রাখাইনে সেনা ও আরাকান আর্মির তীব্র যুদ্ধ চলছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রাখাইনে সেনা ও আরাকান আর্মির যুদ্ধে বসতবাড়ি ছেড়ে শরণার্থী হিসেবে পালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

রাখাইনে সেনা ও আরাকান আর্মির যুদ্ধে বসতবাড়ি ছেড়ে শরণার্থী হিসেবে পালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

  • Font increase
  • Font Decrease

রাখাইনে সেনা ও আরাকান আর্মির যুদ্ধে বসতবাড়ি ছেড়ে শরণার্থী হিসেবে পালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।  ২৭ জুলাই থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে  আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে লড়াই  চলছে। দিন দিন এ লড়াই তীব্র হয়েছে এবং গত দশ দিনের মধ্যে শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) মিয়ানমারের এক কর্মকর্তা স্থানীয়  মিডিয়াকে এসব জানিয়েছেন।

সংঘর্ষ এলাকা মিনবায়া অঞ্চলের সংসদ সদস্য ইউ হলা থেইন অং বলেন, শরণার্থীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন। এখনও কোনও সহায়তা সরবরাহ করা হয়নি। গত কয়েকদিন ধরে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে।  আমরা সংঘর্ষের কারণে জড়িত গ্রামগুলোকে সহায়তা দিতে পারি নাই। মিনবায়ার সুশীল সমাজের গোষ্ঠী  শরণার্থী শিবিরে কিছু খাবার সরবরাহ করছে। আমাদের সরকারের সহায়তা দরকার।

গত কয়েকদিন ধরে মিনবায়ার কালামা তুং এবং বু চুং গ্রামের আশেপাশে সামরিক ও এএ-এর মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে।

২৭ জুলাই কালামা তুংয়ের গ্রামগুলো থেকে বাঁচতে ৬ হাজার  শরণার্থী এসেছে।

তিনি বলেন, এদের মধ্য আটটি মঠে প্রায় আড়াই হাজার  থেকে তিন হাজার লোকের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

শরণার্থীরা দন থার, মইন তান মা, তাং পোনে কে, সেট তারা, কিউক সাউং, পোনে থার এবং লাত খুউত সহ প্রায় ৩০ টি গ্রামের বাসিন্দা। এ গ্রামগুলোতে লড়াই সবচেয়ে ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। জোন থার এবং কিউক মাওয়াসহ প্রায় ১০ টি গ্রাম সংঘাতের মধ্যে পড়ে গেছে।

রাখাইন জাতিগত কংগ্রেসের (আরইসি) সেক্রেটারি জেনারেল কো জাও জাউ তুন এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, সেখানে প্রবেশ করা কঠিন। ৩ হাজারেরও বেশী গ্রামবাসী  আটকা পড়েছেন বলে আমাদের বিশ্বাস।   লড়াই এতটাই মারাত্মক যে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো এমনকি সরকারি সংস্থাগুলোও এই অঞ্চলে যেতে সাহস পায় না। ২৭ জুলাই মিয়ানমার সেনাবাহিনী এ অঞ্চলে প্রবেশ করে, তার পরদিনই  কালামা পর্বতে তুমুল লড়াই শুরু হয়।

সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, শুক্রবার (২ আগস্ট) সিটওয়ে অঞ্চলের কাছে  ইয়ার টাও গ্রাম থেকে দুই কিলোমিটার দূরে আরাকান আর্মির একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

   

আবারও দলীয় প্রধানের পদে নওয়াজ শরিফ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছয় বছরেরও বেশি সময় পর আবারও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। 

মঙ্গলবার (২৮ মে) দলের কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।  জিও নিউজ এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএমএল-এনের আর কোনো নেতা শীর্ষ পদের জন্য দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ফলে দলীয় সভাপতির নির্বাচনে নওয়াজের কাগজপত্র অনুমোদিত হয়।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজহার আব্বাস জিও নিউজকে বলেন, নওয়াজ পিএমএল-এনের হাল ধরবেন এটাই প্রত্যাশিত ছিল।

