জঙ্গলে বিদ্রোহী, বাঘ গুণতে পারে না মিয়ানমার



খুররম জামান, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
মিয়ানমারের জঙ্গলে বেঙ্গল টাইগার | ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের জঙ্গলে বেঙ্গল টাইগার | ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাতের ফলে দেশটিতে থাকা বাঘের সংখ্যা গুণে বের করা যাচ্ছে না। দেশটির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সমিতির মতে, সবশেষ বাঘ জরিপে মাত্র ১০ শতাংশ অঞ্চলে এ বিরল প্রাণীটির সংখ্যা গোণা গেছে।

সমিতি বলছে, বাঘের সংখ্যা সঠিকভাবে জানা কঠিন। সংঘাতের কারণে কিছু এলাকায় তারা জরিপ চালাতে পারেনি। মিয়ানমার সেনার সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘাতের কারণে এসব অঞ্চলে তথ্য সংগ্রহ করা খুব বিপজ্জনক।

পৃথিবীতে বাঘের ৯টি প্রজাতির মাত্র ছয়টি প্রজাতি এখন আর অবশিষ্ট আছে। বাঘের বাসস্থানগুলির মধ্যে মিয়ানমারে দুটি প্রজাতি রয়েছে। বেঙ্গল টাইগার ও ইন্দো-চায়না বাঘ দুটি দেশটির বিভিন্ন জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায়।

বাঘের বাসস্থান জরিপ করায় অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তাদের আবাসগুলো দূরবর্তী এবং সশস্ত্র সংঘাতের কারণে তা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ।

মিয়ানমারের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সমিতির সুপারিশ—বর্তমান বাঘের বাসস্থান সংরক্ষিত এলাকায় নিয়ে আসা, যাতে বংশবিস্তার নিশ্চিত করা যায়।

মিয়ানমার সরকারের দাবি সারাদেশে ৮০টি বাঘ এখনো অবশিষ্ট আছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংখ্যা আরো কম। সংখ্যা কমার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বাঘেরা প্রচণ্ড খাদ্য সংকটে পড়েছে।

বাঘেরা যে প্রাণীগুলো শিকার করে খায় বনগুলোতে অবৈধ শিকারিরা সেই সব প্রাণী ধরে নিয়ে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। বাঘের পছন্দের খাবারের মধ্যে গৌড়, হরিণ ও সাম্বার হরিণের সংখ্যা হুমকির মুখে। এসব বন্যপ্রাণী পাচারকারীদেরও খুব প্রিয়!

মিয়ানমারে জীববৈচিত্র্য ও বনাঞ্চল আইন দ্বারা সুরক্ষিত থাকলেও অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে প্রাণীগুলো অচিরেই হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

   

মিশরের পিরামিডের রহস্য ভেদ করার দাবি বিজ্ঞানীদের 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে নির্মিত মিশরের বিখ্যাত গিজা কমপ্লেক্স এবং ৩১ পিরামিড নির্মাণের পেছনে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা উদঘাটন করেছেন বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। 

বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলের সদস্যরা বলছেন, নীল নদের পাশে বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটি প্রাচীন শাখার পাশে পিরামিডগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রাচীন ওই শাখাটি মরুভূমি অথবা কৃষিজমির নিচে চাপা পড়েছে।

বহু বছর ধরে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করছেন, মিশরীয়রা পানি পথে পাথরের মতো ভারী বস্তু পরিবহনের জন্য নদীর কাছে এই পিরামিড নির্মাণ করেছেন। 

তবে পিরামিডের কোন পথ ধরে জলপথ যোগাযোগে মেগা প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছিল তা এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া অধ্যাপক ইমান ঘোনিম। 

নদীপথটি চিহ্নিত করার জন্য গবেষণাকারী দলটি রাডার স্যাটেলাইটের ছবি, ঐতিহাসিক ম্যাপ, ভূতাত্ত্বিক জরিপ, পলল কোরিং, নদীর ম্যাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এর ফলে তারা ধারণা করছেন বহু বছর আগে প্রচণ্ড খরা এবং বজ্রঝড়ের কারণে এটি হারিয়ে গেছে। 

ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দলটি ‘বালির পৃষ্ঠে প্রবেশ করতে এবং লুকানো বৈশিষ্ট্যগুলোর চিত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল’।

গবেষণায় সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. সুজানি অনস্টাইন বিবিসিকে বলেন, নদীর প্রকৃত অবস্থা এবং বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নদী পথে মিশরীয়রা বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করতেন। এই তথ্যটি আমাদের পিরামিড নির্মাণের কারণ উৎঘাটনে সহযোগিতা করেছে।

গবেষণা দলটি বলছে, নদীর পথের নাম দেওয়া হয়েছিল আরামাত, যার আরবি অর্থ পিরামিড। এটি ৬৪ কিলোমিটার লম্বা এবং ২০০ থেকে ৭০০ মিটার চওড়া। এটি ৩১টি পিরামিড দ্বারা ঘেরা রয়েছে। তা ৪ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ বছর আগে নির্মিত। 

ড. অনস্টাইন বলেন, মানুষের শক্তি ব্যবহারের পরিবর্তে মিশরীয়রা নদী পথ ব্যবহারে বড় বড় পাথর পরিবহরের চেষ্টা করেন। 

;

রাশিয়াকে অস্ত্র দেয়ার বিষয় অস্বীকার করলেন কিমের বোন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র বিনিময়ের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএসএ'র এক প্রতিবেদনে বলা, হয়েছে উত্তর কোরিয়া তার জাতির স্বার্থে অস্ত্রের আধুনিকায়ন করছে এবং তা কোনো দেশের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না। 

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু শুরু থেকেই মস্কো ও পিয়ংইয়ং এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছ। তবে গত বছর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক গভীরে পৌঁছেছে।  

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাটকীয়ভাবে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে কিমের বোন কিম ইয়ো জং বলেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তি তত্ত্ব একটি কল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়। 

কিম ইয়ো জং এর বিবৃতিকে উদ্ধৃতি করে কেসিএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির বিয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। তাদের শত্রু দেশ এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। 

কিম ইয়ো জং বলেন, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রদর্শনকৃত রকেট লঞ্চার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং কৌশলগত অস্ত্র রপ্তানির জন্য ছিল না। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রতিহত করার জন্য। 

;

নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুন লাগায় দুর্বৃত্ত, নিহত ১১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের সময় বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে দিলে কমপক্ষে ১১ মুসল্লি প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মসজিদটিতে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে সব দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ মুসল্লি আটকা পড়েন। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের ভেতরে ছিলেন। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তরাধিকার এবং সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ। তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের আর্তনাদের আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

;

গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় যুদ্ধ শেষ হলে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বাহিনী থেকে মিশর, সংযুক্ত আবর আমিরাত ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের দাবি, যুদ্ধ পরবর্তী গাজায় হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ রাখতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে। এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো নাকচ করে দিয়েছে। তবে তারা উপত্যাকায় এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে। কেননা যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর সেখানে আর কোনো সেনা থাকছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আরব দেশগুরো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশ এ স্বীকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।

গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা থাকলেও এতো কোনো মার্কিন সেনা থাকবে না। আরব দেশগুলোকে এতে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রচেষ্টায় ওয়াশিংটন নেতৃত্ব দেবে। যদিও তা বাস্তবায়নের এখনও অনেক কাজ বাকি।

;