আল আমীন মিশন: পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজে শিক্ষা প্রসারের নবদূত



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম
পশ্চিমবঙ্গ আল আমীন মিশনের একটি ক্যাম্পাস, ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ আল আমীন মিশনের একটি ক্যাম্পাস, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সত্যিকারের শিক্ষক তারাই, যারা জাতিকে ভাবতে সাহায্য করেন। কাজের মাধ্যমে নিজের মমত্ববোধকে সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দেন।’ এমনই একজন আলোকিত মানুষ এম নুরুল ইসলাম। পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত শিক্ষা সংগঠন ‘আল আমীন মিশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের ভাবতে শিখিয়েছেন, স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন। তার দেখানো পথে জীবনে সাফল্য পেয়েছে হাজার হাজার মুসলিম শিক্ষার্থী। তিনি তাদের মাঝে স্বপ্নে বীজ বপন না করলে, ভারতের মতো দেশে কঠোর প্রতিযোগিতায় হারিয়ে যেত তারা। যথাযথ পরিবেশের অভাবে তাদের শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব হতো না।

‘একমাত্র শিক্ষাই পাড়ে মানুষকে আলোর দিশা দেখাতে’ মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী এম নুরুল ইসলামের শিক্ষা বিপ্লবে কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজে এক নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। তবে এখনও অনেক পথ বাকি।

সত্তরের দশকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা যখন শিক্ষা থেকে যোজন যোজন কোষ দূরে, তখন আশির দশকের প্রায় শেষ দিকে মুসলিম সমাজকে শিক্ষার আলো দেখানোর জন্য এগিয়ে আসেন এম নুরুল ইসলাম। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজের সর্বস্তরের বিস্তারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন আল আমীন মিশন।

পশ্চিমবঙ্গ আল আমীন মিশনের খলতপুর ক্যাম্পাস, ছবি: সংগৃহীত

১৯৫৯ সালের ১৭ অক্টোবর হাওড়া জেলার খলতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অত্যন্ত মেধাবী ও প্রখর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এম নুরুল ইসলাম ১৯৮৪ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলায় খলতপুর গ্রামে তিনি ‘ইন্সটিটিউট অফ ইসলামিক কালচার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। অবাক করা তথ্য হলো, সমাজের মানুষের ‘মুষ্টির চাল’কে আয়ের মাধ্যম ধরে স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার সহায়তায় ওই মাদরাসার ভবনে আবাসিক ছাত্রাবাস শুরু করেন। পরে ১৯৮৭ সালের ১ জানুয়ারি ইন্সটিটিউট অফ ইসলামিক কালচারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়, ‘আল আমীন মিশন।’ বর্তমানে তিনি আল আমিন মিশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার মতে, ‘আমি মনে করি, আল্লাহতায়ালা হলেন সব থেকে বড় পরিকল্পনাকারী। এই যে আল আমীন মিশন, এসব তারই পরিকল্পনার ফসল।’

গোটা ভারত বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র যখন ইংরেজি মাধ্যমের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে, সবাই ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে সেদিকে, আল আমীন মিশন তখন দেখিয়ে দিয়েছে বাংলা মাধ্যমে পড়েও বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো যায়। দেশে-বিদেশে কর্মে এবং গবেষণায় যুক্ত আল আমীনের ছেলে-মেয়েরাই তার উজ্জ্বল উদাহরণ।

আল আমিন মিশন থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থী বেরিয়েছেন এবং তাদের বেশিরভাগই ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবসেবায় নিযুক্ত। তাদের মধ্যে চিকিৎসক ৪ হাজার, স্বাস্থ্যকর্মী ৪ হাজার, ইঞ্জিনিয়ার ৩ হাজারের বেশি। কেউবা আবার মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক, আবার কেউ গবেষক। অনেকেই উচ্চপদে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া ডব্লিউবিসিএস, নার্সিং, হোমিওপ্যাথি, আর্য়ুবেদ এবং ভেটেনারিতেও মিশনের প্রভূত সাফল্য রয়েছে। এখনও প্রতি বছর চারশ’র বেশি ছেলে-মেয়ে মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছে। সাফল্যের হারের দিক থেকে এই ফলাফল ভারতের সংখ্যালঘু পরিচালিত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেরা। বর্তমানে আল আমীন মিশনের পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। ৩ হাজার শিক্ষক আর শিক্ষাকর্মী এসব ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তানসম স্নেহে পড়াশোনা করিয়ে থাকেন।

