গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে: জাতিসংঘের সতর্কতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল হামাস যুদ্ধে কয়েক মাস সতর্কতার পর সম্প্রতি পরিসংখ্যানগত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় মানবিক বিপর্যয় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে।

এ প্রতিবেদন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তাদের প্রতি আইনী দায়িত্ব পালনের জন্য ইসরায়েলের উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। এটি গাজায় যাদের প্রয়োজন মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহের জন্য অনুমতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বিবিসি-র এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য দোষ করেছে। এর একটা প্রমাণযোগ্য ঘটনা হলো ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে অনাহারকে ব্যবহার।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের এ অভিপ্রায় প্রমাণিত হলে তা হবে যুদ্ধাপরাধ।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির একজন  জেষ্ঠ্য রাজনীতিবিদ ও ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নির বারকাত জাতিসংঘের এ সতর্কবার্তাকে ‘অর্থহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন জিনিস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বারকাত জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্বের সমস্ত সহায়তা দিতে দিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি হামাস সহায়তা না করায় ত্রাণ বিতরণে জাতিসংঘকে করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তবে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়ম, গাজা উপত্যকায় পাঠানো প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বোঝাই লরিগুলোর দীর্ঘ লাইন রাফাহ সীমান্তের মিশরীয় দিকে নিদারুণভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জটিল ও আমলাতান্ত্রিক ধারাবাহিক তল্লাশির পরই তারা কেবল ইসরায়েলের মধ্য দিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে পারে।

স্থলপথে পর্যাপ্ত সরবরাহ না করতে পেরে জর্ডান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য সহায়তাকারী দেশগুলোকে আকাশপথে ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে।

বিমান থেকে প্যারাসুটে পাঠানো ত্রাণসহায়তা নিতে স্থলভাগে থাকা ফিলিস্তিনিরা ভিড় করছেন। এমনকি সাগরে পড়া খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে মারাও যাচ্ছেন।

মার্কিন নৌবাহিনী সমুদ্রপথে স্থল সাহায্যের জন্য একটি অস্থায়ী পিয়ার তৈরি করতে আটলান্টিক জুড়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্লোটিলাও পাঠাচ্ছে।

ইসরায়েল যদি গাজায় সম্পূর্ণ রাস্তার প্রবেশাধিকার দেয় এবং গাজা স্ট্রিপের উত্তরে প্রায় আধা ঘণ্টার পথের দূরত্বে আশদোদের আধুনিক কনটেইনার বন্দরের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ ত্বরান্বিত করে তবে আকাশপথ ও জলপথে সহায়তা পাঠানোর প্রয়োজন হবে না।

জেনেভায় এক সাক্ষাত্কারে তুর্ক বলেছেন, ইসরায়েল সাহায্য সরবরাহের গতি কমিয়ে দিচ্ছে বা আটকে রেখেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বেসামরিক ও সৈন্যদের ওপর হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে তুর্ক বলেন, যুদ্ধে কোনও পক্ষই গাজায় প্রয়োজন এমন লোকদের কাছ থেকে সাহায্য সরবরাহ বন্ধ করার যে কোনও প্রচেষ্টা সহ তার ক্রিয়াকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াবে না।

তিনি বলেন, আমার সমস্ত মানবিক সহকর্মীরা বলেছেন গাজা সহায়তায় অনেক বাধা রয়েছে। যা ইসরায়েলকে উল্লেখযোগ্য উপায়ে দোষ দেওয়া হচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে গত সপ্তাহে মানচিত্র, চার্ট এবং পরিসংখ্যানের পাশাপাশি স্বচ্ছ লিখিত মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরায়েলের মিত্ররা আরও সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, এটি উচ্চ বিস্ফোরক বা ক্ষুধা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত।

অধ্যয়নটি একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ শ্রেনি বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদন, যা আইপিসি নামে পরিচিত। এটি সরকার, জাতিসংঘ এবং সাহায্য সংস্থাগুলিকে ক্ষুধার মাত্রা পরিমাপের জন্য অরাজনৈতিক তথ্য সরবরাহ করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল - ‘গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। ১.১ মিলিয়ন মানুষ বিপর্যয়কর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে।’

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি না হলে এবং ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছালে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো সময় দুর্ভিক্ষ কীভাবে আসতে পারে তা এর তথ্য ব্যাখ্যা করেছে।

বিবিসির সাংবাদিক গাজার একটি হাসপাতালে এক তরুনীকে বিছানায় অর্ধ-সচেতন অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে। নুরা মোহাম্মদ নামের মেয়েটির ফুসফুস এবং লিভারের ফাইব্রোসিস রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক মাস অনাহারে থাকা এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

নুরা মোহাম্মদ গাজার একটি হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না

নুরা মোহাম্মদের মা বলেন, আমার মেয়ে নড়াচড়া করতে পারে না। সে অ্যানিমিক, সবসময় ঘুমায় এবং তাকে খাওনোর মতো পুষ্টিকর কিছুই নেই। নুরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলেও এক মিলিয়নেরও বেশি গাজাবাসীর বেশিরভাগেরই কোনো বিকল্প নেই।

বিবিসি জানায়, গাজার মানবিক বিপর্যয়ের প্রমাণ অপ্রতিরোধ্য। হাসপাতাল থেকে তোলা ছবিগুলোতে ফোলা জয়েন্ট, ক্ষয়প্রাপ্ত অঙ্গ এবং ডার্মাটাইটিসসহ শিশুদের তীব্র অপুষ্টির সমস্ত ক্লাসিক লক্ষণ দেখা গেছে।

এদিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে ইসরাইল। ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নীর বারকাত বলেছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য হামাসকে ধ্বংস করা এবং ৭ অক্টোবর জিম্মিদের মুক্ত করার পথে কোনো কিছুই বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মিত্ররা ইসরায়েলের কৌশলগত লক্ষ্যকে সমর্থন করেছে। আমরা মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, এবং আমরা হামাসকে মানচিত্র থেকে শেষ না করা পর্যন্ত বিশ্ব আমাদের মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনার একটি সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমি তাদের বলতে পারি যে একটি উদীয়মান আন্তর্জাতিক ঐকমত্য রয়েছে। মানবিক পরিস্থিতির বিষয়ে এই সপ্তাহের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে এটি এখন স্পষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবাধিকার পরিস্থিতি এতটাই মর্মান্তিক যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এটাই আমার প্রতিক্রিয়া।

   

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল: হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল তাতে ইসরায়েল সাড়া দিয়েছে বলে গোষ্ঠীর মুখপাত্র খলিল আল হায়া জানিয়েছেন।

 শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবৃতিতে খলিল আল হায়া বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাঠানো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ইসরায়েলও ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি। ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।

কাতার এবং মিশরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রথম দফা বিরতির পর ২য় বার যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক বার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে। কিন্তু প্রতিটি প্রস্তাবে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং এই দাবির কারণে সেসব প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল।

দুই পক্ষের মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসন এবং জিম্মিদের মুক্তির পথ তৈরি করতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে যায় মিশরের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল। এদিকে, ওই দিনই হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য গোষ্ঠীটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ১৭টি দেশ।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা গত ১২ বছর ধরে কাতারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সম্প্রতি কাতার ইঙ্গিত দিয়েছে, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকা ইতিবাচক না হয়- তাহলে হামাস নেতাদের কাতার ছাড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার ১৭টি দেশের চিঠি প্রসঙ্গে প্রাথমিক এক প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতারা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে তারা মাথা নত করবেন না। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই তারা ফের বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো প্রস্তাবকে হামাস স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

মিশরের প্রতিনিধিদলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১৩ এপ্রিল পাঠানো প্রস্তাবে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মতি জানিয়েছে হামাস।

;

ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুতই নতুন এ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ সরবরাহ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সহায়তা প্যাকেজ স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না। প্রতিটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় ৪০ লাখ ডলার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবেলায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন ‘যা এখনি জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা উচিত’।

এছাড়া বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়া হচ্ছে ইউক্রেনকে। শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়া হবে।

;

কঠোর হচ্ছে ইইউ অভিবাসন নীতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানবপাচার রোধে দশটি ধারার নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে একমত হয়েছে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে নতুন আইনে। মূলত চার বছরের বিতর্ক আর আলোচনা শেষে এমন সিদ্ধান্তের দিকে ঝুঁকলো তারা।

প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আর দায়িত্ব ভাগ করে নেবে সদস্য দেশগুলো। এছাড়াও রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরেই যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্য দেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। 

ঢাকার ইইউ প্রধান চার্লস হোয়াইটলি জানান, আগের মত কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। তিনি বলেন, ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবে আর কাকে ফিরতে হবে। প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয়কারীকেই দেয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ আর থাকছে না। তবে অবশ্যই যে দেশে ফিরলে জীবনের হুমকি আসে তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ আইন কার্যকর হবে।

নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমার মনে হয় বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্যে দারুণ সুযোগ। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেয়া সহজ হবে। 

তবে, নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থীরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি সরকারও। এর বিপরীতে নীতি নির্ধারকরা যুক্তি দিয়েছেন, ২০২৩ সালের শুধু ইউক্রেন থেকেই পলিয়ে ইউরোপে ঢুকেছে প্রায় ১১ লাখ আশ্রয়প্রার্থী। বছরের গড় হিসেবে যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি। 

;

ফেসিয়াল করে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রে স্পাতে গিয়ে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তিন নারী। এ ফেসিয়ালে ইনজেকশনের ব্যবহার রয়েছে।

আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকার কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি বলছে, নিউ মেক্সিকোর একটি স্পাতে গিয়ে এইডসে আক্রান্ত হন ওই তিন নারী। তারা তিন জনই ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করান। 

ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালের সময় একজন ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত ​​নেওয়া হয় এবং তারপরে প্লাটিলেট আলাদা করা হয়। পরে মাইক্রোনিডল ব্যবহার করে তা মুখে দেওয়া হয়। যদিও অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে এই ফেসিয়াল করা হলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আলবুকার্কের ভিআইপি স্পাতে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করা এক নারীর এইডসে আক্রান্ত হওয়ার খবর ২০১৮ সালে প্রথমে সামনে আসে। তখনই নড়েচড়ে প্রশাসন। মুখে রক্ত মেখে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করিয়েছিলেন ওই নারী। পরে তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা যায়, যে সরঞ্জাম একবারই ব্যবহার হওয়ার কথা, সেই সরঞ্জাম একাধিকবার ব্যবহার করা হত ওই স্পাতে। বাদ যেত না লেবেলবিহীন রক্তের শিশিও।

ঠিক কীভাবে ওই নারী সংক্রমিত হলেন? তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে তিনি একা নন, ওই স্পাতে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করানোর পর এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও দুজন। আরও যারা গ্রাহক ছিলেন, তাদেরও এইচআইভি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য় দপ্তরের কর্মকর্তা। তবে এখনও পর্যন্ত নতুন কোনো এইডসে আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, অভিযুক্ত স্পার মালিক ২০২২ সালে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এর দায়ে তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

;