ভারতে গোরক্ষার নামে পিটিয়ে হত্যায় ১১ জনের যাবজ্জীবন



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এক মুসলিম মাংস ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করার দায়ে আদালত ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। গোমাংস পরিবহনের জন্যে গত বছর ৫৫ বছর বয়সী আলিমুদ্দিন আনসারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো কট্টর হিন্দুদের একটি গ্রুপ। ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে গরুর মাংস খাওয়া, রাখা বা বিক্রি করার কারণে মুসলমানদের উপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে কিন্তু এই প্রথম এধরনের ঘটনায় কাউকে শাস্তি দেওয়া হলো। হিন্দুরা গরুকে অত্যন্ত পবিত্র একটি প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করে। কট্টর হিন্দুরা মনে করে এই প্রাণীটিকে রক্ষা করা তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব। এছাড়াও দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে গরু হত্যা অবৈধ। এর মধ্যে রয়েছে ঝাড়খণ্ড রাজ্যও। ভারতে তথাকথিত গো-রক্ষার নামে এধরনের হামলার ঘটনায় পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তাদেরকে পরে খালাস করে দেওয়া হয়েছে। আনসারীকে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। যে ১১ জনের সাজা হয়েছে তাদের বাদে বাকি একজনের ব্যাপারে আদালত এখনও কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। খবরে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি একজন কিশোর। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী সুশীল কুমার শুক্লা ভারতের একটি সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলাম আদালতের কাছে।" তিনি বলেন, কিন্তু আদালত অভিযুক্ত একজনের বিরুদ্ধে কোন শাস্তির কথা বলেনি। কারণ তার বয়স ১৬ থেকে ১৮। নিহত মুসলিম আলিমুদ্দিন আনসারীর ছেলে বলেছেন, আদালতের রায়ে তার পরিবার "সন্তুষ্ট" তবে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রায়ের পর আদালতের বাইরে আনসারীর স্ত্রী মরিয়ম খাতুন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বলেছেন, তার স্বামীর মৃত্যু একটি মর্মান্তিক ঘটনা এবং এতে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। "তবে আমরা আর রক্তপাত চাই না," বলেন তিনি। তিনি বলেছেন, পরিবার নিয়ে তিনি সমাজে শান্তিতে বসবাস করতে চান। হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গো-রক্ষার নামে বিভিন্ন গ্রুপের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিক সময়ে তারা বিভিন্ন মুসলিম ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর হামলা করে তাদের কাছে গোমাংস পাওয়ার অভিযোগে। গত বছর এধরনের তৎপরতার বিরুদ্ধে ভারতে বেশকিছু প্রতিবাদ বিক্ষোভও হয়েছে। একটি ফেসবুক পোস্ট 'নট ইন মাই নেইম' থেকে এই প্রতিবাদের সূচনা ঘটে। রাজধানী দিল্লিতে ২০১৭ সালের জুন মাসে মুসলিম এক কিশোরকে হত্যার পর সাবা দেওয়ান নামে একজন ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে এই প্রচারণা চালিয়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন। জানা গেছে, এধরনের হামলায় ভারতে প্রায় ১২ জন নিহত হয়েছে। বেশিরভাগ সময়েই গুজবের উপর ভিত্তি করে মুসলমানদের উপর এসব হামলা চালানো হয়, পরে যার কোনো তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
   

ফাইজার-বায়োএনটেকের বিরোধ মামলায় মডার্নার জয়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইজার ও বায়োএনটেকের সঙ্গে কভিড-১৯ টিকা নিয়ে চলমান বিরোধে মডার্নার পক্ষে রায় দিয়েছে ইউরোপিয়ান পেটেন্ট অফিস (ইপিও)। এমআরএনএ-ভ্যাকসিন পেটেন্টধারী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির কাছ থেকে মুনাফার অংশ পেতে এ রায় মার্কিন কোম্পানিটিকে সাহায্য করবে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহের শেষ দিকে দেয়া রায়ে ইপিও দুটি বিতর্কিত পেটেন্টের মধ্যে একটির বৈধতা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এতে ফাইজার ও বায়োএনটেক তাদের অতিবিক্রীত টিকা নিয়ে বিপত্তিতে পড়ল।

এ বিষয়ে মডার্নার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ইউরোপিয়ান পেটেন্ট অফিস মডার্নার ইপি৯৪৯ পেটেন্টের বৈধতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আদালতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে দাবি করা মূল পেটেন্ট নিয়ে অভিযোগগুলোর একটি।’

