মুসলিম ঐতিহ্য ও বিখ্যাত মনীষীদের দেশ উজবেকিস্তান



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিবি খানম মসজিদ, সমরকন্দ, ছবি: সংগৃহীত

বিবি খানম মসজিদ, সমরকন্দ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্য এশিয়ার মুসলমান অধ্যুষিত দেশ উজবেকিস্তান। অনেক বিশ্ব বিজয়ী বীর এবং কুশীলবদের নানামুখী তৎপরতার নীরব সাক্ষী এই দেশ। এক সময় আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের সৈন্যরা উজবেকিস্তান দখল করেছিল। অন্যদিকে ইরান ছাড়াও অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নেরও অংশ ছিল এই দেশ। দীর্ঘ পথপরিক্রমা শেষে ১৯৯১ সালের ৩১ আগস্ট মস্কোতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের দিন উজবেকিস্তান স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং পরদিন ১ সেপ্টেম্বর দেশটিতে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়।

উজবেকিস্তানে রয়েছে ১২টি প্রদেশ, একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং পৃথক সত্তায় গড়ে ওঠা রাজধানী ‘তাসখন্দ।’ উজবেকিস্তানের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় তিন গুণ। ৪,৪৮,৯৮৭ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়, গোত্র, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বহু ভাষাভাষী মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে উজবেকিস্তান।

দেশটির অর্থনীতি মূলত খনিজ সম্পদনির্ভর। বছরে দেশটি ৮০ টন স্বর্ণ উৎপাদন করে, যা বিশ্বের স্বর্ণ উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম। তামা মজুদের ক্ষেত্রে দশম এবং ইউরেনিয়াম মজুদের ক্ষেত্রে দ্বাদশ অবস্থানে রয়েছে উজবেকিস্তান। অন্যদিকে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান বিশ্বের ১১ নম্বরে। পর্যটনের জন্য দেশটির সুনাম রয়েছে বিশ্বে।

উজবেকিস্তানের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৮৮ শতাংশ বা ৩ কোটির বেশি মুসলমান। তারা সুফি ঘরানায় বিশ্বাসী ও সুন্নি মতাবলম্বী। খেলাফতের জামানায় উজবেকিস্তানে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। নবী মুহাম্মদ (সা.) এর চাচাত ভাই হজরত কুসাম ইবনে আব্বাস (রা.) ইসলামের বাণী নিয়ে সপ্তম শতকে উজবেকিস্তানে পৌঁছেন এবং তৎকালীন শাসকসহ সবার মাঝে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেন।

৮১৯ থেকে ৮৯৯ সাল পর্যন্ত ইরানে সামানিদ বংশের শাসন চলে। সুন্নি মতাবলম্বী সামানিদ বংশের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের বাণী ও সামানিদ শাসনের পরিধি যুগপৎভাবে আফগানিস্তান ও উজবেকিস্তানসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করে।

ইমাম বোখারি স্মৃতিসৌধ, মসজিদ ও মাদরাসা, ছবি: সংগৃহীত

খ্রিস্টীয় চতুর্দশ শতকের শেষ দিকে মধ্য এশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘তিমুরিদ’ বংশের শাসন। এই মুসলমান বংশের প্রতিষ্ঠাতা আমির তিমুর আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত ও উজবেকিস্তানসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তার শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তিমুর মুসলমান বিদ্যানদের অত্যন্ত সমাদর করতেন। ওই সময় মুসলমানদের জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, চিকিৎসা, দর্শন আবিষ্কার প্রভৃতি এক স্বর্ণযুগ অতিক্রম করে। যার নীরব সাক্ষী উজবেকিস্তানের সমরখন্দ। ভারতবর্ষ জয়ের পর আমির তিমুর তার নতুন রাজধানী সমরখন্দে স্থাপন করেন এবং তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এবং বৃহত্তম ‘বিবি খানম মসজিদ’ নির্মাণ করেন।

উজবেকিস্তানে বিশ্বের বহু বরেণ্য মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন। তাই বিশ্ব সভ্যতা যতদিন টিকে থাকবে, ততদিনই উজবেকিস্তানের নাম উচ্চারিত হতে থাকবে।

