প্রেমিকের আত্মহত্যার জন্য প্রেমিকাকে দায়ী করা যায় না- দিল্লি হাইকোর্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেমে ব্যর্থতায় প্রেমিকের আত্মহত্যার জন্য প্রেমিকাকে দায়ী করা যায় না বলে এক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন দিল্লির হাইকোর্ট।

ছেলের প্রেমিকা ও তাদের বন্ধুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে বাবার মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তদের আগাম জামিন শুনানিতে দিল্লির হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের এক সংবাদমাধ্যম মুনসেফ ডেইলি এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, উচ্চ আদালত বলেছেন, মানসিকভাবে দুর্বল বা ভঙ্গুর চিন্তার একজন মানুষের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আরেকজনকে দায়ী করা যায় না।

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অমিত মহাজন বলেন, প্রেমের ব্যর্থতার জন্য কাউকে, মামলা খারিজের জন্য আইনজীবী কিংবা পরীক্ষায় ফেল করে আত্মহত্যা করলে নারী-পরীক্ষককে দায়ী করা যায় না।

২০২৩ সালে প্রেমে ব্যর্থতার জন্য আত্মহত্যাকারী প্রেমিক একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে যান। সেই নোটে তার নারী-বন্ধু ও অপর এক বন্ধুকে দায়ী করেন। এরপর প্রেমিকের বাবা ওই দুইজনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, তার ছেলের সঙ্গে মেয়েটির আবেগের সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্ত অপর সিনিয়র একজন আইনজীবী মনিন্দর সিং ছেলে ও মেয়েটির বন্ধু ছিলেন।

প্রেমিকের বাবা অভিযোগে আরো বলেন, তার ছেলের সঙ্গে মেয়েটির শারীরিক সম্পর্ক ছিল এবং তারা খুব শিগগিরই বিয়ে করবে বলে জানিয়েছিল। পরে মায়ের ঘরে ঢুকে ছেলে আত্মহত্যা করে।

আদালত বলেন, এটা ঠিক যে, প্রেমিকের সুইসাইড নোটে অভিযুক্ত দুইজনের নাম উল্লেখ করা আছে। কিন্তু সেই নোটে এমন কিছু লেখা নেই যে, তারা তাকে হুমকি দিয়েছিল। এটি ছিল আত্মহত্যার একটি সাধারণ নোট।

আদালত বলেন, প্রেমিক ও প্রেমিকার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং দেখে জানা গেছে, প্রেমিক ছিলেন খুব ‘সেনসেটিভ মাইন্ডের’ (খুবই অনুভূতিশীল মানসিকতার)। সেখানে প্রেমিক লিখেছেন, মেয়েটি যদি তার সঙ্গে কথা না বলে, তাহলে সে আত্মহত্যা করবে।

আদালত পরে অভিযুক্ত দুজনের অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। অভিযুক্তদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের দরকার নেই বলে জানান এবং এ অভিযোগের জন্য তাদের সাজা দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন।

আদালত অভিযোগকারীকে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার নির্দেশনা দেন।

   

ট্রুডোর অনুষ্ঠানে খালিস্তানপন্থি স্লোগান, ভারতের সমন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত-কানাডার বিদ্যমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনে আবার উত্তেজনা বেড়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো উপস্থিত হয়েছেন এমন একটি অনুষ্ঠানে ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) নয়া দিল্লিতে অবস্থিত কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে এ ঘটনায় সমন পাঠায় ক্ষুব্ধ ভারত।

কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে জানিয়ে দেয়া হয়, এ ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বড় রকম প্রভাব পড়বে এবং সহিংসতার পরিবেশকে উৎসাহিত করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, কোনো অনুষ্ঠানে চেক না করে এমন কর্মকাণ্ড চালাতে দেয়ার বিরুদ্ধে ভারত সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও শক্ত প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ  ঘটনা আরও একবার দেখিয়ে দিল যে, কানাডা সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী, উগ্রপন্থি এবং সহিংসতাকে রাজনৈতিক স্পেস দিচ্ছে । অব্যাহত এ ঘটনা শুধু কানাডা-ভারতের সম্পর্কের ওপরই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, একই সঙ্গে কানাডায় সহিংসতা এবং অপরাধের একটি পরিবেশ সৃষ্টিতে উৎসাহিত করে। 