ইপিওর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য নয় মাস সময় দেয়া হয়েছে। ফাইজার সে প্রক্রিয়া অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিলেও বায়োএনটেক কোনো মন্তব্য করেনি। ১৬ মে মৌখিক রায় দেয়া হয়েছে, যা জুন নাগাদ লিখিতভাবে প্রকাশ হতে পারে।

এর আগে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি আদালতে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন থেকে মুনাফার অংশ পেতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে মামলা করে মডার্না। কোম্পানিটি বলেছে যে, ভ্যাকসিন কোম্পানি দুটি তাদের পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে।

পেটেন্ট নিয়ে কোম্পানিগুলোর বিরোধ বেশ পুরনো। ২০১১ ও ২০১৬ সালে মডার্নার পেটেন্ট অবৈধ উল্লেখ করে মামলা করে ফাইজার ও বায়োএনটেক। কিন্তু দুবারই অভিযোগ অবৈধ হিসেবে খারিজ হয়ে যায়।

মামলায় চূড়ান্তভাবে জিতলে কভিড টিকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যবসায় মডার্নার হিস্যা রাতারাতি বেড়ে যাবে। শুধু ২০২২ সালে এ কোম্পানিগুলো টিকা বিক্রি করে ৭ হাজার ৩২০ কোটি ডলার আয় করেছে। তবে মহামারী স্তিমিত হয়ে এলে ভ্যাকসিনের চাহিদা কমে যাওয়ায় তিনটি ফার্মা গ্রুপের শেয়ারের দাম পড়ে যায়।

মডার্নার আওতায় থাকা ৯৪৯ পেটেন্টটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও এমআরএনএর প্রতিক্রিয়া সঙ্গে সম্পর্কিত। মডার্নার এ আবিষ্কার শুধু কভিড-টিকার মধ্যেই সীমিত নয়, বরং একই বৈশিষ্ট্য ভবিষ্যতের এমআরএনএ-ভিত্তিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এ হিসেবে পেটেন্টটি সামনেও লাভজনক থাকছে। ইপিও জানিয়েছে, মডার্নার ৯৪৯ পেটেন্ট সংশোধিত আকারে বজায় রাখা হয়েছে।

গত বছর একটি বিকল্প পেটেন্টের জন্য গেলে ইপিওর কাছে বৈধতা পায় মডার্না, যা ৫৬৫ নামে পরিচিত। এটি করোনাভাইরাস ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে এমআরএনএ-ভিত্তিক আরেকটি প্রযুক্তি। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করছে মডার্না।

অবশ্য ইপিওর রায়ে পেটেন্টের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে সীমিত নয়। একাধিক দেশের আদালতে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে মডার্না। আদালতগুলো পেটেন্টের বৈধতা এবং ফাইজার ও বায়োএনটেক তা লঙ্ঘন করেছে কিনা সে বিষয়ে রায় দিতে থাকবে। জরিমানার বিষয়েও আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।



;

যুক্তরাজ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক শনাক্তের নতুন উদ্যোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নজরদারি বাড়ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণের দিকে ঝোঁক বাড়িয়েছে। এর আওতায় শিগগিরই পুনর্ব্যবহারের প্যাকেজিং শনাক্তে নতুন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে চেইন স্টোর ব্র্যান্ড মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সর। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে পানীয়ের বোতল, কার্টন ও অন্যান্য প্লাস্টিকের প্যাকেজিংয়ের গন্তব্য সহজে খুঁজে বের করা যাবে। 

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পলিট্যাগ নামের সংস্থাটির প্যাকেজিংয়ে অদৃশ্য ট্যাগ প্রিন্ট করা থাকে। এতে থাকা বার্তা প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার কেন্দ্রে থাকা ইলেকট্রনিক যন্ত্রগুলো পড়তে পারে। যার মাধ্যমে একক ব্যবহারসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ অদৃশ্য ট্যাগ-সংবলিত পণ্য তিন মাসের মধ্যে এমঅ্যান্ডএসের তাকে পাওয়া যাবে।

এর আগে সিস্টেমটির বিভিন্ন দিক কো-অপ, অ্যালডি ও ওকাডোর মতো চেইন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গভাবে কোনো স্টোরে এর ব্যবহার হচ্ছে।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে উত্তর আয়ারল্যান্ড ও উত্তর লন্ডনের এডমন্টনে পুনর্ব্যবহারের স্থাপনায় ট্যাগ পড়তে পারে এমন যন্ত্র ইনস্টলেশনের জন্য অর্থায়ন করবে এমঅ্যান্ডএস। এরই মধ্যে ওয়েলশ সরকার তিনটি কেন্দ্রে এ ধরনের যন্ত্র ইনস্টলেশনের জন্য অর্থায়ন করছে।