৯৭৩ সালে বর্তমান উজবেকিস্তানের সীমান্তবর্তী শহর ‘বিরুনি’তে জন্মগ্রহণ করনে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রবাদপুরুষ আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহাম্মদ আল বিরুনি। যাকে আমরা আল বিরুনি নামে চিনি। ৭৭ বছর বেঁচে ছিলেন এই জ্ঞান তাপস। ১০৫০ সালে বর্তমান আফগানিস্তানের গজনিতে মৃত্যুবরণ করেন আল বিরুনি এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।

নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মস্থান মক্কা থেকে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দূরে বর্তমান উজবেকিস্তানের সমরখন্দ এলাকার তিরমিজ নামক স্থানে জন্ম নেন বিখ্যাত হাদিস সংগ্রহকারী মুহাম্মদ ইবনে ইসা আত-তিরমিজি। সংক্ষেপে ইমাম তিরমিজি (রহ.)। কেউ কউ তার জন্ম মক্কায় দাবি করলেও অধিকাংশের মতে তার জন্ম বর্তমান উজবেকিস্তানে আনুমানিক ৮২৪-২৫ সালে। তবে তার পূর্বপুরুষ অন্য দেশে বসতি স্থাপন করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়।

ইমাম তিরমিজি (রহ.) দীর্ঘ পাঁচ বছর ইমাম বোখারির (রহ.) সান্নিধ্যে ইরানের নিশাপুর অঞ্চলে অবস্থান করেন এবং সংগৃহীত হাদিসের বিশুদ্ধতার বিষয়ে নিশ্চিত হন। তার সংকলিত বিভিন্ন গ্রন্থের মধ্যে ৮টি গ্রন্থ বিশেষভাবে সমাদৃত। তবে তার সংকলিত বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ ‘জামে আত তিরমিজি’ মুসলিম বিশ্বে বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এটি বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিস গ্রন্থের অন্যতম। তার সংকলিত ৩ হাজার ৯৬২টি হাদিস শুদ্ধতার নিরিখে বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ৮৯২ সালের ৯ অক্টোবর পরকালে পাড়ি জমান ইমাম তিরমিজি (রহ.)। তিরমিজ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে শিরাবদ নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয়। বর্তমানে সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ রয়েছে। ১৯৯০ সালে তার জন্মের ১২০০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয় এই স্মৃতিসৌধে।

চিকিৎসা শাস্ত্রের অন্যতম দিকপাল আবু আলী হুসাইন ইবনে আবদুল্লাহ আল ইবনে আল হাসান ইবনে আলী ইবনে সিনা (সংক্ষেপে ইবনে সিনা)। ৯৮০ সালে বর্তমান উজবেকিস্তানের বোখারা অঞ্চলের আফসান গ্রামে বাবা আবদুল্লাহ ও মা সিমারার কোলজুড়ে জন্ম নেন ইবনে সিনা। মাত্র ১০ বছর বয়সে কোরআন শরিফ মুখস্থ করে তিনি তার প্রখর স্মৃতিশক্তি ও প্রতিভার জানান দেন। ইসলামি বিচার ব্যবস্থা, দর্শন শাস্ত্রেও তার আগ্রহ ছিল। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চায় তিনি বিশেষভাবে মনোযোগ দেন এবং মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি একজন সুচিকিৎসক হিসেবে স্বীকৃতি পান। দিনভর তিনি বিনাপয়সায় রোগী দেখতেন এবং অজু করা অবস্থায় রাতভর লেখাপড়া করতেন। শেষ জীবনে পৃথিবীর সব মায়া ত্যাগ করে তিনি ধর্ম চর্চায় মন দেন। সব সম্পদ গরিবদের দান করেন ও ক্রীতদাসদের মুক্ত করে দেন। এ সময় প্রতিদিন তিনি একবার কোরআন খতম করতেন। ১০৩৭ সালের পবিত্র রমজান মাসে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে ইবনে সিনার মৃত্যু ঘটে। ইরানের হামদানে তাকে সমাহিত করা হয়।

