই, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।

আমি কোনো কাজ করতে চাইলে তা করতে কোনো দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

তাই যেকোনো সংকটপূর্ণ অবস্থায় কিংবা যেকোনো প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের জন্য উচিত হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারই কাছে ফেরা। তাতে মহান রবের ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন হবে ইনশাআল্লাহ ।

খুব গুরুত্ব সহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করা। আর নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ (নফল) নামাজ আদায় করাকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী আল-খাস’আমী রা. সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হুকুমগুলো আদায়ের মাধ্যমে, তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।

;