মক্কার গভর্নর ও শায়খ সুদাইসের নেতৃত্বে ধোয়া হলো পবিত্র কাবা



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম
মক্কার গভর্নর ও শায়খ সুদাইসের নেতৃত্বে ধোয়া হয়েছে পবিত্র কাবা, ছবি: সংগৃহীত

মক্কার গভর্নর ও শায়খ সুদাইসের নেতৃত্বে ধোয়া হয়েছে পবিত্র কাবা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কা নগরীর গভর্নর ও প্রধান খতিবের নেতৃত্বে পবিত্র কাবা ধোয়ার কাজ শেষ হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ও রীতি অনুযায়ী সকালে কাবা ধোয়ার কথা থাকলেও এবার রীতি ভেঙে এশার নামাজের পর পবিত্র কাবা ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হলো।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে এগারোটা) কাবা ধোয়া কাজ শুরু করা হয়। সৌদি বাদশাহ সালমানের পক্ষে মক্কা নগরীর গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল কাবা শরিফ ধোয়া ও পরিচ্ছন্নতার কাজে নেতৃত্ব দেন।

কাবা ধোয়ার কাজে হারামাইন প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যান ও কাবা শরিফের প্রধান খতিব শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস, স্পেশাল ইমারর্জেন্সি ফোর্সের কমান্ডার ও হজ সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ডার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও অংশ নেন। অন্য সময় বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশ নিলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের কাবার ধোয়ার কাজে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

পবিত্র কাবা ধোয়া শেষে তাওয়াফের দৃশ্য, ছবি: সংগৃহীত

কাবা ধোয়া উপলক্ষে মাগরিবের পর কাবার গায়ে বিশেষ সিঁড়ি লাগানো হয়। এর আগে সতর্কতা হিসেবে কাবার সিঁড়ি, দেয়াল ও কাবার গিলাফ জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে জীবণুমুক্ত করা হয়। সন্ধ্যার পর পর কাবা শরিফের দরজা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর মক্কায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কাবা ধোয়ার কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়। কাবার ধোয়ার কাজে আগতরা মসজিদে হারামে এশার নামাজ আদায় করেন। এ সময় তাদেরকে বরকতময় জমজমের পানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

বৃষ্টি থামলে সবাই কাবা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা পবিত্র জমজমের পানির সঙ্গে গোলাপ, উন্নতমানের সুগন্ধি উদ ও কস্তুরি মিশ্রিত পানি দিয়ে পবিত্র কাবা ঘরের অভ্যন্তরে ধোয়ামোছার কাজ করেন।

কাবা ধোয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশ করছেন আগতরা, ছবি: সংগৃহীত

কাবা শরিফ ধোয়ার সময় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে। এ সময় কাবা শরিফের চারদিকে বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রাখেন।

পবিত্র কাবা ধোয়ার পর বের হয়ে হাজরে আসওয়াদে (কালো পাথর) চুম্বন করেন। অতঃপর কাবা তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করেন।

রীতি অনুযায়ী প্রত্যেক মহররম মাসে পবিত্র কাবা ধোয়া হলেও আরাফার দিন (৯ জিলহজ) কাবার গিলাফ বদলানো হয়। কাবা ধোয়াকে সৌদি সরকার সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটা একটা উৎসবও বটে।

মক্কার গভর্নর ও প্রধান খতিবের নেতৃত্বে কাবা ধোয়ার জন্য যাচ্ছেন আগতরা, কাবা ধোয়া শেষে হাজরে আসওয়াদে চুমো দিচ্ছেন মক্কার গর্ভনর, ছবি: সংগৃহীত

কারণ কোরআন ও হাদিসে বায়তুল্লাহর মর্যাদা দান, একে পবিত্র রাখা ও পরিশুদ্ধ করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং আমার ঘরকে পবিত্র রাখো তাওয়াফকারীদের জন্য, নামাজে দণ্ডায়মানদের জন্য এবং রুকু-সেজদাকারীদের জন্য।’ -সূরা হজ: ২৬

কাবা ঘর পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নবীর একটি আদর্শ। মক্কা বিজয়ের দিন তিনি সাহাবায়ে কেরামদের সঙ্গে নিয়ে কাবা ঘরে প্রবেশ করে বাহ্যিক ও মৌলিকভাবে কাবা ঘরের পরিশুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেন। কাবায় থাকা মূর্তিগুলোকে অপসারণ করেন।

