অন্তরের রোজা



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীর বা দেহ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতোই অন্তর ও হৃদয়কে রোজায় শামিল করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অন্তর ও হৃদয়কে পাপাচার, কুচিন্তা, বক্রতা, শত্রুতা, কুটিলতা থেকে সরল, সোজা ও পবিত্রতায় ভরপুর ঈমানের পথে রাখাই ঈমানদারের কর্তব্য এবং রোজার দাবি। অন্তরের রোজার বিষয় অনুধাবণ করার জন্য প্রথমে অন্তর/মন/হৃদয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেছেন:

‘যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, আল্লাহ তার অন্তরকে সরল পথ দেখান’ (সুরা তাগাবুন: আয়াত ১১)।

বস্তুত পক্ষে অন্তরের সরল পথ বা হেদায়েত হলো সকল হেদায়েতের মূল এবং তাওফিকের শিকড় তথা সকল সুকর্মের অনুপ্রেরণার উৎস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

‘শোন, দেহের মধ্যে একটি মাংসপি- রয়েছে, যখন তা সুস্থ থাকে তখন গোটা দেহটাই সুস্থ থাকে আর যখন তা অসুস্থ হয়ে যায়, তখন গোটা দেহটাই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রাখো, তা হলো অন্তর’ (বোখারি শরিফ: ৫২)।

অন্তর সুস্থ থাকা কেবল মানুষের শরীর বা দেহের জন্যেই নয়, মানুষের যাবতীয় কল্যাণের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানুষের সুস্বাস্থ্য, শান্তি, কল্যাণ বহুলাংশে নির্ভর করে তার অন্তর, মানসিকতা ও মনের সুস্থতার উপর। দুনিয়া এবং আখেরাতের সাফল্য ও কল্যাণের প্রয়োজনে দেহের পাশাপাশি অন্তরকেও সুস্থ, সচল, পবিত্র রাখতে হয়। কারণ, শারীরিক অসুস্থতার মতোই অন্তরের অসুস্থতা ও সমস্যা মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দুনিয়ার কাজে এবং আখেরাতের কাজে পিছিয়ে দেয়। অন্তরকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি পবিত্র কোরআনেও বলা হয়েছে। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন:

‘নিশ্চয় এর মাঝে যে ব্যক্তির জন্য প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, যার একটি জীবন্ত অন্তর রয়েছে, অথবা যে ব্যক্তি একাগ্র চিত্তে শুনতে চায়’ (সুরা কাফ: আয়াত ৩৭)।

ফলে জীবন্ত, আগ্রহী, সুস্থ অন্তর একজন মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুধু অন্তর থাকলেই হবে না, একে জীবন্ত, সুস্থ ও পবিত্র রাখতে হবে। যদিও প্রতিটি মানুষেরই অন্তর আছে তথাপি অন্তর পবিত্র, সুস্থ ও জীবন্ত না হলে সেই অন্তর কোনো কাজে আসবে না।

সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে দুই ধরনের অন্তরের উপস্থিতি দেখা যায়। একটি হলো জীবন্ত অন্তর, যা ঈমানের নূরে উজ্জ্বল, তাকওয়া ও বিশ্বাসে ভরপুর। আরেক প্রকার অন্তর হলো মৃত, যা বেখেয়ালী, বেপরোয়া এবং ধ্বংস, অসুস্থতা ও অকল্যাণের কারণ। এরূপ অন্তর সত্য, কল্যাণ, আলো ও সুস্থতা থেকে বিমুখ হয়ে ধ্বংসের পথে গমনকারী। যাদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে:

‘মূলত এদের অন্তরে রয়েছে মারাত্মক ব্যাধি, অতঃপর আল্লাহ তায়ালা এদের সে রোগ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে পীড়াদায়ক শাস্তি। কেননা, তারা মিথ্যা বলেছিল’ (সুরা বাকারা: আয়াত ১০)।

এইসব মৃত, অসুস্থ ও পথভ্রষ্ট অন্তর সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরো ইরশাদ করা হয়েছে:

‘তারা বলে আমাদের অন্তরের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। মূলতঃ তাদের ক্রমাগত অস্বীকার করার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর অভিসম্পাত করেছেন। অতঃপর তাদের সামান্য পরিমাণ লোকই ঈমান গ্রহণ করেছে।’ (সুরা বাকারা: আয়াত ৮৮)।