আল আমীন মিশনের প্রতিষ্ঠাতা এম নুরুল ইসলাম, ছবি: সংগৃহীত

মাত্র সাত জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি অনুন্নত এলাকায় পথ চলা শুরু আল আমীন মিশনের। ওই ছাত্রদের পড়াশোনার জন্য যথেষ্ট অর্থের দরকার ছিল, সেই অর্থ সংগ্রহ করতে এম নুরুল ইসলাম ‘ভিক্ষার ঝুলি’ নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন। জাকাতের টাকা ও কিছু সমাজসেবী মানুষের সাহায্যে চলতে শুরু করে আল আমীন মিশন। একটা সময় জাকাত ও সমাজসেবীদের সাহায্য পর্যাপ্ত না হওয়ায় এম নুরুল ইসলাম স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে অর্থাভাব মিটিয়েছেন।

প্রথম থেকেই এম নুরুল ইসলামের ইচ্ছা ছিলো, শুধু শিক্ষিত নয়; মানুষের মতো মানুষ তৈরি করতে হবে। আর পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজে শিক্ষাবিপ্লব ঘটাতে হলে, শুধু একটি আবাসিক মিশন যথেষ্ট নয়। তাই পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় শুরু হয় আল আমীন মিশনের বিভিন্ন শাখা তৈরি কাজ।

বর্তমানে রাজ্যের ১৭টি জেলায় ৭০টি শাখা ছড়িয়ে আছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আসাম, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডের মতো অন্যান্য রাজ্যে এখন আল আমীন মিশন বিস্তৃত। তার নিরলস পরিশ্রম, স্বপ্নকে ছোঁয়ার অদম্য জেদ ও প্রখর দূরদৃষ্টির জন্য মাত্র ৩৭ বছরে আল আমীন মিশন একটি আলোচিত শিক্ষাবিপ্লবের নামে পরিণত হয়েছে। আল আমীন মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন সমাজে শিক্ষার আলো জ্বেলে দেওয়ার জন্য। পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য আল আমীনের মতো আরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দরকার। এখন অবশ্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হতে শুরু করেছে।

আল আমীন মিশনকে বলা হয়, ‘দরিদ্র মেধাবী ছাত্রের সাফল্যের সোপান।’ আল আমীন আছে বলেই মুসলিম সমাজে শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। প্রতি বছরের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্স, নিট, ডাব্লুবিসিএসের ফলাফল প্রমাণ করে আল আমীন মিশন মুসলিম সমাজকে কতটা এগিয়ে নিয়েছে। আল আমীন না থাকলে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ের অস্তিত্ব থাকতো না, আল আমীন মিশন তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বলেই তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে। বাংলার মুসলিম সমাজে শিক্ষার প্রতি আসক্তি তৈরি করছে আল আমীন মিশন।

আল আমীন মিশনের অধীনে ১৯৯২ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিল্পপতি পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার আলহাজ মোস্তাক হোসেনের সেবামূলক সংস্থা জি ডি চ্যারিটেবল সোসাইটির জি.ডি স্কলারশীপ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার কাজকে আরও বেগবান করতে ১৯৯৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের মাওলানা আজাদ এডুকেশন ফাউন্ডেশন ৪৫ লাখ, ২০০৩ সালে প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক মৃণাল সেন মঞ্জুরীকৃত এমপি ল্যাডস ফান্ড ৮৮ লাখ টাকা দেয়। এভাবেই মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় মিশনের কাজ এগিয়ে চলছে।

দিনের পর দিন একই পোশাকে থেকে কোনোরকম পারিশ্রমিক ছাড়া কাজ করে যাচ্ছেন এমন নুরুল ইসলাম। মিশনের উত্তরণের জন্য জীবনে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল না। তবুও ফান্ডের কথা ভেবে ১৯৯১ সালে মিশনের কাছেই আসন্ডা আদর্শ শিক্ষা সদনে চাকরি নেন। কিন্তু বেতনের টাকাটা জমা হতে থাকে মিশনের ফান্ডে।

