পেনাংয়ে সবচেয়ে বেশি আটক বাংলাদেশি অভিবাসী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে বছরের প্রথম ৬ মাসে সবচেয়ে বেশি আটক হয়েছেন বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীরা। এরই মধ্যে অবৈধ অভিবাসী ধরতে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে মালয়েশিয়ার পেনাং ইমিগ্রেশন বিভাগ। তবে অভিযানের পূর্বেই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়াতে বিপাকে পড়ছে সংস্থাটি।

পেনাং ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ হুসনি মাহমুদ বলেছেন, তার অফিসারদের অভিযানে যাওয়ার বিষয়টি সার্বক্ষণিকভাবে একটি অপরাধী চক্র পর্যবেক্ষণ করছে এবং অভিযানের পূর্বেই অবৈধ অভিবাসীদের সিন্ডিকেটগুলোকে জানিয়ে দিচ্ছে। ফলে ইমিগ্রেশন কার্যালয় সেবেরাং জায়ায় নিরাপত্তা আরো বৃদ্ধির দিকে নজর দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, যাই হোক আমরাও নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করেছি এই সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। যারা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিয়েছেন এবং এই ধরনের গোয়েন্দাগিরি করছেন, তারা রক্ষা পাবেন না। কারণ আমরা অভিযানের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে দিবো।

মুহাম্মদ হুসনি বলেন, বছরের প্রথম ৬ মাসে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ টি করে অভিযান পরিচালনা করেছি আমরা অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে এবং যারা অভিবাসী সংক্রান্ত অপরাধ ঘটিয়ে যাচ্ছে, তাদের আটক করতে।

তিনি বলেন, গত বছরের শেষ ৬ মাসে আটক হয়েছিলেন এক হাজার ৪৪৬ জন বিদেশি। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে আটক হয়েছেন এক হাজার ৫৫৬ জন অবৈধ অভিবাসী।

তিনি জানান, আটক হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আটক হয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিক। মোট ৬৩১ জন বাংলাদেশি প্রথম ৬ মাসে আটক হয়েছেন। এরপরে রয়েছেন, ৩৪৬ জন ইন্দোনেশিয়ান, মায়ানমারের ৩৩১ জন, থাইল্যান্ডের ১২৬ জন, ভিয়েতনামের ১২৬ জন এবং বাকিরা অন্যান্য দেশের।

তিনি বলেন, এছাড়াও এই প্রথম ৬ মাসে ২ হাজার ৩৪ জন অভিবাসী বিভিন্ন মেয়াদের সাজা বরন করে মালয়েশিয়া নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন।

তিনি বলেন, যেসব অভিবাসী পেনাংয়ে কাজ করছেন, তাদের আমাদের আইন ও নিয়ম কানুন মেনেই থাকতে হবে।

   

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্যারিসে ব্যাপক বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার রাফাগ শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ গোলাবর্ষণের বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ মে) প্যারিসে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে প্রায় ১০ হাজার লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা সেখানে ‘আমরা সবাই গাজার শিশু’, ‘মুক্ত গাজা’ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনপন্থী শ্লোগান দেয়।

এদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার একদিন পর এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রাফাহতে ইসরায়েলের ওই হামলায় ৪৫ জন প্রাণ হারায়।

এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার মুখে পড়েছে ইসরায়েল।

বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্স-প্যালেস্টাইন সলিডারিটি গ্রুপের ফ্রাঁসোয়া রিপ বলেছেন, ‘এটি একটি বড় ধরনের গণহত্যা।’

অন্যদিকে প্যারিস পুলিশ সার্ভিস জানিয়েছে, বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করেছে।

সমাবেশে একটি বড় ব্যানারে লেখা ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মানবতাকে হত্যা করছে।

;

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্যারিসে ব্যাপক বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার রাফাগ শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ গোলাবর্ষণের বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ মে) প্যারিসে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে প্রায় ১০ হাজার লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা সেখানে ‘আমরা সবাই গাজার শিশু’, ‘মুক্ত গাজা’ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনপন্থী শ্লোগান দেয়।

এদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার একদিন পর এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রাফাহতে ইসরায়েলের ওই হামলায় ৪৫ জন প্রাণ হারায়।

এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার মুখে পড়েছে ইসরায়েল।

বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্স-প্যালেস্টাইন সলিডারিটি গ্রুপের ফ্রাঁসোয়া রিপ বলেছেন, ‘এটি একটি বড় ধরনের গণহত্যা।’

অন্যদিকে প্যারিস পুলিশ সার্ভিস জানিয়েছে, বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করেছে।

সমাবেশে একটি বড় ব্যানারে লেখা ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মানবতাকে হত্যা করছে।

;

বিশ্ব পুষ্টি দিবস

আফগানিস্তানে ৩০ লাখ শিশু অপুষ্টির শিকার: বিশ্ব খাদ্য সংস্থা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানে ৩০ লাখ শিশু পুষ্টিহীনতার শিকার বলে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে। ২৮ মে বিশ্ব পুষ্টি দিবসের প্রাক্কালে সংস্থাটি এ তথ্য প্রকাশ করে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিশ্ব পুষ্টি দিবস উপলক্ষে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বার্তায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা তথ্য প্রকাশ করে জানায়, আফগানিস্তানে বর্তমানে ৩০ লাখ শিশু অপুষ্টির শিকার। এর মধ্যে মাত্র ১৩ লাখ শিশু ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে।

আফগানিস্তানে আর্থিক ও মানবিক সংকটের কারণে শিশুরা এ সমস্যায় ভুগছে। গত বছর আফগানিস্তানে ত্রাণ সহায়তা হ্রাসের কারণে অপুষ্টির শিকার হয়ে অনেক শিশু ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিসের নির্বাহী পরিচালক (কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স) অ্যাডাম সেরানো সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, চলতি বছর আফগানিস্তানে ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণসহায়তা দরকার। সেখানে মানবিক বিপর্যয় চলছে।

;

আইসিসি'র বিচারককে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলের গোয়েন্দাপ্রধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) তৎকালীন প্রধান বিচারককে ২০২১ সালের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত বন্ধ করতে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের তৎকালীন প্রধান ইয়োসি কোহেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার মঙ্গলবারের (২৮ মে) অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোসাদের এই সাবেক প্রধান কোহেন আইসিসির সাবেক প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদাকে একাধিকবার গোপনে হুমকি দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনটি বিশ্বাসযোগ্য। কারণ, ইসরায়েল এবং এর প্রধান পশ্চিমা মিত্ররা আন্তর্জাতিক বিচার সংস্থাগুলোকেশেুরু থেকেই চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছে।

বেনামী সূত্রের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে কথিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্তের জন্য বেনসুদাকে চাপ প্রযোগের জন্য গোপনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কোহেন।

২০২১ সালে শুরু হওয়া ওই তদন্তের ভিত্তিতেই গত সপ্তাহে বেনসুদার উত্তরসূরি করিম খান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করেন।

করিম খান ঘোষণা করেন যে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ফৌজদারি বিধি মোতাবেক অপরাধী।

এক ব্যক্তি কোহেনের কার্যকলাপ সম্পর্কে বলেছেন, ‘বেনসুদাকে ভয় দেখানো এবং প্রভাবিত করার চূড়ান্ত ব্যর্থ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ঘৃণ্য কৌশল ব্যবহার করেছিলেন কোহেন।’

আইসিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেয়ার করা তার জবানবন্দী অনুসারে, কোহেন বেনসুদাকে বলেছিলেন, ‘আপনার উচিত আমাদের সাহায্য করা এবং আমাদের উচিত আপনার যত্ন নেওয়া। আপনি নিশ্চয়ই এমন কোনো ঝামেলায় পড়তে চান না, যাতে করে আপনার বা আপনার পরিবারের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।’

করিম খান যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহুর পাশাপাশি তিন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি (দেইফ নামেও পরিচিত) এবং ইসমাইল হানিয়াহ-এর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন।

তবে, আইসিসির সদস্য নয় বলে এর এখতিয়ারকে স্বীকৃতি দেয় না ইসরায়েল।

বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে, আইসিসির অভিযোগ গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের বৈধতাকে আরও দুর্বল করেছে এবং ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে এর সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে।

কিন্তু, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায় থেকে ইসরায়েলকে রক্ষার চেষ্টা করছে তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে করিম খানের পদক্ষেপকে ‘আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন পরামর্শ দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়নে কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক হোয়াইট হাউস।

;