তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে: মার্কিন দূত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের ১৭ বছরের সংকট নিরসনে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় ’গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে। বিস্তারিত না বললেও এমনটা দাবি করেছেন মার্কিন দূত জালমে খালিলজাদ।

টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, কাতারে অভূতপূর্ব ছয় দিনের ওই আলোচনা আগের থেকে অনেক বেশি ফলপ্রসু হয়েছে। তবে, এখনও কোনো কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি।

তালেবানের পক্ষ থেকেও ওই আলোচনাকে ফলপ্রসু বলা হয়েছে। সংগঠনটির মুখপাত্র বলেছেন, অমীমাংসীত বিষয়গুলোতে আলোচনা অব্যাহত থাকা উচিৎ। 

মার্কিন দূত খালিলজাদ আলোচনায় আফগান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন। তিনিও তালেবানের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখার উপর জোর দিয়েছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/27/1548563878383.jpg

তবে, আফগান সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যাবে না বলে জানিয়েছে তালেবান। তারা সরকারকে পুতুল আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করলেই কেবল তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে বলে শর্ত দিয়েছে।

এদিকে, গত শনিবার তালেবান সূত্রের বরাদ্দ দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দু’টি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে সমোঝতা চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উপর হামলা করতে আল-কায়দা ও ইসলামি স্টেট (আইএস) আফগানিস্তানকে ব্যবহার করবে না, এই শর্তে ১৮ মাসের মধ্যে দেশটি থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করার চুক্তি তাদের সাথে স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে।

রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই চুক্তিতে আরও দু’টি বিষয় অন্তর্ভূক্ত আছে। সেগুলো হলো- কারাবন্দি বিনিময় ও তালেবানের কিছু নেতার আরোপিত পর‌্যটনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি যুদ্ধবাহিনী সরিয়ে নেয়ার পর থেকেই দেশটিতে তালেবান সক্রিয় হয়ে ওঠে। ওই বছর থেকে এ পর‌্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫ হাজারেরও বেশি সদস্য বিভিন্ন যুদ্ধ, সংঘর্ষ আর হামলায় মারা গেছে বলে গত শুক্রবার জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

এক হিসাবানুযায়ী, আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক, প্রায় দেড় কোটি মানুষ তালেবান নিয়ন্ত্রিত অথবা জঙ্গিদের প্রকাশ্য বিচরণ আছে, এমন এলাকায় বাস করেন।

   

ক্লদ মনে’র পেইন্টিং ৩৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরাসি চিত্রশিল্পী ক্লদ মনের একটি পেন্টিং নিউইয়র্কে বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় এক নিলামে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথেবিস বলেছে, এর মাধ্যমে নিউইয়র্কে বসন্তকালীন নিলামে পেন্টিং চড়া মূল্যে বিক্রির সম্ভাবনার সূচনা ঘটেছে।

সোথেবিস এবং প্রতিদ্বদ্ধী নিলাম ঘর ক্রিস্টি উভয়ই গত সোমবার তাদের বসন্তকালীন পেন্টিং নিলাম শুরু করেছে। যদিও বৈশ্বিক শিল্প বাজার গত বছর দুর্বল ছিল, কিন্তু, ২০২৪ সালে লন্ডন এবং প্যারিসে ওঠা চড়া দাম তাদের মধ্যে আশাবাদের জন্ম দিয়েছে।

১৮৯৩ সালে ফরাসি ইমপ্রেশনিস্ট শিল্পী ক্লদ মনের আঁকা পেন্টিং ‘মিউলস এ জিভার্নি’ নিলামের দরকষাকষির লড়াইয়ে দাম উঠেছে ৩৪.৮ মিলিয়ন ডলার।

এদিকে, ব্রিটিশ-মেক্সিকান শিল্পী লিওনোরা ক্যারিংটন তার নিজের নিলামের রেকর্ড ভেঙেছেন। তার ‘লেস ডিস্ট্রাকশন ডি ডাগোবার্ট’ পেন্টিংটি ২৮.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

