অন্ধ জ্যোতিষী বাবা ভঙ্গ'র কথা কী ফলতে যাচ্ছে!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অন্ধ জ্যোতিষী বাবা ভঙ্গ'র কথা কী ফলতে যাচ্ছে!

অন্ধ জ্যোতিষী বাবা ভঙ্গ'র কথা কী ফলতে যাচ্ছে!

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা ইস্যুতে যখন ইরান ও ইসরায়েল মুখোমুখি, তখন যে কারো মনেই জেগেছে শঙ্কা! সবারই প্রশ্ন- কি হতে যাচ্ছে? কোন পথে বিশ্ব? বিশ্ব কি সেই পথেই যে পথের শঙ্কা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন সেই অন্ধ জ্যোতিষী বাবা ভঙ্গ। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! কিংবা এক ভয়াল ২০২৪!

জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী সে নারী পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন ২৭ বছর হলো। কিন্তু এখন থেকে আরো তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বে কোন বছর কি ঘটবে তা নিয়ে নিজের গণনালব্দ ভবিষ্যদ্বাণী তিনি করে গেছেন। তার সে সব কথা যে একেবারে ফ্যালনা নয়, তা এরই মধ্যে বিশ্ববাসী টের পেয়ে গেছে। সবশেষ তাজা তাজা যা ঘটলো তা হচ্ছে কোভিড-১৯ অতিমারি। যে অতিমারির কথাও ছিল বাবা ভঙ্গের ভবিষ্যদ্বাণীতে।

আর ২০২৪ নিয়ে তার বক্তব্যই ছিল ভয়াল কালোয় আচ্ছন্ন একটি বছর হবে এটি। সে আশঙ্কার তালিকায় রয়েছে ইউরোপ জুড়ে সন্ত্রাসী হামলা, বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট আর জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহার। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর একটি হত্যাচেষ্টা চালানো হবে এমন সুনির্দিষ্ট তথ্যও তার গণনায় এসেছিল।

১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয় এই বুলগেরীয় জ্যোতিষীর। বলকানদের নস্ট্রাডামাস বলেই ডাকা হতো তাকে। জ্যোতির্গণনার সেই দিনগুলোতে বাবা ভঙ্গ বছর বছর ধরে ৫০৭৯ সাল পর্যন্ত ভূমণ্ডলে কখন কি ঘটবে তার একটি তালিকা দিয়ে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর বিগত বছরগুলোতে কিছু ঘটনা তার সেই গণনার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় অনেকেই সেসব সত্যিই বলেই মানতে শুরু করেছেন। তার গণনায় ২০২৪ কে একটি কালো বছর হিসেবেই দেখানো হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকেই সামনে এনে মিলিয়ে দেখছেন বাবা ভঙ্গের কোন কোন ভবিষ্যদ্বাণী ফলে যাচ্ছে নাতো। প্রকাশিত হচ্ছে এ পর্যন্ত সেসব বাণী ফলে গেছে সেসবের কথাও।

কোভিড-১৯ অতিমারির কথা আগেই বলেছি। কিন্তু এই তালিকায় আরেকটি দগদগে স্মৃতি হয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ এর ভয়াল হামলা। ১৯৮৯ সালে এই সম্ভাব্য হামলার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বাবা ভঙ্গ। বলেছিলেন ইষ্পাতে তৈরি পাখি এসে আমেরিকার গর্ব চূর্ণ করবে। সেই কথা সত্যি হলো। চারটি উড়োজাহাজ এসে ভেঙ্গে দিলো আকাশচুম্বির গর্ব। আর কেড়ে নিলো ৩০০০ তাজা প্রাণ। ইস্পাতের পাখি বলতে উড়োজাহাজকেই বুঝিয়েছিলেন বাবা ভঙ্গ।

১৯৬৬ সালে বাবা ভঙ্গের ভবিষ্যৎদ্বাণী ছিল কোভিড-১৯ অতিমারির। তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, আমাদের সকলের মাঝে করোনা ছেয়ে যাবে। নেশকা স্টেফানোভা রোবেভা নামে ৭৩ বছরের এক নারীকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছিলো দ্য ডেইলি স্টার। তিনি বলেছিলেন মৃত্যুর আগে বাবা ভঙ্গ তাকে কথাগুলো বলেছিলেন। তখন তিনি বুঝতেও পারেননি এই কথার মানে কি?

