টোকিও অলিম্পিক

জাপানের রাইজিং সান পতাকা নিষিদ্ধের দাবি দ. কোরিয়ার



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাপানের রাইজিং সান পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

জাপানের রাইজিং সান পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টোকিও অলিম্পিকে জাপানের রাইজিং সান পতাকা নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। অন্যদিকে জাপানের ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আয়োজকরা বিতর্কিত পতাকাটি নিষিদ্ধ করতে রাজি হননি।

দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ বলছেন, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের দশকগুলোতে জাপানি শাসনের অধীনে সহিংসতা, পাশবিক জীবনের স্মৃতি জাগিয়ে তোলে এ ‘শয়তানের পতাকা’ (রাইজিং সান পতাকা)। জাপানি সেনারা এ পতাকা দেখিয়েই লাখো মানুষকে হত্যা করেছেন, যাদের মধ্যে বহু কোরিয়ান রয়েছেন।

a
শিল্পীর তুলিতে কোরিয়ায় জাপানের আগ্রাসন, ছবি: সংগৃহীত

 

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়া সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি মনে করে, তথাকথিত রাইজিং সান পতাকাটি আগামী বছর টোকিও অলিম্পিকে অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে নিষিদ্ধ করা উচিত।

কারণ, দক্ষিণ কোরিয়া এ পতাকাকে জাপানিদের ‘সাম্রাজ্যবাদ ও সামরিকতন্ত্রের’ প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে।

তবে চলতি সপ্তাহে টোকিও-২০২০ অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি বলেছে যে পতাকাটি জাপানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি নিষিদ্ধ করা হবে না।

তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, পতাকা নিজেই একটি রাজনৈতিক বিবৃতি হিসেবে বিবেচিত হয় না, সুতরাং এটিকে নিষিদ্ধ বস্তু হিসেবে দেখা হয় না।

এ সিদ্ধান্তটি দক্ষিণ কোরিয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, সেখানে ক্রীড়া সংসদীয় কমিটির সভাপতি আন মিন-সুক এ সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে আন বলেন, যুদ্ধের প্রতীকী পতাকা শান্তিপূর্ণ অলিম্পিক গেমসের জন্য উপযুক্ত নয়।

a
দক্ষিণ কোরিয়ায় জাপানের রাইজিং সান পতাকাবিরোধী আন্দোলন, ছবি: সংগৃহীত 

 

উদীয়মান সূর্যের পতাকাটি এশিয়ান এবং কোরিয়ানদের কাছে শয়তানের প্রতীকের অনুরূপ, যেমনটি স্বস্তিকা নাৎসিদের প্রতীক, যা ইউরোপীয়দের আক্রমণ ও বিভীষিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

কোরিয়ান ক্রীড়া ও অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে যে টোকিও ২০২০ বা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কাছে পতাকাটি নিষিদ্ধ করার জন্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করা হয়নি।

আইওসির মুখপাত্র বলেন, খেলার সময় স্টেডিয়ামগুলো রাজনৈতিক বিক্ষোভমুক্ত রাখতে হবে। গেমসের সময় উদ্বেগ দেখা দিলে আমরা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সপ্তাহের প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র কিম ইন-চুল বলেছেন, জাপান সরকারের উচিত তাদের ইতিহাসের স্বীকৃতি দেওয়া। এটি জাপান সরকারের বোঝা উচিত যে রাইজিং সান পতাকাটি প্রতিবেশী দেশগুলোতে জাপানি সাম্রাজ্যবাদ ও সামরিকতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

a
রাইজিং সান পতাকা নিয়ে জাপানিদের উল্লাস, ছবি: সংগৃহীত 

 

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার টোকিও-২০২০ এ পতাকাটি প্রদর্শন বাতিলের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

দু'দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য বিস্তারের মধ্যে এ পতাকা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যা গত জুলাই মাস থেকে বেড়েই চলেছে।

জাপানের কাছে রাইজিং সান পতাকা সংস্কৃতির অংশ। পতাকাটি ইম্পেরিয়াল জাপানি সেনাবাহিনী ব্যবহার করেছিল এবং দেশের নৌ ও প্রতিরক্ষা বাহিনী এখনও এ পতাকা ব্যবহার করে।

টুইটারে এক জাপানি নাগরিক লিখেছেন, উদিত সূর্য প্রতীকটি কী উপস্থাপন করে, সে সম্পর্কে আমাদের ভিন্ন মতামত থাকতে পারে, তবে এর অর্থ এমন নয় যে তারা সব সময় আমাদের শত্রু।

