করুণানিধির মৃত্যু: দক্ষিণ ভারতে রাজনৈতিক সূর্যের অস্ত



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

শতবর্ষ স্পর্শ করা আর হলো না। দক্ষিণ ভারতের উজ্জ্বল রাজনৈতিক সূর্য অস্তমিত হলো। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তামিলনাড়ুর রাজনীতির প্রবল পুরুষ মুথুভেল করুণানিধি। বয়স হয়েছিল ৯৪। রেখে গেছেন সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের উত্থান-পতনের রোমাঞ্চে ভরা ইতিহাস, লক্ষ সমর্থক আর চার ছেলে ও দুই মেয়ে।

করুণানিধির স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছিল সোমবার (৬ আগস্ট) থেকেই। হাসপাতালের বুলেটিনে বলা হয়, অবস্থা গুরুতর। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) সকালে জানানো হয়, খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থা। সন্ধ্যায় ঘোষিত হয় মৃত্যুসংবাদ। দাক্ষিণাত্যের দ্রাবিড় রাজনীতির দীর্ঘ একটি ঐতিহাসিক যুগের অবসান হল তাঁর মৃত্যতে।

নিজের রাজ্যের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধি। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এম জি রামচন্দ্রন, পরে জয়ললিতা। দু‌জনই প্রয়াত। অবশেষে অবসান হল করুণানিধির যুগেরও।

মেরিনা বিচে আন্না দুরাইয়ের সমাধিভূমিতে করুণানিধির দেহ সমাহিত করার জন্য জমি চেয়েছেন ছেলে এম কে স্ট্যালিন। করুণানিধির প্রতিপক্ষ এখন রাজ্য সরকারে। তারা সমাধির জমি দিতে নারাজ। করুণানিধির দল ডিএমকে সমর্থকদের শোক এখন উত্তেজনায় ফুটছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সি রাজাগোপালাচারি এবং কে কামরাজের স্মারকের কাছে জমি দিতে চাইছে রাজ্য সরকার।

ডিএমকে মানছে না। ২০ মাস আগে মেরিনা বিচেই সমাধিস্থ করা হয় আরেক নেত্রী জয়ললিতাকে। করুণানিধির সমর্থকরা পাশেই নেতার চিরনিদ্রার জায়গা চান। ফলে সমাধিস্থল বিষয়ক বিতন্ডায় রাজনীতির এই সিংহপুরুষ মৃত্যুতেও পরিণত হয়েছেন গরম রাজনৈতিক ইস্যুতে

পুরো নাম মুথুভেল করুণানিধি। এই নামটিই যথেষ্ট গোটা তামিল ভাবাবেগের কাছে। ১৯২৪ সালে জন্ম এই তামিল পুত্রের। যিনি একাধারে আঁকতে পারতেন, লিখতে পারতেন চিত্রনাট্য। তামিল ফিল্ম জগতে এভাবেই তাঁর প্রথম প্রবেশ। অধিকাংশ জনপ্রিয় তামিল রাজনৈতিক নেতার মতো তাঁরও উত্থান রূপালি পর্দার পথ ধরে।

কিন্তু ছবিতেই এখানেই থেমে থাকেনি তাঁর প্রতিভা। নিজেকে এমনভাবেই তৈরি করেছিলেন যে তামিলবাসীরা তাঁকে দেখে বলতেন, 'আগুনকে কখনও ছাই দিয়ে চাপা দেওয়া যায় না।' হয়তো এটাই সত্যি। কারণ তামিল সাহিত্য জগতে তাঁর অবদান এককথায় অনস্বীকার্য। তাঁর লেখা গল্প, নাটক, উপন্যাস তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল তামিলনাড়ুর মানুষের মনের মণিকোঠায়। নিজের আবেগ দিয়েই বুঝতে পেরেছিলেন তামিলনাড়ুর দ্রাবিড় জাতির কষ্টের কথা। ঠিক করেছিলেন কিছু একটা করতে হবে। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। ১৯৬৯–২০১১ পর্যন্ত নানা সময়ে পাঁচবার মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসন তাঁকে তুলে দিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মানুষ। আর টানা দশবার ডিএমকে দলের সভাপতি। উত্থান আর পতনের পরেও দক্ষিণের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সূর্যের মতো প্রখর আর উজ্জ্বল।

তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনাম জেলার তিরুকুভালাই গ্রামে জন্ম করুণানিধির। স্কুল জীবনেই তাঁর সাহিত্য প্রতিভা প্রকাশ পায়। জাস্টিস পার্টির নেতা আজাহাগিরিস্বামীর বক্তব্য তাঁর জীবনে রাজনৈতিক আবেগের ঝড় তুলে দেয়। তাই মাত্র ১৪ বছর বয়সে সামাজিক আন্দোলনে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন বাদে তৈরি করেন অল স্টুডেন্টস ক্লাব। দ্রাবিড় আন্দোলনের এটাই ছিল প্রথম পদক্ষেপ।

তারপর ১৯৫৩ সাল, তৈরি হয় ডিএমকে (‌দ্রাবিদা মুন্নেত্রা কাঝাগাম)‌। দলের মুখপত্র মুরাসোলি কাগজে লিখতে শুরু করেন তামিল রাজনীতি থেকে জাতীয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষণ। ভাষ্যকার হতেও সময় লাগেনি তাঁর। কাল্লাকুড়ি আন্দোলন তাঁকে তামিল রাজনীতিতে জনপ্রিয় করে তোলে। শিল্প শহরের আসল নাম ছিল কাল্লাগুড়ি। কিন্তু সেখানে সিমেন্টের প্রকল্প তৈরির নামে শহরের নাম বদলে করে দেওয়া হয় কাল্লাক্কুড়ি থেকে ডালমিয়াপুরম। শুরু হয় করুণানিধির আন্দোলন, পথ অবরোধ, ট্রেন অবরোধ, বিক্ষোভ। এই আন্দোলনের ফলে দু’‌জন মারা যায়। গ্রেপ্তার হন করুণানিধি।

১৯৫৭ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে কুলিথালাই বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়ে তামিলনাড়ু সংসদে প্রবেশ করেন তিনি। তারপর একের পর এক সাফল্য রাজনীতির ময়দানে। ১৯৬২ সালের বিরোধী দলনেতা এবং ১৯৬৭ সালে তাঁর হাত ধরে ক্ষমতায় আসে ডিএমকে। ১৯৬৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী। যিনি ৭০ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরী অবস্থার প্রতিবাদ করেছিল একমাত্র শাসকদল হিসাবে। যার ফলে তাঁর সরকারকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বহু নেতাকে জেলে ভরাও হয়েছিল। কিন্তু তাতেও দমে যায়নি এই তামিল নেতা।

লড়তে লড়তে আবার ময়দানে ফিরে আসার প্রচন্ড ক্ষমতা ছিল তার। জয়ললিতার মতো গ্ল্যামারাস নেত্রীকে টক্কর দিয়ে আঞ্চলিক রাজনীতিতে দৃঢ অবস্থান বাগিয়ে ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও ক্ষমতার পালাবদলে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। দূর দক্ষিণের রাজনৈতিক অনুঘটক হয়েও দিল্লির কেন্দ্র ছিল তাঁর সমীহ আদায় করার মতো দাপট।

করুণানিধি তীব্র তামিল জাতীয়তাবাদী আবেগের রাজনীতি করেছেন। আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন তামিল স্বার্থে। দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মতো জোর গলায় কেন্দ্রকে শাসানোর ক্ষমতা তাঁর মতো আর কারো ছিল না।

তাঁর মৃত্যুতে দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক প্রাধান্য খর্ব হবে।  শিল্প-সাহিত্য জ্ঞানী রাজনীতিবিদের সংখ্যাও কমে আসবে। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর চিরবিদায়ের ফলে ঐতিহ্য, জাতীয়তাবাদ আর নন্দন প্রভায় আলোকিত যে রাজনৈতিক সূর্য অস্তমিত হলো, গেমন সূর্য সহসাই উদিত হবে বলে মনে হয় না।

