মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই- মিলল দেশটির নেতাদের বক্তব্যে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলা চালায় মাসুদ আজহারের (বামে) নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মুহম্মদ/ ছবি: সংগৃহীত

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলা চালায় মাসুদ আজহারের (বামে) নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মুহম্মদ/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতের বিশেষায়িত বাহিনী সিআরপিএফের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ফের আলোচনায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহম্মদ (জেইএম)। সংগঠনটির নেতৃত্বে আছেন মাসুদ আজহার। পাকিস্তানের মদদে জেইএম এ হামলা করছে বলে ভারত দাবি করলেও তা বরাবরই অস্বীকার করছে পাকিস্তান।

সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশারফের কিছু বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছে ভারতের দাবি সঠিক। পাকিস্তান চাইলেও জেইএমকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি লুকাতে পারছে না। বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে জইশ-ই-মুহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার পাকিন্তানে আছেন বলে স্বীকার করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের বহরে জেইএমের ঐ হামলায় ৪৫ জওয়ান প্রাণ হারান। ঘটনার পর দুই পক্ষই সীমান্তে সৈন্য-সামন্ত জড়ো করে গোলাগুলি করে। এমনকি উভয় পক্ষেরই যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

জেইএমের হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নিন্দা জানান।

বর্বরোচিত ঐ হামলার পর দায় স্বীকার করে জেইএমের একাধিক নেতা অডিও ও ভিডিও বার্তায় ভারতের বিরুদ্ধে এ ধরণের আক্রমণ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। এসব বার্তায় জইশ নেতারা ‘জিহাদ জিন্দাবাদ’, ‘শোদাই কাশ্মীর জিন্দাবাদ’ বলার পাশাপাশি ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলেও স্লোগান দেন।

অথচ জেইএমের হামলা চালানো এবং তাদের পাকিস্তানে থাকা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী সহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোরেশী বলেন, ‘পুলওয়ামা হামলায় জেইএম জড়িত কি-না আমরা নিশ্চিত নই। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।’

‘দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কোথায়’ জানতে চাইলে কোরেশী বলেন, ‘জেইএমের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে এবং তারা বলেছে ‘না’। তারা অস্বীকার করেছে। এটাই দ্বিধা।’

কারা যোগাযোগ করেছে জইশ নেতাদের সঙ্গে- জানতে চাইলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা তাদের পরিচিত তারা। সেখানে যারা আছে তারা। তারা কোনো দায় স্বীকার করেনি। তারা অস্বীকার করেছে।’

কিন্তু জইশ তো প্রেস বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে বলা হলে কোরেশী বলেন, ‘এ বিষয়ে পরস্পর বিরোধী রিপোর্ট আছে। এটাই দ্বিধার।’

আরেকটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোরেশী স্বীকার করে নেন জেইএমের প্রধান মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছেন।

‘জইশ প্রধান মাসুদ আজহার কি এখন পাকিস্তানে আছেন? যদি থাকেন, তবে কি আপনারা তাকে ধরবেন?’- এমন প্রশ্ন করা হলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি পাকিস্তানেই আছেন, তবে অবস্থা খুব খারাপ। তার অবস্থা এতোই খারাপ যে ঘর থেকেও বেরে হতে পারছেন না।’

কোরেশী পাকিস্তানে জইশ নেতার অবস্থানের কথা বললেও তার ঠিক বিপরীত কথা বলেন দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে জইশ-ই-মুহম্মদের অস্তিত্ব নেই।’ তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয় গত ৬ মার্চ।

মাহমুদ কোরেশী বা মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের বক্তব্যে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের বক্তব্যে তা বেরিয়ে আসে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে মাসুদ আজহারের নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মুহম্মদকে ভারতের মাটিতে আক্রমণের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেই সাক্ষাৎকারের খবর ৬ মার্চই প্রকাশ হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

সামরিক বাহিনী ও সরকারের বর্তমান নেতৃত্বের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আর সাবেক নেতাদের এমন সরল স্বীকারোক্তি স্বভাবতই চাপে ফেলে দিয়েছে পাকিস্তানকে। সেজন্যই কি-না মাসুদ আজহারের দুই ভাই জেইএম’র নীতিনির্ধারক বলে পরিচিত আবদুল রউফ আজগর ও হামাদ আনসারিকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান সরকার। যদিও মাসুদ আজহারকে ধরা হয়নি এখনো। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত চাপের মুখে পাকিস্তান মাসুদ আজহারকে না ধরে পার পাবে কি-না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায়।

জইশ-ই-মুহম্মদ ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর তাদের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের কারণে ২০০২ সালে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয়। নিষিদ্ধ হলেও সীমান্ত পেরিয়ে এসে একাধিকবার ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় জঙ্গি গোষ্ঠীটির সদস্যরা।