আল আমীন মিশনের বর্ধমান ক্যাম্পাস, ছবি: সংগৃহীত

২০০১ সালে নানির দেওয়া জায়গায় স্থায়ীভাবে মিশনের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে মিশনের কাজ সম্প্রসারণ করতে বিভিন্ন সময়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের মাইনুদ্দিন আহমেদ, সাজাহান বিশ্বাস, বীরভূমের হজরত দাতা মাহবুব শাহ ওয়ালী (রহ.) ওয়াকফ স্টেট, পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ড, বেঙ্গালুরুর সাদাতুল্লাহ খান, বিখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এ.কে. জালালউদ্দিন, মৃণালকান্তি দুয়ারী, কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্রি কোচিং স্কিম ফান্ড, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, সোলেমান মোল্লা, আব্দুর রহমান, এস এম আনোয়ার, খলিলুর রহমান, শওকত আলী, হারুন রসিদ, মুকতার আলম, তাবারক হোসেন মিস্ত্রি, আজিজুর রহমান মোল্লা ও মারুফ-ই-ইলাহীসহ অনেক সমাজ ও শিক্ষাদরদী মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা পেয়েছে মিশন। এভাবে সমাজের অসংখ্য সহৃদয় শিক্ষানুরাগী, শুভানুধ্যায়ীরা আল আমীনের সঙ্গে আছেন। যারা বাংলার পিছিয়ে পড়া মুসলিম সমাজকে বিকশিত করার জন্য সবসময় চিন্তা করেন ও অকৃপণভাবে বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত।

২০১৫ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যজুড়ে বিশেষ অবদানের জন্য আল আমীন মিশনকে ‘বঙ্গভূষণ সম্মাননা’য় সন্মানিত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একই মঞ্চে বঙ্গবিভূষণ সম্মাননায় ভূষিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। সরকারি দু’টি কমিটিতে আল আমীন মিশন প্রতিনিধিত্বও করছে। এর আগে আল আমীন মিশন টেলিগ্রাফ স্কুল অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স পায় ২০০২ সালে, ২০০৯ সালে পায় বেগম রোকেয়া পুরস্কার।

২০২০ সালেও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, জয়েন এন্ট্রান্স ও নিট পরীক্ষায় আল আমীন মিশনের শিক্ষার্থীরা নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। এমন কোনো বছর আর পরীক্ষা নেই- যেখানে রাজ্য মেধা তালিকায় আল আমীনের শিক্ষার্থী থাকে না। প্রতিবছর মিশনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিট পরীক্ষার ফলাফল মানুষের নজর কাড়ে। ২০২০ সালেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। নিটে ৫৬৫ নম্বরের ওপর পেয়েছে ৩২০ জন ছাত্র-ছাত্রী। আল আমীন মিশন থেকে এ বছর সর্বভারতীয় স্তরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্ক হয়েছে ৯১৬। গোটা ভারতে ১৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এ বছর নিট পরীক্ষা দিয়েছিল, তন্মধ্যে ৯১৬ র‍্যাঙ্ক করে মিশনের মুখ উজ্জ্বল করেছে জিসান হোসেন।

আল আমীন মিশনের একটি প্রতিষ্ঠান, ছবি: সংগৃহীত

যেখানে সত্তরের দশকে মুসলিম সমাজের ছাত্ররা ডাক্তার তো দূরের কথা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়তে পারবে কিনা সন্দেহ ছিল, সেখান এখন প্রতি বছর আল আমীন থেকে ৩০০-৪০০ জন ডাক্তার তৈরি হচ্ছে। এর থেকে আনন্দের খবর আর কি হতে পারে? বিগত ৩-৪ বছর থেকে ডাক্তারের মোট আসনের ১৫-২০ শতাংশ আল আমীন মিশনের ছেলে-মেয়েরা লাভ করছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের এমন কোনো হাসপাতাল পাবেন না, যেখানে মিশনের ছাত্র-ছাত্রী নেই।

আল আমীন মিশন পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজকে আলোর দিশা দেখিয়েছে। এখন বাংলায় প্রতিটি মা-বাবা চায়, তাদের সন্তান যেন আল আমীনে পড়তে পারে। এম নুরুল ইসলামসহ আল আমীন মিশনের একান্ত চাওয়া, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজ শিক্ষিত হয়ে নিজের মেরুদণ্ড শক্ত করে দাঁড়াক। এ জন্য তার মতো আরও অনেক মানুষ দরকার সমাজে।

নাম পরিবর্তনের পর ৩৪ বছর বহু গৌরবজনক অধ্যায় পেরিয়ে এসেও আল আমীন মিশনের কোনো লোগো ছিল না। ২০২০ সালের শেষদিকে মিশনের লোগো বানানো হয়েছে। হয়েছে মিশনের নিজস্ব অ্যাপ। করোনার সময়েও মিশন পঠন-পাঠন চালু রেখেছে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে। মিশনের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা গড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বেতন পাচ্ছেন গত এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত। এভাবে আল আমীন মিশনকে এগিয়ে নিচ্ছেন এম নুরুল ইসলাম ও তার সঙ্গিরা।

   

