নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে দেশবাসীর আন্দোলন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন এবার তার দেশবাসী। সারাদেশে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে দেশের জনগণ জোর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধের ছয় মাসে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এ যুদ্ধকে সামনে টেনে এনেছেন। একই সঙ্গে তিনিই হামাসের সঙ্গে চুক্তিতে বাধা সৃষ্টি করছেন। ফলে গাজায় আটক থাকা জিম্মিদের ফেরত আনা যাচ্ছে না। হাজার হাজার ইসরাইলি যেন ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছেন।

তেল আবিব, জেরুজালেমসহ সারাদেশে লাখ লাখ ইসরাইলি রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন। তারা আগাম নির্বাচন দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পারফর্মেন্সে তারা ধৈর্য্য হারিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন অনেক সরকারি কর্মকর্তা।

সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরাকে বিশেষজ্ঞ ও সমালোচকরা এসব কথা বলেছেন।

বুধবারও (৩ এপ্রিল) নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিপুল পরিমাণ বিক্ষোভকারীর সমাবেশ দেখা গেছে। কিন্তু তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা বড় রকমের শক্তি ব্যবহার করে।

ইসরাইলি ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউট সর্বশেষ একটি জরিপ করেছে। তাতে ইসরাইলিদের ক্রমবর্ধমান প্রতিবাদের প্রতিফলন ঘটেছে। ওই জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৫৭ ভাগ ইসরাইলি বলছেন, যুদ্ধ শুরুর পর নেতানিয়াহুর পারফর্মেন্স নেমে এসেছে দুর্বল অথবা অতি দুর্বল অবস্থানে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইসরাইল ও ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইরাভ জোনসজেইন বলেছেন, জনগণের মধ্যে একটি সেন্টিমেন্ট দেখা দিয়েছে যে, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত নন নেতানিয়াহু। তিনি শুধু নিজের স্বার্থে টিকে থাকার জন্য নিজস্ব রাজনীতি করছেন। জিম্মিদের পরিবারের এবং সাবেক নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তারা চাইছেন সরকারের পরিবর্তন। তারা সবাই একটি নতুন নির্বাচন চান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশির ভাগ মানুষ চাইছেন যে নেতানিয়াহু ক্ষমতা থেকে সরে যান। তবে খুব কম মানুষই যুদ্ধের ইতি চাইছেন। ৭ই অক্টোবর হামাসের কাসেম ব্রিগেড ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়ে হত্যা করে ১১৩৯ জনকে। জিম্মি করে প্রায় ২৫০ জনকে। এর বেশির ভাগই ইসরাইলের সাধারণ মানুষ।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে লড়াই করেছেন ইসরাইলি সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাতান গোরশোনি (৭৪)। তিনি বলেন, আমি হামাসকে ভয়াবহ বলে মনে করি। কিন্তু নেতানিয়াহু যা করতে পারেন তার সর্বোত্তম তিনি করছেন না। ঠিক এই মুহূর্তে আমি চাই যেকোনো মূল্যে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা হোক। তারপর আমরা গাজার সমস্যা সমাধান করতে পারবো।

