হালাল হলিডে: পর্যটনের নতুন আকর্ষণ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পর্যটনের নতুন আকর্ষণ, হালাল হলিডে. ছবি: সংগৃহীত

পর্যটনের নতুন আকর্ষণ, হালাল হলিডে. ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শারীরিক ও মানসিক উদ্যম বাড়ানোর পাশাপাশি পৃথিবীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করে থাকেন।

এসব পর্যটকের জন্য সব দেশেই পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। গৃহীত হয়েছে অবকাঠামোসহ বিবিধ ব্যবস্থা। পর্যটনকে এখন বলা হয় শিল্প। এই শিল্পের অবস্থান বিশ্ব অর্থনীতিতে অনস্বীকার্য। বলতে গেলে, এটা এখন এক নম্বর শিল্প। বিশ্বের জিডিপির ৯ শতাংশ আসে পর্যটনখাত থেকে। যে ১১টি খাতে কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি, পর্যটন তার অন্যতম।

এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন পর্যটক। পর্যটন আগমনের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা চারটি দেশ হলো- ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও চীন। আয়ের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে, স্পেন দ্বিতীয়, তৃতীয় চীন এবং চতুর্থ ফ্রান্স। এরপরে যুক্তরাজ্য, ইটালি, জার্মানি ও থাইল্যান্ডের অবস্থান।

বাংলাদেশসহ মুসলিম দেশগুলো পর্যটনের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়াদী মুসলিম দেশগুলোতে নিষিদ্ধ কিংবা এর জোগান কম। এ কারণে অমুসলিম দেশগুলোর পর্যটকদের আগ্রহ মুসলিম দেশগুলোতে কম। অন্য দিকে মুসলিম দেশগুলোর ধর্মপ্রাণ পর্যটকদের পক্ষে ‘পশ্চিমা ধাচে’ গড়ে উঠা পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব নয়।

মুসলিম দেশগুলোতে তাদের জন্য তেমন আলাদা ব্যবস্থা নেই যাতে সেসব দেশে ব্যাপক সংখ্যায় তারা ভ্রমণ করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত ও তুরস্ক উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অন্যতম হলো- ‘হালাল হলিডে’ একটি।

হালাল হলিডে ক্রমাগত জনপ্রিয়তা লাভ করছে। মালয়েশিয়ায় শরিয়াসম্মত হোটেল ব্যবস্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধায় ইতোমধ্যে সেখানে পর্যটকের সংখ্যা ৫৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/27/1538054086420.jpg

বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, মালয়েশিয়ার পর তুরস্কে চালু হওয়া হালাল হলিডে মুসলমানদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তুরস্কে ৬০টির বেশি হোটেল ও রিসোর্টে মুসলিম পর্যটকদের জন্য নানান সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি হোটেল-রিসোর্টে জায়নামাজ ও কোরআন শরিফ রাখা আছে। রয়েছে হালাল খাবারের ব্যবস্থা। এসব হোটেল-রিসোর্টে হারাম কোনো খাবার বা অ্যালকোহল জাতীয় কোনো পানীয়ের সরবরাহ নেই। সুইমিং পুল আছে, তবে নারীদের জন্য আলাদা এবং সেখানে পুরুষের প্রবেশাধিকার নেই। গত বছর তুরস্কে সাধারণ পর্যটকের সংখ্যা কমলেও হালাল হলিডে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

পর্যটনের ক্ষেত্রে যে দেশে যে আচার, তার প্রতিফলন ঘটবেই। সে মতে, মুসলিম দেশগুলোতে ইসলাম ধর্মের অনুশাসন, জীবনদর্শন ও জীবনাচারের প্রতিফলন থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। এতদিন তা ছিল না। এখন শরিয়াসম্মত ব্যবস্থা গড়ে উঠছে এবং অনিবার্যভাবে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া ও তুরস্কের বিশেষভাবে ধন্যবাদ প্রাপ্য। অন্যান্য মুসলিম দেশ তাদের অনুসরণ করলে তাদের পর্যটনশিল্প যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি এ খাত থেকে প্রচুর আয়ও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।

বাংলাদেশ পর্যটন সম্ভাবনা অন্য অনেক মুসলিম দেশের চেয়ে বেশি। প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার অধিকারী এ দেশ। এখানে দেখার মতো অনেক পুরানিদর্শন রয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম সভ্যতার একটি উৎকর্ষিত ক্ষেত্র হিসেবে সব ধর্মের লোকেরাই এ দেশ পরিভ্রমণে আসতে পারে।

এছাড়া এখানে হয়েছে সুন্দরবনের মতো বিশ্বঐতিহ্য, রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। আছে কুয়াকাটার নয়নাভিরাম সমুদ্রসৈকত। আছে নদী, পাহাড় জঙ্গলে সম্মেলনে গড়ে ওঠা প্রাণছোঁয়া স্থান।

এত কিছুর পরও পর্যটনে পিছিয়ে আছে দেশ। প্রচলিত ধারায় পর্যটনকেন্দ্র ও নগরী গড়ার চেষ্টা থাকলেও সুফল তাতে তেমন মিলছে না। তাই পর্যটনশিল্পের বিকাশ ও প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশ মালয়েশিয়া ও তুরস্কের দেখানো পথ অনুসরণ করতে পারে। এতে পর্যটন ক্ষেত্রে শুধু আয়ই বাড়বে না, মুসলিম বিশ্বসহ সারা দুনিয়ায় দেশের একটি সম্মানজনক ভাবমর্যাদাও প্রতিষ্ঠিত হবে।

   

সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে গিয়ে মো. মোস্তফা (৮৯) নামে আরও এক হজ যাত্রী মারা গেছেন। শনিবার (১৮ মে) মক্কায় মারা যান তিনি।

রোববার (১৯ মে) রাত ২টার হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত বুধবার (১৫ মে) চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবের প্রথম বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা যান। মো. আসাদুজ্জামান নামের ওই ব্যক্তি মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ দিকে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত (১৮ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী। মোট ৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৫ হাজার ১৩ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত মোট ৭২টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত মধ্যরাত পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু হয়েছে। সে হিসেবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। সর্বশেষ শনিবার (১৮ মে) মো. মোস্তফা নামের ৮৯ বছর বয়সী হজযাত্রী মক্কায় মারা যান।

;

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;