‘তবে কি তারা এ কোরআন সম্পর্কে কোনো রকম চিন্তা গবেষণা করে না! নাকি এদের অন্তরসমূহের উপর তালা ঝুলে আছে!’ (সুরা মুহাম্মদ: আয়াত ২৪)।

‘তারা বলে, যে বিষয়ের দিকে তুমি আমাদের ডাকছো, তার জন্য আমাদের অন্তরসমূহ আবরণে আচ্ছাদিত হয়ে আছে, আমাদের কানেও রয়েছে বধিরতা’ (সুরা হা-মীম সাজদা: আয়াত ৫)।

পবিত্র কোরআনের এমন বহু আয়াতের মাধ্যমে মূলতঃ এটাই স্পষ্ট হয় যে, মানুষের অন্তরও অসুস্থ হয়, তালাবদ্ধ হয় এবং সত্য জানতে বিমুখ হলে অন্তর এক সময় মরেও যায়। যদিও খোদাদ্রোহী, পথভ্রষ্ট ও অন্যায়কারীর বুকেও একটি অন্তর আছে, তথাপি সে অন্তর জীবন্ত, কল্যাণকামী, পবিত্র, আলোকিত ও সঠিক পথে বিচরণশীল নয়। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি করে এই দোয়া পড়তেন:

‘হে আল্লাহ, হে হৃদয়ের পরিবর্তনকারী, আপনি আমার হৃদয়কে দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন’ (তিরমিজি শরিফ: ২১৪০)।

ফলে হৃদয় বা অন্তরকে সব সময় দ্বীনের দিকে রাখা দরকার এবং রোজার সময় সেটি আরো দৃঢ়ভাবে রাখা জরুরি, যাতে অন্তরের কুচিন্তা ও মন্দ প্ররোচনা দ্বারা ঈমান ও রোজার কোনো ক্ষতি না হয়। ইসলামী স্কলারগণ বলেছেন যে, অন্তরের রোজা হলো অন্তরকে ভ্রান্ত বিশ্বাস, কুমন্ত্রণা, কুচিন্তা, খারাপ ও গর্হিত চিন্তা বা কল্পনা থেকে মুক্ত রাখা।

বিশ্বাসী, ঈমানদার, মুমিন-মুসলমানের অন্তর সর্বদা ঈমানের নূরে আলোকিত থাকতে হবে। ঈমান, দ্বীন ও কল্যাণের চিন্তায় মুমিন-মুসলমানের হৃদয় সর্বদা আলোকিত থাকে। মিথ্যা, কুফর, অসৎ চিন্তা, ষড়যন্ত্র, কুচিন্তা, কুমন্ত্রণা ইত্যাদি অন্ধকার সেখানে স্থান পাবে না। এসব অন্ধকার এবং হিংসা অহংকার, গিবত, বড়ত্ব ইত্যাদি থাকলে অন্তর কালিমাময় হয়ে যায়। সে কারণে রোজার মাধ্যমে শারীরিক কৃচ্ছ্বতা সাধনের পাশাপাশি অন্তর বা হৃদয়কেও অন্ধকারাচ্ছন্ন বিষয় থেকে পরিপূর্ণভাবে সরিয়ে রাখতে হবে।

রোজায় শরীর যেমন পানাহার করবে না, অন্তরও তেমনিভাবে খারাপ চিন্তা থেকে মুক্ত থাকবে। রোজায় শারীরিকভাবে পানাহার বন্ধ করে অন্তরে অসৎ চিন্তা ও পরিকল্পনা বহাল থাকলে রোজার হক আদায় হবে না। পানাহারের কষ্ট হলেও মন-মানসিকতায় উন্নতি এবং অন্তর আলোকিত হবে না। এজন্য রোজার সময় শারীরিকভাবে পানাহার বন্ধ করা, রিপুকে দমন করা যেমন দরকার, তেমনি অন্তরকে ঈমানের চিন্তায় মশগুল রাখা এবং যাবতীয় অন্ধকারময় কুচিন্তাকে পরিশুদ্ধ রাখাও বিশেষভাবে অপরিহার্য্য। কারণ সুস্থ দেহে যেমন সুস্থ মনের অবস্থান, তেমনি সুস্থ মনে বা অন্তরেও তেমনিভাবে সুস্থ দেহের অবস্থান। দেহ ও মন পারস্পরিকভাবে গভীর সম্পর্কযুক্ত। ফলে শরীর ও মন উভয়টিকেই পবিত্র, স্বচ্ছ, নিষ্কলুষ, কালিমাহীন রাখা একজন ঈমানদারের শারীরিক-মানসিক-আত্মীক কল্যাণের জন্য অতীব জরুরি। রোজার সময় এ বিষয়ে অধিক মনোযোগী হতে হবে, যাবে শরীরের পাশাপাশি মনও পবিত্রতা, কৃচ্ছ্বতা আর ঈমানের আলোয় আলোকিত হয়।

