ফিলিস্তিনের পতাকায় লাথি মারতেই ঘটে বিস্ফোরণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের মালাচেই হাশালোম চৌকির কাছে রোববার (২১ এপ্রিল) ৪৫৪ নং রুটে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তেড়েফুঁড়ে লাথি মারতে যান ইসরায়েলি এক ব্যক্তি। কিন্তু লাথি মারতেই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণে ওই ইসরায়েলি ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম হারেৎজের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। ঘটনার সময় ধারণ করা একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে।

এতে দেখা গেছে, পশ্চিম তীরে একটি মহাসড়কের ধারে টিলার পাদদেশে ফিলিস্তিনের একটি পতাকা উড়ছিল। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থামিয়ে নামেন ইসরায়েলের এক বেসামরিক নাগরিক। এরপর পতাকাটির দিকে হেঁটে গিয়ে সেটিতে লাথি দেন। সঙ্গে সঙ্গে পতাকার সঙ্গে যুক্ত বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এতে আহত হন ওই ব্যক্তি। ভিডিওটি তার গাড়িতে বসা কেউ একজন করেছেন।

স্থানীয় জরুরি পরিষেবা বলছে, ভাগ্যগুণে ওই ইসরায়েলি বেঁচে গেছেন। তার আঘাত গুরুতর নয়। ঘটনাস্থলেই তার চিকিৎসা করা হয়েছিল। তবে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না।

পতাকায় লাথির ঘটনার ভিডিও এক্সে প্রকাশ করেছে হারেৎজ। তাতে অনেকেই ওই ইসরায়েলির সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের এই পতাকা কেন আপনার কাছে ভীতিকর মনে হলো?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘যেমন কর্ম তেমন ফল। ’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে সাড়ে ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত ৭৭ হাজার।

গাজার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে দখলদারদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।




   

হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল-গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে ইসরায়েলের তিন সৈন্য নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

সোমবার (৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। 

এ হামলায় তিন সৈন্য নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। 

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্পপাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার (২ দশমিক ২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বাহিনীটি আরও বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

;

৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট পাপুয়া অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.২। 

স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। 

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় অনুভূত ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২।

তবে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতের জেরে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম পাপুয়ায় ফাকফাক এলাকার ১৫৩ কিলোমিটার (৯৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠের ১২.১ কিলোমিটার গভীরে।

এর আগে, গত মাসের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে সেসময় অবশ্য বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি এবং সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি

;

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করলে হামাস ক্ষমতায় থেকে যাবে: নেতানিয়াহু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে টানা সাত মাস ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের নির্বিচারে এ গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও বিক্ষোভ জানিয়েছে বিশ্ববাসী।

এ পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে বাড়ছে বৈশ্বিক চাপ। হামাসও বলেছে, সম্ভাব্য যেকোনও চুক্তির জন্য যুদ্ধের স্থায়ী অবসান নিশ্চিত করতে চায় তারা। তবে হামাসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার (৬ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় যদি এখন ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করে তাহলে হামাস ক্ষমতায় থেকে যাবে এবং তারা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে থাকবে।

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের জন্য যুদ্ধে সাময়িক বিরতি দিতে ইসরায়েল রাজি আছে বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। হামাসের কাছে ১৩০ জনের বেশি ইসরায়েলি জিম্মি আছে বলে ধারণা করা হয়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিন্তু ইসরায়েল যখন আগ্রহ দেখাচ্ছে, তখন হামাস কট্টর অবস্থানে অনড় রয়েছে। তারা প্রথমেই গাজা থেকে আমাদের সব সেনা প্রত্যাহারসহ যুদ্ধের অবসান চায়। তারা (হামাস) নিজেদের ক্ষমতায় রাখতে চায়। ইসরায়েল তা মেনে নিতে পারে না।

তিনি বলেন, হামাস বারবার হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও অপহরণ করে নিজেদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

এদিকে কায়রোতে হামাস নেতাদের মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে যুদ্ধবিরতির আলোচনা রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেখানে কোনও আপাত অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি। মূলত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি তার আগের দাবিতেই অনড় রয়েছে যে, যেকোনও চুক্তিতে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

;

যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান ঘিরে রণক্ষেত্র হতে পারে ক্যাম্পাসগুলো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। গত শনিবার (৪ মে) ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ক্যাম্পাসগুলো থেকে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হলো। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের সময় ঘনিয়ে আসছে।

আগামী দিনগুলোয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৭ এপ্রিল থেকে চলছে এই বিক্ষোভ। শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ দমনে শুরু থেকেই পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে এসেছে।

এভাবে বিক্ষোভ দমন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অধিকারকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিক্ষোভে উত্তাল চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি সপ্তাহের শেষে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি মাসে অথবা আগামী জুনে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বাধা দিতে পারেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। এ কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হুমকি দিয়েছেন, তাদের দাবি মানা না হলে এসব আয়োজন বর্জন ও অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে আসাসহ বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে ভাবছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে এসব অনুষ্ঠান বাতিল করেছে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। কোনো কোনোটি পিছিয়ে দিচ্ছে।

গত শনিবার সকাল পর্যন্ত ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল। ওই সময় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্যাম্পাসের লন থেকে কয়েক বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে আটক করছে।

এ ছাড়া বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করছে। এর পরই বিক্ষোভ একরকম দাঙ্গায় রূপ নেয়।

এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জিম রায়ান বলেন, গত শুক্রবার রাতে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ করবে-এমন খবরে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়। তবে আটকদের মধ্যে ঠিক কতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তা স্পষ্ট নয়।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানস্থলে মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। তবে এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। ক্যাম্পাস পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের ঘিরে ফেলে স্টেডিয়ামের পেছনের অংশে নিয়ে যায়। তবে পতাকা, কাফিয়াহ এবং গ্র্যাজুয়েশন ক্যাপ পরে কয়েক ডজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্নাতক অনুষ্ঠান পণ্ড করেন।

এর এক দিন পর গতকাল রোববার নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও সূচনা অনুষ্ঠান ব্যাহত হয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এই বিক্ষোভ এখন নতুন নতুন দেশে ছড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভে নেমেছেন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত, লেবানন, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকোর শিক্ষার্থীরা।

;