আফ্রিকায় চীন, সেনেগালে জিনপিং



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দিনের সফরে আফ্রিকার সেনেগালে পৌঁছেছেন। রাজধানী ডাকারে সেনেগালের প্রেসিডেন্ট মাকি সাল শনিবার (২১ জুলাই) বিপুল সংবর্ধনার মাধ্যমে জিনপিংকে স্বাগত জানান।

এ সফরে চীনা লৌহমানব যথাক্রমে রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরিশাসেও পা রাখবেন। সেনেগালের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত বৈঠক করবেন চীনের শি জিনপিং।

দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যকার বৈঠকে বেশ কিছু ঐতিহাসিক বাণিজ্যিক চুক্তি সাক্ষর হবে বলে জানা গেছে।

চীন সম্প্রতি তার বাণিজ্য অঞ্চল সম্প্রসারণ করতে আফ্রিকার দিকে নজর দিয়েছে। প্রথমবারের মত চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই সফরে রুয়ান্ডায় যাবেন শি জিনপিং।

সম্প্রতি চীনের বাণিজ্যিক অঞ্চল আফ্রিকায় সম্প্রসারিত করতে চেষ্টা করছে শি জিনপিং সরকার। সেনেগালে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ফ্রান্সের পরেই চীন চলে আসছে।

এ বছরের মার্চে সেনেগালে নিযুক্ত চৈনিক রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝুন বলেছিলেন, জীন ২০১৭ সালে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সেনেগালে বিনিয়োগ করেছে।

চীন কর্তৃক আফ্রিকার দেশগুলোকে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ ও ঋণ দেয়ার মধ্যে সূক্ষ্ম রাজনীতি রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা অভিমত ব্যক্ত করছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমে গত কিছুদিন ধরে ‘আমেরিকাকে সরিয়ে চীনের নয়া পরাশক্তি হিসেবে উত্থানে‘ কথা প্রচার করা হচ্ছে।

চীন আফ্রিকার জিবুতিতে বর্হিবিশ্বে চীনের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাঘুঁষা করছে।

গত ২১ জুলাই মার্কিন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত একটি নিরাপত্তা ফোরামে একমত প্রকাশ করেন যে, মার্কিন ‍যুক্তরাষ্ট্রের একক পরাশক্তি হিসেবে অবস্থানকে চ্যালেঞ্জের করার চেষ্টা করছে চীন।

   

প্রেসিডেন্ট পদে নিবন্ধন করলেন আহমাদিনেজাদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নাম নিবন্ধন করেছেন দেশটির দুইবারের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

উল্লেখ্য, ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকাকালে ইসরায়েল বিরোধী বিবৃতি দেওয়ার জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন এই আহমাদিনেজাদ। এমনকি ইহুদি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় রেডিও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০ প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নিবন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার (৪ জুন) নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

নিবন্ধনকৃতদের মধ্যে কোন প্রার্থীকে নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দেওয়া হবে তা ঠিক করবেন আলেম ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল।

নিবন্ধন শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এর আগে কেবল ইরানের প্রচলিত ব্যবস্থা অর্থাৎ গার্ডিয়ান কাউন্সিলের প্রতি অনুগত প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

আহমাদিনেজাদ যেহেতু অনুগত ছিলেন না, তাই তাকে নির্বাচনে লড়ারও অনুমতি দেওয়া হয়নি।

ইরানে প্রেসিডেন্ট দেশটির সরকার প্রধান, তবে রাষ্ট্রের প্রধান নন। দেশটির সর্বোচ্চ নেতার ওপর ন্যাস্ত থাকেন সর্বোচ্চ ক্ষমতা। সেই হিসেবে বর্তমানে আলি খামেনির হাতে চূড়ান্ত ক্ষমতা। তবে আলি খামেনির সঙ্গে দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক রয়েছে আহমাদিনেজাদের।

সম্প্রতি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ সাতজন নিহত হওয়ার পর ২৮ জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

;

যুক্তরাষ্ট্রের গাজা পরিকল্পনা মানবে ইসরায়েল, চুক্তি চূড়ান্তের আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দেওয়া ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির রূপরেখা’ ত্রুটিপূর্ণ হলেও ইসরায়েল সেটি মেনেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা ওফির ফক।

রোববার (২ জুন) ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষৎরে ফক নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাইডেনের প্রস্তাবমতো আমরা একটি চুক্তিতে রাজি হয়েছি। চুক্তিটি ভাল নয়। এটি ত্রুটিপূর্ণ। তবে আমরা সব জিম্মির মুক্তি চাই।’

বাইডেনের গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির রূপরেখার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আরও কাজ করতে হবে বলে জানান ফক। 

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের হাতে থাকা সব জিম্মির মুক্তি এবং প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে হামাসকে ধ্বংস করার শর্ত থেকে ইসরায়েল সরে আসেনি।

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষকেই বাইডেনের প্রস্তাবিত রূপরেখা মেনে নেওয়া এবং বন্দিমুক্তির বিষয়ে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে গাজাবাসী এবং জিম্মিদের পরিবারগুলোও তাৎক্ষণিকভাবে স্বস্তি পায়।

তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস গাজার ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না। ইসরায়েলের এই অবস্থানের কারণে বাইডেনের গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