ইমাম তিরমিজি স্মৃতিসৌধ, ছবি: সংগৃহীত

মুসলমানদের কাছে হাদিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে ‘সহিহ আল বোখারি’ নামক হাদিস গ্রন্থ। এই গ্রন্থের হাদিস সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন ইমাম বোখারি। ৮১০ সালের ২১ জুলাই বর্তমান উজবেকিস্তানের বোখারা শহরে জন্ম নেন তিনি। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি অসংখ্য হাদিস মুখস্থ করেন। এরপর তিনি বাবাকে হারান এবং ১৬ বছর বয়সে সপরিবারে মক্কায় চলে আসেন। এরপর মক্কায় বসেই শুরু হয় তার হাদিস নিয়ে সাধনা। প্রায় ১০০০ ইমাম ও ইসলামি চিন্তাবিদের কাছ থেকে প্রায় ৬ লাখ হাদিস সংগ্রহ করেন। প্রখর স্মৃতিশক্তির কল্যাণে তিনি প্রথম জীবনে প্রায় ৭০ হাজার এবং শেষ দিকে প্রায় ৩ লাখ হাদিস মুখস্থ করেছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

শেষ জীবনে তিনি জন্মভূমি বোখারায় ফেরত আসেন এবং একটি মাদরাসা স্থাপন করেন। তৎকালীন শাসক এই মাদরাসায় নিজ পুত্রকে পৃথকভাবে পড়াতে বললে তিনি তা অস্বীকার করেন। ফলে বোখারা ছেড়ে তাকে ৩০ মাইল দূরের এক দুর্গম গ্রামে আশ্রয় নিতে হয়। শেষ জীবনে তিনি তার সব পৈতৃক সম্পত্তি দান করে দেন। এ সময় দিনে ২-১টি পেস্তা বাদাম খেয়ে তার দিন অতিবাহিত হয়। ৬২ বছর বয়সে ৮৭০ সালে খারতাঙ্ক নামক সেই দুর্গম গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। ১৯৯৮ সালে এখানে স্মৃতিসৌধ, মসজিদ ও মাদরাসা গড়ে তোলা হয়।

উজবেকিস্তানে শতশত মাজার আছে, যেগুলো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। রয়েছে বহু পুরনো মসজিদও। সমরকন্দ এবং বোখারা শহরে এসব মসজিদ এবং মাজারের বেশিরভাগ অবস্থিত। উজবেকিস্তানের লাখ-লাখ মানুষের জন্য এসব মসজিদ এবং মাজার পবিত্র জায়গা। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে বেশ কিছু মাজার ও মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মানুষ সেখানে যেতে পারতো না। উজবেকিস্তানে কতগুলো মাজার আছে সেটির সংখ্যা কেউ জানে না। ধারণা করা হয়, মাজারের সংখ্যা দুই হাজারের কম হবে না।

অন্যের জন্য দোয়া করার লাভ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইসলামের শিক্ষা হলো, ব্যাপকভাবে সবার জন্য দোয়া করা, ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের শিক্ষা হলো, ব্যাপকভাবে সবার জন্য দোয়া করা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেসবুক স্ক্রল করছেন, হঠাৎ দেখলেন আপনার কোনো বেকার বন্ধু ভালো একটি চাকরি পেয়ে গেছে। আপনি মনে মনে বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহুম্মা বারিক! হে আল্লাহ, তার আয়-রোজগারে বরকত দিন এবং কর্মজীবনে অনেক উন্নতির তওফিক দান করুন।’ সঙ্গে সঙ্গে আপনার পাশে থাকা ফেরেশতা বলে উঠলো, আমিন, তোমার জন্যও এমনটাই হোক।

কোনো বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত পাওয়ার পর মন থেকে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! তার দাম্পত্য জীবন সুখ-শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন।’ সঙ্গে সঙ্গে আপনার পাশে থাকা ফেরেশতা বলে উঠলো, আমিন, তোমার জন্যও এমনটাই হোক।

পার্কে বা রাস্তায় হাঁটছেন, দেখলেন ফুটফুটে একটি বাচ্চা খেলা করছে। আপনি বাচ্চাটির উদ্দেশ্যে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! শিশুটিকে সুস্থ-সবল রেখে নেক হায়াত দান করুন।’ সঙ্গে সঙ্গে আপনার পাশে থাকা ফেরেশতা বলে উঠলো, আমিন, তোমার জন্যও এমনটাই হোক।

বাসায় ফেরার সময় দেখলেন এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। আপনি তাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করার পর তার জন্য দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি লোকটিকে সুস্থতা দান করুন এবং তার জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিন।’ সঙ্গে সঙ্গে আপনার পাশে থাকা ফেরেশতা বলে উঠলো, আমিন, তোমার জন্যও এমনটাই হোক।

