লতা মঙ্গেশকারের গান গেয়ে ভাইরাল রেল স্টেশনের ভবঘুরে নারী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
রেল স্টেশনে ভবঘুরে কণ্ঠশিল্পী রানু

রেল স্টেশনে ভবঘুরে কণ্ঠশিল্পী রানু

  • Font increase
  • Font Decrease

উস্কোখুস্কো চুল, অনেক দিন তেলের ছোঁয়া পায়নি। চেহারা দেখে বয়স কত তাও ঠাহর করা যায় না। ভবঘুরে, শীর্ণকায় চেহেরা। গত এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের টাইম লাইনে ঘুরে ফিরে আসছে রেল স্টেশনে এমন এক নারীর কণ্ঠে গাওয়া ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়, মৌজা কা রাওয়ানি হ্যায়' গানটি। সত্তরের দশকে লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে গাওয়া গানটি ওই নারী যেভাবে গেয়েছেন তাতে মুগ্ধ গোটা নেটবিশ্ব। কয়েকদিন ধরে ফেসবুকের টাইমলাইনে ঘুরছে ভাইরাল ভিডিওটি।

ফেসবুক ব্যবহারকারীরা গানটি শুনে এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে টাইমলাইনে শেয়ার করে নিজেদের অনুভূতির কথা জানাচ্ছেন। সত্তর দশকে হিন্দি গানের ভূবনে আলোড়ন তোলা গানটি- নতুন করে শুনে অনেকেই নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন। আবার কারো কারো মনে প্রশ্ন, গানটি কোথায় ভিডিও করা হয়েছে, কে এই নারী।  

ভিডিওটি শেয়ার করে নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, `সম্ভবত ভিডিওটি ময়মনসিংহ জংশনে করা। সম্ভবত স্টেশনেই থাকেন মানুষটি। সম্ভবত বাড়ি ঘর নেই। টাকাকড়ি নেই। সম্ভবত ভিক্ষে করেন। মানুষটিকে 'ভারসাম্যহীন' বলেছেন ভিডিওটি যিনি আপলোড করেছেন, তিনি। আমি মানুষটিকে ভারসাম্যহীন বলতে চাই না, আমি তাঁকে কণ্ঠশিল্পী বলতে চাই।‘

ভিডিওটিকে ঘিরে এমন অসংখ্য মন্তব্য পোস্ট ফেসবুক দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে।  

তবে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাট রেলস্টেশন থেকে শ্যুট করা হয়েছে। রানাঘাটের স্থানীয় বাসিন্দা অতিন্দ্র চক্রবর্তী ভিডিওটি করেছেন।  

দুই মিনিটের এ ভিডিও রোববার (২৮ জুলাই)  'বারপেটা টাউন; দ্য প্লেস অব পিস' নামের একটি ফেসবুক পেজ শেয়ার করে। ওই পেজের মালিক কৃষ্ণন দাস যুবু। তিনি জানান, রানাঘাট রেল স্টেশনে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে।

অনলাইনে শেয়ার হওয়ার পরে, ভিডিওটি লাখের বেশি মানুষ দেখেছেন এবং ৫০ হাজারের বেশি মানুষ শেয়ার করেছেন। ডাউনলোড করে পুনরায় পোস্ট করেছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রশংসায় ভরিয়ে তুলেছেন এই শিল্পীকে।

এদিকে শুক্রবার (২ আগস্ট)  অতিন্দ্র চক্রবর্তী তার ফেসবুক লাইভে এই শিল্পীকে আবারও নিয়ে আসেন। সেখানে জানা যায়, সুমধুর কণ্ঠের অধিকারী এই নারী রানাঘাট রেল স্টেশনে ঘুরে বেড়ান। তার নাম রানু। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। নিজের সম্পর্কে ভালো করে  কিছু বলতেও পারেন না। কথাবার্তা শুনে মনে হয় তিনি শিক্ষিত।  

   

