নৌকায় প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিলেন অন্ধ নাবিক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রশান্ত মহাসাগর জয়ী জাপানি অন্ধ নাবিক মিতসুহিরু ইয়ামতো (বামে) ও তাকে সহয়তাকারী ডজ স্মিথ/ ছবি: সংগৃহীত

প্রশান্ত মহাসাগর জয়ী জাপানি অন্ধ নাবিক মিতসুহিরু ইয়ামতো (বামে) ও তাকে সহয়তাকারী ডজ স্মিথ/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপানের এক অন্ধ নাবিক একটানা নৌকায় করে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। রেকর্ড অনুযায়ী, তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি কিনা চোখে দেখতে না পারলেও পাল তোলা নৌকায় প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়েছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫২ বছর বয়সী জাপানি নাগরিক মিতসুহিরু ইয়ামতু ১৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে একটি সাইটেড নেভিগেটরের সহায়তা নেন।

দুই মাসের যাত্রা শেষে মিতসুহিরুর ১২ মিটার দৈর্ঘের পাল তোলা নৌকাটি শনিবার (২০) জাপানের ফুকুশিমা বন্দরে নোঙর করে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেন মিতসুহিরু। আমেরিকান নাবিক ডজ স্মিথ তার যাত্রার সঙ্গী ছিলেন এবং তাকে এই কাজে সহায়তা করেন।

এর আগে ২০১৩ সালে তিনি প্রথমবার প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই বার তার নৌকাটি একটি হাঙরের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। তাকে জাপানি সেনারা উদ্ধার করেন।

ইয়াকি বন্দরে মিতসুহিরু জাপানি সংবাদ সংস্থা কিয়োডো নিউজকে বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে পেরে আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আজকে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।’

প্রশান্ত মহাসাগর জয়ী মিতসুহিরু ইয়ামতো ১৬ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান। নৌকা দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তাকে মৌখিকভাবে সাহায্য করেন ডজ স্মিথ। সাগরে বাতাসের গতিবিধি ও সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে মিতসুহিরু ইয়ামতোকে অবহিত করতেন স্মিথ।

জাপানি অন্ধদের নৌকা চালানোর সমিতি বলছে, ইয়ামতো প্রথম ব্যক্তি যিনি একটানা নৌকা বেয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়েছেন।

মিতসুহিরু ইয়ামতো তার ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘শুধু ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য আমরা এই মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা বোঝাতে চেয়েছি মানুষ যখন একতাবদ্ধ হয়, তখন তাদের দ্বারা সবকিছু সম্ভব।’

একটি সাহায্য সংস্থার জন্য অনুদান সংগ্রহের উদ্দেশে মিতসুহিরু ইয়ামতো ও ডজ স্মিথ এই সমুদ্রযাত্রা করেন। সংস্থাটির মাধ্যমে সংগৃহীত টাকা চোখের অন্ধত্ব সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।

   

খারকিভে কঠিন লড়াই চলছে, তবে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে: জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে বলে জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত কঠিন’, তবে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা বেশকিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা দখলদারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতি সাধন করছে। তিনি বলেন, তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের ইউনিটকে শক্তিশালী করছি।

খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ বলেছেন, ইউক্রেন এই অঞ্চলে ফ্রন্ট লাইনকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং রাশিয়ার অগ্রগতি আংশিকভাবে থামাতে সক্ষম হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মস্কো ৯ থেকে ১৫ মের মধ্যে ইউক্রেনের ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

;

ক্লদ মনে’র পেইন্টিং ৩৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরাসি চিত্রশিল্পী ক্লদ মনের একটি পেন্টিং নিউইয়র্কে বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় এক নিলামে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথেবিস বলেছে, এর মাধ্যমে নিউইয়র্কে বসন্তকালীন নিলামে পেন্টিং চড়া মূল্যে বিক্রির সম্ভাবনার সূচনা ঘটেছে।

সোথেবিস এবং প্রতিদ্বদ্ধী নিলাম ঘর ক্রিস্টি উভয়ই গত সোমবার তাদের বসন্তকালীন পেন্টিং নিলাম শুরু করেছে। যদিও বৈশ্বিক শিল্প বাজার গত বছর দুর্বল ছিল, কিন্তু, ২০২৪ সালে লন্ডন এবং প্যারিসে ওঠা চড়া দাম তাদের মধ্যে আশাবাদের জন্ম দিয়েছে।

১৮৯৩ সালে ফরাসি ইমপ্রেশনিস্ট শিল্পী ক্লদ মনের আঁকা পেন্টিং ‘মিউলস এ জিভার্নি’ নিলামের দরকষাকষির লড়াইয়ে দাম উঠেছে ৩৪.৮ মিলিয়ন ডলার।

এদিকে, ব্রিটিশ-মেক্সিকান শিল্পী লিওনোরা ক্যারিংটন তার নিজের নিলামের রেকর্ড ভেঙেছেন। তার ‘লেস ডিস্ট্রাকশন ডি ডাগোবার্ট’ পেন্টিংটি ২৮.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

সাথেবিস বলেছে, ‘নতুন রেকর্ডটি ক্যারিংটনকে নিলামে শীর্ষ পাঁচ নারী শিল্পীর মধ্যে স্থান দিয়েছে এবং শীর্ষ চার পরাবাস্তববাদী শিল্পীর মধ্যে ম্যাক্স আর্নস্ট এবং সালভাদর ডালিকে ছাড়িয়ে গেছে।’

