ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ২০ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের রাফাহ এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বহু ফিলিস্তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে ইসরাইল এই হামলা চালায় বলে নিশ্চিত করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে রাফাহ এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানান, মিশরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েল হামলা চালায়। এই ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়া মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে গাজা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিমি (৮.৬ মাইল) দক্ষিণে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে বজ্রপাতের সঙ্গে বিস্ফোরণের মিশ্র শব্দ এবং বৃষ্টি তাঁবুর তৈরি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর দুর্দশাও আরও বাড়িয়ে দেয়।

দেইর আল-বালাহ শহর থেকে পাঁচ সন্তানের বাবা শাবান আবদেল-রউফ বলেছেন, ‘আমরা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতাম এবং (বৃষ্টি হতে) দেরি হলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম। আজ আমরা প্রার্থনা করছি যেন বৃষ্টি না হয়। আমরা বজ্রপাত এবং বোমা হামলার শব্দের মধ্যে আর পার্থক্য করতে পারছি না। বাস্তুচ্যুত মানুষ যথেষ্ট দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।’

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ।

এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।  ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

   

আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহু সরকারের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে।

রোববার (৫ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার কার্যক্রম ইসরায়েলে বন্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ইসরায়েলে উসকানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করা হবে।

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন পাসের এক মাস পর আলজাজিরার বন্ধের সিদ্ধান্ত আসল।

এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, আল–জাজিরার আঞ্চলিক কার্যালয় বন্ধে তিনি ‘দ্রুত ব্যবস্থা’ নেবেন।

অবরুদ্ধ ও নরকপুরীতে পরিণত হওয়া এ উপত্যকা থেকে হাতে গোনা যে কয়েকজন সাংবাদিক যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে পারছেন, আল–জাজিরার স্থানীয় কর্মীরা তাদের কয়েকজন।

;

‘রাফাহ হামলা’ না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের রাফাহ অঞ্চলে চলমান স্থল হামলা বন্ধ এবং ফের হামলা না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস। 

হামাসের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে হলে ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ এলাকায় স্থল হামলা চালাবে না-যুক্তরাষ্ট্রকে এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, আমরা এখন যে মূল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছি তা হলো- গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতানিয়াহু তার এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, কোনো যুদ্ধবিরতি হোক বা না হোক, তিনি রাফাহর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাবেন। যার অর্থ কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।

হামদান আরও বলেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আমাদের বোঝাপড়ার অর্থ হচ্ছে রাফাহসহ গাজার কোথাও আর কোনো হামলা হবে না।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাত মাসের বোমা হামলায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার ২২ লাখ মানুষের অর্ধেক অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আশঙ্কা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

;

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়ে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলের নাগরিক।

শনিবার (০৪ মে) যখন মিশরের কায়রোতে হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছিল তখন বিক্ষোভে নামে ইসরায়েলিরা। 

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে ফিরিয়ে আনতে এজন্য ইসরায়েলকে সম্ভব্য সবকিছুই করতে হবে। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাতালি এলদোর বলেন, ‘চুক্তির সমর্থনে আমি এখানে এসেছি। আমরা চাই সকল জিম্মি ফিরে আসুক। যারা বেঁচে আছে তাদের সহ যারা মারা গেছে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদেরকে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা তার শেষ চাই। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েরি নিহত হয়। জিম্মি করে নেওয়া হয় ২৫৩ জনকে। 

এ ঘটনার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহু সরকার বলছে, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে জিম্মিদের কারণে এ যুদ্ধ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়েছে পড়েছে। কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির দিকে হাঁটতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে নেতানিয়াহু সরকারকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে না যেতে চাপ দিচ্ছে দেশটির ন্যাশনালিস্ট রিলিজিয়াস পার্টি। একই সঙ্গে তারা দক্ষিণ গাজার শহর রাফাতে অভিযানের কথা বলছে। 

;

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় ৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১২ ঘণ্টার অবরোধের সময় একটি ভবনে ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড তাদের তুলকারেম প্রধান আলা আদিবসহ তিন যোদ্ধার মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির একজন ফটোগ্রাফার তুলকারেমের শহরের উত্তরে দেইর আল-ঘুসুন গ্রামে সেনা মোতায়েন দেখেছেন।

ফটোগ্রাফার জানান, সৈন্যরা একটি ভবন সমতল করার জন্য বুলডোজার মোতায়েন করেছিল এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে অন্তত একটি মৃতদেহ বের করেছিল।

সেনাবাহিনী এবং শিন বেট নিরাপত্তা পরিষেবা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘তুলকারেম এলাকায় ১২ ঘন্টার ব্যাপক দমন অভিযানে নিযুক্ত ছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সৈন্যরা ‘প্রতিরোধ সেলকে ধ্বংস’ করার জন্য গ্রামে প্রবেশ করার পরে তারা গুলি চালায় এবং কাঁধ থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র’ দিয়ে ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছিল।

সেনারা বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলতে যাওয়ার আগে একটি সেনা ড্রোন ভবনটিতে দু’বার আঘাত হেনেছিল।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যুদ্ধাস্ত্র জব্দ করার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ শেষ হয়েছে। অভিযানে ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;