১০ খণ্ডে অনূদিত মুসলিম উম্মাহর বর্ণাঢ্য ইতিহাস



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ মুসলিম উম্মাহকে নিয়ে নানা ভাষায় লেখা হয়েছে প্রচুর গ্রন্থ। তবে বাংলা ভাষায় এর যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। মুসলিম জাতির ইতিহাস নিয়ে আমাদের দেশে যেসব বইপত্র রয়েছে সেখানে উৎসহীন ও অতিরঞ্জিত বর্ণনায় ভরপুর। যাচাই-বাছাই করে, বিশুদ্ধ উৎস থেকে তথ্য নিয়ে মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস তুলে ধরার কাজ এই অঞ্চলে খুব একটা হয়নি।

সম্প্রতি ১০ খণ্ডে প্রকাশিত ‘মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ’ সিরিজটি এই ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করবে।

বইটি মূলত উর্দু থেকে অনূদিত। মুসলিম জাতিসত্তার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসকে মলাটবদ্ধ করার শ্রমসাধ্য কাজটি করেছেন পাকিস্তানের ইসলামি স্কলার মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল রাইহান।

দীর্ঘ আট বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি ইতিহাস সিরিজটি সংকলন করেছেন। আর দরকারি গ্রন্থটি বেশ কয়েকজন লেখকের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় রূপান্তর করেছে ইসলামি ধারার অভিজাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল আযহার।

ইতিহাস সিরিজটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাঠকদের মধ্যে এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে তথ্যের প্রাচুর্য, প্রাচীন নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স বুক থেকে উদ্ধৃতি, নির্মোহ বিশ্লেষণ এবং বিশুদ্ধ মানদণ্ডে পরখ করে সাবলীল তথ্য উপস্থাপন ইতিহাসগ্রন্থটিকে এনে দিয়েছে স্বাতন্ত্র্য। বইটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুসলিম স্কলার মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানিসহ বিশিষ্ট মনীষীরা।

সিরিজটিতে মানবজাতির হাজার বছরের ইতিহাস সংক্ষেপে এবং মুসলিম উম্মাহর চৌদ্দশ বছরের ইতিহাস সবিস্তারে উঠে এসেছে।

প্রথম খণ্ডে রয়েছে ইতিহাসশাস্ত্রের ইতিবৃত্ত, পূর্ববর্তী নবীগণ ও সমকালীন রাজত্ব, ইসলামপূর্ব পৃথিবীর অবস্থা এবং নবীজির জন্ম থেকে হুনাইন যুদ্ধ পর্যন্ত আলোচনা। দ্বিতীয় খণ্ডে আছে, প্রিয় রাসূলের শেষ জীবন ও প্রথম তিন খলিফার পূর্ণ খেলাফতকাল। তৃতীয় খণ্ডে ইতিহাস সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাইয়ের মূলনীতি, সাহাবায়ে কেরামের মতভেদ পর্যালোচনা, হজরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফত, জঙ্গে জামাল ও জঙ্গে সিফফিন; পাশাপাশি সাবায়ি, খারিজি, শিয়া, রাফিজি ও নাসিবিদের উত্থান-পতনের আখ্যান এবং সাবায়িদের ষড়যন্ত্র ও খারেজিদের নির্মমতার নির্মোহ বর্ণনা।

চতুর্থ খণ্ডে হজরত হোসাইন (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-এর খেলাফত কায়েমের প্রয়াস, কারবালার যুদ্ধ ও হাররার ঘটনা আলোচিত হয়েছে।

পঞ্চম খণ্ডে আছে হজরত আলী (রা.), জঙ্গে সিফফিন, খেলাফতে রাশেদা সম্পর্কিত কিছু বহুল চর্চিত প্রশ্ন ও এর জবাব। হজরত আমিরে মুয়াবিয়া (রা.) সম্পর্কিত সন্দেহ-সংশয়ের অবসান; হজরত হোসাইন (রা.), ইয়াজিদ ও কারবালার ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত। ষষ্ঠ খণ্ডে আছে বনু মারওয়ানের খেলাফত থেকে আব্বাসি খেলাফত কায়েমের পূর্বপর্যন্ত বিস্তৃত সময়ের ইতিবৃত্ত, খারেজি গোষ্ঠীর অরাজকতা এবং স্পেন ও ভারতবর্ষ বিজয়ের বিস্তৃত ইতিহাস। এছাড়াও এ সময়কালের শীর্ষ মুসলিম মনীষীদের জীবনী, শিয়া, নাসিবি, মুরজিয়া, মুতাজিলা ও সমমনা বিভ্রান্ত গোষ্ঠীর মতবাদ ও তা খণ্ডন।