একটি হাদিস থেকে জানা যায় যে:

একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সাহাবি সম্পর্কে তিনবার বললেন, লোকটি জান্নাতি। সেই সাহাবিকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আপনি কোন আমলের দ্বারা জান্নাতের অধিকারী হলেন? সাহাবি বললেন, আমি যখন ঘুমাই তখন কারো প্রতি কোনো হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা থাকে না (খুতবাতুর রামাদান, পৃ. ৭৬)।

অতএব রোজায় দেহের পাশাপাশি মনের পরিশুদ্ধি সাধনের জন্যেও সচেষ্ট হওয়া কর্তব্য। যার মাধ্যমে ঈমানের নূরে অন্তর আলোকিত হবে এবং আধ্যাত্মিকতা বা রুহানিয়্যাতের সৃষ্টি হবে।

   

নবী কারিম (সা.)-এর অনন্য ১০ গুণ



মুফতি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, অতিথি লেখক, ইসলাম
নবী কারিম (সা.)-এর অনন্য ১০ গুণ

নবী কারিম (সা.)-এর অনন্য ১০ গুণ

  • Font increase
  • Font Decrease

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব নবীর সেরা। আকাইদে নসফি গ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘নবীদের মধ্যে সেরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)। কেননা, আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত। মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -সুরা আলে ইমরান : ১১০

সর্বোত্তম উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জিত হয়েছে দ্বীনের ক্ষেত্রে পূর্ণতার কারণে। আর দ্বীনের ক্ষেত্রে পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে নবী কারিম (সা.)-এর পূর্ণতা তথা শ্রেষ্ঠত্বের কারণে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা সব নবীর ওপর আমাকে মর্যাদা দিয়েছেন এবং সব উম্মতের ওপর আমার উম্মতকে মর্যাদা দিয়েছেন।’ -সুনানে তিরমিজি

এ মর্যাদার কারণে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিজ্ঞ যারা রয়েছেন, তাদের ইজমা ও কিয়াস শরিয়তের উৎস হিসেবে গৃহীত হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘আমি হব বিচার দিবসে সব মানুষের নেতা।’ -সহিহ্ মুসলিম

তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমি আদম সন্তানদের নেতা, এতে আমার কোনো অহংকার নেই।’ -সহিহ্ মুসলিম : ৫৯৪০

এখানে আদম সন্তান বলতে সব মানুষ বোঝানো হয়েছে। এভাবেই আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় হাবিবকে নবী-রাসুলদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করার পর ব্যতিক্রমী ১০টি গুণ দান করেছেন। দুটি হাদিসে এ ১০টি গুণের বর্ণনা রয়েছে। আমিরুল মুমিনিন হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, আমাকে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য প্রদান করা হয়েছে, যা অন্য কোনো নবী-রাসুলকে প্রদান করা হয়নি। আমরা আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! এ বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন-

১. নবী কারিম (সা.)-এর চেহারা মোবারকে আল্লাহতায়ালা এমন এক আকর্ষণীয় রূপ দান করেছিলেন, যা দেখে শত্রুরা ভীত-শঙ্কিত হয়ে পড়ত। তাকে কিছু করার সাহস পেত না।

২. আমাকে সমগ্র দুনিয়ার চাবি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দুনিয়া আমার করতলগত এবং আমার অধীন হবে। এ ক্ষমতা অন্য কোনো নবী-রাসুলকে দেওয়া হয়নি।

