আমিরাতে অগ্নিকাণ্ড থেকে শিশুর জীবন বাঁচালেন যে বাংলাদেশি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমিরাতের আল নুয়ামিয়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গত রোববার। তৃতীয় তলায় নিজের তিন বছরের শিশু সহ বন্দী হয়ে পড়েন একজন নারী বাসিন্দা। দরজার পথে আগুন লেগে যায়। কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে ফ্ল্যাটের ভেতর। শিশুটি প্রশ্বাস নিতে পারছিল না।

অসহায় মা তৃতীয় তলা থেকে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামার সিদ্ধান্ত নেন। শিশুর পক্ষে তো আর লাফ দেয়া সম্ভব নয়। এদিকে ঘরের ভেতর ধোঁয়া বেড়ে যাচ্ছিল। বাইরে এরই মধ্যে মানুষ এসে ভিড় করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি তখনো এসে পৌছায়নি। জানালার বাইরে সন্তানকে হাত দিয়ে ধরে রেখে উৎসুক জনতার কাছে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতে থাকেন মা। তবে তৃতীয় তলা থেকে একটি শিশুকে ছুড়ে দিলে নিশ্চিত পাবে লুফে নিতে পারবেন কিনা, এই আশঙ্কায় কেউই এগিয়ে যাননি।

পথযাত্রী ৫৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক ফারুক ইসলাম নূর আল হক দূর থেকে এই অবস্থা দেখে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি। ওই ফ্ল্যাটের জানালার নিচে যেয়ে দাঁড়ান এবং হাত বাড়িয়ে ধরেন। যেহেতু ভবন থেকে বের হওয়ার একটিই মাত্র উপায় আছে, তাই মাও শিশুটিকে ছেড়ে দেন। সফলভাবে শিশুকে লুফে নেন ফারুক। এরপর ওই নারীও তৃতীয় তলা থেকে নিচে লাফ দেন বাঁচতে। বাংলাদেশি শ্রমিকের সাহসিকতায় জীবন ফিরে পায় পরিবারটি।

এই সাহসিকতার জন্যে আমিরাতের আজমান সিভিল ডিফেন্স গত মঙ্গলবার (জানুয়ারি ১৫, ২০১৯) ফারুক ইসলামে সন্মাননা জানিয়েছে।

স্থানীয় দৈনিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুক বলেন, ‘যখন আমি ওই মায়ের চিৎকার শুনতে পাই, আমার মনের মধ্যে এমন কিছু একটা ঘটে যা আমার শরীরকে টেনে নিয়ে যায় ওই ফ্ল্যাটের জানালার নিচে। সেখানে অনেক মানুষ ভিড় করেছিল, তবে কেউই সাহস করে সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসেননি। আমার মনে হয়েছিল যে কোনো ভাবেই এই মা ও তার সন্তানকে বাঁচাতে হবে।’

ফারুক ওই পথ ধরে তার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। ওই মা হিন্দী ভাষায় তার সন্তানকে বাঁচানোর জন্যে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করছিলেন। চিৎকার শুনে ফারুন সেখানে গিয়ে দেখেন অগ্নিকাণ্ডের ভবনের তৃতীয় তলায় বড় একটি জানালা দিয়ে একটি শিশুকে বের করে ধরে রেখেছেন একজন নারী।’

ফারুক বলেন, ‘জানালার নিচে সুবিধামত স্থানে গিয়ে আমি ওই মায়ের চোখের দিকে তাকাই। তিনিও আমার দিকে তাকালে ভরসা পান এবং নিজের ৩ বছর বয়সী শিশুকে ছেড়ে দেন। নিরাপদেই শিশুটি আমার হাতে এসে পড়ে। আমি প্রথমে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মানুষ যখন সাধুবাদ জানাতে থাকে এবং হাত তালি দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে থাকেন, তখন বুঝতে পারি শিশুটিকে নিরাপদেই ধরতে সক্ষম হয়েছি। আমি যেন মুক্ত হলাম এবং আত্মতৃপ্তি অনুধাবন করলাম। মনে হলো, আমি জীবনে একটি সঠিক কাজ করতে পেরেছি।’
শিশুর বাবা মোহাম্মদ সাকিব বলেন, আমার স্ত্রী রুবিনা খুবই দুঃচিন্তায় পড়ে যান। কারণ সন্তানের প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমি ওই সময়টায় অফিসে ছিলাম। স্ত্রীর জরুরি ফোন পেয়ে হাতের সব কাজ রেখে চলে আসি। আমার স্ত্রী জানাচ্ছিলেন, তিনি দরজার কাছে যেতে পারছিলেন না। এছাড়াও প্রচণ্ড ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসছিল মা ও সন্তানের। আমি বলেছিলাম, এই অবস্থাতেও মাথা ঠান্ডা রেখে চিন্তা করতে এবং নিজেকে ও সন্তানকে বাঁচানোর পথ খুঁজে বের করতে।’