বাইডেন শুক্রবার (৩১ মে) ইসরায়েল সরকারের দেওয়া একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সামনে এনেছেন, যার রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন তিনি-ই। এ পরিকল্পনায় ৩টি স্তর বা পর্যায় রয়েছে।

প্রথম স্তরে গাজায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে। এ পর্বে রাফাসহ গাজার অন্যান্য জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি কয়েক শ’ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে হামাস তাদের কব্জায় থাকা কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

তাছাড়া, এ ছয় সপ্তাহে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করবে শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক। হামাস, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা ও প্রতিরক্ষাবাহিনী এ পর্যায়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চালাবে। এ আলোচনা ৬ সপ্তাহের মধ্যে শেষ না হলে পরিকল্পনার প্রথম পর্ব বা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে।

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস এবং ইসরায়েলের ঐকমত্যের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে গাজায় শান্তি পরিকল্পনার প্রথম স্তর।তারপর শুরু হবে ২য় স্তর।

দ্বিতীয় পর্বে জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেবে হামাস এবং এর বিনিময়ে গাজার অধিবাসীরা পাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। তৃতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভবন-রাস্তাঘাট নির্মাণ, অর্থাৎ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।

গত কয়েকমাস ধরে বাইডেন কয়েকটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই প্রস্তাবগুলোও ছিল মূলত একইরকম। এমনকী গত শুক্রবার তিনি যে প্রস্তাবের রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন সেটিও প্রায় একইরকম। কিন্তু সব প্রস্তাবই ভেস্তে গেছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে বাইডেন বলেছিলেন, মার্চের পবিত্র রমজান মাসে ইসরায়েল লড়াই বন্ধে রাজি হয়েছে। কিন্তু সেই মাসে ইসরায়েলকে কোনও যুদ্ধবিরতি করতে দেখা যায়নি।

;

এনএলডির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা টিন ও মারা গেছেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা টিন ও (৯৭) মারা গেছেন। শনিবার (১ জুন) তিনি ইয়াঙ্গুনে একটি হাসপাতালে মারা যান বলে জানিয়েছেন দাতব্যকর্মী মোহ খান

মোহ খান বলেন, বুধবার থেকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন টিন ও। কি কারণে তিনি মারা গেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কারাবন্দি অং সান সুচির সঙ্গে তিনি এনএলডি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মিয়ানমারের দাতব্য কর্মীরা তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করেন।

বার্তাসংস্থা এপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনা শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ব্যর্থ হওয়ার পর অং সান সুচিকে তিনি ১৯৮৮ সালে এনএলডি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। ওই সময়ে তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হন। পরে দলের চেয়ারম্যান হন। পরের বছরই তাদের বিরুদ্ধে সেনা সরকার যখন দমনপীড়ন চালায়, তখন টিন ও’কে রাখা হং গৃহবন্দি। একই পরিণতি হয় অং সান সুচির।

সুচির মতোই তিনিও ২১ বছরের মধ্যে ১৪ বছর গৃহবন্দি অথবা জেলে ছিলেন। এরপর ২০১০ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দলটি ১৯৯০ এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়, কিন্তু সামরিক জান্তা সেই ফলকে বাতিল করে দেয়। যখন দলটিকে পুরোপুরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেয়া হয়, তখন টিন ও এর সিনিয়র নেতা এবং উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে জনসভায়ও দেখা যেতে থাকে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সুচির প্রচারণায় সহায়তা করেন তিনি। ওই নির্বাচনে দল ভূমিধস জয় পায়।

;

ট্রাম্পের জেল চান পর্ন তারকা স্টর্মি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার জেল দাবি করেছেন সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ডানিয়েলস (৪৫)।

এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে স্টর্মি ডানিয়েলস সতর্ক করে বলেন, এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পরিপূর্ণভাবে এবং আক্ষরিক অর্থে বাস্তবতার বাইরে। 

সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টর্মি ডানিয়েলসের অভিযোগ তার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তারপর ২০১৬ সালে প্রথম তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন। সে সময় স্টর্মি ডানিয়েলস যাতে এই সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খোলেন সে জন্য তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ অভিযোগের সঙ্গে মোট ৩৪টি অভিযোগেই ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। স্টর্মি ডানিয়েলস বলেছেন, আমি মনে করি ট্রাম্পকে জেল দেয়া উচিত। কিছু কমিউনিটি সার্ভিসে কাজ করতে দেয়া উচিত।

নিউ ইয়র্কের আদালত তার সাক্ষ্যকে বিশ্বাস করে ট্রাম্পকে দ্রুততার সঙ্গে অভিযুক্ত করেছে, এটা দেখে স্টর্মি ডানিয়েলস বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, এ জন্য ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছ থেকে তিনি হত্যার হুমকি থেকে মুক্তি নাও পেতে পারেন। ট্রাম্পের সে সময়কার আইনজীবী মাইকেল কোহেন তাকে অর্থ দিয়েছেন, এ নিয়ে যখন থেকে তিনি মুখ খুলেছেন, তখন থেকেই এমন হুমকি পাচ্ছেন ডানিয়েলস।

তিনি বলেছেন, আদালতে আমি পুরো সময়ই সত্য কথা বলেছি। বিষয়টি শেষ হয়ে যায়নি। আমার জীবন থেকে এটা কখনোই সরে যাবে না। ট্রাম্প হয়তো দোষী হয়েছেন। কিন্তু এই লিগ্যাসি নিয়েই আমাকে বেঁচে থাকতে হবে।

;