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজের রায় আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে ইসরায়েলকে আদেশ দেয়ার জন্য করা আবেদনের আজ রায় দেবে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। কিন্তু রায় কার্যকর করানোর ক্ষমতা নেই আইসিজের।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি অভিযান বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) এ বিষয়ে রায় দেবেন আদালত।

দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় ঘোষণা করা হবে। সেই আবেদন নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইসরায়েলের বক্তব্য এরই মধ্যে শুনেছেন আইসিজের বিচারকরা। দক্ষিণ আফ্রিকা আবেদনে বলেছে, রাফাহ শহরসহ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলিদের সামরিক অভিযান বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। 

এই আবেদনের বিষয়ে রায় দিতে পারলেও রায় কার্যকর করানোর ক্ষমতা নেই আইসিজের। এর আগে ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধের জন্য রাশিয়াকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাশিয়া তা মানেনি। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যদি একই রকম রায় দেয় আদালত, তাহলে তাদের ওপর আন্তর্জাতিক আইনগত চাপ বৃদ্ধি পাবে।

এর আগে সোমবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) শীর্ষ প্রসিকিউটর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

;

মাশহাদে ইমাম রেজার মাজারে চিরনিদ্রায় শায়িত রাইসি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার চার দিন পর ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে মাশহাদে দাফন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসিকে ইমাম রেজার মাজারে শায়িত করা হয়।

ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে বিমানে করে মাশহাদের নেজাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাইসির মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাকে শেষ বিদায় জানাতে বহু মানুষ জড়ো হন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাইসির দাফনে যোগ দিতে ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। বিকেলে প্রেসিডেন্টের মরদেহ যখন দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের বিরজান্দ থেকে নিয়ে আসা হয় তখন মাশহাদের শহীদ মাশিনেজাদ বিমানবন্দরে বিশাল জনসমাগম দেখা যায়। পরে শোকগ্রস্ত মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে সুসজ্জিত একটি ট্রাকে করে তার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ইমাম রেজার মাজারের দিকে। সোনার গম্বুজ বিশিষ্ট ইমাম রেজা মাজারেই দাফন করা হয়েছে রাইসিকে। রাজধানী তেহরান থেকে ৯০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ইরানের পবিত্রতম শহর মাশহাদেই নবম শতাব্দীতে শায়িত হয়েছিলেন ইমাম আলী আল-রেজা।

এর আগে,গত বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসি ও তার সঙ্গীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে দেশটির রাজধানী তেহরানে ঢল নামে লাখো মানুষের।

গত শনিবার (১৮ মে) একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। রোববার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন তিনি।

সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরে যুক্তরাষ্ট্রের এটি ইরানের কাছে বিক্রি করার কথা নয়। সে হিসেবে উড়োযানটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরনো।

এর আগেও আকাশপথে দুর্ঘটনায় দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন সময়ে পরিবহনমন্ত্রী, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ও সেনাবাহিনীর কমান্ডার বিমান বা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

;

রাইসিকে শেষবিদায় জানাতে হাজারো মানুষের ঢল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি’র শেষ বিদায় অনুষ্ঠানের দিনে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বিভিন্ন শহরে শোকার্ত মানুষেরা মিছিল করে রাস্তায় নেমেছে।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার চার দিন পরে বৃহস্পতিবার নিজ শহরে তার দাফন সম্পন্ন হবে। ৬৩ বছর বয়সি রাইসি গত রবিবার তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য ছয়জনের সাথে হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় নিহত হন।

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানাতে বৃহস্পতিবার সকালে প্ল্যাকার্ড ও পতাকা নেড়ে হাজার হাজার মানুষ পূর্বাঞ্চলীয় নগরী বিরজান্দে মিছিল করে।

কট্টর রক্ষণশীল প্রেসিডেন্টের জন্মস্থান উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নগরী মাশহাদের প্রধান শিয়া কবরস্থান ইমাম রেজার মাজার শরীফে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন।