বিশ শতকের প্রথমার্ধে, কোরিয়ান উপদ্বীপে জাপান উপনিবেশ স্থাপন করে এবং অনেক কোরিয়ানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যারা বেঁচেছিলেন, তাদের দাস বানিয়ে রাখা হয়েছিল। এ নির্মম সময়টি প্রবীণ কোরিয়ানদের স্মৃতিতে আছে। উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া উভয় ক্ষেত্রেই এটি বড় ক্ষত হিসেবে দেখা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং সে সময় জাপানি সৈন্যদের যৌন সেবা দিতে বাধ্য করা হতো কোরিয়ান নারীদের।

দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট ভক্তুভোগী নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে জাপানি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। যদিও দীর্ঘকালীন যুদ্ধ থামাতে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান ১৯৬৫ সালে এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। অনেক কোরিয়ান মনে করেন, এ চুক্তিটি অন্যায্য ছিল এবং তারা বিশ্বাস করেন যে ভুক্তভোগীদের আইনগত দাবি করার এখনও অবকাশ রয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বাণিজ্য বিরোধে রূপ নিয়েছে। জুলাই মাসে টোকিও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি রাসায়নিক পদার্থের রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যা কম্পিউটারের চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

গত মাসে, জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়াকে তার পছন্দসই ব্যবসায়ীক অংশীদারদের তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক এ পদক্ষেপটিকে ‘অন্যায়’ বলে আখ্যায়িত করে এবং বলেছে, এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ‘বৈরী জাতি’ হিসেবে গণ্য হচ্ছে জাপান।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীদের অংশীদারদের তালিকা থেকে জাপানকে সরিয়ে দিয়েছে। তারা ঘোষণা করেছে, এর মাধ্যমে জাপানের সঙ্গে তাদের সামরিক অংশীদারিত্ব চুক্তিটি বাতিল হয়েছে, যা ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে এ বাণিজ্য বিরোধ স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে।

   

যুক্তরাষ্ট্রে ১২ সেকেন্ডে ৩০০ কোটি টাকা চুরি!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা শেষ করা দুই ভাই নিজেদের লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মাত্র ১২ সেকেন্ডে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন হলেন ২৪ বছর বয়সী আন্তন পেরেইর-বুয়েনো এবং অন্যজন ২৮ বছর বয়সী জেমস পেরেইর-বুয়েনো।

ক্রিপটো মুদ্রায় বড় ধরনের চুরির অভিযোগে ইতোমধ্যে দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের চুরির এই ঘটনাটিকে একটি জলজ্যান্ত উপন্যাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কৌঁসুলিরা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেফতার হওয়া ওই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ক্রিপটো মুদ্রা চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।

কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এমআইটিতে তারা যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, সেই পড়াশোনাকে কাজে লাগিয়েই ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৩০০ কোটি টাকা চুরি করেছিলেন আন্তন ও জেমস। কাজটি করার সময় দুই ভাই একটি সফটওয়্যার কোডের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ক্লোজ হয়ে যাওয়া একটি লেনদেনে প্রবেশ করে ক্রিপটো মুদ্রার গতিবিধি পরিবর্তন করে। এরপর মাত্র ১২ সেকেন্ডের মধ্যেই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লোপাট করেন ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

বর্তমানে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতি এবং পাচারের মতো ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুই ভাইয়ের মধ্যে আন্তনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বোস্টন থেকে, আর জেমসকে গ্রেফতা করা হয় নিউইয়র্কে। গ্রেফতারের ঘটনায় তাদের আইনজীবীদের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে প্রাথমিকভাবে তারা কোনো সাড়া দেননি।

কৌঁসুলিরা দাবি করেছেন, চুরি করার পর আন্তন ও জেমস তহবিল ফেরত দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু এর পরিবর্তে তারা তাদের চুরি করা ক্রিপটো মুদ্রা লুকানোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন; যা তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হিসেবে কাজ করবে।

;

তাইওয়ানের পার্লামেন্টে এমপিদের মারামারি 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে কিল–ঘুষি, মারামারি ও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। 

শুক্রবার (১৭ মে) পার্লামেন্টে অধিবেশন চলার সময় একটি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা বিতর্ক শুরু করলে তা পরে মারামারিতে রূপ নেয়।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নতুন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ভোট শুরুর আগেই পার্লামেন্ট কক্ষের বাইরে কয়েকজন আইনপ্রণেতা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক সময় একে অপরকে ধাক্কা দেন। এরপর তারা স্পিকারের আসনের চারপাশে উঠে আসেন। কেউ কেউ ধাক্কা দিয়ে সহকর্মীকে মেঝেতে ফেল দেন। কেউ টেবিলের ওপর উঠে পড়েন। তবে এর কিছুক্ষণ পরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

