ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আগামীকাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তফসিল বা ভোটের দিনক্ষণ আগামীকাল শনিবার (১৬ মার্চ) ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই দিন স্থনীয় সময় বেলা তিনটার সময় লোকসভার পাশাপাশি চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের তফসিলও প্রকাশ করা হবে।

এবার নির্বাচনী দফা কতটি থাকবে তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনী দফা ছিল ৯ টি  এবং ২০১৯ এ ৭ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

 শুক্রবার (১৫ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোকসভার ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্র প্রদেশ, ওডিশা, অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিম রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা। এই রাজ্যগুলোর নাম অবশ্য ইসির ঘোষণায় বলা হয়নি। তারা শুধু জানিয়েছে, লোকসভার সঙ্গে ‘কয়েকটি’ বিধানসভারও ভোট হবে।

নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণবিধি। এর ফলে কোনো সরকার নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না। কোনো নতুন প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না। এমন কিছু করতে পারবে না, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করে। এই সময় দেশের সবকিছুই হয়ে পড়ে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের প্রাক্কালে এবার অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগ এবং গত ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডের নেওয়া অবসরের ফলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার একা হয়ে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নির্বাচিত কমিটির বৈঠক ডেকে নতুন দুই ইসিকে নিযুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিরোধী নেতা অধীর চৌধুরীর বৈঠকে মনোনীত হন দুই সাবেক আমলা সুখবীর সিং সান্ধু ও জ্ঞানেশ কুমার। 

   

বিজেপি কখনোই ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করবে না: রজনাথ সিং



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) কখনোই দেশের সংবিধান পরিবর্তন করবে না বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

তিনি বলেন, কংগ্রেস গুজব ছড়াচ্ছে যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করবে। তারা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছে।

রোববার (৫ মে) ভারতের টিভি চ্যানেল এনডিটিভি প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’র (পিটিআই) বরাত দিয়ে জানায় যে, পিটিআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রজনাথ সিং বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতা এলে দেশের সংবিধান বিশেষত এর ভূমিকা পরিবর্তন করবে না। এগুলো পরিবর্তনের কোনো প্রশ্নই আসে না।

নির্বাচনি বিভিন্ন বক্তব্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ মুছে ফেলবে।

রজনাথ সিং বলেন, কংগ্রেস সংবিধানে অনেকবার পরিবর্তন এনেছে। তারা মোট ৮০ বার সংবিধান পরিবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, বিজেপি কখনোই সংবিধান পরিবর্তন করবে না। সংবিধান যারা বানায়, তারা কখনো সংবিধানের ভূমিকা পরিবর্তনের কথা কল্পনা করতে পারে না। আপনারা (কংগ্রসেকে উদ্দেশ করে) সংবিধানের মূল ধারণাকে আঘাত করেছেন।

সংবিধানের ভূমিকা সংবিধানের মূলনীতিকে প্রতিফলন করে। ১৯৭৬ সালে সংবিধানে ৪২তম সংশোধন আনা হয়। তখন সংবিধানের ভূমিকায় সংশোধন এনে ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী’ থেকে ‘সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপক্ষ গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী’ করা হয়।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রজনাথ সিং বলেন, তারা (কংগ্রস) মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে সমর্থন নেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি এসময় কংগ্রসকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি আপনাদের পরামর্শ দেবো যে, জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে নয় বরং তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করুন।

শুক্রবার (৩ মে) রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ভারতের গণতন্ত্রকে তারা ক্রমাগত আঘাত করে যাচ্ছে এবং তারা সংবিধানকে ধ্বংস করতে চাইছে।

 

;

ভারতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে মেঘালয়ের পূর্বাঞ্চলে পশ্চিম খাসি হিলস জেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ বাড়িতে থাকার সময় দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওই কিশোরীর। দুজন প্রথম ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের বাড়ি থেকে অনেকে এসে দুজনকে আটক করেন।

এরপর প্রায় দেড় হাজার গ্রামবাসী মিলে দুজনকে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে বেঁধে ফেলে। শুরু হয় নির্যাতন। এর মধ্যেই খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও ছিল। 

দুজনকে তাদের হেফাজতে দেওয়ার জন্য বলা হলেও এলাকাবাসী রাজি হয়নি। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আরও পিটুনিতে গুরুতর আহত হয় দুজন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মেঘালয় মনিটর বলছে, তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনেই মারা যায়। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দুজন ওই গ্রামে শ্রমিকের কাজ করতেন।

;

আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহু সরকারের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছেন।

রোববার (৫ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার কার্যক্রম ইসরায়েলে বন্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ইসরায়েলে উসকানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করা হবে।

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করার জন্য ইসরায়েল সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন পাসের এক মাস পর আলজাজিরার বন্ধের এই সিদ্ধান্ত আসল।

এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, আল–জাজিরার আঞ্চলিক কার্যালয় বন্ধে তিনি ‘দ্রুত ব্যবস্থা’ নেবেন।

অবরুদ্ধ ও নরকপুরীতে পরিণত হওয়া এ উপত্যকা থেকে হাতে গোনা যে কয়েকজন সাংবাদিক যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে পারছেন, আল–জাজিরার স্থানীয় কর্মীরা তাদের কয়েকজন।

;

‘রাফাহ হামলা’ না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের রাফাহ অঞ্চলে চলমান স্থল হামলা বন্ধ এবং ফের হামলা না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস। 

হামাসের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে হলে ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ এলাকায় স্থল হামলা চালাবে না-যুক্তরাষ্ট্রকে এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, আমরা এখন যে মূল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছি তা হলো- গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতানিয়াহু তার এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, কোনো যুদ্ধবিরতি হোক বা না হোক, তিনি রাফাহর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাবেন। যার অর্থ কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।

হামদান আরও বলেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আমাদের বোঝাপড়ার অর্থ হচ্ছে রাফাহসহ গাজার কোথাও আর কোনো হামলা হবে না।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাত মাসের বোমা হামলায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার ২২ লাখ মানুষের অর্ধেক অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আশঙ্কা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

;