৩০০ আসন পেতে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি!



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে লোকসভা বা সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। সরকার গঠন করতে কোনো দল বা জোটের কমপক্ষে ২৭২টি আসন প্রয়োজন।

ছয় ধাপের ভোট শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি প্রধান আমিত শাহ বলতে শুরু করেছেন, তারা এবার ৩০০টিরও বেশি আসনে জয়ী হবেন এবং দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করবেন।

ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভার নতুন সংসদ গঠনে উদ্দেশ্যে সাত ধাপের এই ভোট উৎসব ১১ এপ্রিল শুরু হয়, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। ভোট গণনার দিন ২৩ মে।

এই নির্বাচনে বৈধ ভোটার সংখ্যা ৯০ কোটি, যার কারণে এটি বিশ্বের সর্বকালের সর্ববৃহৎ নির্বাচন বলা হচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছিল।

অমিত শাহ বলেন, ভোটের ছয় ধাপের পর বিজেপি এরই মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে।

নির্বাচনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপে এটা স্পষ্ট হয়েছে, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং সপ্তম পর্যায় অর্থ্যৎ শেষ ধাপে ৩০০ আসন অতিক্রম করবে।

প্রধানমন্ত্রী মোদিও এমনই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, ১৫ মে পশ্চিমবঙ্গে এক জনসভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ৪২ আসনের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। আর সারা ভারতে আসনের ক্ষেত্রে এটি ইতিমধ্যে ঘটে গেছে।
নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দেড়শর বেশি জনসভা করছেন। তারমধ্যে ৪০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং উত্তর প্রদেশে তিনি জনসভা করেছেন।

অর্থাৎ এ তিনটি প্রদেশকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। বিজেপি মনে করছে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এ তিনটি রাজ্যেকে কেন্দ্র করে। পশ্চিমবঙ্গ ৪২, উড়িষ্যা ২১ এবং উত্তর প্রদেশে ৮০ মোট ১২৩টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গে কোনো জোট হয়নি। উত্তর প্রদেশে বিজেপি বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট করেনি। উড়িষ্যাতেও একই অবস্থা

এক সংবাদ সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, ‘আপনি (মিডিয়া) যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, আমরা কত আসন জিতব। আমি সারাদেশ ভ্রমণ করেছি এবং জনপ্রিয়তার দিকে তাকিয়ে বলছি, আমি নিশ্চিতভাবেই নিশ্চিত যে বিজেপি পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পর্বের নির্বাচনের পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে। সপ্তম পর্বে ৩০০ আসন ছাড়িয়ে যাবে এবং এনডিএর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবার সরকার গঠন করবেন।

ভারতে ২৯টি প্রদেশ। ২০১৪ সালের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেস ৫৪৩টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪৪টি পায়।
আর দলটি প্রায় আড়াইশ আসনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। অর্থাৎ ভারতের শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ নির্বাচনী আসনে কংগ্রেস এখনও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

এখনো সর্বভারতীয় দল বলতে কংগ্রেস এবং বিজেপি। ১০টি রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে নিশ্চিতভাবেই ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে কংগ্রেস। এগুলো হল- আসাম, ছত্তিশগড়, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও পাঞ্জাব। এই ১০ প্রদেশে রয়েছে লোকসভার ২২৪ আসন। এগুলোর মধ্যে গতবার কংগ্রেস মাত্র ২৯টি পায় এবং ১৫৪টিতে দ্বিতীয় হয়।

২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আর এবারের প্রেক্ষাপট এক নয়। এমতাবস্থায় বিজেপি কিভাবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তা লক্ষ্য করার বিষয়। বিজেপি ও তার জোট গত জাতীয় নির্বাচনে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার বেশ কিছু রাজ্যে ভোট দেওয়ার হার কমে যাওয়া বিজেপিকে চিন্তায় ফেলেছে। বিশেষ করে যে রাজ্যগুলোতে বিজেপি নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিজেপি ও কংগ্রেসের বাইরে ভারতের প্রায় সব দলই আঞ্চলিক। এর মধ্যে কমিউনিস্টদের সর্বভারতীয় কিছু সাংগঠনিক কাঠামো থাকলেও কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বিহারের বাইরে তাদের নির্বাচনী কোনো শক্তি নেই বললেই চলে। তারাও চাইছে মোদি হারুক। আঞ্চলিক শক্তিধর দলগুলো চাইছে মোদি হারুক। কংগ্রেস তো আছেই। এত চাওয়ার মাঝেও বিরোধীদলগুলোর অনৈক্য মোদির জন্য একটি আশার আলো।

কমিউনিস্টরা অনেক প্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ ও উরিষ্যাতেও কংগ্রেস একা। এ রাজ্যগুলোতে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে কংগ্রেসের মোদি বিরোধীতায় মিল থাকলেও একসঙ্গে পথচলায় খুব একটা বোঝাপড়া নেই। এমতাবস্থায় নির্বাচন শেষে যদি দেখা যায় মোদির বিরুদ্ধে সরকার গঠন সম্ভব, তখন হয়ত তারা রাহুলকে সমর্থন দেবেন। আবার গড়ে বিরোধীদের আসন সংখ্যা সরকার গঠনের কাছাকাছি হলে তখন নানা শর্তের বেড়াজাল সামনে আসবে। তখন হয়ত, মোদি তাদের কারো সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে চমক দিতে পারেন।

এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক দোলাচল বিরাজ করছে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশে। ৬৪টি আসন সমৃদ্ধ এই দুই রাজ্যে কংগ্রেসের ফল ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই দুই প্রদেশে তারা স্থানীয় শক্তিশালী দলগুলোর হাত ধরেছে। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে এবং অন্ধ্রে টিডিপি।

তবে নির্বাচনের গতি-প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, কংগ্রেস যদি গত নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ৪৪-এর সঙ্গে আরও প্রায় ১০০টি আসন যুক্ত করতে না পারে, তাহলে তাদের ক্ষমতাসীন হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। আবার একই সঙ্গে ১০০টি আসন পাওয়া কংগ্রেসের জন্য বেশি কঠিন এটাও জোর দিয়ে বলা যায় না। সবকিছু জানা যাবে ২৩ মে। কিন্তু ততদিন তো চাপানউতোর চলবেই।

   

ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে হিজবুল্লাহ: গ্যালান্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৭ মাস ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত।

শনিবার (১৮ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাজধানী জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে যে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই এবং আমরা এটা বুঝতে পারি; কিন্তু যে গত কয়েক মাসে যত সন্ত্রাসীকে আমরা হত্যা করতে পেরেছি, সেই সাফল্যও তুচ্ছ নয়।’

ওই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে আসছি যে আমাদের সব সময় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এতদিন পর্যন্ত কেউ একে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ৭ অক্টোবরের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমরা কতখানি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তবে আমরা কখনও পিছু হটব না। সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার জবাব আমরা দেবো।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ও লেবাননের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকবার বিমান ও গোলা হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা।

;

হরিয়ানায় চলন্ত বাসে আগুন, প্রাণ গেল ৯ পুণ্যার্থীর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পুণ্যার্থীবাহী চলন্ত বাসে আগুন লেগে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ২৪ জন। ঘটনার সময় বাসে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১৮ মে) ইন্ডিয়া ট্যুডে'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৭ মে) রাতে হরিয়ানার নুহ জেলার মানেসার পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবোঝাই একটি বাসে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এতে ছয়জন নারো ও তিনজন পুরুষ ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হন। এছাড়া আহত হন আরও ২৪ জন। জানা যায়, যাত্রীদের অধিকাংশই ধর্মীয় তীর্থযাত্রী ছিলেন।

আগুন নেভানোর পর চিকিৎসার জন্য দগ্ধদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতরা চণ্ডীগড় ও পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা সবাই মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে ফিরছিলেন। নারী-শিশুসহ বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন ধরল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত দেড়টার দিকে চলন্ত বাসে আগুন লাগার বিষয়টি লক্ষ্য করেন তারা। বাসের পেছন থেকে লেলিহান আগুনের শিখা বের হচ্ছিল। গ্রামবাসীরাই চিৎকার করে বাস চালককে বাস থামাতে বললেও বাসের চালক তা শোনেনি ৷ এরপর এক যুবক বাইকে করে বাসটিকে ধাওয়া করে সেটিকে থামায়।

;

রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে ১৩ দেশের চিঠি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যৌথ চিঠি পাঠিয়েছে ১৩ টি মিত্র দেশ। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পাঁচ পাতার একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করে তা ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের হাতে তুলে দিয়েছেন। একই সঙ্গে সে চিঠি জনসম্মুখেও প্রকাশ করেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা রাফায় পূর্ণ মাত্রার সামরিক অভিযানের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করছি, যা বেসামরিক জনগণের ওপর বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যদেশ ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেন।

উক্ত চিঠিতে গাজা উপত্যকায় বিধ্বংসী ও ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিরসনে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভাকে কাজ করার কথাও তারা উল্লেখ করেছেন। একইসাথে
মিত্র দেশের মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জরুরী মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে রাফাহ ক্রসিংসহ সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়াও চিঠিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ইউএন এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের (UNRWA) অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে, সাহায্য কর্মী এবং আন্তর্জাতিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় ট্রাক চালকদের জন্য পর্যাপ্ত পারমিট প্রদান করতে বলা হয়েছে।

;

হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

শনিবার (১৮ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন শানি লোক, অমিত বুসকিলা এবং ইজহাক গেলেরেন্তার। এই তিনজনকে গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভালে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের দক্ষিণ ইসরায়েলে নোভা উৎসবে হত্যা করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর ওই উৎসবে যোগ দেয়া ৩৬০ জনের বেশি মানুষ হামাসের হামলায় নিহত হন।

ইসরায়েলে হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া দেশটি থেকে ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, 'প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনজন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবরে আমি মর্মাহত। আমার স্ত্রী সারা এবং আমি তাদের পবিরারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের সব জিম্মিকে ফেরাব-জীবিত অথবা মৃত। আমি আমাদের সাহসী সেনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাদের ছেলে ও মেয়েদের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে।'

এদিকে হামাসের হাতে এখনো প্রায় ১২৫ জন জিম্মি রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন, তা নিশ্চিত নয়। এই জিম্মিদের দেশে ফেরাতে ইসরায়েলে নিয়মিত বিক্ষোভ করছেন দেশটির নাগরিকেরা।

;