কথিত রয়েছে বাবা ভঙ্গ তার মৃত্যুর বছরটিও নাকি ঠিক ঠিক বলে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন ১৯৯৬ সালের ১১ আগস্ট ৮৫ বছর বয়সে তার মৃত্যু হবে। তার এই কথা সত্যি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। সে বছর স্তন ক্যান্সারে তার মৃত্যু হয়।

২০০৪ সালের সুনামির কথা বিশ্ববাসী ভুলতে পারেনি আজও। যে সুনামি ভাসিয়ে দিয়ে গেছে ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত, থাইল্যান্ড ও অন্যান্য দেশকে। সেই সুনামির দিনের আগে কেউ কি জানতো এমন কিছু হতে যাচ্ছে! না। কিন্তু বাবা ভঙ্গ বলেছিলেন এক বিপুলা ঢেউ এসে সমুদ্র উপকূল ছাড়িয়ে লোকালয়, শহর বন্দর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। পানির নিচে তলিয়ে যাবে সব কিছু। হয়েছিলও তাই। তিনি বলেছিলেন, সবকিছু আইসক্রিমের মতো গলে গলে পড়বে।

২০০০ সালের কার্স্ক সাবমেরিন ডিজ্যাস্টারের কথাও নাকি ছিল বাবা ভঙ্গের ভবিষ্যৎ বাণীতে। তিনি বলেছিলেন কার্স্ক পানিতে নিমজ্জিত হবে। আর বিশ্বকে কাঁদাবে। কার্স্ক দুর্ঘটনায় ১১৮ জনের মৃত্যু হয়। ডাইভাররা আটদিন পর কার্স্কের কাছে পৌঁছতে পারে আর জানা যায় সেটি তলিয়ে ছিল ৩৫০ ফুট পানির গভীরে।

বুলগেরীয় এই জ্যোতির্বিদের ভবিষ্যৎ বাণির তালিকায় ছিল ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের কথাও। ১৯৮৪ সালে ঘটে এই হত্যাকাণ্ড। যা ১৯৬৯ সালেই বাবা ভঙ্গ বলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তার পোশাকই তাকে ধ্বংস করবে। ধোঁয়াশা ও আগুনের মাঝে আমি দেখতে পাচ্ছি কমলা-হলুদ পোশাক। ১৯৯৪ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধীকে যেদিন হত্যা করা হলো সেদিন তার পরনে ছিল জাফরান রঙের শাড়ি।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানের খবরও জানা ছিল এই নারী জ্যোতিষীর। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন এক কৃষ্ণাঙ্গ। তবে তার আরেকটি কথা সত্যি হয়নি। বাবা ভঙ্গ বলেছিলেন সেটাই হবে শেষ কোনো কৃষ্ণাঙ্গের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া। কারণ ৪৫তম মেয়াদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামাই দ্বিতীয় দফা নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৪৫তমের ব্যাপারে তার ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, তার সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সঙ্কটের মুখে পড়বে। তবে সেটা মিলে গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। ২০২০ সালের ক্যাপিটল হিলের ঘটনার সাথে বিষয়টি মিলিয়ে দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই।

৫০ বছরের জ্যোতিষবিদ্যা চর্চার সময়ে আরও কিছু ভবিষ্যৎ বাণী ছিল বাবা ভঙ্গের যা মিলে গেছে। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ সালে ইউক্রেনে চেরনোবিল ডিজ্যাস্টার, ১৯৯৭ সালে প্রিন্সেস ডায়ানা হত্যাকাণ্ড।

তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যা মোটেই মেলেনি। যেমন ২০২৩ সালের প্রাকৃতিক জন্মলাভের ইতি ঘটবে, পৃথিবী তার ঘূর্ণয়ণ পথ পরিবর্তন করবে, সৌরঝড় হবে এগুলোর কোনোটাই ঘটেনি। ২০১৭ সালের মধ্যে ইউরোপ তার অস্তিত্ব হারাবে এমন কথাও তিনি বলেছিলেন যা ফলেনি। তবে জ্যোতির্বিদ্যায় যারা বিশ্বাসী তারা ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সাথে এই কথার মিল খোঁজার চেষ্টা করেন।

   

আমেরিকানদের বিক্ষোভের অধিকার আছে, সহিংসতা নয়: বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকানদের বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার আছে, তবে সহিংসতা ছড়ানোর অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপের মধ্যে বৃহস্পতিবার (০২ মে) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন।

বাইডেন বলেন, বিক্ষোভ করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অধিকার কারও নেই।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ করে আসছেন। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগের সমালোচনা করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত তিনি মুখপাত্রের মাধ্যমে মন্তব্য করে আসছিলেন।

আগামী নভেম্বরে পুনরায় নির্বাচিত হতে প্রত্যাশী বাইডেন খুব সতর্কতার সঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তার মন্তব্যে ইহুদিবিদ্বেষকে খারিজ করলেও তরুণদের বিক্ষোভের অধিকারের পক্ষ নিয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক ক্ষতি এড়াতে তিনি এমন অবস্থান নিয়েছেন।

বাইডেন বলেছেন, উভয়পক্ষের যৌক্তিক পয়েন্ট রয়েছে। গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ ভিন্নমত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সহিংসতা মেনে নেওয়া হবে না।