১৫ই মার্চ যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস একটি প্রস্তাব দেয়। তা হলো ইসরাইলের জেলে আটক থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে বাকি ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে। গাজার দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত উত্তরাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে ফিরতে দিতে হবে এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে হবে। কিন্তু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি এ প্রস্তাবকে অবাস্তব বলে উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু জোনসজেইন বিশ্বাস করেন, আসলে নেতানিয়াহু একটি যুদ্ধবিরতি এড়াতে চাইছেন, যাতে তিনি যতদিন যুদ্ধ চলে ততদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন। যুদ্ধে টিকে থাকার এটাই হলো নেতানিয়াহুর মৌলিক ইস্যু। তিনি আরও বলেন, যখনই যুদ্ধবিরতি হবে, তখনই এ বিষয়ে আরও ক্ষেত্র তৈরি হবে। তদন্তের দিকে দৃষ্টি দেয়া হবে এবং নির্বাচন দাবি করা হবে। উগ্র ডানপন্থি জোট, বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী বেজালের স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বেন গাভিরের পক্ষ থেকেও বাধার মুখে পড়তে পারেন নেতানিয়াহু। যদি হামাসের সঙ্গে চুক্তি করাকে বেনিয়ামিন সরকার প্রতিকূল মনে করে, তাহলে তারা দু’জনেই নেতানিয়াহুর জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এমন হলে নেতানিয়াহু নতুন আরেক সঙ্কটে পড়বেন। স্মোট্রিচ এমনকি বলেছেন, জিম্মি উদ্ধার অতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কিন্তু তার এই মন্তব্যে জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিপরিষদের আছে আরও ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি। গাজায় যুদ্ধে নিহত হয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান গাডি আইজেনকোটের ছেলে। তিনি জিম্মি ও তাদের পরিবারের পক্ষে পরামর্শ দিয়েছেন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিপরিষদে। তিনি মনে করেন, হামাসের সিনিয়র নেতাদেরকে হত্যা করার চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ছিল ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্ত করায়। কিন্তু তার এই মত সীমিত। কারণ তিনি বা আরেক সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গান্টজ, কেউই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ নন। তারা মন্ত্রিপরিষদ থেকে বেরিয়ে গেলেও একটি নতুন নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে পারবেন না। তারা যদি একবার নেতানিয়াহুর জোট থেকে বেরিয়ে যান, শুধু তাহলেই তাদের পক্ষে এটা করা সম্ভব। এমন হলে তিন মাসের মধ্যে ইসরাইলে নতুন নির্বাচন অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে। কারণ নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে।

এমন চাপ সত্ত্বেও সম্প্রতি মিশরের রাজধানী কায়রোতে হামাস নেতাদের সঙ্গে সমঝোতায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন নেতানিয়াহু। ফলে ফিলিস্তিনিদেরকে এখন গাজার উত্তরে ফিরতে দেয়ার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত ইসরাইলি নেতারা। তা সত্ত্বেও ইসরাইলি ভাষ্যকার এবং ৯৭২ ম্যাগাজিনের সাংবাদিক ওরিন জিভ বলেছেন, নেতানিয়াহু যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই চাইবেন।

   

শুক্রবার চাঁদে পাড়ি জমাবে পাকিস্তানের প্রথম মহাকাশযান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদের অন্ধকার দিক থেকে নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যে চীন শুক্রবার (৩ মে) তার চন্দ্র অনুসন্ধান চাং'ই-6 উৎক্ষেপণ করতে চলেছে। এই মিশনটি চাঁদের অন্ধকার অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহের প্রথম প্রচেষ্টাকে চিহ্নিত করবে বলে জানিয়েছে চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ)।

এদিকে চীনা মিশন পাকিস্তানের ক্ষুদ্র স্যাটেলাইট আইকিউব-কিউ ও বহন করবে।  ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চন্দ্রাভিযান শুরু করবে দেশটি।

পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি জানিয়েছে, পাকিস্তানের ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন আসছে ৩ মে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে।

চীনের তৈরি চ্যাংয়ে-৬ চন্দ্রযানে করে দেশটির হাইনান প্রদেশের উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে রওনা হবে পাকিস্তানের আইকিউব-কিউ। চ্যাংয়ে-৬ মিশনের মাধ্যমে চাঁদের অন্ধকার দিক থেকে ধুলা ও পাথরের নমুনা পৃথিবীতে ফেরত আনতে চায় চীন।

চীনের সাংহাই ইউনিভার্সিটি ও পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুপারকোর সঙ্গে কাজ করে এ মহাকাশ স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি।

আইএসটি জানিয়েছে, আইকিউব-কিউ তথা এ স্পেসশিপে দুটি অপটিক্যাল ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে, যা দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তোলা যাবে। প্রয়োজনীয় গুণগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আইকিউব-কিউকে এরই মধ্যে চ্যাংয়ে-৬ রকেটের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে।

আইএসটি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই উৎক্ষেপণের বিষয়টি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

;