   

টেক্সাসে প্রবল বর্ষণে ৪ জনের প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ মাইল বেগে বয়ে চলা বাতাসসহ প্রবল বর্ষণে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ৪ জন প্রাণ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় টেক্সাস রাজ্যে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজ এবং বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, প্রচন্ড বাতাসে উড়ে যাওয়া জানালার কাঁচের ভাঙ্গা টুকরোয় হিউস্টনের রাস্তাগুলো ঢাকা পড়েছে।

এদিকে, রাজ্যটিতে প্রচণ্ড বজ্রঝড় এবং সম্ভাব্য টর্নেডো সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া অফিস।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বহু গাছ ভেঙ্গে পড়ায় এবং বিদ্যুত লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হিউস্টনের প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

টেক্সাসের মেয়র বলেছেন, ‘ঝড়-বৃষ্টিতে ৪ জন মারা গেছে।’

মেয়র জন হুইটমায়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্যোগে অনেক মানুষ তাদের গাড়ির ভেতরে অটকা পড়েন। তবে সেখানের পরিস্থিতির ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ সময় প্রতি ঘণ্টায় ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০’ মাইল বেগে বাতাস বয়ে গেছে।’

হুইটমায়ার বাসিন্দাদের হিউস্টনের মধ্যাঞ্চল এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১৭ মে) পাবলিক স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে এবং অফিসের জন্য একেবারে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন কর্মীদেরও বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হিউস্টন হলো যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল শহর। সেখানের জনসংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ।

;

সন্দেশখালির মাম্পি দাসকে মুক্তির নির্দেশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। এনডিটিভি জানিয়েছে, তার গ্রেফতারি নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

শুধু তাই নয়, মাম্পির গ্রেফতারের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড কে, তা জানতে চেয়েছে আদালত।

গ্রেফতারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাম্পি। গ্রেফতারকে বেআইনি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শুক্রবার (১৭ মে) সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে।

বিচারপতি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত বন্ডে মামলাকারীকে অবিলম্বে হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে ১৯৫এ ধারায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা-ও স্থগিত থাকবে। আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

শুক্রবার শুনানি চলাকালীন মাম্পির গ্রেফতার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। মাম্পির গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট কী করেছেন? ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তারপরেও তিনি কীভাবে এই নির্দেশ দিলেন? এমন গ্রেফতারের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড কে? এই মামলাটি কোন অফিসার দেখছেন?’

রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্ত জানান, এভাবে কাউকে গ্রেফতার করাই যায় না।

এক্ষেত্রে তার মন্তব্য হলো, ‘আপনারা হয়তো এই কোর্টকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলো অন্তত মেনে চলুন।’ পাশাপাশি, মাম্পিকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।

মাম্পির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার শুক্রবার আদালতে জানান, গত ৭ মে তার মক্কেলের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। তার দুই দিন পরে ৪১এ ধারায় নোটিশ দেয় পুলিশ।

গত ১৪ মে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনযোগ্য ধারায় জামিন নিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১২ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালত। প্রথম দিন পুলিশের কেস ডায়েরি না দেখেই হেফাজতে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত।

সন্দেশখালির ঘটনায় বহু অভিযোগে বারবার উঠে এসেছে মাম্পির নাম। তার মধ্যে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অসত্য মামলা রুজু করানোর মতো অভিযোগও রয়েছে।

সম্প্রতি, সন্দেশখালির এক গৃহবধূও সেই অভিযোগ করেন সন্দেশখালি থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তার গ্রেফতার হওয়া ভাইকে ছাড়ানোর শর্তে ধর্ষণের অসত্য অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন এই মাম্পি। পরে অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে শাসানোও হয়।

মাম্পি ওরফে পিয়ালির নাম শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির স্টিং’ ভিডিওতে গঙ্গাধর কয়ালের মুখেও।

একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের নোটিশ পেয়ে গ্রেফতারি এড়াতে বসিরহাট আদালতে অগ্রিম জামিন চাইতে গিয়েছিলেন মাম্পি। সেখানে অন্য মামলা দিয়ে তাকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

নিম্ন আদালত তাকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে মামলা করেন মাম্পি। শুক্রবার ব্যক্তিগত বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর হলো।

;

মিশরের পিরামিডের রহস্য ভেদ করার দাবি বিজ্ঞানীদের 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে নির্মিত মিশরের বিখ্যাত গিজা কমপ্লেক্স এবং ৩১ পিরামিড নির্মাণের পেছনে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা উদঘাটন করেছেন বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। 

বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলের সদস্যরা বলছেন, নীল নদের পাশে বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটি প্রাচীন শাখার পাশে পিরামিডগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রাচীন ওই শাখাটি মরুভূমি অথবা কৃষিজমির নিচে চাপা পড়েছে।

বহু বছর ধরে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করছেন, মিশরীয়রা পানি পথে পাথরের মতো ভারী বস্তু পরিবহনের জন্য নদীর কাছে এই পিরামিড নির্মাণ করেছেন। 

তবে পিরামিডের কোন পথ ধরে জলপথ যোগাযোগে মেগা প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছিল তা এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া অধ্যাপক ইমান ঘোনিম। 

নদীপথটি চিহ্নিত করার জন্য গবেষণাকারী দলটি রাডার স্যাটেলাইটের ছবি, ঐতিহাসিক ম্যাপ, ভূতাত্ত্বিক জরিপ, পলল কোরিং, নদীর ম্যাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এর ফলে তারা ধারণা করছেন বহু বছর আগে প্রচণ্ড খরা এবং বজ্রঝড়ের কারণে এটি হারিয়ে গেছে। 

ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দলটি ‘বালির পৃষ্ঠে প্রবেশ করতে এবং লুকানো বৈশিষ্ট্যগুলোর চিত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল’।

গবেষণায় সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. সুজানি অনস্টাইন বিবিসিকে বলেন, নদীর প্রকৃত অবস্থা এবং বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নদী পথে মিশরীয়রা বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করতেন। এই তথ্যটি আমাদের পিরামিড নির্মাণের কারণ উৎঘাটনে সহযোগিতা করেছে।

গবেষণা দলটি বলছে, নদীর পথের নাম দেওয়া হয়েছিল আরামাত, যার আরবি অর্থ পিরামিড। এটি ৬৪ কিলোমিটার লম্বা এবং ২০০ থেকে ৭০০ মিটার চওড়া। এটি ৩১টি পিরামিড দ্বারা ঘেরা রয়েছে। তা ৪ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ বছর আগে নির্মিত। 

ড. অনস্টাইন বলেন, মানুষের শক্তি ব্যবহারের পরিবর্তে মিশরীয়রা নদী পথ ব্যবহারে বড় বড় পাথর পরিবহরের চেষ্টা করেন। 

;

রাশিয়াকে অস্ত্র দেয়ার বিষয় অস্বীকার করলেন কিমের বোন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র বিনিময়ের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএসএ'র এক প্রতিবেদনে বলা, হয়েছে উত্তর কোরিয়া তার জাতির স্বার্থে অস্ত্রের আধুনিকায়ন করছে এবং তা কোনো দেশের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না। 

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু শুরু থেকেই মস্কো ও পিয়ংইয়ং এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছ। তবে গত বছর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক গভীরে পৌঁছেছে।  

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাটকীয়ভাবে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে কিমের বোন কিম ইয়ো জং বলেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তি তত্ত্ব একটি কল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়। 

কিম ইয়ো জং এর বিবৃতিকে উদ্ধৃতি করে কেসিএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির বিয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। তাদের শত্রু দেশ এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। 

কিম ইয়ো জং বলেন, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রদর্শনকৃত রকেট লঞ্চার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং কৌশলগত অস্ত্র রপ্তানির জন্য ছিল না। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রতিহত করার জন্য। 

;