যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উইন রোজারিও (১৯) নামের ওই যুবককে নিজ বাসায় গুলি করে পুলিশ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরে নিজ বাসায় পুলিশ রোজারিও নামের ওই যুবককে গুলি করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

রোজারিও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়েছিল।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুলিতে নিহত হওয়ার আগে ওই যুবক সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে ফোন করেছিলেন। পরে পুলিশ সেখানে গেলে ওই যুবক কাঁচি নিয়ে পুলিশ অফিসারদের দিকে তেড়ে আসেন। পরে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, দুজন কর্মকর্তা মানসিক সমস্যায় ভোগা এক ব্যক্তির ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপার্টমেন্টে যায়। সেখানে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ এবং বিপজ্জনক ছিল। অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তারা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি ড্রয়ার থেকে কাঁচি বের করে কর্মকর্তাদের দিকে ধেয়ে আসেন। পরে কর্মকর্তারা রোজারিওর ওপর গুলি করেন। এই পরিস্থিতেতে আত্মরক্ষা করার জন্য গুলি করা ছাড়া উপায় ছিল না।

নিহত রোজারিওর ভাই ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, মা রোজারিওকে আটকাচ্ছিলেন, কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলি করার দরকার ছিল না। প্রথমত, দুজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। আমার মা আগে থেকেই আমার ভাইকে ধরে রেখেছিলেন, তাই তিনি তাদের ওপর আক্রমণ করতে পারতেন না। আমি মনে করি না একটি কাঁচি দুজন পুলিশ কর্মকর্তার জন্য হুমকি ছিল।

তিনি আরও বলেন, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন এবং সম্প্রতি মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।

   

ইরাকে নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরাকে মোটর সাইকেলে চড়ে আসা এক বন্দুকধারী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করেছে। ওই নারী টিকটক তারকার নাম ওম ফাদাহ বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ইরাকের সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বেশ প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত ছিলেন বলে জানা গেছে। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এএফপিকে এই হত্যাকান্ডের খবর নিশ্চিত করেছেন দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে।

অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে তার কাছে পৌঁছে গুলি চালায়।

ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে শেয়ার করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়।

প্রসঙ্গত, ইরাকের জনসাধারণের নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার অভিযান শুরু করে।

টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটিও গঠন করে তখন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এর পর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।

;

মণিপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিদের হামলা, নিহত ২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মণিপুরে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতেই ফের সহিংসা শুরু হয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গভীর রাতে বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনায় জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের দুই জওয়ান।

গুলি এবং গ্রেনেডের আঘাতে গুরুতর অহত হয়েছেন চার জন। নতুন করে সহিংসতা শুরু হতেই মণিপুরজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিষ্ণুপুরে নতুন করে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

পুলিশ সূত্রের জানা গেছে, শুক্রবার রাত সোয়া ২টা নাগাদ কুকি জঙ্গিদের একটি দল স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং গ্রেনেড নিয়ে নারানসেনা ফাঁড়িতে হামলা চালায়।

তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ফাঁড়ি লাগোয়া ব্যারাকটিও। সেখানে ছিলেন সিআরপিএফের ১২৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা। গভীর রাতের ওই অতর্কিত হামলায় আহত হন তারা।

এর আগে গত ডিসেম্বরে মোরেকে ফাঁড়িতে একই কায়দায় ভোর রাতে হামলা চালিয়েছিল কুকি জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার হিংসাদীর্ণ আউটার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাংশে ভোটগ্রহণ ছিল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ মে উপজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের (এটিএসইউএম) কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে সহিংসতার সূত্রপাত।

মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরেই উপজাতি সংগঠনগুলো এর বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয়।

মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জোসহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার।

;

গাজার ধ্বংসাবশেষ সরাতে ১৪ বছর লাগবে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনে আনুমানিক তিন কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ জমা হয়েছে। এখনও কী পরিমাণ গোলাবারুদ অবিস্ফারিত রয়ে গেছে তা বলাও অসম্ভব। যুদ্ধ থেমে গেলে গাজা থেকে এসব ধ্বংসাবশেষ সরাতে তাই ১৪ বছর সময় লাগতে পারে জানান জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের ২০২৩ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশকালে লোধাম্মার এসব কথা বলেন। ধ্বংসাবশেষের ভেতর থাকা অবিস্ফারিত গোলা বারুদ পরিচ্ছন্নতার কাজকে জটিল করে তুলবে বলে জানান তিনি। পেহর লোধাম্মার ইরাকের মতো বিভিন্ন দেশে মাইন কর্মসূচি পরিচালনা করছেন।

লোধাম্মার বলেন, গাজায় ফেলা র মধ্যে  তবে ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ  তিন কোটি ৭০ লাখ টন অর্থাৎ প্রতি বর্গমিটারে তিনশ’ কিলো ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। আর একশ’ ট্রাকের আনুমানিক একটি সংখ্যা দিয়ে এর পরিষ্কার কাজ শুরু করলে শেষ হতে ১৪ বছর সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও তাদের কাছে ১৫০ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৪ হাজার ৩৫৬ ফিলিস্তিনী বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

;

লোহিত সাগরে জ্বালানিবাহী ট্যাংকারে হুতিদের হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগের জ্বালানিবাহী একটি ট্যাংকারে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। জ্বালানিবাহী জাহাজটির নাম ‘আন্ড্রোমেডা স্টার অয়েল ট্যাংকার’।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। তারা বলেছে, হুতি বিদ্রোহীরা অন্তত তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে আন্ড্রোমেডা স্টার জাহাজে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান আমব্রে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাইজ প্রদেশ থেকে। ট্যাংকারটির মাস্টারের কাছ থেকে জানা গেছে, এ হামলায় জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে, হুতিদের ছোড়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের একটি পড়েছে এমভি মাইশা নামের একটি জাহাজের পাশে। তবে ওই জাহাজের কোনও ক্ষতি হয়নি।

এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হওয়া আন্ড্রোমেডা স্টার অয়েল ট্যাংকারকে পানামার পতাকাবাহী ব্রিটিশ মালিকানাধীন বলে দাবি করেছেন হুতিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া। তবে আমব্রে জানিয়েছে, জাহাজটি ব্রিটিশ মালাকানায় নেই। সম্প্রতি এটির মালিকানা বদল হয়েছে।

;