এগুলো কোনো কাল্পনিক কথা নয়, আমাদের সঙ্গে ঠিক এমনটাই করা হয়। এই মর্মে একটি হাদিস আছে, হজরত সাফওয়ান ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সাফওয়ান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি তার অপর ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দোয়া করলে তা কবুল হয়। তার মাথার নিকট একজন ফেরেশতা তার দোয়ার সময় আমিন বলতে থাকেন। যখনই সে তার কল্যাণ কামনা করে দোয়া করে, তখন ফেরেশতা বলেন, আমিন, তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ।’ -সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৮৯৫

অপরের জন্য দোয়া করার মধ্যে শুধু ওই ব্যক্তিরই কল্যাণ নয়, বরং যে তার জন্য দোয়া করছেন তাকেও আল্লাহ সে রকম দান করবেন। বরং তার দোয়াটা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। কেননা সে যখন অপরের জন্য দোয়া করবে তখন একজন ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করবে। আর ফেরেশতার দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আমাদের পূর্বসূরি পীর-বুজুর্গরা নিজেদের কোনো প্রয়োজন হলে তখন কোনো মুসলিম ভাইয়ের জন্য সেই দোয়া করতেন এই আশায় যে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন। সাহাবায়ে কেরামের মাঝেও এই আমল পাওয়া যায়।

কোরআন মাজিদের এই আয়াত থেকেও বোঝা যায় যে, অপরের জন্য দোয়া করার গুরুত্ব। জীবিত মৃত সবার জন্য দোয়া করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, ক্ষমা করো আমাদের এবং আমাদের সেই ভাইদেরও, যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি কোনো হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি অতি মমতাবান, পরম দয়ালু।’ -সুরা হাশর : ১০

এ জন্য বুদ্ধিমানরা নিজের একান্ত কোনো প্রয়োজনের ক্ষেত্রে হলে ওই জিনিস অন্যের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে থাকে। তখন আল্লাহ তার সেই প্রয়োজন পূরণ করে দেন।

দেখুন, বর্তমান সমাজ হিংসা-বিদ্বেষে ভরে গেছে। আমরা অন্যের ভালো সহ্য করতে পারি না। কারও ভালো দেখলে দোয়া করা তো দূরের কথা বরং অনেকে অন্যের সুখ নষ্ট করার জন্য নানা পন্থা এমনকি জাদু-টোনার আশ্রয়ও নেয় কেউ কেউ। অথচ আল্লাহর দেওয়া বিধান কতই না চমৎকার! অন্যের ভালো চাইলে, অন্যের জন্য ভালো দোয়া করলে, তাতে বরং নিজেরই উপকার হয়। কেননা, ফেরেশতাদের দোয়া কখনও বিফল হয় না।

আরেকটি কথা, আমাদের কাছে নানা সময় নানা ব্যক্তি দোয়া চেয়ে থাকেন। বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে একান্ত দোয়ার জন্য আবেদন করে অনেকে। তাত্ক্ষণিক অনেকে তার জন্য কিছু দোয়া করে দেয়। কিন্তু নীরবে নিভৃতে যখন আমরা আল্লাহর কাছে হাত তুলি, ব্যাপকভাবে আমরা সবার জন্য দোয়া করি সাধারণত; কারও জন্য বিশেষভাবে তার প্রয়োজনের জন্য দোয়া করার প্রবণতা, আমাদের খুব কমই রয়েছে।

আমরা শুধু নিজের জন্যই আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করি। অথচ একজন মুসলমানের অনন্যতা এখানেই যে, সে অন্যের জন্য ওই জিনিস পছন্দ করবে যারা সে নিজের জন্য ভালোবাসে।

হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা যা পছন্দ করো, তা অন্য ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করবে। আরও বর্ণনায় আছে, প্রতিবেশীর জন্যও পছন্দ করবে।’ -সহিহ মুসলিম : ৭৪

;

দুই দশক ধরে কাবা প্রাঙ্গণে শ্রীলঙ্কান এক দম্পতি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আশরাফ ও ফাতেমা দম্পতি, ছবি: সংগৃহীত

