পাকিস্তানে ঘুমন্ত ৭ নাপিতকে গুলি করে হত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানে ঘুমন্ত অবস্থায় ৭ জন নাপিতকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) পাকিস্তানের গোয়াদরের সুরবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা নাপিত দোকানের কর্মীদের আবাসিক ভবনে ঢুকে ঘুমন্ত কর্মীদের ওপর গুলি চালায়। এত ৭ জন নিহত হয়, আহত হয় আরও একজন।

নিহতরা পাঞ্জাবের খানেওয়াল এবং লোধরান জেলার বাসিন্দা, এবং আহতরা মিয়া চান্নু, খানেওয়ালের বাসিন্দা।

ডনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোয়াদরের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) জোহাইব মহসিন বলেছেন, ঘটনাটি ঘটেছিল আনুমানিক রাত ৩টায়, নিহতরা গোয়াদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সুরবন্দরে একটি নাপিতের দোকানে কাজ করত।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।

গোয়াদরের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টি তদন্ত করছি, ধারণা করা হচ্ছে, তারা পাঞ্জাবি হওয়ায় তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ আহত ও নিহতদের মৃতদেহ গোয়াদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি গোয়াদরে শ্রমিকদের হত্যার নিন্দা জানিয়ে একে ‘উন্মুক্ত সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। নিহতদের পরিবারগুলোকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানেরও ঘোষণা দেন তিনি।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী পিটিভি নিউজের এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এ ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিন বলেছেন, এটি একটি কাপুরুষোচিত কাজ, আমরা সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।

বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর জিয়া উল্লাহ লাঙ্গাউ বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।

   

রাইসির মৃত্যুতে ইসরায়েলি নেতাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কয়েকজন ইহুদি ধর্মীয় নেতা। তার এই মৃত্যু ‘ঈশ্বরের পক্ষ থেকে শাস্তি’ বলেও বিশ্বাস তাদের। ব্যক্তিগত বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় তারা রাইসির কঠোর সমালোচনা করেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসির মৃত্যুর পর ইসরায়েল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ইহুদি ধর্মীয় নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সমালোচনামূলক পোস্ট করেছেন। সেসব পোস্টে রাইসির প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তারা।

রাইসিকে ‘তেহরানের জল্লাদ’ উল্লেখ করে রাবি মেইর আবুতবুল এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা ঐশ্বরিক শাস্তি। খুব নোংরা ভাষায় আবুতবুল লেখেন, সে ইহুদিদের ঝুলাতে চেয়েছিল, তাই ঈশ্বর তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ইসরায়েল বিরোধী ক্রুকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করে বাতাসে বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। ইসরায়েল ও ইহুদিদের প্রতি রাইসির মনোভাবের কঠোর নিন্দা জানান আবুতবুল।

ইরানের সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাবি নির বেন আর্টজিও এক ফেসবুক পোস্টে এই রাবি লেখেন, নিজের প্রতি জুলুম করো না, ঈশ্বর বলেছেন, যথেষ্ট হয়েছে। আপনি ঈশ্বরকে রাগান্তিত করেছেন। রাইসি ও তার প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে এমন মন্তব্য করেন বেন আর্টজি। এ ঘটনাকে ঈশ্বরের অসন্তোষ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

ইহুদি আরেক ধর্মীয় নেতা রাবি ইৎজ-চাক বাৎজরি রাইসিকে ফেরাউনের দোসর হামানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। রাইসির মৃত্যুর খবর আসার আগে বাৎজরি ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে দুষ্টু হামান। নিজের পোস্টে বাইবেলের একটি লাইনও জুড়ে দেন এই রাবি।

উল্লেখ্য, ঘন কুয়াশার কারণে রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। ইরানের উত্তরাঞ্চলে মর্মান্তিক ওই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসিসহ আরোহী ৯ জনের কেউ প্রাণে বাঁচেননি। সফরসঙ্গীসহ রাইসি নিহত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের বিভিন্ন নেতারা শোক প্রকাশ করছেন। তার বিপরীতের ইহুদি ধর্মীয় নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সিনেটর নেতাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

;

ভারতে নির্বাচনের ৫ম ধাপ: রাহুলের ভাগ্য নির্ধারণের দিন আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ৫ম ধাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সোমবার (২০ মে)। নির্বাচনের পঞ্চম দফায় উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯ টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নির্বাচনের এই দফায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আরও দুজন শীর্ষ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও পিযূষ গয়ালের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।

