কিয়ামুল লাইল



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বরকতময় রমজান মাসের অন্যতম প্রধান আমল হলো দিনে রোজা রাখা আর রাতে নামাজ আদায় করা। রুহানিয়্যাতের আলোকমালায় পরিপূর্ণ রমজান মাসে রোজা, নামাজের উৎকৃষ্ট পরিস্থিতি যেমন সৃষ্টি হয়, তেমনি তেলাওয়াত, জিকির, দান, সাদাকা ইত্যাদি বহুবিধ কল্যাণকর আমলের অনুপ্রেরণা জাগ্রত হয়। রমজান মাসেই রয়েছে রাতের বিশেষ নামাজ কিয়ামুল লাইল, তারাবিহ। তদুপরি তাহাজ্জুদ, সালাতুল তাসবিহ, ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন ইত্যাদি বহুবিধ নফল-সুন্নত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে অন্যান্য মাসের চেয়ে বহুগুণ সাওয়াব লাভের সুযোগ ঘটে রমজান মাসে। বিশেষত ‘কিয়ামুল লাইল’ বা রাতের নামাজ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে, যেগুলো পালনের ক্ষেত্রে রমজান মাসে অধিক তৎপর ও মনোযোগী হওয়া দরকার।

কিয়ামুল লাইল সম্পর্কে আল কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে:

১.   তাদের পার্শ্বসমূহ বিছানা থেকে আলাদা হয় (অর্থাৎ ঘুম থেকে উঠা), তারা তাদের প্রতিপালককে ডাকে ভয়ে ও প্রত্যাশা সহকারে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে (সুরা আস সাজদা: আয়াত ১৬)।

২.   যে ব্যক্তি রাতের বিভিন্ন অংশে সিজদা ও দাঁড়ানো অবস্থায় অনুগত থাকে, আখেরাতকে ভয় করে এবং তাঁর প্রতিপালকের দয়া প্রত্যাশা করে, সে কি (তার সমান, যে তা করে না)? আপনি বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান? কেবল বুদ্ধিমানরাই উপদেশ গ্রহণ করে (সুরা আয যুমার: আয়াত ৯)।

৩.   আর রাতের কিছু অংশ তাহাজ্জুদ আদায় করবে, ইহা তোমার জন্যে অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন (সুরা বনী ইসরাঈল: আয়াত ৭৯)।

৪.   হে বস্ত্রাবৃত, রাতের কিছু অংশ ব্যতীত জাগরণ করো। রাতের অর্ধাংশ অথবা তদাপেক্ষা অল্প সময়, অথবা তদাপেক্ষা বেশি সময়। আর কোরআন তেলাওয়াত করো ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে (সুরা মুযযাম্মিল: আয়াত ১-৪)।

৫.   তারা রাতের কম সময় ঘুমিয়ে থাকে এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে (সুরা আয যারিয়াত: ১৭)।

৬.  তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, নিশ্চয় আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং আপনি আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। (তারা) ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অনুগত ও দানশীল এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী (সুরা আলে ইমরান: আয়াত ১৬-১৭)।

কিয়ামুল লাইল সম্পর্কে আল হাদিসে বর্ণিত আছে:

১.   হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদ সালাত (নামাজ) সূচনা করতেন দুই রাকাত সংক্ষিপ্ত সালাত আদায়ের মাধ্যমে (মুসলিম)।

২.   হযরত বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা রাত্রি জাগরণ করো, কেননা এটা তোমাদের পূর্ববর্তী নেক বান্দাদের অভ্যাস ছিল। এটি তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের নৈকট্যে পৌঁছে দেবে। এটি তোমাদের গোনাহ মাফের উপায়, পাপ থেকে দূরে রাখার মাধ্যম এবং শরীরের রোগ দূরকারী (তিরমিজি)।

৩.   হযরত মাসরুক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কোন কাজটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট সর্বাধিক প্রিয় ছিল? তিনি বলেন, যে কাজ সদাসর্বদা করা হয়। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি রাতের ইবাদতে তাহাজ্জুদের জন্যে কখন উঠতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগ ডাকার শব্দ শুনতেন তখন তিনি তাহাজ্জুদের সালাতের (নামাজের) জন্য উঠতেন (বোখারি ও মুসলিম)।