আশরাফ ও ফাতেমা দম্পতি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দুই দশক ধরে মক্কার মসজিদে হারামে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার এক দম্পতি। পবিত্র এ মসজিদে আগত হজ ও উমরাযাত্রী এবং মুসল্লিদের সেবায় তারা কাজ করছেন। সম্প্রতি সৌদি গেজেট তাদের নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সৌদি আরবের পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে ১৪ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছে। তাদের মধ্যে সৌভাগ্যবান এক দম্পতি হলেন শ্রীলঙ্কার আশরাফ ও ফাতেমা। ইসলামের এ পণ্যভূমিতে দীর্ঘকাল সেবা দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।

মক্কার মসজিদে হারামে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘ এ সময়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখী হন তিনি। জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি একটি উত্তম কাজের সুযোগ পাওয়া তারা মহান আল্লাহর প্রশংসা করেন।

সম্মানিত এ স্থানে আসার গল্প শুরু হয় প্রায় বিশ বছর আগে। তখন ফাতেমা মসজিদে হারামে কাজের সুযোগ পায়। তিনি নারীদের নামাজের স্থানে কাজ করতেন। সেখানে ছড়িয়ে থাকা জায়নামাজগুলো গুছিয়ে রাখার দায়িত্ব ছিল তার।

কয়েক বছর পর তিনি নিজের স্বামীকেও মসজিদে হারামের দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। প্রেসিডেন্সি বিভাগ তার আবেদনকে অনুমোদন দেয়।

ফাতেমা জানান, মসজিদে হারামে তিনি চার বছর একাকী দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি পরিচালনা পর্ষদের কাছে আবেদন জানান, যেন তার স্বামী আশরাফকে হারামাইনের কর্মী হিসেবে আনা হয়। এদিকে এতদিন যাবত শ্রীলঙ্কায় কাজ করতেন আশরাফ।

প্রথম পর্যায়ে অনিচ্ছুক থাকলেও পরবর্তীতে মক্কায় চলে আসেন আশরাফ। পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে এখন মুসল্লিদের সেবা দিয়ে আনন্দবোধ করছেন তিনি।

আশরাফ বলেন, ‘পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। ফাতেমা ও আমি একসঙ্গে কাজ করি এবং একেঅপরকে সহযোগিতা করি। প্রতি সপ্তাহে আমরা উমরা পালন করি।’

মক্কার মতো সম্মানিত স্থানে দায়িত্ব পালন তাদের জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। মসজিদে হারামে কাজ করতে পেরে নিজেদেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার এ দম্পতি।

;

যেভাবে দরুদ-সালাম পৌঁছে নবী কারিম (সা.)-এর কাছে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক, ছবি : সংগৃহীত

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করা একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। তার নাম শুনলে দরুদ পাঠ করা তার প্রতি ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন। উম্মতের পঠিত দরুদ-সালাম তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তিনি শোনেন ও জবাব দেন।

দরুদ-সালাম পাঠের নির্দেশনা
নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতসহ অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগির মতো নবী কারিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করার নির্দেশনা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ রাসুলের প্রতি দরুদ-সালাম পাঠের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর প্রতি রহমত নাজিল করেন এবং তার ফেরেশতারাও নবীর জন্য রহমতের দোয়া করে। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবীর প্রতি রহমতের দোয়া করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ -সুরা আহযাব : ৫৬

দরুদ-সালাম পাঠের ফজিলত : হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। দুনিয়া ও আখেরাতে দরুদ-সালাম পাঠকারীর জন্য সৌভাগ্যের সব দুয়ার খুলে যায়।

দরুদ-সালাম পাঠের বিভিন্ন মর্যাদার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ প্রেরণ করে, মহান আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন। -সহিহ মুসলিম : ৪০৮

দূরবর্তীদের দরুদ-সালাম পৌঁছানো হয়
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যেকোনো উম্মত, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে তার প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করলে ফেরেশতারা তা তার কাছে পৌঁছে দেন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহর নির্ধারিত একদল ফেরেশতা রয়েছেন, যারা দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ান এবং আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছে দেন।’ -সহিহ ইবনে হিব্বান : ৯১৪

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। আর আমার কবরে উৎসব করো না। আমার ওপর দরুদ পাঠাও। কেননা তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের দরুদ আমার কাছে পৌঁছবে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ২০৪২