সাথেবিস বলেছে, ‘নতুন রেকর্ডটি ক্যারিংটনকে নিলামে শীর্ষ পাঁচ নারী শিল্পীর মধ্যে স্থান দিয়েছে এবং শীর্ষ চার পরাবাস্তববাদী শিল্পীর মধ্যে ম্যাক্স আর্নস্ট এবং সালভাদর ডালিকে ছাড়িয়ে গেছে।’

ইতোমধ্যে নিলাম ঘর ক্রিস্টি প্রায় ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে, যার মধ্যে একটি জিন-মিশেল বাস্কিয়েরেট পেইন্টিং ৩২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

;

গাজা শীর্ষ সম্মেলন, বাহরাইন যাচ্ছেন আরব নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় একটি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাহরাইনে সমবেত হচ্ছেন আরব নেতারা।

এ সম্মেলন উপলক্ষ্যে উপসাগরীয় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বুধবার (১৫ মে) দেশটির রাজধানী মানামায় পৌঁছাতে শুরু করেন। সম্মেলন স্থলে আরব লীগের ২২ সদস্যের পতাকা উড়ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেশী সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে নভেম্বরে একটি শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে এই প্রথম ব্লকটি একত্রিত হলো। সৌদি আরবের সম্মেলনে জেদ্দাভিত্তিক ৫৭ সদস্যের অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

ওই বৈঠকে নেতারা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়েছিলেন।

কুয়েতের বিশ্লেষক জাফের আল-আজমি বলেছেন, ‘৭০ বছরেরও বেশি সময় আগে ইসরায়েলের জন্মের পর থেকে পশ্চিমা জনমত ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে এবং তাদের ওপর করা অন্যায় বন্ধের দাবির প্রতি আরও বেশি ঝুঁকেছে।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করাসহ তাদের যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান তুলে ধরে এএফপি জানায়, দক্ষিণ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ১,১৭০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এ সময় হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে।

ইসরায়েলের মতে এদের মধ্যে ১২৮ গাজায় রয়ে গেছে, যার মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধারণা।

হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের সামরিক প্রতিশোধে কমপক্ষে ৩৫,২৩৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

পাশাপাশি ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ভয়াবহ খাদ্য সংকট এবং দুর্ভিক্ষের হুমকি দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, প্রায় ৫ লাখ লোককে দক্ষিণ গাজার শহর রাফাহ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আপত্তি সত্ত্বেও হামাস ব্যাটালিয়নের অবশিষ্টাংশের নির্মূল করার ওপর জোর দিচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই রাফাহ আক্রমণের সম্পূর্ণ বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু সেখানে ইসরায়েলি অভিযানে মানবিক বিপর্যয় ঘটাবে-এমন দাবি মানতে নারাজ।

এই পটভূমিতে কাতারের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির আলোচনাকে অচলাবস্থার কাছাকাছি বলে বর্ণনা করে আজমি বলেন, ‘আরব দেশগুলোর সুর পরিবর্তিত হয়েছে।’

;

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তৈরিকৃত ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মা জায়ান্টের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে আরও একটি মারাত্মক রোগের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গবেষকরা জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় তৈরি করা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে ‘ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রোমবোকায়টোপেনিয়া অ্যান্ড থ্রোমবোসিসের’ (ভিআইটিটি) ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

‘ভিআইটিটি’ রক্ত জমাট বাধার একটি অতি বিরল রোগ হলেও খুবই মারাত্মক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা।

তবে এই রোগটি পৃথিবীতে নতুন না হলেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে এটি নতুন করে উদ্ভব হয়েছে। ২০২১ সালে করোনা মহামারীর সময়ে এটি ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কোভিশিল্ড হিসেবে বিক্রি হয়েছিল। আর ইউরোপের দেশগুলোতে ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল।

