নফে হত্যার দায় স্বীকার করলেন গ্যাংস্টার কপিল
![ছবি : সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Mar/01/1709287344006.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (আইএনএলডি) নেতা নফে সিং রাঠির হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ব্রিটেন কেন্দ্রিক গ্যাংস্টার কপিল সাংওয়ান ওরফে নন্দু।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কপিল। কপিলের খোঁজ পেতে তৎপর হয়েছে পুলিশ।
গত রবিবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় নিজের গাড়ির মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আইএনএলডি নেতা নফে। শুধু তিনি একা নন, দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান তাঁর সঙ্গে থাকা আরও এক দলীয় কর্মী। আহত হন নফের তিন জন নিরাপত্তারক্ষী।
হরিয়ানার ঝজ্জর জেলার একটি রেল ক্রসিংয়ের সামনে যখন নফের গাড়ি দাঁড়ায়, তখন আচমকাই তার পাশে একটি এসইউভি এসে থামে। তারপর সেই গাড়ি থেকেই অতর্কিতে হামলা চালানো হয় নফের উপর।
এদিকে, এই হত্যার ঘটনার যৌথভাবে তদন্ত করছে দিল্লি এবং হরিয়ানা পুলিশ। কিন্তু, নফে হত্যার সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় বিরোধীরা।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পারে, আইএনএলডি নেতা খুনের ঘটনায় কোনও গ্যাংস্টারের হাত রয়েছে। তার খোঁজে তিহাড় জেলে বন্দি একাধিক গ্যাংস্টারকে জেরা করে পুলিশ।
এরই মধ্যে গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে নফেকে খুন করার দায় স্বীকার করেন কপিল।
কপিলের চিরশত্রু মনজিৎ মহলের সঙ্গে সখ্যের কারণেই হত্যা করা হতে পারে নফেকে। হরিয়ানা পুলিশ সেই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেছে। পোস্টে একটি ছবিও দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মনজিৎ এবং নফে করমর্দন করছেন।
মনজিৎ এবং কপিলের মধ্যে শত্রুতার সূত্রপাত এক খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ রয়েছে, কপিলের শ্যালককে হত্যা করেছেন মনজিৎ। তারপরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ২০১৭ সালে মনজিতের বাবা কৃষ্ণকে হত্যার অভিযোগ ওঠে কপিলের দলের বিরুদ্ধে।
গত বুধবারের পোস্টে কপিল দাবি করেন, তার শত্রুর সঙ্গে যিনি যোগ রাখবেন তাকেই প্রতিহিংসার মুখোমুখি হতে হবে। বাহাদুরগড়ের বিধায়ক থাকার সময় তিনি বহু অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার দাপটে কেউ মুখ খুলতে পারতেন না।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাকারে দিল্লি পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানান, তিহাড় জেলে বন্দি কপিলের দাদা জ্যোতি প্রকাশের নির্দেশেই নফেকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের পিছনে প্রতিহিংসাই আসল কারণ।
২০১৪ সালে অপরাধ জগতে পা রাখেন কপিল। খুন, অপহরণ, তোলাবাজিসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। ২০১৬ সালে রাজস্থানে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০২০ সালে প্যারোলে জেলের বাইরে আসেন। তারপরই দেশ ছেড়ে পালান কপিল। জাল পাসপোর্ট বানিয়ে থাইল্যান্ড হয়ে প্রথমে দুবাই যান। বর্তমানে ব্রিটেনে রয়েছেন তিনি।
নফের হত্যার পরই তার পরিবারও হুমকি পেয়েছে বলে জানা গেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তার দুই ছেলে অজানা নম্বর থেকে ফোন পেয়েছেন। ফোনে বলা হয়েছে, তারা যেন এই খুন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ না খোলেন। যদি তার অন্যথা হয়, তবে তারাও বিপদে পড়বেন।