নিকটবর্তীদের দরুদ-সালাম শোনেন
নবী কারিম (সা.)-এর কবরের পাশ থেকে দরুদ-সালাম পেশ করলে তিনি তা শোনেন। মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে নবীদের দুনিয়ার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ -সুরা জুমার : ৩০

তবে মৃত্যুর পর তারা আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেন। নবীদের কবরের জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো- কবরে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন- কবরে তাদের দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। -সুনানে আবু দাউদ : ১০৪৭

তারা কবরে নামাজ আদায় করেন। -মুসনাদে আবু ইয়ালা : ৩৪২৫

হজরত মুসা (আ.) তার কবরে স্বশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়টি নবী (সা.) উল্লেখ করেছেন। -সহিহ মুসলিম : ২৩৪৭

আল্লাহর পক্ষ থেকে তারা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত। -ইবনে মাজাহ : ১৬৩৭

তাদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তারা তা সরাসরি শোনেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর দরুদ পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূরে থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ -ফাতহুল বারি : ৬/৬০৫

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সালামের জবাব দেন
কেউ নবী কারিম (সা.)-কে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ থেকে ও দূর থেকে নবী কারিম (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে দরুদ-সালাম পেশ করতে থাকে, আর নবী কারিম (সা.) এর উত্তর দিতে থাকেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি যখন আমার ওপর সালাম পেশ করে, তখন আল্লাহ আমার মধ্যে আমার আত্মা ফিরিয়ে দেন। ফলে আমি তার সালামের জবাব দিই।’ -সুনানে আবু দাউদ : ২০৪১

বস্তুত মহান আল্লাহ নবী কারিম (সা.)-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। তিনি উম্মতের প্রতি অত্যন্ত দয়ার্দ্র ও স্নেহশীল ছিলেন। উম্মতের কল্যাণে তিনি সদা ব্যাকুল থাকতেন। এই উম্মতের ওপর তার অবারিত অনুগ্রহ রয়েছে। এর অন্যতম দাবি হলো- তার প্রতি দরুদ-সালামের নাজরানা পেশ করা। তার প্রতি পঠিত দরুদ-সালাম তার কাছে পৌঁছে যায়।

;

মুসলিমদের কাছে ক্ষমা চাইল শ্রীলঙ্কা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইফতার মাহফিলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ছবি: সংগৃহীত

ইফতার মাহফিলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস মহামারির সময় মৃতদের লাশ বাধ্যতামূলকভাবে পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় মুসলিমদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

এ ছাড়া ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত একটি যৌথ প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা।

করোনা মহামারির সময় মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুসলিমদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।

বুধবার (২৪ জুলাই) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুসলিমদের লাশ বাধ্যতামূলকভাবে পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বীপ দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘুদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। যদিও করোনায় মৃতদের লাশ মুসলিম রীতিতে দাফন করাকে নিরাপদ বলে জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এছাড়া মৃতদের লাশ ইসলামিক রীতিতে দাফন নিরাপদ বলে বিশেষজ্ঞরাও মতামত দিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বাধ্যতামূলকভাবে লাশ পুড়িয়ে ফেলার নীতির বিষয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা’ করেছে দেশের মন্ত্রিসভা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারির সময় লাশ বাধ্যতামূলকভাবে পুড়িয়ে ফেলার বিষয়ে সরকারের এই নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সকল সম্প্রদায়ের কাছে ‘সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে’ মন্ত্রিসভার সদস্যদের একটি গ্রুপ যৌথ প্রস্তাবও অনুমোদন করেছেন।

করোনা মহামারির সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন গোটাবায়া রাজাপাকসে। তার সরকারই সেসময় এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় একটি নতুন আইন করা হবে হবে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মুসলিম বা অন্যকোনো সম্প্রদায়ের মানুষের দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার রীতিনীতি লঙ্ঘন না করা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।

ঐতিহ্যগতভাবে, মুসলমানরা মুসলিমদের লাশকে কেবলার দিকে মুখ করে দাফন করে থাকে। আর শ্রীলঙ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের মরদেহ হিন্দুদের মতো সাধারণত দাহ করা হয়।

শ্রীলঙ্কার মুসলিম প্রতিনিধিরা সরকারের এই ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু তারা বলেছে, তাদের সমগ্র সম্প্রদায় এই ঘটনার আঘাত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ দেশের ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ হচ্ছে মুসলিম জনগোষ্ঠী।

;