মেক্সিকোতে নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ ভেঙে নিহত ৯, আহত ৫০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

  • Font increase
  • Font Decrease

মেক্সিকোতে একটি নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ ভেঙে ৯ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আর ৫০ জন। নিহতদের মধ্যে আটজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একজন শিশু ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য নুয়েভো লিয়নে সেন্ট্রিস্ট সিটিজেনস মুভমেন্ট পার্টির নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ ভেঙে এ ঘটনা ঘটে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।

উত্তর মেক্সিকান রাজ্যের গভর্নর স্যামুয়েল গার্সিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় জানান, নুয়েভো লিওনে সিটিজেনস মুভমেন্ট পার্টির সমাবেশে মঞ্চ ভেঙে ৯ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও প্রায় ৫০ জন। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে আটজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একজন শিশু ছিল।

সেন্ট্রিস্ট সিটিজেনস মুভমেন্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হোর্হে আলভারেজ মেনেজ বলেছেন, সান পেড্রো গারজা গার্সিয়া শহরের নির্বাচনি প্রচারণার সময় দমকা হাওয়া শুরু হয়। এতে সমাবেশের মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। তিনি নিজেই এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিসৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনার সময় করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মঞ্চটি হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে, আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন।

বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মেক্সিকোতে আগামী ২ জুন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে আলভারেজ মেনেজ প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

   

গাজায় হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের ৮ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেডের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের ৮ সেনা নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) পশ্চিম রাফা শহরের তাল আস-সুলতান জেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটির আল-কাসাম ব্রিগেড এই হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে কাসাম ব্রিগেড জানায়, তাঁদের সেনারা পশ্চিম রাফা শহরের তাল আস-সুলতান জেলায় ইসরায়েলি সেনাদের গাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়। তাঁদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) নিক্ষেপ করে এবং গুলি চালায়।

পরবর্তীতে ইসরায়েলে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আট সেনা নিহতের কথা নিশ্চিত করে। দক্ষিণ গাজায় অভিযান-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সময় তাঁরা নিহত হন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঠিক কীভাবে হামলাটি সংগঠিত হয়েছে, তা তদন্ত করা হবে বলে

গত ২৭ অক্টোবর স্থল অভিযান শুরুর পর গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার।

;

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর বাস ভবনের কাছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: এনডিটিভি

ছবি: এনডিটিভি

  • Font increase
  • Font Decrease

মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে উচ্চ-নিরাপত্তাশীল সচিবালয় কমপ্লেক্সের কাছে একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিল্ডিংটি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সরকারি বাস ভবন থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে অবস্থিত।

চারটি ফায়ার ট্রাক ঘটনাস্থলে এসে শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় আগুন নিভিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, তারা কী কারণে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখছে।

ইম্ফল পশ্চিমের পুলিশ সুপার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কুকি ইন, ওল্ড লাম্বুলানের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে, ইম্ফল পশ্চিম পুলিশের দল এবং দমকল ট্রাক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাড়ির প্রথম তলা আংশিকভাবে পুড়ে গেছে।

আগুনের সঠিক কারণ জানা যায়নি, পুলিশ বিবৃতিতে বলেছে, তথ্য ও পরিস্থিতি" দেখার জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শর্ট সার্কিট সহ সকল বিষয় পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তাদের গ্রেফতার করা হবে।

যে বিল্ডিংটিতে আগুন লেগেছে সেটি একই কমপ্লেক্সে কুকি ইনপির প্রধান কার্যালয়। তারা আদিবাসী উপজাতি নেতা ফোরাম (ITLF) নামে অন্য একটি চুরাচাঁদপুর-ভিত্তিক কুকি গ্রুপের আহ্বানকে সমর্থন করে। তাদের জন্য মণিপুরে একটি "পৃথক প্রশাসন" রয়েছে।

আসামের সীমান্তবর্তী মণিপুরের জিরিবাম জেলায় উপত্যকা-অধ্যুষিত মেইতি সম্প্রদায় এবং পার্বত্য-অধ্যুষিত হামার উপজাতিদের মধ্যে নতুন সহিংসতার এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।

;

