একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন পোলিশ মা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ছয় শিশু/ ছবি: সংগৃহীত

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ছয় শিশু/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পোল্যান্ডে ২৯ বছর বয়সী এক মা একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বাচ্চা জন্মানোর আগে ডাক্তারি পরীক্ষায় বলা হয়েছিল, ঐ মা পাঁচ সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন। কিন্তু পাঁচ সন্তান নয়, একসঙ্গে ছয় সন্তানের জননী হলেন পোলিশ ঐ নারী।

বার্তা সংস্থা এপি’র বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২০ মে) দক্ষিণ পোল্যান্ডের ক্রাকাব শহরের ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে সিজারে এই নবজাতকদের জন্ম হয়। ছয় শিশুর মধ্যে চার জনই মেয়ে আর দুই জন ছেলে।

হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, সদ্য জন্ম নেওয়া ছয় সন্তানসহ তাদের মা আপাতত সুস্থ আছেন। এই ঘটনায় ডাক্তাররাও অভিভূত। এই ছয় জমজ ভাই-বোনের আড়াই বছর বয়সী এক ভাইও আছে।

হাসপাতালটির এক চিকিৎসক মারিয়া ব্লোডকাওস্কা জানিয়েছেন, বাচ্চাগুলোর প্রত্যেকটির ওজন ৮৯০ গ্রাম থেকে এক হাজার ৩০০ গ্রাম। গর্ভধারণের ২৯ সপ্তাহ পর ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ঐ মা। বাচ্চাগুলো সুস্থ আছে কিন্তু তাদের সুস্থ বিকাশে তাদেরকে বর্তমানে ইক্যুইবেটরে রাখা হয়েছে।

পোল্যান্ডের এই হাসপাতালের অধ্যাপক রিজার্ড লটারব্যাক বলেন, ‘পোল্যান্ডে কোনো মায়ের ছয় সন্তানের জন্মদান এই প্রথম। শুধু তাই নয়, এটা পুরো পৃথিবীতেই বিরল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচটি বাচ্চার আশা করেছিলাম এবং পাঁচটি ইক্যুইবেটরও প্রস্তুত রেখেছিলাম। কিন্তু যখন ছয়টি বাচ্চার জন্ম হলো, তখন আমরা সত্যিই অবাক হয়েছিলাম।’

এই ঘটনায় পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে সেবাস্তিয়ান দুদা এক টুইটার বার্তায় ছয় সন্তানের জন্ম দেওয়া মা ও হাসপাতালটির চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

স্থানীয় ফুটবল ক্লাব ক্রাসোবিয়া ঐ ছয় বাচ্চাকে আজীবনের জন্য তাদের মাঠে খেলা দেখার টিকিট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

   

সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইটে ঝাঁকুনিতে নিহত ১, আইসিইউতে ২০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইট মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়লে অন্তত একজন যাত্রী নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যেই এখনও ২০ জন রয়েছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ)।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছিল। পরে আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝ-আকাশে তীব্র-ঝাঁকুনির কবলে পড়ার পর মঙ্গলবার ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সেই ফ্লাইটের আরোহী ২০ জন ব্যক্তি নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন বলে হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ব্যাংককে সম্মিতিজ শ্রীনাকারিন হাসপাতালের পরিচালক আদিনুন কিত্তিরতানাপাইবুল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে থাকা রোগীদের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইসিইউতে থাকা রোগীর সংখ্যা একই রয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইসিইউতে থাকার অর্থ হলো ওইসব রোগীদের দিকে ঘনিষ্ঠ মনোযোগ থাকা প্রয়োজন।’

তবে বর্তমানে কোনও রোগীর জীবনই হুমকির মুখে নেই বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ফ্লাইটে থাকা ৪০ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২২ রোগীর মেরুদণ্ডের আঘাত এবং ছয়জনের মস্তিষ্ক ও মাথার খুলিতে আঘাত রয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি থাকা সবচেয়ে বয়স্ক রোগীর বয়স ৮৩ বছর এবং সবচেয়ে ছোট রোগী হচ্ছে দুই বছর বয়সী এক শিশু, সে জোরালো আঘাত পেয়েছে।

আদিনুন প্রথমে ৪১ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। তবে পরে জানান, একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই ৪১ জনের মধ্যে দশজন ব্রিটিশ নাগরিক, ৯ জন অস্ট্রেলিয়ান, সাত জন মালয়েশিয়ান এবং চারজন ফিলিপাইনের নাগরিক।