৩. আমার নাম রাখা হয়েছে আহমদ তথা অতি প্রশংসাকারী। এমন নাম আর কোনো নবী-রাসুলের রাখা হয়নি।

৪. আমার জন্য মাটিকে পবিত্র বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে পানির বিকল্প হিসেবে আমার উম্মতের জন্য মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা বৈধ।

৫. আমার উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। -কুরতুবি

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতকে এমন তিনটি বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে, যা অন্য কোনো উম্মতকে দান করা হয়নি। ১. সালাম, তা জান্নাতিদের অভিবাদন; ২. সারিবদ্ধ হয়ে ইবাদত করা তা ফেরেশতাদের বৈশিষ্ট্য ও ৩. আমিন বলা। যা হজরত মুসা ও হজরত হারুন (আ.) ছাড়া কোনো নবীর সময় ছিল না। -ইবনে খুজাইমা

মুসলিম শরিফের অপর হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমাকে ছয়টি জিনিস দ্বারা অন্য নবীদের ওপর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কিছু আগে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যতিক্রমগুলো হলো-

৬. আমাকে সংক্ষেপে বেশি অর্থবহ কথা বলার যোগ্যতা দান করা হয়েছে।

৭. আমার জন্য গণিমত তথা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে। যা অন্য নবী-রাসুলদের সময় হালাল ছিল না।

৮. সমস্ত জমিনকে আমার জন্য মসজিদ ও পবিত্র স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আমার উম্মতের জন্য যেকোনো স্থানে নামাজ পড়া জায়েজ। অন্য নবীদের সময় এ সুযোগ ছিল না, তাদের মসজিদে নামাজ আদায় করতে হতো।

৯. আমি সমগ্র সৃষ্টির প্রতি প্রেরিত হয়েছি। অর্থাৎ আমি হলাম বিশ্বনবী। আর কেউ বিশ্বনবী নয়। সবাই ছিলেন আঞ্চলিক এবং নির্দিষ্ট এলাকার নবী। একই সময়ে কয়েকজন নবী ছিলেন।

১০. আমার দ্বারা নবুওয়ত সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী-রাসুল আসবে না। -সহিহ্ মুসলিম

;

মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে পানি দেখতে চাই না



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম

বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে সরকার জাতিকে শোষণ করছে। জাতির মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি করছে। সর্বত্র দলীয়করণ ও দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জীবনবাজী রেখে যারা দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে পানি। এমন দৃশ্য আমরা দেখতে চাই না।

রোববার (০১ অক্টোবর) দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথ ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের ২০২৩-২০২৫ সেশনের জন্য পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নতুন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ, সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক, সেক্রেটারী জেনারেল মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, জয়েন্ট সেক্রেটারী মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. ফারুক হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, সহ-অর্থ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান, দফতর সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আছমত আলী, সহ-দফতর সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা পিএম শাহজাহান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নূরু মিয়া, সহ- শিক্ষা ও সংষ্কৃতি সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ, সহ- মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আইনুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. তানজির মাস্টার, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহমদ অলী, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মন্ডল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. রুহুল আমীন খান, সদস্য ক্যাপ্টেন অব. আবুল হাসেম খান, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলা, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই।

;

ইসলাম ও দেশ ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে : পীর সাহেব চরমোনাই



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন পীর সাহেব চরমোনাই

সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন পীর সাহেব চরমোনাই

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ, ইসলাম ও মানবতা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় দেশের জাগ্রত বিবেক আলেমদের ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। উলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশের উলামা-মাশায়েখদের জাতীয় সংগঠন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় যেমনি দেশের ও জনগণের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি ইসলাম ও ইসলামি তাহজিবও ধ্বংসের মুখে। এজন্য দেশ ও জনগণের স্বার্থেই সরকারের পদত্যাগ আন্দোলনে সকলকে শামিল হতে হবে।