   

চার ব্র্যান্ডেড কোম্পানি বিশ্বের ২০ শতাংশের বেশি প্লাস্টিক দূষণে দায়ী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বিশ্বের নামী-দামী ৫৬টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দ্বারা অর্ধেকের বেশি প্লাস্টিক দূষণ হচ্ছে। এর মধ্যে চার প্রতিষ্ঠানই ২০ শতাংশের বেশি প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে ও ড্যানোন। প্লাস্টিক দূষণের মাত্রায় কোকা-কোলা কোম্পানির দ্বারাই ১১ শতাংশ দূষণ হচ্ছে। এছাড়াও পেপসিকো, নেসলে ও ড্যানোন যথাক্রমে ৫, ৩ ও ২ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত।

প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে কাজ করা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এ গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন কানাডার ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। পাঁচ বছর মেয়াদে বিশ্বের ৮৪টি দেশের প্লাস্টিক দূষণের ওপর ভিত্তি করে এই গবেষণাটি করা হয়।

গবেষণাটি সম্প্রতি সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

কানাডিয়ান সংবাদ সংস্থা সিবিসি'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডালহৌসির স্কুল ফর রিসোর্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের অধ্যাপক ও এই গবেষণার সাথে যুক্ত টনি ওয়াকার বলেছেন, বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর দ্বারাই সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক দূষণ হচ্ছে। এর শিকার হচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি দেশই।

এই গবেষণায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৈকত, পার্ক, নদী এবং জনসমাগম এলাকায় কাজ করা এক হাজার ৫০০'র বেশি স্বেচ্ছাসেবকদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিবেশগত গ্রুপ 'ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক'র সাথে কাজ করা কর্মীরদের থেকে ২০১৮ ও ২০২২ সালের মধ্যে তথ্যগুলো নেওয়া হয়েছে।

গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত দুই দশকে প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০০ সালে সেখানে এই দূষণের মাত্রা ছিল ২০০ মিলিয়ন টন তা ২০১৯ সালের দিকে এসে পৌঁছেছে ৪০০ মিলিয়ন টনে।

এক বিবৃতিতে, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিংয়ের ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং ২০৩০ সালের মধ্যে প্যাকেজিংয়ে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।

কোম্পানিটি আরও জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে "সংগ্রহ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য" করার জন্য বোতল বা ক্যান বিক্রি করা হবে।

এদিকে পেপসিকো গত বুধবার একটি বিবৃতিতে বলেছে, আমরা যে মোড়ক ব্যবহার করি তা কমানোর লক্ষ্যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

কোম্পানিটি আরও জানায়, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য বাধ্যতামূলক বৈশ্বিক নীতি কাঠামো চালু করা প্রয়োজন। আমরা অন্যদেরও এটি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

নেসলে কোম্পানি প্লাস্টিক দূষণের কথা স্বীকার করে বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, প্লাস্টিক দূষণ একটি "মারাত্মক সমস্যা এবং এর সমাধানের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি"। তবে এর দূষণ রোধে বিশ্বব্যাপী বাধ্যতামূলক আইন চালু করা প্রয়োজন।

ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং লাতিন আমেরিকায় বর্জ্য সংগ্রহ, বাছাই এবং পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে বলেও জানায় কোম্পানিটি।

তবে এ বিষয়ে খাদ্যপণ্য ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ড্যানোনের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

;

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী গাজা ভূখণ্ডের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

বৈশ্বিক প্লাস্টিক দূষণের তালিকায় কোক-পেপসি শীর্ষে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকেরও বেশির জন্য দায়ী ৫৬টি কোম্পানি। ৫ বছর ব্যাপী চালানো নতুন গবেষণায় প্লাস্টিক বর্জ্যের পেছনে দায়ী কোম্পানিগুলি নথিভুক্ত করেছে৷

গবেষণায় দেখা গেছে, সমস্ত ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের ২০ ভাগের জন্য মাত্র ৪টি কোম্পানী দায়ী। এর মধ্যে শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো— কোকা-কোলা (১১ শতাংশ), পেপসিকো (৫ শতাংশ), নেসলে (৩ শতাংশ) এবং ড্যানোন (২ শতাংশ)।

ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায়, ৫ বছরের ধরে ৮৪টি দেশে প্লাস্টিক দূষণের উপর পরিক্ষা নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি হয়।


ডালহৌসির স্কুল ফর রিসোর্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের অধ্যাপক টনি ওয়াকার বলেছেন, "বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম কর্পোরেশন তারা গ্রহের প্রতিটি দেশে পৌঁছে গেছে।"

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি ১ হাজার ৫শ ৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে প্লাস্টিকের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে, ২০০০ সালে ২০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন থেকে থেকে ২০১৯ সালে ৪০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে, কোকা-কোলা বলেছে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায় প্যাকেজিংয়ের জন্য।