বুধবার ইরানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত চিত্রে মাশহাদের কর্মকর্তাদের দাফনের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। ইরানের দ্বিতীয় নগরীর রাস্তায় বিশেষ করে ইমাম রেজার মাজারের চারপাশে রাইসির বড় বড় ছবি, কালো পতাকা ও শিয়া প্রতীক স্থাপন করা হয়েছে।

মিডিয়ায় ‘শহীদ’ অভিহিত প্রেসিডেন্টকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে বুধবার রাজধানী তেহরানে একটি দাফনের মিছিলের জন্য বিপুল জনতা জড়ো হয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের কফিনের সামনে হাঁটু গেড়ে প্রয়াত প্রেসিডেন্টের জন্য প্রার্থনার নেতৃত্ব দেন।

দুর্ঘটনায় নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ানকেও বৃহস্পতিবার রাজধানীর দক্ষিণে শাহর-রে শহরে শাহ আবদোল-আজিমের মাজারে দাফন করা হবে। তার দাফনের আগে তেহরানে এক অনুষ্ঠানে প্রয়াত এই শীর্ষ কূটনীতিককে শ্রদ্ধা জানান ইরানি কর্মকর্তা ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা দি ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ) জানিয়েছে, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ও কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি বুধবার রাইসির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এক শোকসভায় যোগ দেন। বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রতিনিধিরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি সেখানে অনুপস্থিত ছিল। তবে বেলারুশ ও সার্বিয়ার মতো কিছু দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ইরানে চূড়ান্ত কর্তৃত্বের অধিকারী খামেনি পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে ২৮ জুন রাইসির উত্তরসূরি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।

তেহরানে বুধবারের দাফনে শরীক হওয়া ৩১ বছর বয়সি মোহসেন বলেন, ‘আমি কীভাবে তার মতো কাউকে খুঁজে পাব? আমি সত্যিই এটি নিয়ে চিন্তিত। আমি যতদূর জানি, আমাদের কাছে তার সমকক্ষ কেউ নেই।’

রাইসি ২০২১ সালে মধ্যপন্থী হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুর পর, রাশিয়া ও চীন এবং ন্যাটো তাদের শোকবার্তা পাঠায় এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক মিনিট নীরবতা পালন করে। সিরিয়া সরকার, হামাস ও হিজবুল্লাহসহ ইরানের এই অঞ্চলের মিত্রদের কাছ থেকেও সমবেদনার বার্তা আসে।

;

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রাশিয়ার আরেক জেনারেল আটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বড় অংকের ঘুষ নেওয়ার সন্দেহে সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ভাদিম শামারিনকে আটক করেছে রাশিয়া।

আল জাজিরা জানিয়েছে, এ নিয়ে এক মাসে চতুর্থ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করলো মস্কো প্রশাসন।

একটি সামরিক আদালত বুধবার (২২ মে) আদেশ দেন যে, জেনারেল শামারিন, যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রধানের পদে রয়েছেন, ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে তাকে দুই মাসের জন্য কারাগারে পাঠানো হবে।

সামরিক চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি বন্ধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে অন্যান্য শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের পর শামারিনকে আটক করা হলো।

এই মাসের শুরুতে ইউক্রেন আক্রমণের সাবেক শীর্ষ কমান্ডার মেজর-জেনারেল ইভান পপভ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মী অধিদপ্তরের প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইউরি কুজনেটসভকে ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গত এপ্রিলে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকেও ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এরপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলোসভ।

ইউক্রেনের যুদ্ধের শুরুতে কিয়েভ দখল করতে রাশিয়ার ব্যর্থতার জন্য শোইগুকে ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়েছিল এবং ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রয়াত ইয়েভজেনি প্রিগোজিন তাকে অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।

শামারিন জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের একজন ডেপুটি এবং জেনারেল স্টাফের প্রধান।

তবে, গেরাসিমভের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি, যদিও তিনি মাঝে মাঝেই ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কর্মক্ষমতা নিয়ে কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই একটি চলমান প্রচেষ্টা। এটা কোনো প্রচারণা নয়। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

;