চিকিৎসাধীন এসব ব্যক্তিদের মধ্যে কতজন যাত্রী ও ক্রু রয়েছেন, সেই সংখ্যা আলাদা করে প্রকাশ করেননি তিনি।

উল্লেখ্য, লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ৩২১ ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পরে মাঝ-আকাশে তীব্র বাতাসের কবলে পড়ে সেটি। এই ঘটনার পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটের পাইলট মঙ্গলবার ব্যাংককের দিকে বিমানের গতিপথ পরিবর্তন করেন।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স জানায়, হিথরো বিমানবন্দর ছেড়ে আসা বিমানটি থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে ৪টায় থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর জরুরি অবতরণ করে। কী ধরনের পরিস্থিতি এক যাত্রী নিহত ও অন্যান্যরা আহত হয়েছেন, সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স।

তবে বিমানের একজন যাত্রী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘যে যাত্রীরা সিটবেল্ট পরেননি, তাদের মাথা কেবিনের ওপরের অংশে আঘাত করেছে।’’

ফ্লাইটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোর জানায়, লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের প্রায় ১১ ঘণ্টা পর বিমানটি আন্দামান সাগর অতিক্রম করে থাইল্যান্ডের আকাশসীমায় পৌঁছায়। থাই আকাশসীমায় থাকাকালীন মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রায় ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে তীব্রগতিতে ৩১ হাজার ফুটে নেমে আসে ফ্লাইটটি।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা থেকে দেখা যাচ্ছে, এস কিউ ৩২১ ফ্লাইটটি যে উচ্চতায় ক্রুজ করছিল (‘ক্রুজিং অল্টিটিউড’), সেখান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে হু হু করে অন্তত ৬০০০ ফিট (১৮০০ মিটার) নিচে নেমে আসে। বিমানটি তখন সবেমাত্র বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে সিঙ্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল।

;

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলা, অন্তত ৫০ প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় আরও অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে চালানো পৃথক হামলায় তারা নিহত হন।

এদিকে ইসরায়েলি হামলার জেরে এখন পর্যন্ত রাফাহ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ৮ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। শুক্রবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আকাশ ও স্থলপথে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের সাথে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক লড়াই চলছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এবং হামাসের সশস্ত্র শাখা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো রাফার আরও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে, শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ইবনার দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং তিনটি পূর্ব শহরতলিতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘দখলদার ইসরায়েলিরা আরও পশ্চিমে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ইবনার প্রান্তে রয়েছে, যা ঘনবসতিপূর্ণ। তারা এখনও এটি আক্রমণ করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি, এবং আমরা দেখছি যে সেনারা আক্রমণ করেছে এবং সেখান থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে। এটি আরেকটি খুব কঠিন রাত ছিল।’

এই মাসে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে একযোগে ইসরায়েলি হামলার ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী সাহায্য প্রবেশের প্রধান প্রবেশ পথও বন্ধ করে দিয়েছে, যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিও বাড়িয়েছে।

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছাড়াই রাফাহতে স্থল হামলা শুরু করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যরা গাজার দক্ষিণের এই শহরটিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে সমালোচনাও করেছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, সেখানে হামাস যোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে তাদের অবশ্যই অগ্রসর হতে হবে।

গাজায় পরিচালিত প্রধান সাহায্য সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস বলছে, চলতি মে মাসের প্রথম দিকে ইসরায়েল রাফা শহরটিতে হামলা শুরু করার পর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত ৮ লাখেরও বেশি মানুষ রাফা থেকে পালিয়ে গেছেন।

গাজায় নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের জরুরি প্রতিক্রিয়া নেতা সুজে ভ্যান মিগান বলেছেন, অনেক বেসামরিক নাগরিক এখনও সেখানে আটকে আছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রাফাহ শহরটি এখন তিনটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিশ্বের সমন্বয়ে গঠিত: পূর্ব দিকটি মৌলিক যুদ্ধ অঞ্চল, মাঝামাঝি অঞ্চলটি ভৌতিক শহরে পরিণত হয়েছে এবং পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত জনবহুল জনগোষ্ঠী শোচনীয় পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।’