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার মাধ্যম হলো তার মহান হুকমগুলো পালন করা। তার হুকুমগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম হুকুম হলো নামাজ। আর এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহর এতটা প্রিয় করে তোলে যে, সে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাই তখন মহান আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না। বরং তার চাওয়াকে পাওয়াতে রুপান্তরিত করে দেন ।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।

আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।

আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চাই, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।

আমি কোনো কাজ করতে চাইলে তা করতে কোনো দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

তাই যেকোনো সংকটপূর্ণ অবস্থায় কিংবা যেকোনো প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের জন্য উচিত হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারই কাছে ফেরা। তাতে মহান রবের ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন হবে ইনশাআল্লাহ ।

খুব গুরুত্ব সহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করা। আর নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ (নফল) নামাজ আদায় করাকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী আল-খাস’আমী রা. সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হুকুমগুলো আদায়ের মাধ্যমে, তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।

;

হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট আগামী ৯ মে থেকে শুরু হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। দ্রুতই যাত্রীদের ফ্লাইট শিডিউল জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গাইড ও মোনাজ্জেমসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

এদিকে, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

;

দারিদ্র্য বা অভাব দূর করার পরীক্ষিত আমল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দারিদ্রতা বা অভাব দূর করার পরীক্ষিত আমল

দারিদ্রতা বা অভাব দূর করার পরীক্ষিত আমল

  • Font increase
  • Font Decrease

একবার একজন সাহাবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আরজ করলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া আমার প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে। ইরশাদ করলেন: তোমার কি ঐ তাসবিহ স্মরণ নেই, যে তাসবিহ ফেরেশতা এবং মাখলুকের, যার বরকতে রুজি প্রদান করা হয়। যখন সুবহে সাদিক উদিত (শুরু) হয় তখন এ তাসবীহ ১০০ বার পাঠ কর:

তাসবিহটি হলো : সুবহানাল্লাহি অ-বিহামদিহি,সুবহানাল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম, অ-বিহামদিহি আস্তাগফিরুল্লাহ।

অর্থ: মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য; মহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি সমুচ্চ, মহান; এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।

যদি তুমি এই তাসবিহটি ১০০ বার পড়, তাহলে দুনিয়া তোমার নিকট অপমানিত হয়ে আসবে। ঐ সাহাবী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু চলে গেলেন। কিছুদিন পর পুনরায় হাজির হয়ে, আরজ করলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! দুনিয়া আমার নিকট এত বেশি আসছে, আমি হতবাক! কোথায় যাব, কোথায় রাখব! (সূত্র: আল খাছায়িছুল কুবরা, ২য় খন্ড, ২৯৯ পৃষ্ঠা)

এই তাসবিহটি যথাসম্ভব সুবহে সাদিক (শুরু) হওয়ার সাথে সাথে পাঠ করা নতুবা ফজরের, জামাআত যদি শুরু হয়ে যায় তবে জামাআতে শরীক হয়ে যাবে এবং পরে সংখ্যা পূর্ণ করে নিবে। আর যদি নামাযের পূর্বে কোনো কারনে তা পাঠ করতে না পারে বা পাঠ করতে ভুলে যায়,তাহলে সূর্য উদিত হওয়ার আগে আগেই তা পাঠ করে নিতে হবে। (সুত্র: মলফুজাতে আ’লা হযরত, ১২৮ পৃষ্ঠা)

উক্ত তাসবীহ পাঠ করার সাথে সাথে সকাল সন্ধ্যায় তিনবার এই আয়াতটিও পাঠ করতে পারেন।

উচ্চারণ: ওয়া মাই-ইয়াত্তাকিল্লাহা ইয়াজ আল্লাহু মাখরাজা। ওয়া ইয়ারযুকহু মিন হাইসু লা ইয়াহ তাসিব।ওয়া মান ইয়া তা ওয়াক্কাল আলাল্লাহি ফাহু ওয়া হাসবুহু ইন্নাল্লাহা বালিগু আমরিহি কাদযায়াল্লাহু লিকুল্লি শাইয়িন কাদরা।

অর্থ: আর যে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য (সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়ার) কোন না কোন পথ বের করে দিবেন। এবং তাকে ওই স্থান থেকে জীবিকা দেবেন, যেখানে তার কল্পনাও থাকে না এবং যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তবে তিনি তার জন্য যথেষ্ট। নিশ্চয় আল্লাহ তার কাজ পরিপূর্ণকারী। নিশ্চয় আল্লাহ তায়াল প্রত্যেক বস্তুর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রেখেছেন। (সূরা-ত্বালাক, আয়াত - ১, ২)

দারিদ্রতা দূর করার আরো একটি আমলের কথা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দারিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হযরত ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন।([বাইহাকি : শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)