সন্তানের জীবন নিশ্চিত করে রুবিনা নিজেও জানালা দিয়ে লাফ দেন। পার্ক করা একটি গাড়ির ওপর পড়লে গুরুতর আহত হন তিনি। বর্তমানে খলিফা হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

সাকিব বলেন, আমি যখন বাসার কাছে পৌছালাম আমার স্ত্রী ততক্ষণে হাসপাতালে এবং আমার সন্তান মানুষের সঙ্গে ছিল। আমার সন্তানকে জীবিত দেখে আমি নিজেও যেন জীবন ফিরে পেলাম। আমি খোদাকে এবং ফারুককে ধন্যবাদ জানাই আমার সন্তানকে বাঁচানোর জন্যে।

ওই ভবনের করিডরে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দ্রুতই ভবনটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আরো একটি পরিবারের স্বামী ও স্ত্রী দুজন ভবনটি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের রক্ষা করেন। তারাও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

   

রাইসিকে বিদায় জানাতে ইরানে ৬৮ দেশের প্রতিনিধি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আজ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে জন্মস্থান মাশহাদে জানাজা শেষে সমাহিত করা হবে তাকে। তাকে বিদায় জানাতে অংশ নিয়েছেন ৬৮ দেশের প্রতিনিধি। 

বুধবার (২২ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রিয় প্রেসিডেন্টকে শেষ বিদায় জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন সর্বস্তরের মানুষ। এর আগে বুধবার তেহরানে ৫০ দেশের ৬৮ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এতে অংশ নেন কাতার, ইরাক, পাকিস্তান ও সিরিয়া, তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় নেতাসহ বিশিষ্টজনেরা। এ সময় তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মোখবার, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী আলি আসাদভ।

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমান এবং লেবানন, আলজেরিয়া, কাজাখস্তান, ইথিওপিয়া, মালি, রাশিয়া ও উজবেকিস্তানের পার্লামেন্ট স্পিকাররাও উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অনুষ্ঠানে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানও অংশ নেন। এছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে লেবানন, মিশর, তিউনিসিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভেনিজুয়েলা এবং জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও ছিলেন।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহও অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং জানাজা অনুষ্ঠানের ফাঁকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করে ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ দুর্ঘটনায় রাইসি ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।

;

গাজায় মসজিদে ইসরায়েলি হামলায় ১০ শিশুসহ নিহত ১৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একটি মসজিদে ইসরায়েলি হামলায় ১০ শিশুসহ অন্তত ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজার ফাতিমা আল-জাহরা মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনা বাহিনী। এতে ১০ শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হন। রাতভর হামলার কারণে শিশুদের নিয়ে অনেক নারীও ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এছাড়া দারাজের আশপাশের আল-সাহাবা স্ট্রিটের মসজিদ এবং আশপাশের ভবনগুলোও ইসরায়েলি হামলার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও জেইতুন এলাকায় কিছু সংখ্যক মানুষের ওপর ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ আরও ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৭০৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। হামলায় আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

;

তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ব্যাপক সামরিক মহড়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের চারপাশে চীনের দুই দিনের সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর শাস্তি হিসেবে আকাশ ও জলপথে চীনের সামরিক মহড়া চলবে বলে জানিয়েছে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে শপথ নেওয়ার তিন দিন পরই স্বায়ত্ত্বশাসিত দ্বীপটির চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করল চীন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তাইওয়ান প্রণালীর পাশাপাশি তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব এবং সেইসাথে কিনমেন, মাতসু, উকিউ এবং ডংগিন দ্বীপের চারপাশের এলাকায় মহড়া শুরু করে।

চীনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লি শি বলেছেন, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বাহিনীর বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর শাস্তি এবং বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ও উস্কানির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা’ হিসেবে যৌথ এই মহড়া চালানো হচ্ছে।

চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জয়েন্ট সোর্ড-২০২৪এ নামের মহড়াটিতে সমুদ্র ও আকাশপথের যুদ্ধের প্রস্তুতি, যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ এবং নির্ভুল হামলার ওপর জোর দেওয়া হবে। চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড তাইওয়ান দ্বীপকে ঘিরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। কিনমেন, মাতসু, উকিউ এবং ডংগিন দ্বীপের আশপাশেও এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

;

গাজায় নারী ও শিশুসহ আরও ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এবং গাজা সিটিতে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মূলত জেইতুন এলাকায় মানুষ একটি গ্যাস স্টেশনের সামনে জড়ো হয়েছিল এরপরই তাদের ওপর ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৭০৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। হামলায় আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

;