উল্লেখ্য, সমান্তরালভাবে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও স্থল আক্রমণ বাড়িয়েছে। সেখানে তারা বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকাও ধ্বংস করেছে। নিকটবর্তী শহর বেইট হানুনেও হামলা করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল অবশ্য কয়েক মাস আগেও এই অঞ্চলে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু এখন তাদের দাবি, হামাসকে সেখানে পুনরায় সংগঠিত হতে বাধা দিতে তাদের আবারও ফিরে আসতে হয়েছে।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ শহরের পূর্বে অবস্থিত জনকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি দোকানে বিমান হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ভোরের দিকে চালানো দুটি বিমান হামলায় গাজা শহরে ১৫ শিশুসহ আরও ২৬ জন নিহত হয়েছেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, এর মধ্যে একটি হামলায় গাজার একটি পরিবারের বাড়িতে বোমা আঘাত হানে। ওই হামলায় আল-দারাজ এলাকায় ১৬ জন নিহত হয় এবং মসজিদ প্রাঙ্গণে চালানো আরেকটি হামলায় ১০ জন নিহত হয়।

মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় আরও আটজন নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা শহরের আবাসিক জেলাগুলো সফর করার সময় ইসরায়েলি হামলায় দিয়া আলদিন আল-শুরাফা নামের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

নৃশংস হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল খাবার পানীয়, খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানি সরবরাহের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি হাসপাতালও বন্ধ করতে বাধ্য করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে বিদ্যুৎ জেনারেটরে ‘কয়েক মিনিটের’ জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। জ্বালানি শেষ হলে ১৩০০ জন রোগীর সেবাও বন্ধ হয়ে যাবে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গাজায় যদি বিপুল পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ শুরু না হয়, তাহলে হতাশা ও ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়বে’ বলে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

;

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজের রায় আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে ইসরায়েলকে আদেশ দেয়ার জন্য করা আবেদনের আজ রায় দেবে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। কিন্তু রায় কার্যকর করানোর ক্ষমতা নেই আইসিজের।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি অভিযান বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) এ বিষয়ে রায় দেবেন আদালত।

দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় ঘোষণা করা হবে। সেই আবেদন নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইসরায়েলের বক্তব্য এরই মধ্যে শুনেছেন আইসিজের বিচারকরা। দক্ষিণ আফ্রিকা আবেদনে বলেছে, রাফাহ শহরসহ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলিদের সামরিক অভিযান বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। 

এই আবেদনের বিষয়ে রায় দিতে পারলেও রায় কার্যকর করানোর ক্ষমতা নেই আইসিজের। এর আগে ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধের জন্য রাশিয়াকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাশিয়া তা মানেনি। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যদি একই রকম রায় দেয় আদালত, তাহলে তাদের ওপর আন্তর্জাতিক আইনগত চাপ বৃদ্ধি পাবে।

এর আগে সোমবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) শীর্ষ প্রসিকিউটর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

;

মাশহাদে ইমাম রেজার মাজারে চিরনিদ্রায় শায়িত রাইসি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার চার দিন পর ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে মাশহাদে দাফন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসিকে ইমাম রেজার মাজারে শায়িত করা হয়।

ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে বিমানে করে মাশহাদের নেজাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাইসির মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাকে শেষ বিদায় জানাতে বহু মানুষ জড়ো হন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাইসির দাফনে যোগ দিতে ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। বিকেলে প্রেসিডেন্টের মরদেহ যখন দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের বিরজান্দ থেকে নিয়ে আসা হয় তখন মাশহাদের শহীদ মাশিনেজাদ বিমানবন্দরে বিশাল জনসমাগম দেখা যায়। পরে শোকগ্রস্ত মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে সুসজ্জিত একটি ট্রাকে করে তার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ইমাম রেজার মাজারের দিকে। সোনার গম্বুজ বিশিষ্ট ইমাম রেজা মাজারেই দাফন করা হয়েছে রাইসিকে। রাজধানী তেহরান থেকে ৯০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ইরানের পবিত্রতম শহর মাশহাদেই নবম শতাব্দীতে শায়িত হয়েছিলেন ইমাম আলী আল-রেজা।

এর আগে,গত বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসি ও তার সঙ্গীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে দেশটির রাজধানী তেহরানে ঢল নামে লাখো মানুষের।

গত শনিবার (১৮ মে) একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। রোববার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন তিনি।

সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরে যুক্তরাষ্ট্রের এটি ইরানের কাছে বিক্রি করার কথা নয়। সে হিসেবে উড়োযানটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরনো।

এর আগেও আকাশপথে দুর্ঘটনায় দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন সময়ে পরিবহনমন্ত্রী, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ও সেনাবাহিনীর কমান্ডার বিমান বা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

;