আজ জানা যাবে কে হচ্ছেন কংগ্রেসের সভাপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী

রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের নতুন সভাপতি নির্বাচন  করতে যাচ্ছে ভারতের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল কংগ্রেস।

শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে বসবে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির নেতারা। সেখান থেকে ঘোষণা আসতে পারে পরবর্তীর দলটির সভাপতির নাম। খবর এনডিটিভির।

এর আগে সকালে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন। সভাপতি নির্বাচনে তারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এবং সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় থাকবেন না বলেও জানান।

নতুন সভাপতি নির্বাচনে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিকে ৫টি ছোট কমিটিতে ভাগ করা হয়। এই কমিটিগুলোকে রাত ৮টা মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে। এরপর রাতে আবার বৈঠকে বসবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, রাত ৮টার পর যে কোনো ঘোষণা হতে পারে পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতির নাম।   

গত জুনে জাতীয় নির্বাচনে দলের পরাজয়ের দায় স্বীকার করে সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী। তারপর থেকেই ফাঁকা রয়েছে কংগ্রেস প্রধানের পদটি।

শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসাবে প্রবীণ নেতা মুকুল ওয়াসনিককে  ভাবা হচ্ছে। 

১৩৪ বছরের ইতিহাসে, ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগ নেহেরু-গান্ধী পরিবারেরই সদস্য ছিলেন। তবে বর্তমানে গান্ধী পরিবারের যে ৩ সদস্য সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

সূত্র জানিয়েছে, রাহুলকে পদত্যাগ প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত নিজের ভূমিকায় অটল থাকেন তিনি।

   

গুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো শঙ্কামুক্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্দুকধারীর গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো কিছুটা শঙ্কা মুক্ত বলে জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী টমাস তারাবা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী টমাস তারাবা জানিয়েছেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমি যতদূর জেনেছি, অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আমার ধারণা শেষ পর্যন্ত তিনি (ফিকো) বেঁচে যাবেন…এ মুহূর্তে জীবনঝুঁকি নেই তার।’

এর আগে, বুধবার (১৫ মে) স্লোভাকিয়ার মধ্যাঞ্চলের হ্যান্ডলোভাতে একটি সরকারি বৈঠক শেষে বের হয়ে আসার পর সেখানে উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী ফিকোকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি ছোড়েন এক বন্দুকধারী।

গুলি লাগার পর মাটিতে পড়ে যান স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এর কিছুক্ষণ বাদেই ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ, ব্রাতিসলাভাতে পৌঁছাতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে হামলার পরপরই এক ব্যক্তিকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। স্লোভাকিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যান্ডলোভার হাউজ অব কালচারের বাইরে ফিকোর পেটে কয়েকটি গুলি করা হয়েছে। পুলিশ ওই স্থানটি ঘিরে ফেলেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

;

দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দ্য হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সফরে পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। দু’দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করবেন তারা।

এছাড়া শুক্রবার (২৭ মে) চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে তিনি সেখানে একটি উৎসবেও যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

বেইজিং সফরের সময় চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের ব্যাপারে আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছেন। দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের পরিকল্পনায় তার সমর্থন রয়েছে।

;

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: রাফায় বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। এখন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে শহর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। গত ০৬ মে’র পর থেকে এখন পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে খাদ্য, পানির সংকট এবং পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের অভাবে মানুষ শহর ছেড়ে পালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ২৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজার ১৪১ জন। নিহতদের বেশির ভাগই নারী এবং শিশু।

;

‘বাইডেনের ইসরায়েলপ্রীতি-ই গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির কারণ’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাঁস হওয়া বেশ কিছু গোপন নথিতে গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসনের সহযোগিতার বিষয়টি উঠে এসেছে। নথি অনুযায়ী বাইডেনকে খোদ তার প্রশাসনের কর্মকর্তারাই ‘দুষ্কৃতিকারী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিষয়গুলো সামনে এনেছে। এখানে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে চলমান গণহত্যায় প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইসরায়েলের এসব আগ্রাসনে প্রতিদিন অসংখ্য প্রাণ নিভে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এই কাজে অবিরাম সহযোগিতা করছেন। 

প্রতিবেদনটিতে বাইডেন প্রশাসনের অসংখ্য ভুল পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত উন্মোচন করা হয়েছে যার ফলে উত্তর গাজায় বিপর্যয়কর দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। ফাঁস হওয়া নথি, বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য এবং গাজার ভুক্তভোগীদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবরে গাজা উপত্যকায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে সেই আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি নিরস্ত্র ও নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাঁপা পড়েছেন আরও ৭ সহস্রাধিক মানুষ।

ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণে গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর মধ্যে ১৯ লাখই এখন উদ্বাস্তু যারা গত কয়েক মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। গাজার এসব বাসিন্দা বিদেশি সাহায্যনির্ভর হলেও সীমান্ত দিয়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ঢুকতে না দেয়ায় শুরু থেকেই ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে রূপ নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সেই প্রথম থেকেই দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে সতর্কতা ও হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। তবে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) প্রথমবারের মতো জানায়, ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রায় সাত মাস পর উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে ‘পুরোদমে দুর্ভিক্ষ’ শুরু হয়েছে।

গত ৫ মে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির সম্প্রচার করা এক সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বলেন, ইসরায়েলের অবরোধের মধ্যে গাজার অধিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে বাইরের খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।

এরই মধ্যে এ উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করার পর সেখানে মানবিক সহায়তা সরবরাহের ওপর ব্যাপকভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। গাজার বাসিন্দাদের চূড়ান্তভাবে একঘরে করে ফেলেছে ও এখানকার একাংশকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে এটি। দুর্ভিক্ষ এখন ছড়িয়ে পড়ছে গাজার দক্ষিণে।

ত্রাণ সহায়তায় নিয়োজিত সংস্থাগুলো বলছে, আকাশ ও সমুদ্রপথে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সরবরাহ করা ত্রাণ গাজার ২৩ লাখ মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়। তাদের ক্রমবর্ধমান একটি অংশ অপুষ্টির শিকার হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। এছাড়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের বিকাশ এবং ক্ষুধায় মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের বিশেষজ্ঞ দল এবং ত্রাণ সহায়তা সংস্থা বারবার সতর্কবার্তা দেয়ার পরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, তারা মার্কিন ত্রাণ সংস্তা ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা ও গাজায় কর্মরত বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এছাড়া ইউএসএআইডির অভ্যন্তরীণ বহু নথি তাদের হাতে এসেছে।

প্রতিবেদন মতে, বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার ও ফাঁস হওয়া নথিগুলো বলছে যে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসন দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার অনুমতি দেয়ার জন্য মিত্র ইসরায়েলকে রাজি করার জন্য নিজের সক্ষমতা ব্যবহার করার আবেদন বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে বা উপেক্ষা করেছে।

সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন যে, যুদ্ধবিরতি বা সংকট নিরসনের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে বাধা দিয়ে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি করতে ইসরায়েলকে যাবতীয় কূটনৈতিক সহযোগিতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যার ফলে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ ও সরবরাহ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সাবেক কর্মকর্তা জোশ পল, যিনি ইসরাইলি যুদ্ধে ঢালাও মার্কিন সমর্থনের কারণে পদত্যাগ করেছিলেন, তিনি দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেছেন, 

একটা জনগোষ্ঠীকে অনাহারে মারার পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র সেদিক থেকে শুধুমাত্র চোখই ফিরিয়ে থাকেনি, বরং দেশটি এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

ইসরায়েল বরাবর জোর গলায় বলে এসেছে যে, গাজায় কোনো ক্ষুধা বা খাদ্য সংকট নেই। উল্টো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ওপর দোষ চাপিয়ে বলেছে, গাজায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেছে হামাস।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, গত এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে কমপক্ষে ৩২ জন মারা গেছেন যার মধ্যে ২৮ জনই শিশু। মৃত্যুর প্রহর গুনছেন আরও অনেকেই। এ ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন যদি সরকারিভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে সেসব উদ্বেগের বিষয়ে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতেন, তাহলে অনেকের মৃত্যু রোধ করা যেত। কর্মকর্তারা বলছেন, গত ডিসেম্বরে প্রথম যখন সতর্কতা সংকেত দেয়া হয়েছিল, তখন সীমান্তের আরও স্থল ক্রসিং খোলার জন্য ইসরায়েলের উপর যুক্তরাষ্ট্র চাপ অব্যাহত এবং ত্রাণ সরবরাহ চালু রাখলে গাজার দুর্ভিক্ষ থামানো যেত।

কিন্তু বাইডেন ইসরায়েলকে মার্কিন সামরিক সহায়তা দানকে শর্তসাপেক্ষ করতে অস্বীকার করেন। পরিবর্তে তার সরকার এয়ারড্রপস তথা বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা এবং গাজায় ভাসমান বন্দর নির্মাণের মতো সময়সাপেক্ষ ও অকার্যকর উপায় অনুসরণের সিদ্ধান্ত নেয়।

সারা বিশ্বই এখন জানে যে,  এয়ারড্রপস তথা বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার কার্যক্রম পুরোটাই ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে সংঘাতের সাত মাস পার হয়ে গেলেও গাজায় অস্থায়ী বন্দর তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি; যার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তথ্য মতে, গাজার উত্তরে প্রায় ৩ লাখ ফিলিস্তিনি এখন সম্পূর্ণ দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং ২৩ লাখ জনসংখ্যা বিপর্যয়কর মাত্রার ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছেন।

;