সপ্তম খণ্ডে বনু মারওয়ানের পতন, বাগদাদের আব্বাসি খেলাফতের উত্থান-পতনের বিস্তীর্ণ ইতিহাস স্থান পেয়েছে। অষ্টম খণ্ডে আব্বাসি খেলাফতের পতনকাল, সম-সাময়িক বিশ্বের অন্যান্য রাজবংশ ও ইসলামি ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম মনীষীদের জীবনবৃত্তান্ত।

নবম খণ্ডে আছে আন্দালুসের ইসলামি সালতানাতের উত্থান ও পতনযুগ এবং সালতানাতে উসমানিয়ার উত্থান-পতন প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা ও সামগ্রিক বিশ্লেষণ। পাশাপাশি সিসিলি, নরম্যান, আতাবুক রাজবংশের কার্যক্রম, সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবির ঈমানদীপ্ত দাস্তান, ক্রুসেড যুদ্ধ, তাতারি ফিতনা ও খাওয়ারিজম শাহের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস।

১০ খণ্ডে অনূদিত বই মুসলিম উম্মাহর বর্ণাঢ্য ইতিহাস, ছবি: সংগৃহীত

দশম খণ্ডে আছে, মুঘল ঘরানায় ইসলামের প্রবেশ, উসমানি সালতানাতের বর্ণাঢ্য ইতিহাস, কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের রোমাঞ্চকর উপাখ্যান ও সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহের ইউরোপ অভিযানের ঈমানদীপ্ত দাস্তান।

দশ খণ্ডে পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহের ইউরোপ অভিযান, অর্থাৎ হিজরি নবম শতাব্দী তথা ঈসায়ি ১৫তম শতাব্দী পর্যন্ত পুরো আরব, ইউরোপ, আফ্রিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় ইতিহাস পূর্ণাঙ্গভাবে উঠে এসেছে।

মূল বইটি ডাউস সাইজের চারটি ভলিউমে। বাংলায় যা দশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিটি খণ্ডের পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫৫০ থেকে ৬০০।

মূল লেখক আরও কয়েকটি খণ্ডে ইতিহাসগ্রন্থটি পূর্ণ করবেন। মূল বইটি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলায় তা অনুবাদ করিয়ে বাজারে আনবে মাকতাবাতুল আযহার।

প্রায় পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার সিরিজটি অনুবাদ করেছেন- আবদুল্লাহ আল ফারুক, জহির উদ্দিন বাবর, ড. ইমতিয়াজ আহমদ, রাইহান খাইরুল্লাহ, নুরুযযামান নাহিদ, কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক, মুফতি আবদুল হালীম, আবদুল কাইয়ুম শেখ, মু. সগির আহমদ চৌধুরী। সম্পাদনা করেছেন ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন ও ড. এবিএম হিজবুল্লাহ।

প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে দু’টি সংস্করণ বের করেছে। উন্নত সংস্করণের খুচরা মূল্য ৪০০০ টাকা। আর দাওয়াহ সংস্করণের খুচরা মূল্য ৩০০০ টাকা। বাংলাবাজার ও মধ্যবাড্ডার বিক্রয়কেন্দ্র ছাড়াও রকমারি ডটকম, ওয়াফিলাইফ ও কুইককার্ডের মতো দেশসেরা অনলাইনশপের মাধ্যমে বইটি সংগ্রহ করা যাবে। প্রয়োজনে মাকতাবাতুল আযহারের হটলাইন নম্বর ০১৯২৪০৭৬৩৬৫-এ যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।

   

সৌদিগামীদের উমরা পালনের সুযোগ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য উমরার ভিসা ইস্যু বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। দেশটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের জন্য হজ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে। আর যেসব যাত্রীর উমরা ভিসা রয়েছে তারা ৮ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ২৯ জিলকদ (৬ জুন) এর মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবগামীদের জন্য নতুন সুসংবাদ দিয়েছে দেশটি। এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে উমরা পালন করা যাবে। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর বার্তায় দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

তাতে বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে এলে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে উমরা পালন করতে পারবেন। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি উমরা করতে পারবেন। চাই তা ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে উমরা করতে কোনো বাধা নেই।

পবিত্র হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল থেকে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। এতে আবাসন সুবিধা বিবেচনায় ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল পর্যন্ত চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

সৌদি আরব গত বছর থেকে উমরা-সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে উমরা ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা, স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটির মাধ্যমে মুসল্লিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা। উমরা ভিসায় সৌদি আরব ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া।

এ ছাড়া দেশটি উমরার অনুমতি পেতে আগ্রহীদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং মসজিদে হারাম ও নববিতে পালনীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের উমরা পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

;

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার মাধ্যম হলো তার মহান হুকমগুলো পালন করা। তার হুকুমগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম হুকুম হলো নামাজ। আর এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহর এতটা প্রিয় করে তোলে যে, সে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাই তখন মহান আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না। বরং তার চাওয়াকে পাওয়াতে রুপান্তরিত করে দেন ।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।

আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।

আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চাই, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।

আমি কোনো কাজ করতে চাইলে তা করতে কোনো দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

তাই যেকোনো সংকটপূর্ণ অবস্থায় কিংবা যেকোনো প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের জন্য উচিত হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারই কাছে ফেরা। তাতে মহান রবের ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন হবে ইনশাআল্লাহ ।

খুব গুরুত্ব সহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করা। আর নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ (নফল) নামাজ আদায় করাকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী আল-খাস’আমী রা. সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হুকুমগুলো আদায়ের মাধ্যমে, তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।

;

হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট আগামী ৯ মে থেকে শুরু হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। দ্রুতই যাত্রীদের ফ্লাইট শিডিউল জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গাইড ও মোনাজ্জেমসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

এদিকে, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

;

দারিদ্র্য বা অভাব দূর করার পরীক্ষিত আমল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দারিদ্রতা বা অভাব দূর করার পরীক্ষিত আমল

দারিদ্রতা বা অভাব দূর করার পরীক্ষিত আমল

  • Font increase
  • Font Decrease

একবার একজন সাহাবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আরজ করলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া আমার প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে। ইরশাদ করলেন: তোমার কি ঐ তাসবিহ স্মরণ নেই, যে তাসবিহ ফেরেশতা এবং মাখলুকের, যার বরকতে রুজি প্রদান করা হয়। যখন সুবহে সাদিক উদিত (শুরু) হয় তখন এ তাসবীহ ১০০ বার পাঠ কর:

তাসবিহটি হলো : সুবহানাল্লাহি অ-বিহামদিহি,সুবহানাল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম, অ-বিহামদিহি আস্তাগফিরুল্লাহ।

অর্থ: মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য; মহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি সমুচ্চ, মহান; এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।

যদি তুমি এই তাসবিহটি ১০০ বার পড়, তাহলে দুনিয়া তোমার নিকট অপমানিত হয়ে আসবে। ঐ সাহাবী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু চলে গেলেন। কিছুদিন পর পুনরায় হাজির হয়ে, আরজ করলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! দুনিয়া আমার নিকট এত বেশি আসছে, আমি হতবাক! কোথায় যাব, কোথায় রাখব! (সূত্র: আল খাছায়িছুল কুবরা, ২য় খন্ড, ২৯৯ পৃষ্ঠা)

এই তাসবিহটি যথাসম্ভব সুবহে সাদিক (শুরু) হওয়ার সাথে সাথে পাঠ করা নতুবা ফজরের, জামাআত যদি শুরু হয়ে যায় তবে জামাআতে শরীক হয়ে যাবে এবং পরে সংখ্যা পূর্ণ করে নিবে। আর যদি নামাযের পূর্বে কোনো কারনে তা পাঠ করতে না পারে বা পাঠ করতে ভুলে যায়,তাহলে সূর্য উদিত হওয়ার আগে আগেই তা পাঠ করে নিতে হবে। (সুত্র: মলফুজাতে আ’লা হযরত, ১২৮ পৃষ্ঠা)

উক্ত তাসবীহ পাঠ করার সাথে সাথে সকাল সন্ধ্যায় তিনবার এই আয়াতটিও পাঠ করতে পারেন।

উচ্চারণ: ওয়া মাই-ইয়াত্তাকিল্লাহা ইয়াজ আল্লাহু মাখরাজা। ওয়া ইয়ারযুকহু মিন হাইসু লা ইয়াহ তাসিব।ওয়া মান ইয়া তা ওয়াক্কাল আলাল্লাহি ফাহু ওয়া হাসবুহু ইন্নাল্লাহা বালিগু আমরিহি কাদযায়াল্লাহু লিকুল্লি শাইয়িন কাদরা।

অর্থ: আর যে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য (সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়ার) কোন না কোন পথ বের করে দিবেন। এবং তাকে ওই স্থান থেকে জীবিকা দেবেন, যেখানে তার কল্পনাও থাকে না এবং যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তবে তিনি তার জন্য যথেষ্ট। নিশ্চয় আল্লাহ তার কাজ পরিপূর্ণকারী। নিশ্চয় আল্লাহ তায়াল প্রত্যেক বস্তুর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রেখেছেন। (সূরা-ত্বালাক, আয়াত - ১, ২)

দারিদ্রতা দূর করার আরো একটি আমলের কথা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দারিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হযরত ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন।([বাইহাকি : শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)

তবে একটি বিষয় আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, দোয়া কবুল হওয়ার জন্য শর্ত হল হালাল উপার্জন। হালাল উপার্জন ছাড়া দোয়া কবুল হওয়ার আশা করা বোকামি।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দারিদ্রতা বা অভাব দূর করে, সচ্ছলতাকে জীবনসঙ্গী বানিয়ে দিন আমিন।

;