'প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নয়, মানবতার কাজ করছি'



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান, ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার সকালে তখনো ক্রাইস্টচার্চের ছোট্ট একটা কক্ষে নিউজিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট জেসিন্ডা আর্ডান। কাটা চামচ দিয়ে সেখানে শুধুমাত্র কিছু ফল খেয়েছেন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত লম্বা কালো পোশাকে ঢাকা। ভিনগ্রহ থেকে আসা কোন আগন্তুক কিছু বুঝে ওঠার আগেই মনে মনে ভাববেন, এ নিশ্চয় প্রথাগত কোন মুসলিম নারী।

জেসিন্ডাকে ক্লান্ত দেখাচ্ছে। এয়ারপোর্ট থেকে সোজা গেলেন হাসপাতালে আহতদের দেখতে। এই নিয়ে সাতদিনে তৃতীয়বারের মতো তিনি আহতদের দেখতে গেলেন। তারপর যোগ দিলেন ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ এলাকায় সমবেত জনতার সাথে। সেখানে সবার সাথে নিহতদের স্মরণ করে দুই মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এভাবেই বিগত এক সপ্তাহ ধরে ব্যস্ত সময় পার করছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। হামলার পর পুরো নিউজিল্যান্ডবাসী ভেঙে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সবার মনোবল যোগাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই দেশটির অস্ত্র আইনে পরিবর্তন ও অসাধারণ মানবতা প্রদর্শনের জন্য নিজ দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছেন।

একটি দেশে এরকম নৃশংস হামলা শেষে দেশটির সরকার প্রধানের সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জেসিন্ডা বিশ্ববাসীকে সমালোচনা করার সুযোগ দিলেন কই? উল্টো কুড়িয়ে নিচ্ছেন প্রশংসা। হামলাকারীর নাম মুখে না নেওয়ার ঘোষণা থেকে শুরু করে নিহত পরিবার ও তাদের ধর্ম ইসলামের সম্মান প্রদর্শন করায় তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনেক উঁচুতে।

মাত্র দুই দিন আগে নিউজিল্যান্ডের এক স্কুল শিক্ষার্থী তাকে জিজ্ঞাসা করলো, প্রধানমন্ত্রী আপনি কেমন আছেন। জেসিন্ডা আর্ডান সরলভাবে উত্তর দিলেন, আমি ব্যথিত। এছাড়া ১৩ বছর বয়সী এক মুসলিম বালিকার চিঠির উত্তর দিতেও ভুল করেননি ৩৮ বছর বয়সী এ প্রধানমন্ত্রী।

বালিকার চিঠির জবাবে জেসিন্ডা বলেন, ‘আমি মনে করছি না আমি আমার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছি। আমি মানুষ হয়ে মানবতার সেবায় কাজ করছি।'

এছাড়া তিনি নিহতদের স্মরণ করতে গিয়ে জেসিন্ডা বলেন, ‘আমি নিউজিল্যান্ডবাসীর মূল্যবোধের বাহক হয়ে কাজ করছি। আমরা বর্তমানে যেটা অনুভব করছি সেটাই প্রদর্শন করছি।'

তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে শত্রুতার চাষ করা হয় না। কিন্তু ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি সন্ত্রাসের কোন সীমানা প্রাচীর নেই। এ ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। নেতৃত্ব তৈরি করে কাজ করতে হবে।'

সূত্র: স্টাফ.কো.এনজেড

   

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮ জন।

রোববার (১৯ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নওশেরায় শনিবার ব্রেক ফেল করে একটি মিনি-ট্রাক গভীর খাদে পড়ে গেলে পুরুষ, নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তারা বান্নু থেকে খুশাবের ওয়াদি সুনের দিকে যাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটির গতি ছিল অনেক। যখন ওই গতিতে গাড়িটি বাঁক নেয়, তখনই রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এতে পাঁচ নিষ্পাপ শিশুসহ ১৪ জনের হৃদয়বিদারক প্রাণহানি ঘটে।

মর্মান্তিক ঘটনার পর উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঁটে যায়। পরে মৃতদের ও আহতদের টিএইচকিউ হাসপাতাল ও জোহরাবাদের ডিএইচকিউ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ বলছে, গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।  

খুশাবের রেসকিউ ১১২২ ইমার্জেন্সি অফিসার ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ জানান, একই পরিবারের অন্তত ২৬ জন সদস্য বানু থেকে নওশেরা (খুশাব) যাওয়ার সময় ট্রাকটি ২০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে আবদুল্লাহ, আসগর, ইব্রাহিম, মুহাম্মাদুল্লাহ, রিফাতুল্লাহ, কিফায়াতুল্লাহ, সুমেরা, আব্দুল রেহমান, আব্দুল এহসান, শাফকাতুল্লা, তাবরাইজ খান, শামস জাই, তাবরেজ, কুবলা খান এবং কাকিম খানসহ ওই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়।