বাইডেন বলেন, বিক্ষোভ করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অধিকার কারও নেই।

তিনি বলেন, সম্পদ ধ্বংস করা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নয়। এটি আইনের পরিপন্থি। ভাঙচুর, অনুপ্রবেশ, জানালা ভাঙা, ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া, ক্লাস বাতিল করতে বাধ্য করা– এর কোনোটাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র নয় যা সমালোচকদের চুপ করে করিয়ে দেবে। তবে শৃঙ্খলা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।

দুই সপ্তাহ আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়েছিল ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। পরে তা আমেরিকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে কমপক্ষে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে।

;

গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা যুদ্ধের জেরে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক।

তুর্কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২ মে) এ তথ্য জানিয়েছে।

তুর্কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল গাজায় নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

বিবিসি জানায়, ২০২৩ সালে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করছেন বলে অভিযোগ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, এরদোগান তুর্কি জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি ভঙ্গ করছেন।

তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় বিকল্প হিসেবে অন্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি লিখেছেন, তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যের বিকল্প খুঁজে বের করতে আইএমএফ-এর মহাপরিচালককে সংশ্লিষ্ট পার্টির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া তাকে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য বলেছি। ইসরায়েল শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হবে। তারা হারবে আমরা জিতব।

১৯৪৯ সালে তুরস্ক ছিল প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে ইসরায়েলি কমান্ডোদের সঙ্গে সংঘর্ষে দশ ফিলিস্তিনিপন্থী তুর্কি কর্মী নিহতের জেরে তুরস্ক ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

;

ইউক্রেনে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ রাসায়নিক ‘ক্লোরোপিকরিন’ ব্যবহার করছে রাশিয়া বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি দিয়ে হামলা ‘বিচ্ছিন্ন’ কোনো ঘটনা নয়। রাশিয়া হরহামেশাই তা ব্যবহার করছে।

তবে ক্রেমলিন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্রবিষয়ক কনভেনশনের (সিডব্লিউসি) বাধ্যবাধকতা বজায় রেখেছে।

সিডব্লিউসি অনুযায়ী, কোনো যুদ্ধে ক্লোরোপিকরিনের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) বলছে, তেল চিটচিটে এই রাসায়নিকটি ব্যবহারের ফলে মানুষের ফুসফুস, চোখ ও ত্বকে প্রদাহ হয়। এতে বমি, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য অনুযায়ী, সুরক্ষিত অবস্থান থেকে ইউক্রেনের সেনাদের পিছু হটাতে ক্লোরোপিকরিন ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে এর আগে রাশিয়াকে সতর্ক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনে হামলা শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর ২০২২ সালের মার্চে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন, তাহলে এর জন্য তাকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।

এরপরও ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে মস্কো হামলা চালিয়েছে বলে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত রাসায়নিক দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছেন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যালরি স্টেওয়ার্ট। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় রাসায়নিক হামলার শিকার হওয়ার কথা বলেছেন ইউক্রেনের সেনারাও।

;

শুক্রবার চাঁদে পাড়ি জমাবে পাকিস্তানের প্রথম মহাকাশযান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদের অন্ধকার দিক থেকে নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যে চীন শুক্রবার (৩ মে) তার চন্দ্র অনুসন্ধান চাং'ই-6 উৎক্ষেপণ করতে চলেছে। এই মিশনটি চাঁদের অন্ধকার অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহের প্রথম প্রচেষ্টাকে চিহ্নিত করবে বলে জানিয়েছে চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ)।

এদিকে চীনা মিশন পাকিস্তানের ক্ষুদ্র স্যাটেলাইট আইকিউব-কিউ ও বহন করবে।  ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চন্দ্রাভিযান শুরু করবে দেশটি।

পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি জানিয়েছে, পাকিস্তানের ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন আসছে ৩ মে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে।

চীনের তৈরি চ্যাংয়ে-৬ চন্দ্রযানে করে দেশটির হাইনান প্রদেশের উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে রওনা হবে পাকিস্তানের আইকিউব-কিউ। চ্যাংয়ে-৬ মিশনের মাধ্যমে চাঁদের অন্ধকার দিক থেকে ধুলা ও পাথরের নমুনা পৃথিবীতে ফেরত আনতে চায় চীন।

চীনের সাংহাই ইউনিভার্সিটি ও পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুপারকোর সঙ্গে কাজ করে এ মহাকাশ স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি।

আইএসটি জানিয়েছে, আইকিউব-কিউ তথা এ স্পেসশিপে দুটি অপটিক্যাল ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে, যা দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তোলা যাবে। প্রয়োজনীয় গুণগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আইকিউব-কিউকে এরই মধ্যে চ্যাংয়ে-৬ রকেটের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে।

আইএসটি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই উৎক্ষেপণের বিষয়টি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

;