মুসলিম ঐতিহ্য ও বিখ্যাত মনীষীদের দেশ উজবেকিস্তান



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিবি খানম মসজিদ, সমরকন্দ, ছবি: সংগৃহীত

বিবি খানম মসজিদ, সমরকন্দ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্য এশিয়ার মুসলমান অধ্যুষিত দেশ উজবেকিস্তান। অনেক বিশ্ব বিজয়ী বীর এবং কুশীলবদের নানামুখী তৎপরতার নীরব সাক্ষী এই দেশ। এক সময় আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের সৈন্যরা উজবেকিস্তান দখল করেছিল। অন্যদিকে ইরান ছাড়াও অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নেরও অংশ ছিল এই দেশ। দীর্ঘ পথপরিক্রমা শেষে ১৯৯১ সালের ৩১ আগস্ট মস্কোতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের দিন উজবেকিস্তান স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং পরদিন ১ সেপ্টেম্বর দেশটিতে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়।

উজবেকিস্তানে রয়েছে ১২টি প্রদেশ, একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং পৃথক সত্তায় গড়ে ওঠা রাজধানী ‘তাসখন্দ।’ উজবেকিস্তানের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় তিন গুণ। ৪,৪৮,৯৮৭ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়, গোত্র, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বহু ভাষাভাষী মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে উজবেকিস্তান।

দেশটির অর্থনীতি মূলত খনিজ সম্পদনির্ভর। বছরে দেশটি ৮০ টন স্বর্ণ উৎপাদন করে, যা বিশ্বের স্বর্ণ উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম। তামা মজুদের ক্ষেত্রে দশম এবং ইউরেনিয়াম মজুদের ক্ষেত্রে দ্বাদশ অবস্থানে রয়েছে উজবেকিস্তান। অন্যদিকে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান বিশ্বের ১১ নম্বরে। পর্যটনের জন্য দেশটির সুনাম রয়েছে বিশ্বে।

উজবেকিস্তানের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৮৮ শতাংশ বা ৩ কোটির বেশি মুসলমান। তারা সুফি ঘরানায় বিশ্বাসী ও সুন্নি মতাবলম্বী। খেলাফতের জামানায় উজবেকিস্তানে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। নবী মুহাম্মদ (সা.) এর চাচাত ভাই হজরত কুসাম ইবনে আব্বাস (রা.) ইসলামের বাণী নিয়ে সপ্তম শতকে উজবেকিস্তানে পৌঁছেন এবং তৎকালীন শাসকসহ সবার মাঝে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেন।

৮১৯ থেকে ৮৯৯ সাল পর্যন্ত ইরানে সামানিদ বংশের শাসন চলে। সুন্নি মতাবলম্বী সামানিদ বংশের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের বাণী ও সামানিদ শাসনের পরিধি যুগপৎভাবে আফগানিস্তান ও উজবেকিস্তানসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করে।

ইমাম বোখারি স্মৃতিসৌধ, মসজিদ ও মাদরাসা, ছবি: সংগৃহীত

খ্রিস্টীয় চতুর্দশ শতকের শেষ দিকে মধ্য এশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘তিমুরিদ’ বংশের শাসন। এই মুসলমান বংশের প্রতিষ্ঠাতা আমির তিমুর আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত ও উজবেকিস্তানসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তার শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তিমুর মুসলমান বিদ্যানদের অত্যন্ত সমাদর করতেন। ওই সময় মুসলমানদের জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, চিকিৎসা, দর্শন আবিষ্কার প্রভৃতি এক স্বর্ণযুগ অতিক্রম করে। যার নীরব সাক্ষী উজবেকিস্তানের সমরখন্দ। ভারতবর্ষ জয়ের পর আমির তিমুর তার নতুন রাজধানী সমরখন্দে স্থাপন করেন এবং তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এবং বৃহত্তম ‘বিবি খানম মসজিদ’ নির্মাণ করেন।

উজবেকিস্তানে বিশ্বের বহু বরেণ্য মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন। তাই বিশ্ব সভ্যতা যতদিন টিকে থাকবে, ততদিনই উজবেকিস্তানের নাম উচ্চারিত হতে থাকবে।

৯৭৩ সালে বর্তমান উজবেকিস্তানের সীমান্তবর্তী শহর ‘বিরুনি’তে জন্মগ্রহণ করনে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রবাদপুরুষ আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহাম্মদ আল বিরুনি। যাকে আমরা আল বিরুনি নামে চিনি। ৭৭ বছর বেঁচে ছিলেন এই জ্ঞান তাপস। ১০৫০ সালে বর্তমান আফগানিস্তানের গজনিতে মৃত্যুবরণ করেন আল বিরুনি এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।

নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মস্থান মক্কা থেকে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দূরে বর্তমান উজবেকিস্তানের সমরখন্দ এলাকার তিরমিজ নামক স্থানে জন্ম নেন বিখ্যাত হাদিস সংগ্রহকারী মুহাম্মদ ইবনে ইসা আত-তিরমিজি। সংক্ষেপে ইমাম তিরমিজি (রহ.)। কেউ কউ তার জন্ম মক্কায় দাবি করলেও অধিকাংশের মতে তার জন্ম বর্তমান উজবেকিস্তানে আনুমানিক ৮২৪-২৫ সালে। তবে তার পূর্বপুরুষ অন্য দেশে বসতি স্থাপন করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়।

ইমাম তিরমিজি (রহ.) দীর্ঘ পাঁচ বছর ইমাম বোখারির (রহ.) সান্নিধ্যে ইরানের নিশাপুর অঞ্চলে অবস্থান করেন এবং সংগৃহীত হাদিসের বিশুদ্ধতার বিষয়ে নিশ্চিত হন। তার সংকলিত বিভিন্ন গ্রন্থের মধ্যে ৮টি গ্রন্থ বিশেষভাবে সমাদৃত। তবে তার সংকলিত বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ ‘জামে আত তিরমিজি’ মুসলিম বিশ্বে বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এটি বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিস গ্রন্থের অন্যতম। তার সংকলিত ৩ হাজার ৯৬২টি হাদিস শুদ্ধতার নিরিখে বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ৮৯২ সালের ৯ অক্টোবর পরকালে পাড়ি জমান ইমাম তিরমিজি (রহ.)। তিরমিজ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে শিরাবদ নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয়। বর্তমানে সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ রয়েছে। ১৯৯০ সালে তার জন্মের ১২০০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয় এই স্মৃতিসৌধে।

চিকিৎসা শাস্ত্রের অন্যতম দিকপাল আবু আলী হুসাইন ইবনে আবদুল্লাহ আল ইবনে আল হাসান ইবনে আলী ইবনে সিনা (সংক্ষেপে ইবনে সিনা)। ৯৮০ সালে বর্তমান উজবেকিস্তানের বোখারা অঞ্চলের আফসান গ্রামে বাবা আবদুল্লাহ ও মা সিমারার কোলজুড়ে জন্ম নেন ইবনে সিনা। মাত্র ১০ বছর বয়সে কোরআন শরিফ মুখস্থ করে তিনি তার প্রখর স্মৃতিশক্তি ও প্রতিভার জানান দেন। ইসলামি বিচার ব্যবস্থা, দর্শন শাস্ত্রেও তার আগ্রহ ছিল। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চায় তিনি বিশেষভাবে মনোযোগ দেন এবং মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি একজন সুচিকিৎসক হিসেবে স্বীকৃতি পান। দিনভর তিনি বিনাপয়সায় রোগী দেখতেন এবং অজু করা অবস্থায় রাতভর লেখাপড়া করতেন। শেষ জীবনে পৃথিবীর সব মায়া ত্যাগ করে তিনি ধর্ম চর্চায় মন দেন। সব সম্পদ গরিবদের দান করেন ও ক্রীতদাসদের মুক্ত করে দেন। এ সময় প্রতিদিন তিনি একবার কোরআন খতম করতেন। ১০৩৭ সালের পবিত্র রমজান মাসে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে ইবনে সিনার মৃত্যু ঘটে। ইরানের হামদানে তাকে সমাহিত করা হয়।

ইমাম তিরমিজি স্মৃতিসৌধ, ছবি: সংগৃহীত

মুসলমানদের কাছে হাদিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে ‘সহিহ আল বোখারি’ নামক হাদিস গ্রন্থ। এই গ্রন্থের হাদিস সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন ইমাম বোখারি। ৮১০ সালের ২১ জুলাই বর্তমান উজবেকিস্তানের বোখারা শহরে জন্ম নেন তিনি। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি অসংখ্য হাদিস মুখস্থ করেন। এরপর তিনি বাবাকে হারান এবং ১৬ বছর বয়সে সপরিবারে মক্কায় চলে আসেন। এরপর মক্কায় বসেই শুরু হয় তার হাদিস নিয়ে সাধনা। প্রায় ১০০০ ইমাম ও ইসলামি চিন্তাবিদের কাছ থেকে প্রায় ৬ লাখ হাদিস সংগ্রহ করেন। প্রখর স্মৃতিশক্তির কল্যাণে তিনি প্রথম জীবনে প্রায় ৭০ হাজার এবং শেষ দিকে প্রায় ৩ লাখ হাদিস মুখস্থ করেছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

