ট্রাম্প-পুতিনের যত যোগাযোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে ১৮ বার যোগাযোগ হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখোমুখি বৈঠক হয়েছে পাঁচবার। চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়েছে চারবার।

তবে বিশ্বের ক্ষমতাধর এই দুই প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ হয়েছে ফোনে। সবমিলিয়ে নয়বার বিভিন্ন ইস্যুতে তারা ফোনে যোগাযোগ করেছেন। আর নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের কারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠেছে দুই ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টের নাম।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ এর এক প্রতিবেদনে তাদের মধ্যকার ১৮ বার যোগাযোগের সময় ও কারণ তুলে ধরা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/16/1547655879282.JPG

মুখোমুখি সাক্ষাৎ:

২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই নিয়ে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের সাথে পাঁচবার বৈঠক হয়েছে।

১. ২০১৭ সালের ৭ জুলাইতে জি-২০ সামিটে তাদের প্রথমবার দেখা হয়। যেখানে তারা প্রাইভেটভাবে আলোচনা করে। এমনকি আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অনুবাদকের হাতের নোটটি নিয়ে নেয়।

২. একইদিন জি-২০ সামিটে রাতের খাবারে তাদের ফের দেখা হয়। যেখানে পুতিন শুধু তার অনুবাদককে নিয়ে ট্রাম্পের সাথে দেখা করে। তবে দুপক্ষের কেউই এই আলোচনার কিছুই প্রকাশ করেনি।

৩. ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর ভিয়েতনামে ‘অর্থনৈতিক সহায়তা’ বিষয়ক এক সামিটে তাদের দেখা হয়। যেখানে খুব সামান্যতম আলোচনা হয় তাদের দুজনের মধ্যে। এই সাক্ষাতের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় দুই প্রেসিডেন্ট নিজেদের মধ্যে হাত মেলানোর পাশাপাশি কথাও বলেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ট্রাম্প জানায়, সে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেছিল। কিন্তু রাশিয়ার কোন ভূমিকা ছিল না বলে পুতিন মন্তব্য করেছেন বলে জানান ট্রাম্প।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/16/1547655893755.JPG

৪. ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে তাদের চতুর্থবারের মতো তাদের দেখা হয়। এখানেও মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকার বিষয়ে সে সময় চলাকালীন বিতর্ক নিয়ে তারা আলোচনা করেন। প্রায় ২ ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল না।

৫. ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে জি-২০ সামিটে তাদের সাক্ষাৎ হয়। এটা পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎ ছিল। যেখানে ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়ার আক্রমণাত্মক ভূমিকার বিষয়ে কথাবার্তা হয়। এখানে তারা বিশ্ব নেতাদের সাথে দাঁড়িয়ে একসাথে ছবিও তুলেছিল। তবে এই সাক্ষাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে এড়িয়ে চলেছেন বলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসে।

এছাড়া তাদের মধ্যে ৯ বার ফোন কলে কথা হয়। চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যমে ৪ বার যোগাযোগ হয়। এই সবকটি যোগাযোগই হয়েছে শুভেচ্ছা বিনিময়, শোকবার্তা প্রেরণ, দুই দেশের সম্পর্ক ও বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে।

পরিশেষে বলা যায়, দুই দেশের মধ্যে বৈরী পরিবেশ থাকলেও ২০১৬ সাল থেকে দেশ দুইটির প্রেসিডেন্ট এই নিয়ে ১৮ বার যোগাযোগ করেছে। এতে বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে ট্রাম্প ও পুতিনের।

   

খোঁজ মেলেনি রাইসির, চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তাদের সন্ধান পেতে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রবিবার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন।

সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে।

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এ প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন।

দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরও বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করতে না পারায় তাদের জীবিত উদ্ধার করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এখনো আশাবাদী। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে যেসব খবর আসছে তা খুবই উদ্বেগজনক। বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র কুয়াশা উদ্ধারকারীদের দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথ জটিল করেছে।’

দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ওই এলাকায় সোমবার রাত পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া থাকতে পারে। স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে রাতভর বৃষ্টি ও ভারী কুয়াশা থাকতে পারে। সোমবার পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকতে পারেও বলে জানান তিনি।

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্তে সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি। তিনি বলেছেন, ‘অনেকগুলো উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ হেলিকপ্টারের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। তবে হেলিকপ্টারটি কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছে তা জানতে সময় প্রয়োজন। কারণ, সেখানে আবহাওয়া পরিস্থিতি খুবই বৈরী। বৃষ্টির পাশাপাশি তীব্র কুয়াশাও রয়েছে। এতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।’

উদ্ধার অভিযানে যুক্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে ৪০টি উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোনও রয়েছে। জরুরি সেবা বিভাগের কর্মী, পুলিশ ও ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও তল্লাশি অভিযানে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি।

তাবরিজ থেকে নির্বাচিত ইরানের একজন সংসদ সদস্য আহমাদ আলি রেজা বেইগি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির অবস্থান এখনো শনাক্ত করতে পারেননি। ভারী বৃষ্টি ও কুয়াশা তাদের উদ্ধারকাজকে কঠিন করে তুলেছে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা যায় হেলিকপ্টার থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। তবে কথা শেষ হওয়ার আগেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর পাওয়ার পরই শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। তবে এখনো হেলিকপ্টারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ইরানের সংবাদ সংস্থা ফারস্‌ জানিয়েছে, রাতের অন্ধকারে দুর্গম ওই পাহাড়ি এলাকায় মাত্র পাঁচ মিটার দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। এতে করে উদ্ধারকর্মীরা ব্যাপক জটিলতার মুখে পড়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করেছেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। বৈঠক শেষে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কয়েকজন মন্ত্রী তাবরিজে গেছেন। উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করতে দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি। আইআরজিসির বিভিন্ন পর্যায়ের কমান্ডার, মন্ত্রী ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।

ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে সৌদি আরব, রাশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইরাকসহ আরও অনেক দেশ। উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে ৩২ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে তুরস্ক। এসব উদ্ধারকর্মী পাহাড়ে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য বিশেষভাবে দক্ষ।

;

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আল জাজিরা জানিয়েছে, উদ্ধার ও অনুসন্ধান দলগুলো বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির সন্ধান পেয়েছে। তবে, ওই প্রতিবেদনে হেলিকপ্টারের আরোহী প্রেসিডেন্ট রাইসি ও অন্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়া গেছে বলে অসমর্থিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

রবিবার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

;

ইরানকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রবিবার (১৯ মে) বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব বলেছে, ইরানের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।

আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উদ্বেগের সঙ্গে এই বিধ্বস্তের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে রিয়াদ।

এদিকে ইরাক সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুসন্ধান মিশনে প্রতিবেশী ইরানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, রবিবার প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি একটি দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার পর ইরানের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলো কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।

ইরনা আরও জানিয়েছে, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রাইসির জন্য শঙ্কা বেড়ে যায়।

অন্যদিকে, কাতারও বলেছে যে, ইরানের অনুসন্ধান প্রচেষ্টার জন্য তারা সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে সব ধরণের সহায়তা প্রদানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা ইরানকে হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ম্যাপিং পরিষেবা সক্রিয় করেছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, ‘নিখোঁজ হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এবং ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাশিয়া।’

;

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির আজকের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই সঙ্কটের সময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রেসিডেন্ট ও তার সফর সঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

আর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার সম্পর্কে ইরান থেকে দুঃখজনক সংবাদ শুনেছি। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছি সুসংবাদের জন্য, যে সব ঠিক আছে। আমাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনা মাননীয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং সমগ্র ইরানী জাতির সঙ্গে রয়েছে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও নিখোঁজ হেলিকপ্টারটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, আল্লাহ মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের জাতির কাছে ফিরিয়ে দেবেন। সকলকে তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। ইরানি জাতির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।’

এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসনে বিঘ্ন না ঘটানোর আহ্বান জানান খামেনি।

;