পেপসিকো জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

কোম্পানি আরও জানায়, "প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য একটি বড় এবং বাধ্যতামূলক বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে কাজ করছে। এবং তাদের অন্যদেরও এটি করার সুযোগটি কাজে লাগাতে আহ্বান জানিয়েছে তারা।"

এক বিবৃতিতে, নেসলে স্বীকার করেছে যে প্লাস্টিক দূষণ একটি "গুরুতর সমস্যা এবং এটি সমাধানের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি" - এবং এটি বিশ্বব্যাপী আইনিভাবে বাধ্যতামূলক নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করে৷ এটি ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং লাতিন আমেরিকায় বর্জ্য সংগ্রহ, বাছাই এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্কিমগুলি বিকাশের জন্য নেসলের চলমান প্রকল্পগুলিরও উল্লেখ করেছে।

এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য জানায়নি ফ্রান্সভিত্তিক বহুজাতিক খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ড্যানোন।

ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ সায়েন্সের অধ্যাপক প্যাট্রিসিয়া করকোরান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করা গবেষণাটি "অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ"।

করকোরান গ্রেট লেকের সৈকতে প্লাস্টিক দূষণ পরীক্ষা করার অনুরূপ গবেষণায় কাজ করেছে। গবেষণায়, "খাদ্য এবং পানীয়ের বর্জ্যই সেখানে রয়েছে - এটি কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় বলে তিনি জানিয়েছেন"।

তিনি বলেন, "আপনি যদি সবচেয়ে বড় উৎপাদককে হাইলাইট করেন...তাহলে হয়তো এটি কোম্পানির সচেতনতা বাড়াবে এবং কোম্পানি এটি সম্পর্কে কিছু করতে পারে।"

সমীক্ষায় দেখা গেছে যে উদ্ধারকৃত প্লাস্টিক আইটেমগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি সূর্য, পানি এবং বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরে কোনও স্পষ্ট ব্র্যান্ডিং এর লেবেল ছিল না।

গবেষকরা বলেছেন যে তাদের গবেষণায় প্লাস্টিক পণ্য এবং প্যাকেজিংয়ের উৎপাদন এবং লেবেলিংয়ের বিষয়ে বৃহত্তর স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তারয়েছে, যাতে দূষণ কারা করছে তা বের করা সহজ হয় এবং সংস্থাগুলিকে জবাবদিহি করা যায়।

তারা একটি আন্তর্জাতিক, ওপেন-অ্যাক্সেস ডাটাবেস তৈরির জন্য যুক্তি দেখান, যেখানে কোম্পানিগুলি তাদের পণ্য, প্যাকেজিং এবং ব্র্যান্ডগুলি পরিবেশে পরিমাণগতভাবে ট্র্যাক করতে এবং রিপোর্ট করতে বাধ্য।

কানাডার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী স্টিভেন গিলবিউল্ট একটি নতুন রেজিস্ট্রি ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে কোম্পানিগুলিতে কতটা প্লাস্টিক উত্পাদিত হচ্ছে এবং এটি কোথায় গিয়ে শেষ হবে তার বিশদ সরবরাহ করতে হবে।

গিলবিউল্ট কানাডার নতুন প্লাস্টিক রেজিস্ট্রির পরিকল্পনা এবং অটোয়াতে জাতিসংঘের প্লাস্টিক দূষণ চুক্তির আলোচনার বিশদ বিবরণ সম্পর্কে বলেছেন। তিনি আলোচনার লক্ষ্য ১৭০টিরও বেশি দেশের জন্য প্লাস্টিক দূষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক চুক্তি নিয়ে আসার পরামর্শও দিয়েছিলেন।

;

রোমানিয়ায় কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমানিয়ার উপকূলে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে ওই জাহাজে থাকা তিন সিরীয় নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী

শনিবার (১৮ মে) সকালে ‘মোহাম্মদ জেড’ নামের তানজানিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রোমানিয়ান শহর সান্তু জর্জে থেকে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। ওই সময় জাহাজটিতে ১১ জন ক্রু ছিলেন। যার মধ্যে নয়জন সিরিয়ার এবং দুজন মিসরের নাগরিক ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রোমানিয়ার নৌবাহিনী।

তারা আরও জানিয়েছে, ভোর ৪টার দিকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে নৌ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। ওই সময় কাছাকাছি থাকা দুটি বাণিজ্যিক জাহাজও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

জাহাজের ৮ নাবিককে কাছে থাকা একটি বাণিজ্যিক জাহাজই উদ্ধার করে। কিন্তু তিনজন নিখোঁজ হয়ে যান। এই তিনজনের সবাই সিরিয়ার নাগরিক। কী কারণে জাহাজটি ডুবে গেলো সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।

;