এই পঞ্চম দফার ভোটে সবার বিশেষ নজর এখন উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলির দিকে। সেখান থেকে লড়ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে, লখনৌতে ভাগ্য পরীক্ষা হবে রাজনাথ সিংয়ের, আমেথিতে অভিনেত্রী মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির আর জম্মু-কাশ্মীরে বারামুল্লায় ওমর আবদুল্লার।

এরই মধ্যে চার দফার ভোট শেষ হয়েছে। আজ ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪৯ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৭ আসনে। যার মধ্যে ৩টি বিজেপির বাকি সবগুলোই তৃণমূলের দখলে। মমতা বাংলায় বিজেপি আসন বাড়ানোর ডাক দিয়েছে। আর আসন বাড়াতে হলে এই দফা থেকেই বিজেপির আসন বাড়াতে হবে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সীমানা ঘেষা বনগাঁ আসনে জাহাজমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুরের, হুগলিতে দুই অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।

লোকসভার সাত দফার ভোট পর্ব শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। ২৮ রাজ্য ও ৮ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৭ কোটি ভোটারের কাছ থেকে সুষ্টু ভোট নিতে সাত দফায় ভোটের আয়োজন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামপন্থি দলসহ ৬টি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল এবং তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, জেডিইউ-এর মতো প্রাদেশিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ১৯  ও ২৬ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় দফা এবং ৭ ও ১৩ মে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোট হয়। চার দফায় ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৬৬.১, ৬৬.৭, ৬১ ও ৬৭.৩ শতাংশ। 

লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার দফায় ভোট নেয়া হয়েছে ৩৭৯ আসনে। বাকি ১৬৪ আসনের মধ্যে আজ ৪৯ আসনের ভোট শেষ হলে বাকি থাকবে ১১৫টি আসন যা পরবর্তী দুই দফায় সম্পন্ন হবে।

;

ছবিতে রাইসির মরদেহ উদ্ধার অভিযান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাইসির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে/ছবি: রয়টার্সের

রাইসির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে/ছবি: রয়টার্সের

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় অনুসন্ধান অভিযানও শেষ হয়েছে। ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সোমবার (২০ মে) এ তথ্য জানিয়েছে।

রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার

রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বেল-২১২ মডেলের। বিবিসি জানায়, ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের কাছে এমন কোনো হেলিকপ্টার বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র। সে হিসেবে উড়োযানটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরনো।

বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ‘সন্ধান’ পাওয়ার পরও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়। যার কারণে ইব্রাহিম রাইসির মরদেহ উদ্ধারে ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার উদ্ধার

একে একে বের করা হচ্ছে মরদেহ

রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এই ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়

জানা যায়, আজারবাইজানে একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে যাচ্ছিল ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। দুর্ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের উদ্ধারে অংশ নেয় ৪০টি দল। উদ্ধারে অংশ নেয় তুরস্ক ও রাশিয়াও।

;

রাইসির মৃত্যুতে সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করল ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর কারণ নিছক দুর্ঘটনা নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করছে সারাবিশ্ব। এরই মধ্যে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।

সোমবার (২০ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা নিয়ে এরই মধ্যে সন্দেহ জাগছে অনেকের মধ্যে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ মধ্যপ্রাচ্য, ইরান বা অন্যান্য ইসরায়েল বিরোধী রাষ্ট্রগুলোর উপির নজরদারি অব্যাহত রেখেছিল। রাষ্ট্রের বুদ্ধিবৃত্তিক সুরক্ষা প্রদান এবং সে অনুযায়ী সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার মতো নজর বিছিয়ে রাখার মাধ্যমে ইসরায়েলের স্বার্থরক্ষা করে মোসাদ। কিন্তু কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যার সাথে সংস্থাটির আগের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

চিরশত্রু ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের চক্ষুশূল ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি। আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও কখনো মাথা নত করেননি মধ্যপ্রাচ্যের এই নেতা, রাজি হননি আপোষেও। তাই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মার্কিন সিনেটর রিক স্কট। অন্যান্য নেতারাও করেন স্বস্তির মন্তব্য।

এই উচ্ছ্বাস শুধু মার্কিন সিনেটরেরই নয়, যেন ইসরায়েল-আমেরিকার প্রতিচ্ছবি। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরানো একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তাকে শেষ করতে পারলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলের দিকে মিসাইল তাক করার মতো আর কেউ নেই তা ভালো করেই জানেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। এ ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার। এমনকি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েও ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফেরাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে রাইসিকে টার্গেট করতে পারে বাইডেন প্রশাসন সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

;