গত জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন লাই চিং। আগামী সোমবার তার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই লাই চিংয়ের দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি)। ফলে সরকার গঠন করতে অন্যান্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট করার চেষ্টা করছে।

এরই মধ্যে পার্লামেন্টে প্রভাব বাড়াতে কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিরোধিরা। সেই সংস্কার প্রস্তাব ঘিরেই শুক্রবার পার্লামেন্টে মারামারি হয়েছে এমপিদের মধ্যে।

;

যুদ্ধবিরতির হলে সুবিধা পাবে রাশিয়া : জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া হামলা জোরদার করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি।

রয়টার্স জানিয়েছে, পশ্চিমাদের দ্রুত সমাধানের আহ্বানের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৭ মে) এক সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেছেন, ‘কিয়েভ কেবল ন্যায্য শান্তি চায়।’

জেলেনস্কি আরো আকাশ প্রতিরক্ষা এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে মিত্রদের কাছে ফের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘রাশিয়ার জন্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক বিষয় হলো রুশ অঞ্চলে পশ্চিমাদের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার সেনাদের ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার প্রেক্ষাপটে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন তার প্রতিরক্ষা লাইন ধরে রাখবে এবং রাশিয়ার বড়ো ধরনের যেকোনো অভিযান থামিয়ে দেবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কেউ হাল ছেড়ে দিতে যাচ্ছে না।’

এদিকে অলিম্পিকের জন্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির যে আহ্বান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ জানিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি হলে সুবিধা পাবে রাশিয়া। যুদ্ধবিরতির সুযোগে সেনা ও গোলাবারুদ পাঠানোর আরো সুযোগ পেয়ে যাবে মস্কো।’

জেলেনস্কি আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে চীন ও উন্নয়নশীল বিশ্বের অনেক দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘চীনের মতো বিশ্ব খেলোয়াড়দের রাশিয়ার ওপর প্রভাব রয়েছে। এই ধরনের দেশগুলো যতো আমাদের পাশে থাকবে, রাশিয়াকে ততোটাই মূল্য চুকাতে হবে।’

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা চাই ন্যায্য শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ হোক। পশ্চিমারা চাচ্ছে যতো দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ শেষ হোক। তাদের কাছে সময় এবং আমাদের এটাই চাওয়া।’

রুশ আগ্রাসনের মুখে খারকিভ থেকে হাজার হাজার লোক পালাতে বাধ্য হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘খারকিভের পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে সেখানে স্থিতিশীলতা নেই।’

সাক্ষাতকারে জেলেনস্কি আকাশ প্রতিরক্ষা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশ রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় ইউক্রেনের কেবল ২৫ শতাংশ আকাশ প্রতিরক্ষা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের ১২০ থেকে ১৩০টি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দরকার।’ তিনি এসব যুদ্ধাস্ত্র দিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

;

গাজায় ১০ দিন ধরে চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় গত ১০ দিন ধরে কোন চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নতুন হামলা চালানোর প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) শুক্রবার (১৭ মে) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

ডব্লিওএইচও’র মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক বলেছেন, ইসরায়েল কর্তৃক রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বশেষ চিকিৎসা সামগ্রী পেয়েছি ৬ মে’র আগে।’

উল্লেখ্য, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গত ৭ মে রাফাহতে প্রবেশ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর তারা মিসরের সাথে গাজার সীমান্ত রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

এই রাফাহ ক্রসিং মানবিক সরবরাহের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে, গাজা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করে আসছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। এ প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের দিক থেকে গাজার কেরাম শালোম এবং এরেজ ক্রসিং কার্যত বন্ধ রয়েছে।

জাসারেভিক বলেন, ‘ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো চালানোর মতো প্রয়োজনীয় জ্বালানি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে। গাজার হাসপাতালগুলোর প্রতিমাসে ১৮ লাখ লিটার জ্বালানি প্রয়োজন হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার পর কেবল এক লাখ ৫৯ হাজার লিটার জ্বালানি গাজায় প্রবেশ করেছে, যা স্পষ্টত খুবই কম।’

ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়।

এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মি করে। এখনও তাদের কাছে ১২৮ জিম্মি আটক রয়েছে।

জবাবে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে, যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫,৩০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

;