উত্তর কোরিয়ার ছত্রীসেনার মহড়া তদারকিতে কিম



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক হামলায় শত্রু অঞ্চল দখল করার ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত ছত্রীসেনা মহড়ার তদারকি করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।

সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) শনিবার (১৬ মার্চ) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক বার্ষিক সামরিক মহড়ার কয়েকদিন পর উত্তর কোরিয়ায় এই ছত্রীসেনাদের মহড়ার আয়োজন করে।

উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন এবং সিউল পরিচালিত যৌথ বিমান বাহিনীর অনুশীলনের ব্যাপারে বিশেষ সংবেদনশীলতা দেখিয়েছে পিয়ংইয়ং।

বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, উত্তরের বিমান বাহিনীকে তার সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে দুর্বল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কেসিএনএ জানিয়েছে, কিমের তত্ত্বাবধানে পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধকালীন আকস্মিক পরিস্থিতিতে যেকোনো অপারেশনাল পরিকল্পনার জন্য ছত্রীসেনাদের সংগঠিত করার প্রস্তুতি পরিদর্শন করা এবং তাদের সক্ষমতা বিচার করা।

কেসিএনএ আরও জানিয়েছে, আদেশ জারি করার সঙ্গে সঙ্গে শত্রু অঞ্চল দখল করার জন্য তাদের নিখুঁত যুদ্ধ সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা।

এদিকে, আধুনিক যুদ্ধের প্রয়োজন অনুসারে প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বাধিক যুদ্ধ দক্ষতা অর্জনের জন্য বাস্তববাদী এবং বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন কিম।

পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি রোডং সিনমুন সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, দুরবীন ব্যবহার করে মহড়া পর্যবেক্ষণ করছে কিমের ছোট মেয়ে জু এ।

এ সময় তার বাবা এবং সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

অন্য একটি ছবিতে অনেক ছত্রীসেনাদেরকে মাটিতে নেমে আসতে দেখার প্রেক্ষিতে স্থলভাগে সেনাদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।

   

মণিপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিদের হামলা, নিহত ২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মণিপুরে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতেই ফের সহিংসা শুরু হয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গভীর রাতে বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনায় জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের দুই জওয়ান।

গুলি এবং গ্রেনেডের আঘাতে গুরুতর অহত হয়েছেন চার জন। নতুন করে সহিংসতা শুরু হতেই মণিপুরজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিষ্ণুপুরে নতুন করে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

পুলিশ সূত্রের জানা গেছে, শুক্রবার রাত সোয়া ২টা নাগাদ কুকি জঙ্গিদের একটি দল স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং গ্রেনেড নিয়ে নারানসেনা ফাঁড়িতে হামলা চালায়।

তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ফাঁড়ি লাগোয়া ব্যারাকটিও। সেখানে ছিলেন সিআরপিএফের ১২৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা। গভীর রাতের ওই অতর্কিত হামলায় আহত হন তারা।

এর আগে গত ডিসেম্বরে মোরেকে ফাঁড়িতে একই কায়দায় ভোর রাতে হামলা চালিয়েছিল কুকি জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার হিংসাদীর্ণ আউটার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাংশে ভোটগ্রহণ ছিল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ মে উপজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের (এটিএসইউএম) কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে সহিংসতার সূত্রপাত।

মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরেই উপজাতি সংগঠনগুলো এর বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয়।

মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জোসহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার।

;

গাজার ধ্বংসাবশেষ সরাতে ১৪ বছর লাগবে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনে আনুমানিক তিন কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ জমা হয়েছে। এখনও কী পরিমাণ গোলাবারুদ অবিস্ফারিত রয়ে গেছে তা বলাও অসম্ভব। যুদ্ধ থেমে গেলে গাজা থেকে এসব ধ্বংসাবশেষ সরাতে তাই ১৪ বছর সময় লাগতে পারে জানান জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের ২০২৩ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশকালে লোধাম্মার এসব কথা বলেন। ধ্বংসাবশেষের ভেতর থাকা অবিস্ফারিত গোলা বারুদ পরিচ্ছন্নতার কাজকে জটিল করে তুলবে বলে জানান তিনি। পেহর লোধাম্মার ইরাকের মতো বিভিন্ন দেশে মাইন কর্মসূচি পরিচালনা করছেন।

লোধাম্মার বলেন, গাজায় ফেলা র মধ্যে  তবে ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ  তিন কোটি ৭০ লাখ টন অর্থাৎ প্রতি বর্গমিটারে তিনশ’ কিলো ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। আর একশ’ ট্রাকের আনুমানিক একটি সংখ্যা দিয়ে এর পরিষ্কার কাজ শুরু করলে শেষ হতে ১৪ বছর সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও তাদের কাছে ১৫০ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৪ হাজার ৩৫৬ ফিলিস্তিনী বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

;

লোহিত সাগরে জ্বালানিবাহী ট্যাংকারে হুতিদের হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগের জ্বালানিবাহী একটি ট্যাংকারে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। জ্বালানিবাহী জাহাজটির নাম ‘আন্ড্রোমেডা স্টার অয়েল ট্যাংকার’।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। তারা বলেছে, হুতি বিদ্রোহীরা অন্তত তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে আন্ড্রোমেডা স্টার জাহাজে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান আমব্রে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাইজ প্রদেশ থেকে। ট্যাংকারটির মাস্টারের কাছ থেকে জানা গেছে, এ হামলায় জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে, হুতিদের ছোড়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের একটি পড়েছে এমভি মাইশা নামের একটি জাহাজের পাশে। তবে ওই জাহাজের কোনও ক্ষতি হয়নি।

এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হওয়া আন্ড্রোমেডা স্টার অয়েল ট্যাংকারকে পানামার পতাকাবাহী ব্রিটিশ মালিকানাধীন বলে দাবি করেছেন হুতিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া। তবে আমব্রে জানিয়েছে, জাহাজটি ব্রিটিশ মালাকানায় নেই। সম্প্রতি এটির মালিকানা বদল হয়েছে।

;

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল: হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল তাতে ইসরায়েল সাড়া দিয়েছে বলে গোষ্ঠীর মুখপাত্র খলিল আল হায়া জানিয়েছেন।

 শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবৃতিতে খলিল আল হায়া বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাঠানো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ইসরায়েলও ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি। ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।

কাতার এবং মিশরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রথম দফা বিরতির পর ২য় বার যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক বার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে। কিন্তু প্রতিটি প্রস্তাবে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং এই দাবির কারণে সেসব প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল।

দুই পক্ষের মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসন এবং জিম্মিদের মুক্তির পথ তৈরি করতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে যায় মিশরের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল। এদিকে, ওই দিনই হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য গোষ্ঠীটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ১৭টি দেশ।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা গত ১২ বছর ধরে কাতারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সম্প্রতি কাতার ইঙ্গিত দিয়েছে, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকা ইতিবাচক না হয়- তাহলে হামাস নেতাদের কাতার ছাড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার ১৭টি দেশের চিঠি প্রসঙ্গে প্রাথমিক এক প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতারা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে তারা মাথা নত করবেন না। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই তারা ফের বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো প্রস্তাবকে হামাস স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

মিশরের প্রতিনিধিদলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১৩ এপ্রিল পাঠানো প্রস্তাবে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মতি জানিয়েছে হামাস।

;