সভায় আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজীকে সভাপতি, মাওলানা গাজী আতাউর রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইনকে সহ-সভাপতি, মুফতি রেজাউল করীম আবরারকে সাধারণ সম্পাদক, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমিকে সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শায়েখ জাকারিয়া ইসলামি রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, ড. অধ্যাপক আফম খালিদ হোসাইন, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী পীর সাহেব দেওনা, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বরিশাল মাহমুদিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, বরেণ্য আলেম আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমুদ, খুলনা দারুল উলূমের প্রিন্সিপাল মাওলানা মুশতাক আহমদ, বেফাকুল মাদারিসিদ দীনিয়ার মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি তাজুল ইসলাম, ড. বেলাল নূর আজিজী, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমি, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফি, মুফতি রেজাউল করীম আবরার,

মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মুফতি আব্দুল আজিজ কাসেমি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা শাহজাহান আলহাবিবী, মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, মাওলানা আশরাফ আলী নূরী, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমি, মুফতি ইসমাঈল হোসাইন সিরাজী, মুফতি রফিকুন্নবী হাক্কানি, হাজী শরয়াতুল্লাহর বংশধর মুফতি হানজালা, মাওলানা আলী আহমদ চৌধুরী পীর সাহেব চন্ডিবর্দী, ময়মনসিংহের শায়খুল হাদিস মাওলানা মঞ্জুরুল হক, কুড়িগ্রামের মুফদি মুজ্জামিল হক আইমানি, ফেনীর শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ভাষানটেক মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আনোয়ারী, যশোরের শায়খুল হাদিস মাওলানা হারুনুর রশিদ কাসেমি, খাগড়াছড়ির মুফতি ইমামুদ্দিন কাসেমি, বগুড়ার মুফতি আব্দুল মতিন, গাজীপুরের মাওলানা হাবিবুর রহমান মিয়াজী ও মুফতি ওবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ, কুমিল্লার মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফি ও মাওলানা মুসাদ্দিকুর রহমান আশরাফি, কেরাণীগঞ্জের মুফতি শফিউদ্দিন কাসেমি, মুন্সিগঞ্জের মুফতি এমদাদুল হক আরেফি, কুষ্টিয়ার মুফতি মুজ্জাম্মিল হক কাসেমি ও চাঁদপুরের মাওলানা আনসার আহমদ পীর সাহেব বাগিচাপুর প্রমুখ।

সম্মেলনে ১৫ দফা প্রস্তাবনা এবং ৩ মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। সম্মেলনে কারাবন্দী সকল মজলুম আলেমের দ্রুত মুক্তি এবং উলামায়ে কেরামের নামে দায়ের করা সকল ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। 

;

জেনে নিন মাহরাম ও গায়রে মাহরাম কারা



মুফতি শরিফুল আজম, অতিথি লেখক, ইসলাম
গায়রে মাহরামদের সঙ্গে পর্দা করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান

গায়রে মাহরামদের সঙ্গে পর্দা করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান

  • Font increase
  • Font Decrease

গায়রে মাহরামদের সঙ্গে পর্দা করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কোরআন মাজিদের কয়েকটি সুরায় পর্দা সংক্রান্ত বিধান দেওয়া হয়েছে। পর্দার বিষয়ে আল্লাহতায়ালা সব শ্রেণির ঈমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেছেন তিনি যেন তার স্ত্রী, কন্যা এবং মুমিন নারীদের চাদর দ্বারা নিজেদের আবৃত রাখার আদেশ দেন। কিছু আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদেরকেও সম্বোধন করেছেন, কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও সম্বোধন করা হয়েছে।

মোটকথা, কোরআন মাজিদ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান করেছে। এটি ইসলামি শরিয়তের একটি ফরজ বিধান।

ইসলামের বিধানগুলো শুধু আখেরাতে নাজাতের উপায় নয়, দুনিয়ার জীবনের শান্তি, স্বস্তি ও পবিত্রতার রক্ষাকবচ। কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অমুসলিমদের প্রচারণায় প্রভাবিত হয়ে নিজেদের আর্দশ ত্যাগ করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি। আমাদের পরিবার ও সমাজে পশ্চিমা সমাজের ভয়াবহ উপসর্গগুলো প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে অশনিসংকেত। পশ্চিমা সভ্যতা যেসব মরণব্যাধিতে আক্রান্ত তা থেকে যদি আমরা পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করতে চাই তার একমাত্র উপায় ইসলামের বিধান ও আদর্শের সামনে আত্মসমর্পণ। আমরা যদি পারিবারিক শান্তি ফিরে পেতে চাই, তাহলে নারী-পুরুষ সবাইকে পর্দা-বিধানের অনুসারী হতে হবে।