ইতোমধ্যে নিলাম ঘর ক্রিস্টি প্রায় ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে, যার মধ্যে একটি জিন-মিশেল বাস্কিয়েরেট পেইন্টিং ৩২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

;

গাজা শীর্ষ সম্মেলন, বাহরাইন যাচ্ছেন আরব নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় একটি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাহরাইনে সমবেত হচ্ছেন আরব নেতারা।

এ সম্মেলন উপলক্ষ্যে উপসাগরীয় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বুধবার (১৫ মে) দেশটির রাজধানী মানামায় পৌঁছাতে শুরু করেন। সম্মেলন স্থলে আরব লীগের ২২ সদস্যের পতাকা উড়ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেশী সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে নভেম্বরে একটি শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে এই প্রথম ব্লকটি একত্রিত হলো। সৌদি আরবের সম্মেলনে জেদ্দাভিত্তিক ৫৭ সদস্যের অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

ওই বৈঠকে নেতারা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়েছিলেন।

কুয়েতের বিশ্লেষক জাফের আল-আজমি বলেছেন, ‘৭০ বছরেরও বেশি সময় আগে ইসরায়েলের জন্মের পর থেকে পশ্চিমা জনমত ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে এবং তাদের ওপর করা অন্যায় বন্ধের দাবির প্রতি আরও বেশি ঝুঁকেছে।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করাসহ তাদের যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান তুলে ধরে এএফপি জানায়, দক্ষিণ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ১,১৭০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এ সময় হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে।

ইসরায়েলের মতে এদের মধ্যে ১২৮ গাজায় রয়ে গেছে, যার মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধারণা।

হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের সামরিক প্রতিশোধে কমপক্ষে ৩৫,২৩৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

পাশাপাশি ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ভয়াবহ খাদ্য সংকট এবং দুর্ভিক্ষের হুমকি দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, প্রায় ৫ লাখ লোককে দক্ষিণ গাজার শহর রাফাহ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আপত্তি সত্ত্বেও হামাস ব্যাটালিয়নের অবশিষ্টাংশের নির্মূল করার ওপর জোর দিচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই রাফাহ আক্রমণের সম্পূর্ণ বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু সেখানে ইসরায়েলি অভিযানে মানবিক বিপর্যয় ঘটাবে-এমন দাবি মানতে নারাজ।

এই পটভূমিতে কাতারের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির আলোচনাকে অচলাবস্থার কাছাকাছি বলে বর্ণনা করে আজমি বলেন, ‘আরব দেশগুলোর সুর পরিবর্তিত হয়েছে।’

;

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তৈরিকৃত ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মা জায়ান্টের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে আরও একটি মারাত্মক রোগের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গবেষকরা জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় তৈরি করা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে ‘ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রোমবোকায়টোপেনিয়া অ্যান্ড থ্রোমবোসিসের’ (ভিআইটিটি) ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

‘ভিআইটিটি’ রক্ত জমাট বাধার একটি অতি বিরল রোগ হলেও খুবই মারাত্মক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা।

তবে এই রোগটি পৃথিবীতে নতুন না হলেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে এটি নতুন করে উদ্ভব হয়েছে। ২০২১ সালে করোনা মহামারীর সময়ে এটি ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কোভিশিল্ড হিসেবে বিক্রি হয়েছিল। আর ইউরোপের দেশগুলোতে ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল।

এই রোগের কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, “একটি অস্বাভাবিক বিপজ্জনক রোগ এটি। যা রক্তে অটোঅ্যান্টিবডির প্লাটিলেট ফেক্টর ৪ (পিএফ৪) নামের একটি প্রোটিনের বিরুদ্ধে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। যেটি ভিআইটিটির কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে।” 

গত ফেব্রুয়ারিতে এক নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে, টিকা গ্রহণের পর টিটিএস বা থ্রম্বসিস উইথ থ্রম্বোসিটোপেনিয়া সিনড্রোম নামের এক প্রকার শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে তা খুবই বিরল।

যুক্তরাজ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে ২০২০ সালের টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গত বছর কানাডা, উত্তর আমেরিকা, জার্মানি এবং ইতালির গবেষকরা পৃথক এক গবেষণায় এই রোগের সম্পর্কে বলেছিলেন।

ওই গবেষণায় তারা বলেছেন, থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (TTS) অ্যাডেনোভাইরাস (জ্বর, সর্দি, কাশি সঙ্গে শ্বাসকষ্ট) ভেক্টর-ভিত্তিক টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা গিয়েছে। এটি এক ধরনের সেরিব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস (CVST), যার মধ্যে মস্তিষ্কের শিরাস্থ সাইনাসে রক্ত জমাট বাধে, যা মস্তিষ্কের বাইরে রক্তের প্রবাহকে বাধা দেয়। এটি প্লাটিলেটের সংখ্যা কমায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তপাত বা রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি বাড়ায়। পাকস্থলী বা মস্তিষ্কেও রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি এবং বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গবেষকদের সম্মিলিত এক গবেষণায়- অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের ব্যক্তিদের এই 'ভিআইটিটি' রোগটি হওয়ার সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে।

গবেষণায় কাজ করা ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টম গর্ডন বলেছেন, এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ। যা জেনেটিক ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের পর এই টিকা দেওয়ার ফলে রক্ত ​​​​জমাট বাধার বিরল রোগ দেখা দিয়েছে।

তবে বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।

;