ইরান হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ইসরায়েল হামলার জবাবে এবার ইরান হামলার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বিষয়টি জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এর আগে শনিবার গভীর রাতে ইসরায়েলে চালানো হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেছে দেশটি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

চলতি বছরের ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে। 

জবাবে শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে আইডিএফ জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান। 

এবার ইরানি হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। আইডিএফ রোববার রাতে জানিয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ইসরায়েল ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। আইডিএফ বলেছে, ‘পশ্চিমা নেতাদের সতর্কতা সত্ত্বেও যুদ্ধ মন্ত্রিসভা ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ অনুমোদন করেছে।’ 

ইরানি হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ না নিতে। একই সঙ্গে তিনি নেতানিয়াহুকে তার দেশের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্কতার সঙ্গে ভাবারও পরামর্শ দেন। 

বাইডেনের পরামর্শ মেনে ইসরায়েল যদিও তাৎক্ষণিকভাবে ইরানে আক্রমণ করেনি, তবে ইসরায়েল বলেছে, ইরানে নিজের বেছে নেওয়া উপায় ও সময়ে হামলার অধিকার ইসরায়েলের আছে। জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে ইসরায়েল আরও বলেছে, ইরান ইসরায়েলে আক্রমণের মধ্য দিয়ে বিপৎসীমার সব রেখাই অতিক্রম করেছে।

ইসরায়েলি মন্ত্রী বেনি গান্তজ জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েল ইরানকে জবাব দেবে তবে অবশ্যই অতি দ্রুত নয়। ইরানের মুখোমুখি হতে আমরা একটি আঞ্চলিক জোট গড়ে তুলব। ইরানকে চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে এবং আমরা সঠিক উপায়ে এটি নিশ্চিত করব।’

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যই ইরানকে জবাব দিতে হবে উল্লেখ করে গান্তজ বলে, ইসরায়েলকে অবশ্যই এটি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, খেলা এখনো শেষ হয়নি। আঞ্চলিক সহযোগিতার কৌশলগত জোট ও পুনর্বিন্যাস অবশ্যই জোরদার করা উচিত, বিশেষ করে এই সময়ে।

   

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার হামজার পদত্যাগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ ফার্স্ট মিনিস্টার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) এবং স্কটিশ গ্রিনসের মধ্যকার ক্ষমতাসীন জোট ভাঙার পরই হামজা ইউসুফ এই পদক্ষেপ নেন। চুক্তিটি শেষ হওয়ার পর থেকে চাপে ছিলেন এই নেতা।

স্কটিশ পার্লামেন্টে বিরোধী দল দুটি আস্থা ভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে এই ভোট হয় স্কটিশ পার্লামেন্টে। কিন্তু সেই ভোটে হেরে যান হামজা। ফলে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না তার সামনে।

পদত্যাগের পর ইউসুফ বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আমি আমার মূল্যবোধ এবং নীতির বাণিজ্য করতে ইচ্ছুক নই। তিনি বলেন, পরবর্তী ফার্স্ট মিনিস্টার নিযুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ। তৎকালীন ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের পদত্যাগের পর এসএনপির দলীয় প্রধানের পদটিতে ৩৭ বছর বয়সী হামজা ইউসুফ ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী। করোনাভাইরাস মহামারির সময় স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সে সময় দক্ষতার সঙ্গে স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যখাত সামলিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের মার্চে স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।

হামজার জন্ম স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় হলেও তার পূর্বপুরুষেরা উনিশ শতকের ষাটের দশকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব থেকে স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তার বাবা মুজাফফর ইউসুফের জন্ম পাকিস্তানে, আর মা সায়িস্তার জন্ম কেনিয়ায়।

;

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো মিয়ানমার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম মাসের মুখোমুখি হয়েছে। দেশটিতে রোববার (২৮ এপ্রিল) রেকর্ড ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট) তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের এই তথ্য জানিয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যা মিয়ানমারের ইতিহাসে ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এবং দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মিয়ানমারের চাউক শহরের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমদের সবাইকে বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।’

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে।

;

যুদ্ধবিরতি-ই গাজার সেরা সমাধান: ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে যুদ্ধবিরতিই তার সবচেয়ে সেরা সমাধান বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। গাজা ইস্যুতে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সৌদি আরবে পৌঁছে এ কথা বলেন তিনি। 

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রিয়াদে সৌদির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ৫ দেশ কাতার, মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে কিভাবে আরব দেশগুলোকে সমন্বয় করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন। দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্নির্মাণ প্রচেষ্টায় ইউরোপ কিভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়েও তিনি আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সন্ত্রাসী সংগঠন-হামাসকে নির্মূল করতে ইসরাইলের উদ্দেশ্যের সঙ্গে একমত যুক্তরাষ্ট্র, যাতে ভবিষ্যতে গাজায় আর কোনও ভূমিকা রাখতে না পারে দলটি। তবে ইসরাইল গাজা উপত্যকা দখল করুক-এমনটাও চায় না যুক্তরাষ্ট্র। এর পরিবর্তে গাজার শাসন ব্যবস্থায় আরব দেশগুলোর সমর্থনসহ সংস্কারকৃত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে কিভাবে অর্ন্তভুক্ত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে। পাশাপাশি রিয়াদের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি ও ওয়াশিংটন রিয়াদকে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির সঙ্গে পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তির বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। 

রিয়াদ থেকে জর্ডান ও ইসরাইলে যাবেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিতের গুরুত্বের ওপর জোর দেবেন তিনি। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন ব্লিঙ্কেন।



;

নিউ ইয়র্কে দুই বাংলাদেশি হত্যায় সন্দেহভাজন যুবক গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে দুই বাংলাদেশি বাবুল মিয়া এবং আবু ইউসুফকে গুলি করে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করে বাফেলো পুলিশ।

পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভরদুপুরে গুলি করে হত্যা করে এক বন্দুকধারী। যে বাড়িতে বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফকে গুলি করা হয়, তার  পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ওই যুবককে শনাক্ত হয়। অবশ্য এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে রবিবার জোহরের নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে এক বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে অবিলম্বে দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসী এই বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন, বাফেলো পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা এসেছিলেন কমিউনিটির সংকটে সংহতি প্রকাশ করতে। 

বিক্ষোভের দুই ঘণ্টা পরই সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তকে সিটির ইস্ট ডেলাভান এবং নর্থ ফর্ক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জোড়া খুনের সংবাদ জানার পরপরই নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা নিহতদের স্বজন এবং বাফেলো কমিউনিটির মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

;