এছাড়া আব্দুল রশিদ, রাবিয়াসহ আরও ছয়জন আহত হয়। তাদের মধ্যে তিন জন শিশু।

রেসকিউ ১১২২ সূত্র জানায়, দুই পুরুষ ও দুই নারীসহ চারজন সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন এবং তাদের ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা করা হয়েছে।

;

ব্রিটিশ রাজার চেয়েও ধনী ঋষি-অক্ষতা দম্পতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির ব্যক্তিগত সম্পদ দেশটির রাজা চার্লসের চেয়েও বেশি। গত বছর এই দম্পতির সম্পদ ১২২ মিলিয়ন পাউন্ড বেড়ে ৬৫১ মিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছেছে। এর আগের বছর তাঁদের সম্পদ ছিল ৫২৯ মিলিয়ন পাউন্ড।

সানডে টাইমস প্রকাশিত শীর্ষ ধনীদের তালিকার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ঋষি সুনাকের স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি ভারতীয়। তার বাবা নারায়ণ মূর্তি ভারতের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা। গত বছর নারায়ণ মূর্তি তাঁর নাতিকে ইনফোসিসের তিন কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার উপহার দিয়েছেন। ওই শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই ঋষি–অক্ষতা দম্পতির সম্পদ বেড়েছে বলে গণমাধ্যমডগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে ব্রিটিশ রাজা চার্লসের সম্পদ ৬১০ মিলিয়ন পাউন্ড। গত বছর এটি ঋষি সুনাক দম্পতির চেয়ে বেশি ছিল। এ বছর ঋষিদের সম্পদ ৬৫১ মিলিয়ন পাউন্ড হওয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় পিছিয়ে পড়লেন রাজা চার্লস।

তবে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের হাতে কত সম্পদ রয়েছে, তা প্রকাশ্য নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। ফলে রাজা চার্লসের প্রকৃত সম্পদ অনুমান করাও কঠিন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হিসাবমতে, রাজপরিবারের অধীনে থাকা একাধিক প্রাসাদ ও জায়গার দাম মিলিয়ে ১২ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি।

প্রতি বছর যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ধনীর তালিকা প্রকাশ করে থাকে সানডে টাইমস। এবারের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে গোপী হিন্দুজা অ্যান্ড ফ্যামিলি (৩৭ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড)। এরপর ধারাবাহিকভাবে স্যার লিওনার্দ ব্লাভাতনিক (২৯ দশমিক ২৫ বিলিয়ন পাউন্ড), ডেভিড অ্যান্ড সাইমন রুবেন অ্যান্ড ফ্যামিলি (২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন পাউন্ড), স্যার জিম র‌্যাটক্লিফ (২৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন পাউন্ড), স্যার জেমস ডাইসন অ্যান্ড ফ্যামিলি (২০ দশমিক ৮ বিলিয়ন পাউন্ড), বারনাবি অ্যান্ড মার্লিন সুয়্যার অ্যান্ড ফ্যামিলি (১৭ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড), ইডান অফার (১৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন পাউন্ড), লক্ষী মিত্তাল অ্যান্ড ফ্যামিলি (১৪ দশমিক ৯২ বিলিয়ন পাউন্ড), গাই জর্জ অ্যাল্যান্নাহ অ্যান্ড গ্যালেন ওয়েস্টন অ্যান্ড ফ্যামিলি (১৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন পাউন্ড) ও জন ফ্রেডরিকসেন অ্যান্ড ফ্যামিলি (১২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন পাউন্ড)।

রাজনীতিতে প্রবেশেরও আগে থেকে যুক্তরাজ্যের ধনী হিসেবে পরিচিত ঋষি সুনাক। তিনি হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। গত বছর তার দেওয়া আয়কর তথ্য থেকে জানা যায়, ঋষির মোট সম্পদের পরিমাণ ২ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড।

ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এসেছেন মূলত তার স্ত্রীর ইনফোসিসের শেয়ারের কারণে। বর্তমানে তাদের শেয়ারের দাম ৫৯০ মিলিয়ন পাউন্ড।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রি ঋষি সুনাকের সম্পদের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কোনও জানায়নি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট।

;

ফের আসছে অরোরা বোরিয়ালিস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শক্তিশালী সৌরঝড়ের কারণে গত ১০ মে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নর্দান লাইটস বা অরোরা বোরিয়ালিস দেখার সুবর্ণ সুযোগ হয়েছিল। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আবারো পৃথিবীর দিকে শক্তিশালী সৌরঝড় আসবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই এই সৌরঝড়ের দেখা মিলতে পারে। বাংলায় এ ঝড়কে বলা হয় মেরুজ্যোতি। 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) এ ঝড়কে ‘অতি প্রচণ্ড’ ভূ-চৌম্বকীয় (জিওম্যাগনেটিক) ঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দশকের মধ্যে পৃথিবীতে আঘাত হানা এটি সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড় ছিল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আসন্ন সৌরঝড়টি আগেরটির চেয়ে বড় ও জটিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে আঘাত হানবে। ফলে আগের চেয়ে আরও বেশি অরোরা বা মেরুজ্যেতি তৈরি হতে পারে।