এ জন্য মাহরাম ও গায়রে মাহরাম বলতে কি বুঝায় এবং তাদের পরিচয় জানা থাকা দরকার। ইসলামে, একজন মাহরাম হলো পরিবারের একজন সদস্য যার সঙ্গে বিবাহ স্থায়ীভাবে বেআইনি (হারাম)। এর বিপরীত গায়রে মাহরাম। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য গায়রে মাহরামের সঙ্গে পর্দা করা ফরজ।

পর্দার সঙ্গে মাহরাম ও গায়রে মাহরামের সম্পর্কের বিষয়টি জড়িত। ইসলামি পরিভাষায় মাহরাম দ্বারা বুঝায়, যাদেরকে বিবাহ করা হারাম বা অবৈধ এবং দেখা করা বা দেখা দেওয়া জায়েয বা বৈধ। তবে স্ত্রীর বোনের সঙ্গে বিয়ে হারাম হলেও দেখা-সাক্ষাৎ করা বৈধ নয়। মূল কথা, শরিয়ত যাদের সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক হারাম; তারাই মাহরাম।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদের, তোমাদের মেয়েদের, তোমাদের বোনদের, তোমাদের ফুফুদের, তোমাদের খালাদের, ভাতিজিদের, ভাগ্নীদের, তোমাদের সেসব মাকে যারা তোমাদের দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদের, তোমাদের শ্বাশুড়িদের, তোমরা যেসব স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়েছো- সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সঙ্গে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের ওপর কোনো পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদের এবং দুই বোনকে একত্র (বিয়ে) করা (তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -সুরা নিসা : ২৩

মাহরামের পরিচয় জানা থাকলে অনেক গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়। যাদের সঙ্গে দেখা করা গোনাহ কিন্তু আত্মীয় পরিচয়ে সাধারণ দেখা-সাক্ষাৎসহ অনেক সময় বিয়ের মতো জঘন্য গোনাহের কাজও সংঘটিত হয়ে যায়। তাই মাহরামের পরিচয় জানা সবার জন্য জরুরি। এখানে মাহরাম ও গায়রে মাহরামের একটি তালিকা দেওয়া হলো-

পুরুষের জন্য মাহরামের তালিকা
দাদী, মা/দুধ মা, বোন/দুধ বোন, শাশুড়ি, স্ত্রী, মেয়ে/দুধ মেয়ে/সৎ মেয়ে, ছেলের/দুধ ছেলের স্ত্রী, ফুপু, খালা, ভাইয়ের/বোনের মেয়ে এবং নানী।

পুরুষের জন্য গায়রে মাহরামের তালিকা
মায়ের খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো বোন, চাচাতো বোন, ভাবী, বাবার খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো বোন, চাচী, ফুফাতো বোন, খালাতো বোন, মামাতো বোন, শ্যালক/শ্যালিকার মেয়ে, শ্বশুর/শাশুড়ির বোন, শ্যালিকা, মামী, স্ত্রীর খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো বোন, স্ত্রীর ভাবী, মেয়ের ননদ এবং ছেলে/মেয়ের শাশুড়ি।

নারীদের জন্য মাহরামের তালিকা
দাদা, বাবা, ভাই, শ্বশুর, স্বামী, ছেলে, নাতী, চাচা, ভাইয়ের/বোনের ছেলে, নানা এবং মামা।

নারীদের জন্য গায়রে মাহরামের তালিকা
মায়ের খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই, চাচাতো ভাই, দুলাভাই, বাবার খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই, ফুপুর স্বামী (ফুপা), ফুপাতো ভাই, খালাতো ভাই, মামাতো ভাই, ননদের ছেলে, শ্বশুর/শাশুড়ির ভাই, দেবর/ভাসুর, ননদের স্বামী, স্বামীর খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই, স্বামীর দুলাভাই, ছেলের শ্যালক, ছেলে/মেয়ের শ্বশুর এবং খালার স্বামী (খালু)।

;