২০১৯ সালে কাবার ধোয়ার সময় এমন ভীড় ছিলো, ছবি: সংগৃহীত

নবী করিম (সা.)-এর সেই কাজের অনুসরণে পবিত্র কাবা ধোয়ার এই কাজটি একটি বড় উৎসব হিসেবে পালন হয় করা হয়।

আগেই বলা হয়েছে, এ বছর পবিত্র কাবা ধোয়া অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে কঠোর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে, মুখে মাস্ক পরিধান করে আগতরা কাবা ধোয়ার কাজ সম্পন্ন করেন।

   

১২ হাজার ৬৪৯ হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৪৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনসের ৩২টি ফ্লাইটে করে তারা সৌদি আরবে গেছেন।

হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত পোর্টাল।

পোর্টালের তথ্যমতে, ৩২টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ করতে যাবেন ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

;

১১ হাজার ১৬৭ হজযাত্রী ভিসার অপেক্ষায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজযাত্রায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা, ছবি: সংগৃহীত

হজযাত্রায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদনের শেষ হয়েছে ১১ মে (শনিবার)। তবে এখনও ১১ হাজার ১৬৭ জনের ভিসা হয়নি। সৌদি সরকার যদি সময় না বাড়ায় তবে এসব হজযাত্রীদের চলতি বছর হজে যাওয়া অনিশ্চয়তায় পড়বে।

হজ অফিসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, রোববার (১২ মে) দুপুর পর্যন্ত মোট ভিসা পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৩৮ জন। ২৫৯ জনের ভিসা প্রিন্টের অপেক্ষায় রয়েছে। সে হিসেবে এখনও ভিসা পাননি ১১ হাজার ১৬৭ জন।

জানা গেছে, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিসা পায়নি, তাদের জন্য নতুন করে ভিসার আবেদন করা হয়েছে। এখনও ভিসা অনলাইন সিস্টেম চালু আছে। বাকিদের ভিসা দুয়েক দিনের মধ্যে হয়ে যাবে।

ভিসার জন্য আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, সময় বাড়ানো হবে কি না তা রোববার বা সোমবারই জানা যাবে। তবে হজ ভিসা সিস্টেম চালু আছে এবং ভিসা ইস্যু চলমান আছে।

এদিকে তৃতীয় দফায় ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য সৌদি সরকারকে চিঠি দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার জানান, হজযাত্রীদের ভিসা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সব হজযাত্রীর ভিসা হওয়ার বিষয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা সৌদি সরকারের উমরা ও হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, ভিসা আবেদনের সময় বাড়বে।

মু: আ: হামিদ জমাদ্দার জানান, বেশিরভাগ হজযাত্রী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যায়। এজেন্সিগুলো বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা সৌদিতে বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তা মন্ত্রণালয়ের ওপর এসে বর্তায়।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর তা ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তারপরও প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়।

১১ মের মধ্যে ভিসা কার্যক্রম শেষ করতে না পারলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে বলে আগেই সতর্ক করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তারপরও ভিসা আবেদনের সময় বাড়াতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও হজ এজেন্সিগুলো সৌদি আরবের মক্কা মদিনায় বাড়ি ভাড়া করতে গাফিলতি করেছে। কম রেটে বাড়ি ভাড়া করার জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে।

এছাড়া এজেন্সিগুলোর বাড়ি ভাড়ার জন্য নির্ধারিত প্রতিনিধি মোনাজ্জেমদের ভিসা আটকে দেয় সৌদি সরকার। সেই ভিসার জট খুলতে দেরি হওয়ায় অনেক ইচ্ছা থাকার পরও বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি। এতে হজযাত্রীদের ভিসা আবেদন করতে পারেনি এজেন্সিগুলো। কারণ হজ ভিসা আবেদনের পূবশর্ত হলো, সৌদিতে হজযাত্রীর বিপরীতে বাড়ি বাড়ার চুক্তি থাকতে হবে। বাড়ি ভাড়া না করলে ভিসার জন্য আবেদন করা যায় না।

এদিকে হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ২১২ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট ৯ মে শুরু হয়। ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

অমুসলিমরাও হালাল খাদ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে হালাল ফুড বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা, ছবি: সংগৃহীত

এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে হালাল ফুড বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজারে বড় সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। তবে সেজন্য খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের প্রতিটি ধাপে কমপ্লায়েন্স ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্যের বাজারে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে ইকো-সিস্টেম উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (১২ মে) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে হালাল ফুড বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি সভায় এ বিষয় উঠে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ইউসুফ। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইর পরিচালক মুনতাকিম আশরাফ টিটু।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মানবস্বাস্থ্যের জন্য হালাল খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি অনুধাবন করে মুসলিমদের পাশাপাশি সারা বিশ্বে অমুসলিমরাও হালাল খাদ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু দেশ হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। এই বাজারে বাংলাদেশেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। খাদ্যসহ হালাল শিল্পের উন্নয়নে দেশে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা হওয়া জরুরি বলেন জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

বিএসটিআই এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই দুটি প্রতিষ্ঠান দেশে বর্তমানে হালাল সার্টিফিকেট প্রদান করছে। সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সহজ করা, গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে হালাল সনদ প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। এ সময় হালাল শিল্পের উন্নয়নে কমিটির সদস্যদের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এফবিসিসিআই সেসব পরামর্শ বিশ্লেষণ করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন ও তা বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, হালাল ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সবার আগে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে নিরাপদ এবং গুণগত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য উৎপাদনকারী, বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারসহ এই খাতের বড় অংশীজনদের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সময় বিএসটিআই এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করাসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং হালাল শিল্পের জন্য নীতি সুবিধা আহ্বান করেন কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি হালাল শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা, অর্থায়ন সুবিধা, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তারা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, সৈয়দ মো. বখতিয়ার, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রমুখ।

;

৭৯ বছর পর জুমার নামাজ হলো যে মসজিদে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কারিয়া মসজিদে ৭৯ বছর পর জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হলো, ছবি: সংগৃহীত

কারিয়া মসজিদে ৭৯ বছর পর জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হলো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭৯ বছর পর পবিত্র জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হলো তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ঐতিহাসিক কারিয়া মসজিদে। গত শুক্রবার (১৯ মে) মসজিদটিতে অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে ৬ মে পুনঃনির্মাণের পর মসজিদটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

২০২০ সালের আগস্টে দীর্ঘ দিন জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত ঐতিহাসিক মসজিদটিকে পুরনো রূপে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন এরদোগান। এরপর শুরু হয় এর পুনঃনির্মাণের কাজ। অবশেষে চার বছর পর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় ফের এটি মুসল্লিদের জন্য খুলে দেওয়া হলো।

চতুর্থ শতাব্দীর শুরুর দিকে কারিয়া স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয় একটি চার্চ হিসেবে। পরে উসমানিয়া শাসক সুলতান দ্বিতীয় বায়জিদের শাসনামলে প্রধান উজির আতিক আলি পাশার নির্দেশে এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়।

এরপর চার শতাব্দীরও অধিক সময় এটি মসজিদ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু উসমানিয়া খেলাফত বিলুপ্তির পর আয়া সোফিয়ার মতো এটিকেও ১৯৪৮ সালে জাদুঘর বানিয়ে ফেলে তৎকালীন ইসলামবিরোধী তুর্কি সরকার।

দীর্ঘ দিন পর গত শুক্রবার মসজিদটিতে জুমার নামাজ আদায় করতে পেরে বেশ উল্লসিত মুসল্লিরা। এদিন তারা তাকবির ধ্বনিতে মসজিদ ও এর প্রাঙ্গণ আন্দোলিত করে তোলেন। মসজিদের অভ্যন্তর, সামনের চত্বর ও আশপাশের সড়কগুলোও মুসল্লিদের সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে।

শুধু এই মসজিদ নয়, ক্ষমতায় আসার পর থেকে এরদোগান বন্ধ থাকা ও জাদুঘরে রূপান্তর করা অনেক মসজিদ পুনরায় চালু করেন। এর মধ্যে আয়া সোফিয়া অন্যতম। এরদোগানের উপস্থিতিতে সেখানে ৮৬ বছর পর নামাজ শুরু হয়।

পুরনো মসজিদ উদ্ধার ছাড়া তিন বেশ কিছু নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। তুরস্কের তাশামালিজা মসজিদ এর অন্যতম। আয়তনগত দিক বিবেচনায় এশীয় ও ইউরোপ অঞ্চলে এটিকে বলা হচ্ছে- সর্ববৃহৎ মসজিদ। বিগত প্রায় এক শতাব্দীতে আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠার পর এটিই তুরস্ক নির্মিত সর্ববৃহৎ মসজিদ।

;