স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময়ে এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমার বড় অগ্ন্যুৎপাত এটি। পরে এটি জিওম্যাগনেটিক স্টর্মে পরিণত হয়।

আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) এবং সোলার ফ্লেয়ার সূর্যের মধ্যে ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ২০১৭-এর পর এখন পর্যন্ত সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌর শিখা দেখা গেছে।

;

ফাইজার-বায়োএনটেকের বিরোধ মামলায় মডার্নার জয়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইজার ও বায়োএনটেকের সঙ্গে কভিড-১৯ টিকা নিয়ে চলমান বিরোধে মডার্নার পক্ষে রায় দিয়েছে ইউরোপিয়ান পেটেন্ট অফিস (ইপিও)। এমআরএনএ-ভ্যাকসিন পেটেন্টধারী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির কাছ থেকে মুনাফার অংশ পেতে এ রায় মার্কিন কোম্পানিটিকে সাহায্য করবে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহের শেষ দিকে দেয়া রায়ে ইপিও দুটি বিতর্কিত পেটেন্টের মধ্যে একটির বৈধতা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এতে ফাইজার ও বায়োএনটেক তাদের অতিবিক্রীত টিকা নিয়ে বিপত্তিতে পড়ল।

এ বিষয়ে মডার্নার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ইউরোপিয়ান পেটেন্ট অফিস মডার্নার ইপি৯৪৯ পেটেন্টের বৈধতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আদালতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে দাবি করা মূল পেটেন্ট নিয়ে অভিযোগগুলোর একটি।’

ইপিওর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য নয় মাস সময় দেয়া হয়েছে। ফাইজার সে প্রক্রিয়া অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিলেও বায়োএনটেক কোনো মন্তব্য করেনি। ১৬ মে মৌখিক রায় দেয়া হয়েছে, যা জুন নাগাদ লিখিতভাবে প্রকাশ হতে পারে।

এর আগে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি আদালতে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন থেকে মুনাফার অংশ পেতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে মামলা করে মডার্না। কোম্পানিটি বলেছে যে, ভ্যাকসিন কোম্পানি দুটি তাদের পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে।

পেটেন্ট নিয়ে কোম্পানিগুলোর বিরোধ বেশ পুরনো। ২০১১ ও ২০১৬ সালে মডার্নার পেটেন্ট অবৈধ উল্লেখ করে মামলা করে ফাইজার ও বায়োএনটেক। কিন্তু দুবারই অভিযোগ অবৈধ হিসেবে খারিজ হয়ে যায়।

মামলায় চূড়ান্তভাবে জিতলে কভিড টিকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যবসায় মডার্নার হিস্যা রাতারাতি বেড়ে যাবে। শুধু ২০২২ সালে এ কোম্পানিগুলো টিকা বিক্রি করে ৭ হাজার ৩২০ কোটি ডলার আয় করেছে। তবে মহামারী স্তিমিত হয়ে এলে ভ্যাকসিনের চাহিদা কমে যাওয়ায় তিনটি ফার্মা গ্রুপের শেয়ারের দাম পড়ে যায়।

মডার্নার আওতায় থাকা ৯৪৯ পেটেন্টটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও এমআরএনএর প্রতিক্রিয়া সঙ্গে সম্পর্কিত। মডার্নার এ আবিষ্কার শুধু কভিড-টিকার মধ্যেই সীমিত নয়, বরং একই বৈশিষ্ট্য ভবিষ্যতের এমআরএনএ-ভিত্তিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এ হিসেবে পেটেন্টটি সামনেও লাভজনক থাকছে। ইপিও জানিয়েছে, মডার্নার ৯৪৯ পেটেন্ট সংশোধিত আকারে বজায় রাখা হয়েছে।

গত বছর একটি বিকল্প পেটেন্টের জন্য গেলে ইপিওর কাছে বৈধতা পায় মডার্না, যা ৫৬৫ নামে পরিচিত। এটি করোনাভাইরাস ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে এমআরএনএ-ভিত্তিক আরেকটি প্রযুক্তি। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করছে মডার্না।

অবশ্য ইপিওর রায়ে পেটেন্টের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে সীমিত নয়। একাধিক দেশের আদালতে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে মডার্না। আদালতগুলো পেটেন্টের বৈধতা এবং ফাইজার ও বায়োএনটেক তা লঙ্ঘন করেছে কিনা সে বিষয়ে রায় দিতে থাকবে। জরিমানার বিষয়েও আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।



;