এই রোগের কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, “একটি অস্বাভাবিক বিপজ্জনক রোগ এটি। যা রক্তে অটোঅ্যান্টিবডির প্লাটিলেট ফেক্টর ৪ (পিএফ৪) নামের একটি প্রোটিনের বিরুদ্ধে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। যেটি ভিআইটিটির কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে।” 

গত ফেব্রুয়ারিতে এক নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে, টিকা গ্রহণের পর টিটিএস বা থ্রম্বসিস উইথ থ্রম্বোসিটোপেনিয়া সিনড্রোম নামের এক প্রকার শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে তা খুবই বিরল।

যুক্তরাজ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে ২০২০ সালের টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গত বছর কানাডা, উত্তর আমেরিকা, জার্মানি এবং ইতালির গবেষকরা পৃথক এক গবেষণায় এই রোগের সম্পর্কে বলেছিলেন।

ওই গবেষণায় তারা বলেছেন, থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (TTS) অ্যাডেনোভাইরাস (জ্বর, সর্দি, কাশি সঙ্গে শ্বাসকষ্ট) ভেক্টর-ভিত্তিক টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা গিয়েছে। এটি এক ধরনের সেরিব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস (CVST), যার মধ্যে মস্তিষ্কের শিরাস্থ সাইনাসে রক্ত জমাট বাধে, যা মস্তিষ্কের বাইরে রক্তের প্রবাহকে বাধা দেয়। এটি প্লাটিলেটের সংখ্যা কমায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তপাত বা রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি বাড়ায়। পাকস্থলী বা মস্তিষ্কেও রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি এবং বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গবেষকদের সম্মিলিত এক গবেষণায়- অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের ব্যক্তিদের এই 'ভিআইটিটি' রোগটি হওয়ার সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে।

গবেষণায় কাজ করা ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টম গর্ডন বলেছেন, এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ। যা জেনেটিক ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের পর এই টিকা দেওয়ার ফলে রক্ত ​​​​জমাট বাধার বিরল রোগ দেখা দিয়েছে।

তবে বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।

;

ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিলেন ইমরান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন আইনের সংশোধনী সংক্রান্ত একটি মামলায় কারাগার থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের (১৬ মে) শুনানিতে প্রথমবারের মতো ভিডিও লিংকের মাধ্যমে শীর্ষ আদালতে হাজিরা দিলেন তিনি।

৭১ বছর বয়সি এই নেতার আদালতে উপস্থিতি শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে লাইভ স্ট্রিম করা হয়নি কিংবা দেশের নিউজ চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হয়নি।

ইমরানের শুনানি কেন নিউজ চ্যানেল বা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করা হয়নি সে সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য আল জাজিরা তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এদিকে, শুনানি সম্প্রচারের অনুমতি না দেওয়ায় প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)।

পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পিটিআইয়ের আমির মুঘল আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমাদের দল বিশ্বাস করে যে, দেশের প্রধান বিচারপতি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশ করছেন এবং তাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি সম্ভাব্য উপায়ে পিটিআইকে স্তব্ধ করা।’

ইমরান ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পরপরই তার স্থলাভিষিক্ত সরকার ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অর্ডিন্যান্স (এনএও) ১৯৯৯ সংশোধন করে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ক্ষমতা হ্রাস করে।

ওই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তার বিচার অবশ্যই এক বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং সংস্থাটিকে গ্রেপ্তার করার আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।

আইনের ওই সংশোধনীর পরে আদালত থেকে অন্তত ২২টি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেয় এনএবি।

সেসব মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে ছিলেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন ইমরান। ওই পিটিশনে তিনি বলেন, ‘প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রক্ষা করা এবং সংশোধনীর মাধ্যমে দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তিনি আদালতে ওই সংশোধনী বাতিলের আবেদন করেন।

শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি স্থগিত করেছে। ইমরান তার ভার্চুয়াল উপস্থিতির সময় কথা বলেননি।

;