এক বছরের মধ্যে ১২টিরও বেশি কেন্দ্রে কাজ করার লক্ষ্য নিয়েছে বলে জানিয়েছে পলিট্যাগ। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের গৃহস্থালি থেকে প্লান্টে যাওয়া একক ব্যবহারের প্লাস্টিক বর্জ্যের অর্ধেকই তাদের আওতায় আসবে। আশা কারা হচ্ছে, বাজারের অন্য খুচরা পণ্য বিক্রেতারা পুনর্ব্যবহার কেন্দ্রে অর্থায়ন করবে। এ ধরনের ৪৮টি কেন্দ্রে যুক্ত হলে ৯৫ শতাংশ পরিবারের বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্পের আওতায় আনা যাবে বলে জানিয়েছে পলিট্যাগ।

এদিকে আগামী বছর থেকে এক্সটেনডেট প্রডিউসর রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) নামের নতুন প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। এতে খুচরা বিক্রেতাদের প্লাস্টিকের ব্যবহারের জন্য আলাদা ফি দিতে হবে।

ইপিআরের আওতায় খুচরা বিক্রেতারা পণ্যে ব্যবহৃত প্যাকেজিংয়ের তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাতে বাধ্য। মূলত উন্নত পুনর্ব্যবহারযোগ্য অবকাঠামো নির্মাণে বিক্রেতাদের দেয়া ফির একটি অংশ ব্যবহার হবে। পলিট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে তারা এ ফি থেকে কিছুটা ছাড়ও পেতে পারেন।

পলিট্যাগের প্রধান নির্বাহী অ্যালিস র‌্যাকলি বলছেন, ‘এ ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিকের পাত্র ও বোতল বাছাই করতে সহায়তা করবে। রাসায়নিকের মাধ্যমে দূষিত হয় এমন সামগ্রীর চেয়ে খাবারের প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের গুরুত্ব বেশি। পলিট্যাগের মাধ্যমে এগুলো আরো সহজে আলাদা করা যেতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌পণ্যে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সঠিকভাবে রিসাইকেল করা হয়েছে তা দেখানোর মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতারা লাভবান হবেন। এটি কম ইপিআর ফি দেয়ার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন তারা।

;

ইরানে দুই নারীসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। শনিবার (১৮ মে) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন। টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) জানিয়েছে, ইরানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের উর্মিয়া কারাগারে মাদকের বিভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাঁচজন পুরুষের সঙ্গে দুজন নারীর মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পারভীন মোসাভি নামের দুই সন্তানের এক জননীও রয়েছেন।

এ ছাড়া নিসাপুরে ফাতেমিহ আব্দুল্লাহি নামের অপর এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।

আইএইচআর জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইরানে ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলে পার্সিয়ান নববর্ষ এবং রমজানের ছুটির শেষে একটি নতুন ঢেউ শুরু হয়েছিল। তখন থেকে ১১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন নারী রয়েছেন।

এদিকে আগামীকাল সোমবার (২০ মে) এক ইহুদি যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে ইরান। ইরান হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম আরভিন ঘহরেমানি। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কামরান শেখেহ নামের এক কুর্দি নাগরিকও একই ঝুঁকিতে রয়েছেন।

;

রাশিয়ার বিরুদ্ধে খারকিভ হামলার অভিযোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে নতুন করে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। খারকিভের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুটি শহরে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। শনিবারের (১৮ মে) এসব হামলায় শিশুসহ অন্তত ছয় বেসামরিক আহত হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রসিকিউটরেরা জানিয়েছেন, খারকিভের আঞ্চলিক রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার বিমান হামলাকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করছেন তারা। রুশ সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভোভচানস্ক শহরে হামলায় ৬০ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া তিন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে।  

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার পুনঃআক্রমণ মোকাবিলায় তার দেশের সেনাদের সাফল্যের কথা জানিয়েছেন। এক ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, ‘খারকিভ অঞ্চলে আরও শক্ত অবস্থানে রয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এ ছাড়া পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের চাসিভ ইয়ার শহরের চারপাশে রুশ হামলা প্রতিহত করা হচ্ছে। আমাদের সেনারা রাশিয়ার ২০টিরও বেশি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে।’

এদিকে বেসামরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। দেশটির বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনের ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

গত সপ্তাহে বেলগোরোদে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে  ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। শনিবার বেলগোরোদের আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাদকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় পেট্রোভকা গ্রামে একজন নারী ও একজন পুরুষ আহত হয়েছেন।

;