মুম্বাইয়ের বিলবোর্ডের মালিক ভাভেশ গ্রেফতার
ভারতের মুম্বাইতে বিলবোর্ডের দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত পরে ওই বিলবোর্ডের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
জি নিউজ জানিয়েছে, বিশাল বিলবোর্ডটি নিচে পড়ে একটি পেট্রোল স্টেশনে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, গত সোমবারের ওই দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে আরও ৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতের উপকূলীয় এই মেগাসিটিতে প্রবল বৃষ্টি এবং ধুলোঝড়ের সময় বিশাল বিলবোর্ডটি ধসে পড়ে।
পুলিশ বিলবোর্ডের মালিক ভাভেশ ভিন্দের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছে। বিলবোর্ড ধসের পর ভাবেশ মুম্বাই ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
মুম্বাই পুলিশের যুগ্ম কমিশনার লক্ষ্মী গৌতম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গভীর রাতে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার উত্তরে পর্যটন শহর উদয়পুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
গৌতম বলেছেন, ‘ভাভেশকে উদয়পুরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলগুলো তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল এবং অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে খুঁজে পেয়েছে।’
গত সোমবার মুম্বাইয়ে ঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে পড়েছে এবং শহরটির আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্ষিপ্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং শহরের ট্রেন নেটওয়ার্ক ব্যাহত হয়েছে।
ঝড়ের কারণে মুম্বাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও সাময়িকভাবে ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই সপ্তাহের শুরুতে মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মুম্বাইয়ের সব বিলবোর্ডের অডিট করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে শুক্রবার (১৭ মে) জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটি রাশিয়ায় অস্ত্র রপ্তানি করছে এমন জোরালো অভিযোগ কিম জং উনের ক্ষমতাধর বোন অস্বীকার করার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই ব্যালিস্টিক ক্ষেণাস্ত্রের পরীক্ষার খবর জানায় সিউল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেন, ‘জাপান সাগর নামে পরিচিত পূর্ব সাগর অভিমুখে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।’
সিউলের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জাপানি সম্প্রচার কেন্দ্র এনএইচকে জানিয়েছে, ‘ক্ষেপণাস্ত্রটি স্বল্প-পাল্লার বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং সেটি ইতিমধ্যেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।’
এদিকে কিম ইয়ো জং বলেছেন, ইউক্রে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় অস্ত্র পাঠাচ্ছে এমন তথ্য প্রচার করে জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে সিউল ও ওয়াশিংটন।
তার এই মন্তেব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়।
২০২২ সালের এপ্রিলে উত্তর কোরিয়া স্বল্প-পাল্লার একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর পিয়ংইয়ংয়ের এটি হচ্ছে সর্বশেষ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা।
তখন পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের কাছে আঘাত হেনেছিল।
অন্যদিকে, মস্কোতে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র রপ্তানির অভিযোগ তদন্ত করছে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
গত মার্চে সিউল দাবি করেছিল যে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রায় ৭ হাজার কন্টেইনার অস্ত্র রাশিয়ায় পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটি গণহত্যার প্রতি উপহাস : ইসরায়েল
রাফাহ অভিযান বন্ধ করা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের শরনাপন্ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দেশটি গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের কারণে গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও ঠুকেছিল।
জবাবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের শুক্রবারের (১৭ মে) শুনানিতে গাজা আক্রমণের সামরিক প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে ইসরায়েল।
এ সময় ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা গিলাদ নোয়াম দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাকে ‘সত্য তথ্য ও বাস্তব পরিস্থিতি থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে অভিহিত করেন।
নোয়াম বলেন, ‘এই মামলা গণহত্যার প্রতি উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।’
ইসরায়েলের উপস্থাপনার আগে কয়েক ডজন ইসরায়েলপন্থী বিক্ষোভকারী আদালতের বাইরে জড়ো হয়েছিল।
তারা গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মিদের ছবি প্রদর্শন করে তাদের মুক্তির দাবি জানায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলকে অবিলম্বে, নিঃশর্তে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার আদেশ দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ভুসিমুজি ম্যাডোনসেলা।
ইউক্রেনের শতাধিক ড্রোন প্রতিরোধের দাবি রাশিয়ার
রাশিয়ার দক্ষিণে এবং সংযুক্ত ক্রিমিয়া ও কৃষ্ণসাগরের আকাশে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ইউক্রেনের ১০০টিরও বেশি ড্রোন হামলা প্রতিরোধ করেছে মস্কো।
রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১৭ মে) এ খবর নিশ্চিত করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্রিমিয়ায় ৫১টি, ক্রাসনোদার অঞ্চলে ৪৪টি, বেলগোরোড অঞ্চলে ৬টি, কৃষ্ণ সাগরের ওপরে ৬টি এবং কুরস্কে ১টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।’
যুদ্ধর শুরুর পর থেকে এক রাতে এটিই ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলার ঘটনা।
রুশ বাহিনী অগ্রসর হয়ে নতুন এলাকা দখল নেওয়ায় গত ১৮ মাসের মধ্যে এটি ছিল তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ারের (আইএসডব্লিউ) ডাটা থেকে এএফপি জানিয়েছে, গত ৯ থেকে ১৫ মে’র মধ্যে মস্কো ইউক্রেনের ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে।
এদিকে, ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরে কঠিন লড়াই চলছে বলে জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা বেশকিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনীয় সেনারা দখলদারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতি সাধন করছে। তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের ইউনিটকে শক্তিশালী করছি।’
খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ বলেছেন, ইউক্রেন এই অঞ্চলে ফ্রন্ট লাইনকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং রাশিয়ার অগ্রগতি আংশিকভাবে থামাতে সক্ষম হয়েছে।