৪.   হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় রাতের ভেতরে এমন একটি সময় আছে, যদি কোনো মুসলিম ঐ সময়টি পায়, আর তখন দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ হতে কোনো কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দেন। আর এ সময়টা প্রতি রাতেই আসে (মুসলিম)।

৫.   হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকী থাকে, তখন স্বয়ং আমাদের প্রতিপালক দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং বলতে থাকেন, কে আছ, যে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছ, আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দিয়ে দেবো। কে আছ, যে এ সময় আমার কাছে গোনাহ হতে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো। (বোখারি ও মুসলিম)

বস্তুত পক্ষে, আধ্যাত্মিকতা ও ঈমানকে মজবুত করতে এবং আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার নৈকট্য লাভ করতে কিয়ামুল লাইলের চেয়ে কার্যকর কিছুই নেই। মাহে রমজানে একনিষ্ঠভাবে রাতের নামাজে মনোযোগী হওয়া এবং এশার সময় তারাবিহ নামাজে অংশ নেওয়া প্রতিটি মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।

   

সৌদি আলেমদের অভিমত

অনুমোদন ছাড়া হজ করা পাপ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজপালন করার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় অনুমতি নেওয়াকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। পবিত্র স্থানগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিত করতে শরিয়া আইনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সৌদির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ মতামত দিয়েছে, যারা রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া হজ করতে যাবেন তাদেরকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যারা হজ করবেন তারা এর মাধ্যমে পাপ করবেন।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আলেমদের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এরপর আলেমরা ঘোষণা দেন, হজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ জানায়, হজ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাবার সরবরাহ এবং অন্যান্য সেবা। যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করে হজ করবেন তারা আরও ভালো ও উন্নত সেবা পাবেন।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো- হজ। প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ করেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। যেসব মুসল্লির আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে, তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও হজ করার বিধান রয়েছে।

মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ করতে পারেন, সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এবার তারা হজ করার জন্য অনুমতির বিষয়টি আবশ্যিক করে দিয়েছে।

;

সৌদিগামীদের উমরা পালনের সুযোগ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য উমরার ভিসা ইস্যু বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। দেশটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের জন্য হজ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে। আর যেসব যাত্রীর উমরা ভিসা রয়েছে তারা ৮ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ২৯ জিলকদ (৬ জুন) এর মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবগামীদের জন্য নতুন সুসংবাদ দিয়েছে দেশটি। এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে উমরা পালন করা যাবে। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর বার্তায় দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

তাতে বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে এলে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে উমরা পালন করতে পারবেন। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি উমরা করতে পারবেন। চাই তা ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে উমরা করতে কোনো বাধা নেই।

পবিত্র হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল থেকে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। এতে আবাসন সুবিধা বিবেচনায় ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল পর্যন্ত চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

সৌদি আরব গত বছর থেকে উমরা-সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে উমরা ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা, স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটির মাধ্যমে মুসল্লিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা। উমরা ভিসায় সৌদি আরব ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া।

এ ছাড়া দেশটি উমরার অনুমতি পেতে আগ্রহীদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং মসজিদে হারাম ও নববিতে পালনীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের উমরা পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

;

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার মাধ্যম হলো তার মহান হুকমগুলো পালন করা। তার হুকুমগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম হুকুম হলো নামাজ। আর এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহর এতটা প্রিয় করে তোলে যে, সে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাই তখন মহান আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না। বরং তার চাওয়াকে পাওয়াতে রুপান্তরিত করে দেন ।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।

আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।

আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চাই, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।

আমি কোনো কাজ করতে চাইলে তা করতে কোনো দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

তাই যেকোনো সংকটপূর্ণ অবস্থায় কিংবা যেকোনো প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের জন্য উচিত হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারই কাছে ফেরা। তাতে মহান রবের ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন হবে ইনশাআল্লাহ ।

খুব গুরুত্ব সহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করা। আর নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ (নফল) নামাজ আদায় করাকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী আল-খাস’আমী রা. সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হুকুমগুলো আদায়ের মাধ্যমে, তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।

;

হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট আগামী ৯ মে থেকে শুরু হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। দ্রুতই যাত্রীদের ফ্লাইট শিডিউল জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গাইড ও মোনাজ্জেমসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

এদিকে, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

;