ভেনেজুয়েলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত: মাদুরো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, ছবি: সংগৃহীত

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভেনেজুয়েলাকে যদি কেউ বিচ্ছিন্ন করে ফেলার হুমকি দেয় তবে সে অপশক্তির বিরুদ্ধে যে কোন সময় যুদ্ধ ঘোষণার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।

শুক্রবার (২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা এক মন্তব্যের জবাবে স্থানীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভেনিজুয়েলাকে গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। নিকোলাস মাদুরো সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নিকোলাস মাদুরো তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, ভেনেজুয়েলা আগের মতোই স্বাধীন এবং মুক্ত থাকবে। একটি দেশকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলার অধিকার ট্রাম্পের নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এমনকি এই অবৈধ হুমকির বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করার জন্য এই বিশ্ব সংস্থায় নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছেনবলেও জানান তিনি।

এর আগে ভেনেজুয়েলার ৩০ এপ্রিলের নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মাদুরোকে পদত্যাগের আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদোকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বর্তমান সরকারকে প্রত্যাহারের কথা বলে। পরবর্তীতে দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে ওয়াশিংটন।

ভেনেজুয়েলার রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে যদিও ইরান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানিয়ে দেশটির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানিয়ে আসছে। 

 

   

১৬০টিরও বেশি ভূমিকম্পে কাঁপল ইতালির নেপলস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় নেপলসে ১৬০টিরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ও রাতে এ ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।

এদিকে ভূমিকম্পের পর ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নেপলসের আশপাশের এলাকায় অনেকগুলো বাড়িঘর খালি করা হয়েছে এবং অনেক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ ইতালির নেপলসের আশপাশের এলাকায় একের পর এক ভূমিকম্পের পর বাড়িঘর খালি করা হয়েছে এবং অনেক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় এবং রাতে সেখানে ১৬০ টিরও বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ৪.৪ মাত্রার কম্পনটি পোজুলি শহরের কাছে স্থানীয় সময় রাত ৮টার কাছাকাছি হয়। ইতালির ভূপদার্থবিদ্যা ও আগ্নেয়গিরির জাতীয় ইনস্টিটিউট আইএনজিভি বলেছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে এটি এ অঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

নেপলসের মেয়র গাইতানো মানফ্রেদি স্বীকার করেছেন, একের পর এক কম্পনে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হতে পারেন। তবে তিনি বলেছেন, কর্মকর্তারা তাদের বিষয়ে দেখছেন।

ভূমিকম্পের পর পোজুলিতে শতাধিক তাঁবু তৈরি করা হয় এবং কিছু বাসিন্দা রাতের অধিকাংশ সময় রাস্তায় কাটায়। কেউ কেউ আবার অন্যত্র আত্মীয়দের কাছে চলে যায়।

এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে যে নিম্নস্তরের ভূমিকম্প হয়েছে তার কারণে বেশ কয়েকটি পরিবার পুরোপুরি এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছে। 

;

গাজায় সাহায্য কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সমর্থন রাশিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় সকল সাহায্য কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া।

এ তথ্য রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া।

কেবলমাত্র রাফাহ শহরের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে নেবেনজিয়া বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিধানগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার দাবি জানাই এবং ওই এলাকায় কর্মরত জাতিসংঘের এবং সাহায্য কর্মীদের ওপর ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় এগিয়ে আসা সকল সাহায্য কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক ও স্বাধীন তদন্তের মহাসচিবের আহ্বানকে সমর্থন করি।’

ওই কূটনীতিক বলেন, ‘এই ছিটমহলে মানবিক সহায়তা প্রবেশের কোনো স্থিতিশীল চ্যানেল নেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী রাফাহ এবং কেরেম শালোম চেকপয়েন্ট দিয়ে ছিটমহলের বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সাহায্য নিয়ে আসা ৩ হাজার ট্রাকের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গাজা উপত্যকার দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি আবারো ছিটমহলে ফিলিস্তিনিদের সাতটি গণকবর আবিষ্কারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছি। এই ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাদের এক বিবৃতিতে এমন তদন্তের দাবি করেছিল।’

;

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৪০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ার খনি শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়ে প্রায় ৪০ জনকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।

নাইজেরিয়ার স্থানীয় সরকার মঙ্গলবার (২১ মে) জানিয়েছে, মোটরসাইকেলে চড়ে আসা বন্দুকধারীরা খনি শ্রমিকদের এলাকার বাসিন্দাদের উপর গুলি চালায় এবং বাড়িঘরে আগুন দেয়।

প্লেটিউ রাজ্যের ওয়াসে জেলায় সোমবার (২০ মে) এই হামলা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরেই সম্পদ নিয়ে বিরোধ এবং আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জন্য আলোচনায় রয়েছে।

প্লেটিউ রাজ্যের তথ্য কমিশনার মুসা ইব্রাহিম আশোমস টেলিফোনে এএফপিকে বলেছেন, ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা জুরাক সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করেছে। বন্দুকধারীরা বিক্ষিপ্তভাবে গুলি করেছে এবং বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।’ তবে স্থানীয় যুবনেতা শাফি সাম্বোও বলেন, ‘হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।’

ওয়েসে জিঙ্ক এবং সীসার খনি রয়েছে এবং এই প্লেটিউ রাজ্য টিনের খনি শিল্পের জন্য সুপরিচিত।

প্রসঙ্গত, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ার অংশগুলোতে সশস্ত্র অপরাধী চক্র রয়েছে, যারা মুক্তিপণের জন্য ব্যাপক অপহরণ এবং লুটপাট করার জন্য গ্রামগুলোতে হামলা চালায়।

গত জানুয়ারিতে প্লেটিউ রাজ্যের মাঙ্গু শহরে মুসলিম এবং ক্রিস্টানদের মধ্যে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়। যার ফলে অনেক গির্জা ও মসজিদ পুড়ে যায়। ওই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

;

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৩০ জনের বেশি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

কাতারের আল জাজিরা টিভির খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূ-খন্ডের উত্তরে জাবালিয়া এবং বেইত লাহিয়া শহরে বিমান হামলায় কমপক্ষে ২১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেক।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, গাজা শহরের আবাসিক ভবনগুলোতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ১২ বেসামরিক লোক মারা গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

জেরুজালেমের ওল্ড সিটির টেম্পল মাউন্টে আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আগ্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় হামাস সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস।

এরপর প্রতিশোধ মূলক হামলা শুরু ইসরায়েল। গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধ করে ভয়াবহ বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করে তারা।

এতে পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। চলমান যুদ্ধে ৩৫ হাজারের বেশী নিরীহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশীর ভাগই নারী ও শিশু।

;