শেষ জীবনে তিনি জন্মভূমি বোখারায় ফেরত আসেন এবং একটি মাদরাসা স্থাপন করেন। তৎকালীন শাসক এই মাদরাসায় নিজ পুত্রকে পৃথকভাবে পড়াতে বললে তিনি তা অস্বীকার করেন। ফলে বোখারা ছেড়ে তাকে ৩০ মাইল দূরের এক দুর্গম গ্রামে আশ্রয় নিতে হয়। শেষ জীবনে তিনি তার সব পৈতৃক সম্পত্তি দান করে দেন। এ সময় দিনে ২-১টি পেস্তা বাদাম খেয়ে তার দিন অতিবাহিত হয়। ৬২ বছর বয়সে ৮৭০ সালে খারতাঙ্ক নামক সেই দুর্গম গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। ১৯৯৮ সালে এখানে স্মৃতিসৌধ, মসজিদ ও মাদরাসা গড়ে তোলা হয়।

উজবেকিস্তানে শতশত মাজার আছে, যেগুলো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। রয়েছে বহু পুরনো মসজিদও। সমরকন্দ এবং বোখারা শহরে এসব মসজিদ এবং মাজারের বেশিরভাগ অবস্থিত। উজবেকিস্তানের লাখ-লাখ মানুষের জন্য এসব মসজিদ এবং মাজার পবিত্র জায়গা। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে বেশ কিছু মাজার ও মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মানুষ সেখানে যেতে পারতো না। উজবেকিস্তানে কতগুলো মাজার আছে সেটির সংখ্যা কেউ জানে না। ধারণা করা হয়, মাজারের সংখ্যা দুই হাজারের কম হবে না।

সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার হজযাত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) মধ্যরাতে এ তথ্য জানায় হজ পোর্টাল।

হজ পোর্টাল সূত্রে জানা যায়, সৌদিতে পৌঁছানো ১৫ হাজার ২৯ জন হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৬৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ৪৬৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ২১ মে শুরু হয়। সৌদি আরবে যাওয়ার শেষ ফ্লাইট ২২ জুন। অন্যদিকে হজ শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সর্বমোট ২৯ হাজার ১০৪টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ভিসা পেয়েছে ১৬ শতাংশ, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা পেয়েছে ৮৪ শতাংশ।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আগত সরকারি ব্যবস্থাপনার চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ ফ্লাইটের হজযাত্রীগণ মসজিদে নববীতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে আজ মক্কা থেকে মদিনায় গমন করেছেন।

প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন সৌদিতে হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ প্রায় ৫ হাজার কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

 

;

জেদ্দা পৌঁছেছেন ৮২৯ হজযাত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিমানের দু'টি ফ্লাইটে সৌদি আরবের জেদ্দা বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন ৮২৯ জন হজযাত্রী।

স্থানীয় সময় রোববার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইটে ৪১৪ জন এবং সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় ফ্লাইটে ৪১৫ জন যাত্রী জেদ্দা পৌঁছান।

সৌদি হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আবদুলফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত এসময় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

জেদ্দা বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হক ও হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হজযাত্রীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আপনাদের পাশে দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন পাশে রয়েছে।

হজযাত্রীদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ বছর বাংলাদেশি হাজীগণই প্রথম গেলেন জেদ্দায়।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন পবিত্র হজ পালন করবেন।

;

হজের প্রথম ফ্লাইট আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট শুরু করার জন্য প্রস্তুত রাজধানীর আশকোনার হজক্যাম্প। শুক্রবার থেকে হজক্যাম্পে আসতে শুরু করেছেন হজযাত্রীরা।

শনিবার (২০ মে) দিবাগত রাত পৌনে ৪টায় হজযাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ফ্লাইটটি জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে।

এর আগে শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ এর উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার শুরু হতে যাওয়া হজ ফ্লাইট উপলক্ষে রাত ১২টায় বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপস্থিত থাকবেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের করবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে। বাকি ৫০ শতাংশ সৌদি এয়ারলাইনস বহন করবে।

এ বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহৃত হবে। প্রাক হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ১১৬টি, ঢাকা-মদিনা রুটে ২০টি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৪টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ৬টি, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।

;

ই-হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ই-হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্পে হজ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদির বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন যাতে আমাদের দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদির বাদশাহও সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প খরচে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন। ’৭৫ পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই জাহাজটিটিকে প্রমোদতরীতে পরিণত করে। তখন হজ যাত্রা হতো না। এটা দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, ‘বাবা সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তার ব্যবস্থা নেন। তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। একটা টাকা রিজার্ভ মানি নেই। কারেন্সি নোট নেই। গোলায় খাবার নেই। এর মাঝে মানুষ যাতে অল্প খরচে হজ করতে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন। হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন।’

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্ম বিষয়ক সচিক কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।

এর আগে, সকালে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। জানা গেছে, চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে স্থানীয় সময় আগামী ২১মে রাত পৌনে ৪টায়। এ বছর প্রি-হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। নির্ধারিত সময় ২১মে রাত পৌনে ৪টায় প্রথম ফ্লাইট বিজি ৩০০১ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

ফ্লাইটটি এদিনই জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে। আগামী ২২ জুন বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে। আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে চলতি হজ মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট।

;