পাঞ্জাবে পিএমএল-এনকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, দলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নওয়াজ কোন পথ দেখাবেন তা দেখার বিষয়।

দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য নিউজ জানিয়েছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে নওয়াজ শরিফের দলের সভাপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ মে কে ‘ইউম-ই-তাকবির’ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৮ সালের এই দিনে নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাকিস্তান ভারতের পারমাণবিক পরীক্ষার জবাব দিয়েছিল।

এ উপলক্ষে সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দিনটিকে (২৮ মে) সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির রায়ের ফলে নওয়াজ প্রধানমন্ত্রীত্ব এবং তার দলের সভাপতির পদ উভয়ই হারান। তার পর থেকেই দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন নওয়াজের ছোট ভাই ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।  

বড় ভাই নওয়াজ শরিফকে সভাপতির আসনে বসাতে ১৩ মে দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। 

এর আগে লাহোরে সংবাদ সম্মেলনে পিএমএল-এন পাঞ্জাবের সভাপতি রানা সানাউল্লাহ বলেছিলেন, ‘সর্বশেষ দলীয় বৈঠকে নওয়াজ শরিফকে সভাপতি করার বিষয়ে জ্যেষ্ঠ নেতারা একমত হয়েছেন। বৈঠকে অধিকাংশ নেতা মনে করেন, ২০১৮ সালে নওয়াজ শরিফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দলীয় সভাপতির কার্যালয় থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।’ 

উল্লেখ্য, চার বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকার পর গত অক্টোবরে দেশে ফেরেন নওয়াজ শরিফ। হাইকোর্টে সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর তিনি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন।

;

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াতে বৈঠকে ইইউ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের প্রতি সামরিক সমর্থন বাড়াতে ফের চেষ্টা করতে মঙ্গলবার (২৮ মে) ব্রাসেলসে বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।

মস্কোর পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের তৃতীয় বছরে ইউক্রেন বেশ পিছিয়ে পড়ায় দেশটিকেকে এগিয়ে নিতেই তার নিকটতম মিত্রদের এই প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

এদিকে, ওই বৈঠকের পাশাপাশি বাড়তি সমর্থন জোগাতে স্পেন, বেলজিয়াম এবং পর্তুগালের দুই দিনের সফর করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

বেলজিয়ামের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেলগা জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহবিব মঙ্গলবার বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে ৩০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করবে ব্রাসেলস।’

দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি নিরাপত্তা চুক্তির অংশ হিসাবে ওই বিমানগুলো সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু বলেছেন, ‘আমরা যদি দ্রুত গতিতে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করি, তবেই ইউক্রেন আক্রমণকারীদের পেছনে ঠেলে দিতে পারবে।’

জেলেনস্কি সোমবার (২৭ মে) স্পেনের সঙ্গেও অনুরূপ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির আওতায়, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ক্ষেপণাস্ত্রের যোগান দেবে মাদ্রিদ।

অন্যদিকে ডাচ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কাজসা ওলনগ্রেন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে, নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কিছু অংশ সরবরাহ করবে। সম্পূর্ণ সিস্টেম একত্রিত করার জন্য অন্যান্য অংশ পাঠানোর বিষয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কথা বলছে ডাচ সরকার। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে ইউরোপও লড়াই করছে।’

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল মঙ্গলবার কিয়েভকে গোলাবারুদ সরবরাহ করার জন্য চেক-নেতৃত্বাধীন একটি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করতে প্রাগে ইইউ নেতাদের একটি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

বৈঠকের আগে বক্তৃতায় চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা নিশ্চিত করেছেন যে, ইইউ-এর বাইরে থেকে সংগ্রহ করা গোলাবারুদের প্রথম চালান আগামী জুন মাসে ইউক্রেনে পৌঁছাবে।

উল্লেখ্য, ইইউ-এর আনুমানিক ৬.৫ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা হাঙ্গেরির বিরোধীতার জন্য আটকে রয়েছে। কারণ, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান রাশিয়ার কট্টর মিত্র হিসাবেই পরিচিত।

সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ইইউ ব্লকে ভেটো প্রদানেল ক্ষমতা রয়েছে এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য ইইউ-এর তহবিল দীর্ঘ বিলম্বিত করেছে হাঙ্গেরি।

ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় সামরিক সহায়তাকে অন্যান্য সিদ্ধান্তের দ্বারা জিম্মি হতে দিতে পারি না, যার এই নির্দিষ্ট ইস্যুটির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। বিশেষ করে, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র প্রয়োজন।’

;

হামাসের হামলা : ইরান, চীন ও রাশিয়াকে দায়ী করলেন হ্যালি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৭ অক্টোবর হামাস কর্তৃক ইসরায়েলে হামলার জন্য ইরান, রাশিয়া ও চীনকে দায়ী করেছেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।

ওই হামলায় ধ্বংস হওয়া ইসরায়েলের একটি এলাকা পরিদর্শনের সময় হ্যালি বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেও অনুরূপ হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা চুপচাপ বসে থাকি, তাহলে আমেরিকাতেও এই ধরনের হামলা ঘটতে পারে।’

ফ্লোরিডার সাবেক এই গভর্নর অভিযোগ করেছেন যে, ‘হামাসের এই হামলার আয়োজন করেছে ইরান, রাশিয়ার গোয়েন্দারা তথ্য সহায়তা দিয়েছে এবং অর্থের জোগান দিয়েছে চীন।’

যদিও তার এই দাবির বিপরীতে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি তিনি।

টাইমস অফ ইসরায়েলকে হ্যালি বলেন, ‘চীন শুরু থেকেই ইরানকে অর্থায়ন করে আসছে। রাশিয়ার গোয়েন্দারা ইসরায়েলের কোথায় তী আছে তা জানতে সাহায্য করেছে। ইরান তাদের প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করেছে। এরা সবাই খুনি এবং খুনির সহযোগী।’

উল্লেখ্য, হ্যালির এই অভিযোগ সত্ত্বেও ওই হামলায় রাশিয়া বা চীনা জড়িত থাকার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

এদিকে, গাজায় সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন ইসরায়েলের সমালোচনা করে আসছে।

হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানে ইসরায়েলের পদ্ধতির সমালোচনা করে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মস্কো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবও পেশ করেছে।

;

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের ৩ দেশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের আরও তিন দেশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলের দিকে এই স্বীকৃতি দেয় নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ড।  

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ডের শীর্ষনেতারা পৃথকভাবে ঘোষণা দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনকে তাদের স্বীকৃতি ২৮ মে থেকে কার্যকর হবে। পাশাপাশি তারা আরও দেশকে এ ঘোষণায় যুক্ত হতে আহ্বান জানায়।

ফিলিস্তিনকে এমন স্বীকৃতি দেওয়ায় আরব নেতারা স্বাগত জানিয়েছেন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইসরায়েল। তারা ওইসব দেশ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গর স্তোর তখন সংবাদ সম্মেলনে জানান, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান ইসরায়েলের স্বার্থের জন্যই ভালো। এ সময় তিনি বলেন, ‘নরওয়ে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে ২৮ মে। যদি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে কখনোই শান্তি আসবে না।’

নরওয়ের ঘোষণার একটু পরই আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার দেশও শিগগির ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ঘোষণা দিচ্ছে যে আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছি। এই দেশগুলো এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে অন্যান্য দেশও আমাদের পথ অনুসরণ করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

তারপর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার দেশের মন্ত্রিপরিষদ ২৮ মে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই সানচেজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।

এই তিন দেশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালাচ্ছে তেল আবিব। এতে লাখো মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। সেখানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

ফিলিস্তিনকে ১৪০টি বেশি দেশ এরই মধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে অর্থাৎ জাতিসংঘের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য। যদিও পশ্চিমা প্রভাবশালী দেশগুলো এ নীতি এখনো অনুসরণ করেনি। এখন এটি ফ্রান্স ও জার্মানির জন্য কিছুটা হলেও চাপ দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে। এ ক্ষেত্রে তাদের দাবি হচ্ছে, ফিলিস্তিনকে আগে ইসরায়েলের সঙ্গে সমাঝোতা করে আসতে হবে।

;