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় দেশটি।

বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এই যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন করায় কিছু ব্রিটিশ ও মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অপারেশন কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ব্রায়ান পি ফেন্টন ও মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সাবেক কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপারসহ সাত জনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। 

এছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি অব স্টেট গ্রান্ট শাপস, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত কমান্ডের কমান্ডার জেমস হকেনহুল ও লোহিত সাগরে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভিকে নিষেধাজ্ঞায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন ও শেভরন এবং ব্রিটিশ সমকক্ষ এলবিট সিস্টেমস, পার্কার মেগিট ও রাফায়েল ইউকে-এর বিরুদ্ধেও শাস্তি ঘোষণা করেছে ইরান।

;

আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাত, ১৩ ফ্লাইট বাতিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ের কারণে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (ডিএক্সবি) এক মুখপাত্র এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও রাতেই পাঁচটি উড়োজাহাজকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই মুখপাত্র জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ৯টি আগমন ও ৪টি বর্হিগামী ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও জানান, দুবাই বিমানবন্দরের ১ এবং ৩ নাম্বার টার্মিনাল ব্যবহারের জন্য যাত্রীদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে দুবাই বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। যাত্রীদের অসুবিধা কমাতে কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কাজ করছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।   
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে দুবাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার সৃষ্টি হয়। ওই সময় বিমানবন্দরেও পানি উঠে যায়। ওই বৃষ্টির কারণে সবমিলিয়ে ২ হাজার ফ্লাইট বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পল গ্রিফথস জানিয়েছেন, গত ১৪ এপ্রিলের বৃষ্টির সময় যে জরুরি প্রটোকল ব্যবহার করা হয়েছিল এবারই সেই একই প্রটোকল ব্যবহার করা হবে।

;

উবারের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে লন্ডনের ১০ হাজার ক্যাবচালকের মামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ১০ হাজারেরও বেশি ট্যাক্সি চালক রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারের কাছে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। ট্যাক্সি-বুকিং নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এ মামলা করছেন বলে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্যাক্সি-বুকিং নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে লন্ডনের ১০ হাজারেরও বেশি ট্যাক্সি চালক উবারের বিরুদ্ধে লন্ডন হাইকোর্টে মামলা করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অনলাইনে গ্রাহক বুকিংয়ের পাশাপাশি সাধারণ ট্যাক্সিক্যাবের মতো সরাসরি যাত্রী নেন উবারের চালকরা। তার চেয়েও বড় অভিযোগ হলো সরাসরি যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে লন্ডনের নিয়মিত ক্যাবচালকদের কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। উবারের চালকরা সেসব নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না।
ক্যাব চালকদের দাবি, উবার চালকদের আইন লঙ্ঘণের কারণে আর্থিকভাবে লোকসানের শিকার হচ্ছেন তারা।

তাদের অভিযোগ, উবার কোম্পানি তাদের ড্রাইভারদেরকে মিনিক্যাব পরিষেবার মতো কেন্দ্রীয় সিস্টেমের মাধ্যমে না গিয়ে সরাসরি গ্রাহকদের কাছ থেকে বুকিং গ্রহণ করার অনুমতি দিচ্ছে।

এদিকে মামলায় ট্যাক্সিক্যাব চালকদের উকিল হিসেবে লড়বে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত আইন পরিষেবা প্রতিষ্ঠান আরজিএল ম্যানেজমেন্ট। ইতিমধ্যেই ট্যাক্সিক্যাব চালকদের পক্ষ থেকে মামলাটি লন্ডন হাইকোর্টে নিবন্ধনও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে উবারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এই রাইড শেয়ারিং অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ। উবারের একজন মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মামলার নথি হিসেবে যেসব অভিযোগ আদালতে পেশ করা হয়েছে, সেসব পুরোনো এবং ভিত্তিহীন। উবার সম্পূর্ণ আইন মেনে লন্ডনে তাদের অপারেশন পরিচালনা করে। যাত্রী পরিষেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের (টিএফএল) যেসব অনুমতি নিতে হয়, সেসবও নিয়েছে উবার।’

;