উল্লেখ্য, কানাডা ভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘খালসা দিবস’ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন ট্রুডো। সে সময় বেশ জোরে স্লোগান দেয়া হচ্ছে ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জগমিত সিং এবং টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া চৌ। ওই শহরে বার্ষিক অনুষ্ঠান  হিসেবে এতে রোববার যোগ দিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। 

এনডিটিভি বলেছে, এতে ভাষণে ট্রুডো কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখার অঙ্গীকার করেন। ঘৃণা ও অবমাননা থেকে তাদেরকে রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, এর আগে শিখ নেতা নিজারকে হত্যার জন্য জন্য তিনি সরাসরি ভারতকে দায়ী করেন। কিন্তু ভারত  সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। তাদের এ অভিযোগকে উদ্ভট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করে ভারত। অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে ভারতের অভিযোগ।

;

পেরুতে ৬৫০ ফুট খাদে বাস পড়ে নিহত ২৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেরুর উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি রাস্তা থেকে একটি বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছেন। এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তা ওলগা বোবাডিলা আরপিপি রেডিওকে বলেছেন, গত রোববার গভীর রাতে কাজামার্কার আন্দিয়ান অঞ্চলে গর্তযুক্ত ময়লা রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে এবং বাসটি প্রায় ২০০ মিটার (প্রায় ৬৫০ ফুট) গভীরে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ২৩ জনের নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে এই তথ্য হালনাগাদ করে ২৫ জন বলে জানানো হয়।

উদ্ধারকর্মীরা এবং দমকলকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পর সেলেনডিন পৌরসভা ৪৮ ঘণ্টার শোক ঘোষণা করেছে।

;

কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ৯ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৯ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার কলম্বিয়ার ৯ জন সেনা উত্তর বলিভার বিভাগে তাদের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দেশের এই অঞ্চলেই বৃহত্তম কোকেন কার্টেলের সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনী লড়াই করছে। বিধ্বস্ত এই হেলিকপ্টারটি ছিল রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ মডেলের হেলিকপ্টার।

দুর্ঘটনার বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এক্স-কে বলেছেন, হেলিকপ্টারটি উপসাগরীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য নতুন সৈন্যদের সরবরাহ করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

তবে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বা দেশটির সামরিক বাহিনীর কেউই রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলেনি।
এদিকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা জানা যায়নি।

;

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার হামজার পদত্যাগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ ফার্স্ট মিনিস্টার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) এবং স্কটিশ গ্রিনসের মধ্যকার ক্ষমতাসীন জোট ভাঙার পরই হামজা ইউসুফ এই পদক্ষেপ নেন। চুক্তিটি শেষ হওয়ার পর থেকে চাপে ছিলেন এই নেতা।

স্কটিশ পার্লামেন্টে বিরোধী দল দুটি আস্থা ভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে এই ভোট হয় স্কটিশ পার্লামেন্টে। কিন্তু সেই ভোটে হেরে যান হামজা। ফলে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না তার সামনে।

পদত্যাগের পর ইউসুফ বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আমি আমার মূল্যবোধ এবং নীতির বাণিজ্য করতে ইচ্ছুক নই। তিনি বলেন, পরবর্তী ফার্স্ট মিনিস্টার নিযুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ। তৎকালীন ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের পদত্যাগের পর এসএনপির দলীয় প্রধানের পদটিতে ৩৭ বছর বয়সী হামজা ইউসুফ ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী। করোনাভাইরাস মহামারির সময় স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সে সময় দক্ষতার সঙ্গে স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যখাত সামলিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের মার্চে স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।

হামজার জন্ম স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় হলেও তার পূর্বপুরুষেরা উনিশ শতকের ষাটের দশকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব থেকে স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তার বাবা মুজাফফর ইউসুফের জন্ম পাকিস্তানে, আর মা সায়িস্তার জন্ম কেনিয়ায়।

;