তবে একটি বিষয় আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, দোয়া কবুল হওয়ার জন্য শর্ত হল হালাল উপার্জন। হালাল উপার্জন ছাড়া দোয়া কবুল হওয়ার আশা করা বোকামি।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দারিদ্রতা বা অভাব দূর করে, সচ্ছলতাকে জীবনসঙ্গী বানিয়ে দিন আমিন।

;

রিজিক বৃদ্ধির ৪ আমল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কোরআন-হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, ছবি : সংগৃহীত

কোরআন-হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুমিন মাত্রই বিশ্বাস করেন যে, তার আয়-উপার্জন, জীবন-মৃত্যু এবং সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্য ইত্যাদি র্নিধারণ হয়ে যায়; যখন তিনি মায়ের উদরে থাকেন। আর এসব তিনি লাভ করেন তার জন্য বরাদ্দ উপায়-উপকরণগুলোর মাধ্যমে। তাই আমাদের কর্তব্য হলো- হাত গুটিয়ে বসে না থেকে এর জন্য র্নিধারিত উপায়-উপকরণ সংগ্রহে চেষ্টা করা। যেমন চাষাবাদ, ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিল্প-চারু, চাকরি-বাকরি বা অন্য কিছু।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তিনিই তো তোমাদের জন্য জমিনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে প্রান্তরে বিচরণ করো এবং তার রিজিক থেকে তোমরা আহার করো। আর তার নিকটই পুনরুত্থান।’ -সুরা আল মুলক : ১৫

কোরআন-হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমল ও উপায়ের কথা বর্ণিত হয়েছে। সেখান থেকে ৪টি আমলের কথা উল্লেখ করা হলো-

তওবা-ইস্তেগফার : তওবা-ইস্তিগফার করার মাধ্যমে বান্দার রিজিক বাড়ে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আমি তাদের বলেছি, নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে উন্নতি দান করবেন এবং তোমাদের বাগবাগিচা এবং নদীনালা দান করবেন।’ -সুরা নুহ : ১০-১২

হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাগাতার তওবা-ইস্তেগফার করবে; আল্লাহতায়ালা সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন; সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ -সুনানে আবু দাউদ : ১৫১৮

পরহেজগারি অবলম্বন এবং আল্লার ওপর ভরসা : যেসব আমলে রিজিকে প্রবৃদ্ধি ঘটে, তার মধ্যে তাকওয়া-পরহেজগারি অবলম্বন এবং তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা অন্যতম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করবেন, যার কল্পনাও সে করতে পারবে না।’ -সুরা সাদ : ৩৫

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথার্থভাবে ভরসা রাখো। তিনি তোমাদের সেভাবে রিজিক দান করবেন, যেভাবে তিনি পাখিদের দান করে থাকেন। পাখিরা সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় (খালি পেটে) বাসা থেকে বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে বাসায় ফেরে।’ -জামে তিরমিজি : ২৩৪৪

সময়মতো নামাজ আদায় এবং ইবাদতের জন্য নিজেকে মুক্ত করা : সময়মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে রিজিক বাড়ে। নামাজ আদায় করার ফাঁকে ফাঁকে কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করতে হবে; কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করার ফাঁকে ফাঁকে নামাজ নয়। একই সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত পালনে নিজেকে ঝামেলামুক্ত করতে হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আপনি পরিবার-পরিজনকে নামাজ আদায়ের আদেশ দিন এবং নিজেও তার ওপর অটল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমিই আপনাকে রিজিক দিই। আর মুত্তাকিদের জন্যই শুভ পরিণাম।’ -সুরা ত্বহা : ১৩২

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি তোমার অন্তরকে খালি করো। আমি তোমার অন্তরকে অভাবমুক্ত হিসেবে পরিপূর্ণ করে দেব এবং তোমার দরিদ্র্যের পথ দূর করে দেব। আর যদি তা না করো, আমি তোমার হাত (দুনিয়ার) ব্যস্ততায় পূর্ণ করে দেবো এবং তোমার অভাব মেটাব না।’ -জামে তিরমিজি : ২৪৬৬

রিজিক অর্জনের চেষ্টায় থাকা : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে (জমিনে) ছড়িয়ে পড়ো আর আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) সন্ধান করো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ -সুরা জুমা : ১০

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রশি নিয়ে সকালবেলা পাহাড়ের দিকে বের হয়। এরপর লাকড়ি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং দানও করে। মানুষের কাছে হাত পাতার চেয়ে তার জন্য এটা উত্তম।’ -সহিহ বোখারি : ১৪৮০

;