‘মাই নেম ইজ কেজরিওয়াল, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট’
![ছবি : সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Apr/16/1713260951632.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
২০১০ সালের বলিউড ফিল্ম ‘মাই নেম ইজ খান’-এ রিজওয়ান খান চরিত্রে শাহরুখ খানকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মাই নেম ইজ খান, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট।’
বলিউড বাদশার সেই সংলাপ ১৪ বছর পর আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে এলো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
এনডিটিভি জানিয়েছে তিনি বলেছেন, ‘মাই নেম ইজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট।’ আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা সঞ্জয় সিং মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জেলবন্দি কেজরিওয়ালের একটি বার্তা পড়ে শোনাতেতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন।
গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারিনীতি বিষয়ক মামলায় ধৃত কেজরিওয়ালের বর্তমান ঠিকানা এখন তিহার কারাগার। সেখানকার দুই নম্বর সেলেই দিন কাটছে তার। তবে, গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েননি তিনি।
আপ দাবি করেছে, জেল থেকেই সরকার চালাবেন কেজরিওয়াল। বন্দি হওয়ার পর থেকেই স্ত্রী সুনিতাসহ আপের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীর মাধ্যমে নিজের বার্তা জানিয়ে আসছেন তিনি। তেমনই এক বার্তা মঙ্গলবার পড়ে শোনালেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয়।
আপ সাংসদের অভিযোগ, ‘জেলে কেজরিওয়ালের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে।’
সোমবার তিহারে গিয়ে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। তিহার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, একজন দাগী আসামিকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, কেজরিওয়ালকে সেটুকুও দেওয়া হচ্ছে না। তার দোষটা কোথায়?’ মঙ্গলবার একই অভিযোগ করেছেন সঞ্জয়ও।
সেইসঙ্গে আপ সাংসদ অভিযোগ করেছেন, ‘জেলে কাছের মানুষের সঙ্গে কেজরিওয়ালকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটিই স্পষ্টতই একটি প্রতিহিংসার রাজনীতি। এভাবে তাকে আটকে রাখা যাবে না। এতে করে তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন।’
সঞ্জয় বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যিনি দেশ এবং দিল্লির জনগণের জন্য তাদের ভাই এবং পুত্রের মতো কাজ করেছেন, তিনি জেল থেকে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।
আপ প্রধান বলেছেন, ‘মাই নেম ইজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট।’
আপ সাংসদ আরও বলেন, ‘আপনি যতই তাকে (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) ভাঙার চেষ্টা করবেন, ততই তিনি শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন। এটি আমাদের সকলের কাছে একটি সংবেদশীল বিষয়, কিন্তু বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য লজ্জার।’