পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল সোয়া দুই কোটি টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সিন্দুক থেকে এবার রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে। টাকার পরিমাণ ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। পাঁচ মাস পর সিন্দুক খুলে বিপুল পরিমাণ টাকার পাশাপাশি বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
দেশের অন্যকোনো মসজিদের দানবাক্সে এই পরিমাণ টাকা পাওয়ার নজির না থাকলেও কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদ একেবারেই ব্যতিক্রম।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট একই মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া যায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ১০৯ টাকা।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) মসজিদের আটটি লোহার দানবাক্স খোলা হয়। স্থানীয় একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মসজিদ ও মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয় গণনার কাজে। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল মাসউদের নেতৃত্বে কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে টাকা গণনা শেষ করা হয়।
পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করেন। নগদ টাকা ছাড়াও পাওয়া যায় চাল, ডাল, বাতাসা, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি মৌসুমি সবজি। এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে জমা করা হয় মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
এর আগে কখনও তিন মাস পর পর দানবাক্স খোলা হতো। কিন্তু করোনো শুরুর পর থেকে পাঁচ-ছয় মাস পরপর সিন্দুক খোলা হচ্ছে। সিন্দুকে একসঙ্গে এত টাকা এর আগে কখনও পাওয়া যায়নি।
টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, মো. উবায়দুর রহমান, মো. জুলহাস হোসেন ও মো. ইবরাহীম, পাগলা মসজিদের ইমাম মুফতি খলিলুর রহমানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, মসজিদের আয় থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়। টাকা দেয়া হয় বিভিন্ন সামাজিক কাজে।