ইন্দিরা গান্ধীকে ‘মাদার অব ইন্ডিয়া’ বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘মাদার অব ইন্ডিয়া’ বা ‘ভারতের মা’ বলে অভিহিত করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। সেই সঙ্গে কেরালার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কে করুণাকরণকে সাহসী প্রশাসক এবং সেই রাজ্যের বিখ্যাত মার্কসবাদী নেতা ইকে নায়নার কে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১৫ জুন) কেরালার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের সমাধি মুরালি মন্দিরমে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি। সেখানে সাংবাদিদের প্রশ্নে উত্তরে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

সুরেশ কেরালা রাজ্য থেকে বিজেপির টিকিটে লোকসভা আসনে জিতেছেন। করুণাকরণের ছেলে এবং কংগ্রেস নেতাকে মুরালিধরনকে পরাজিত করেই লোকসভা ভোটে জিতেছেন সুরেশ গোপী। তিনি ত্রিশূর লোকসভা আসনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গত ২৬ এপ্রিলের ভোটে কে মুরালিধরন তৃতীয় স্থানে ছিলেন।

সুরেশ গোপী বলেন, মার্ক্সবাদী নেতা নয়নার এবং তার স্ত্রী সারদা শিক্ষকের মতো করুণাকরণ এবং তার স্ত্রী কল্যাণিকুট্টি আম্মার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি কান্নুরে নয়নার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ১২ জুন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সম্পর্ক ঝালাই করে নিয়েছেন।

সুরেশ গোপী বলেন, ইন্দিরা গান্ধীকে তিনি ‘ভারতথিন্তে মাথাভু’ (ভারতের মা) হিসেবে দেখেন। করুণাকরণ তার চোখে ‘রাজ্যের কংগ্রেস দলের পিতা’ ছিলেন।

অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া কংগ্রেসের এ প্রবীণ নেতার (করুণাকরণ) প্রশাসনিক দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সুরেশ গোপী। তাকে তার প্রজন্মের একজন ‘সাহসী প্রশাসক’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

;

যুদ্ধ অবসানের প্রত্যাশায় সুইজারল্যান্ডে বিশ্বনেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শনিবার (১৫ জুন) সুইজারল্যান্ডের বার্গেনস্টক রিসোর্টে শুরু হয়েছে ‘ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন।’

এই সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ায় রুশ হামলা শুরুর ২৮ মাস পরে এই সম্মেলন নতুন আশা জাগিয়েছে।

শান্তি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে ৯০টির বেশি দেশ ও বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান। সম্মেলনটির লক্ষ্য ইউক্রেন সংঘাতের অবসানের জন্য একটি মৌলিক চুক্তিতে পৌঁছানো।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মনে করেন, স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে এই সম্মেলন জোরালো ভূমিকা রাখবে। আর ইউক্রেনের জন্য এই সম্মেলন একটি বড় পাওয়া। রবিবার (১৬ জুন) শেষ হবে এই সম্মেলন।

তবে চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শক্তি পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না।

এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের দাবি জানিয়ে যে আল্টিমেটাম দিয়েছেন, তাতে শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির প্রত্যাশা কম বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, এই শান্তি সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

সম্মেলনটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন খারকিভের কাছে উত্তর-পূর্বে রাশিয়া নতুন করে হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেখানে বাড়িঘর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে।

ইউক্রেনের সংসদ সদস্য আলেক্সান্ডার মেরেকো মনে করেন, ভবিষ্যৎ শান্তির জন্য একটি রাজনৈতিক ও আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই শান্তি কেবলই আসতে পারে ২০২২ সালে তুলে ধরা জেলেনস্কির ১০ দফার ভিত্তিতে।

ওই ১০ দফাতে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব অগ্রাধিকার পেয়েছে।

সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান পলিসি অ্যানালাইসিসের (সিইপিএ) স্যাম গ্রিন বলেন, ‘আমি মনে করি এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের দৃষ্টিভঙ্গির পেছনে সমর্থন জোগাড় করা।

সম্মেলনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যদিও এই সিদ্ধান্ত জেলেনস্কিকে রাগান্বিত করেছে। ভারত ও ব্রাজিল সম্মেলনে নিম্ন স্তরের প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে।

এদিকে, এই সম্মেলনকে ‘অর্থহীন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

;