ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের পরিণতি হবে ‘দুঃখজনক’।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মস্কোয় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন পুতিন। পশ্চিমাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, রুশ সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধের ময়দানে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এখন কোনো দেশ যদি কিয়েভের সহায়তায় সৈন্য পাঠানোর সাহস দেখায়, তার ‘পরিণতি হবে দুঃখজনক’।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তাদের (পশ্চিমা দেশ) শেষ পর্যন্ত এটা মাথায় রাখা উচিত যে আমাদের এমন সব সমরাস্ত্র রয়েছে, যেগুলো তাদের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। পশ্চিমাদের সব পদক্ষেপই এমন সংঘাতের প্রকৃত ঝুঁকি সৃষ্টি করে, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে। আর এভাবে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, রাশিয়াকে এখন তার পশ্চিম সীমান্তে প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে হবে। এমন সময় তিনি এ ঘোষণা দিলেন যখন সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিতে যাচ্ছে।

পুতিন বলেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনের সংঘাতকে উসকানি দিয়েছে এবং মিথ্যা বলে চলেছে যে রাশিয়া ইউরোপে আক্রমণ করতে চায়।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন পুতিন। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে পুতিনের কোনো প্রকৃত বিরোধী নেই। ফলে নির্বাচনের ফল কী হবে, তা অনেকটাই নিশ্চিত। নির্বাচনের আগে চলতি বছরের শুরু থেকে গণমাধ্যমে পুতিনের উপস্থিতিও বেড়েছে। সম্প্রতি একটি বোমারু বিমানে চড়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।

 

   

‘অব্যাহত রুশ হামলায় পিছু হটছে ইউক্রেন’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় ইউক্রেনের সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি। রোববার (২৮ এপ্রিল) টেলিগ্রামে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিগ্রামে দেয়া ওই পোস্টে ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেন, রাশিয়ার ক্রমাগত হামলায় রণক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ফলে সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। রাশিয়ার হামলার মুখে সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে বেশকিছু অবস্থান থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অস্ত্র সংকটে ভুগতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে আরও দুর্বল হচ্ছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান আরও বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। দোনেৎস্কের কিছু অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রতিরক্ষাব্যুহ তৈরি করছেন ইউক্রেনের সেনারা।

এদিকে, কিয়েভকে নতুন করে অস্ত্র দেয়া সংক্রান্ত ৬১ বিলিয়ন ডলারের একটি বিল কয়েক মাস আটকে থাকার পর গত সপ্তাহে তাতে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। যত দ্রুত সম্ভব কিয়েভে নতুন করে অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে করে জরুরি হয়ে পড়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাবে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি। এরপরই তার স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি।

;

একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই পারে রাফাহতে ইসরায়েলি ‘হামলা থামাতে’: আব্বাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা ইসরায়েলকে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হামলা থেকে বিরত রাখতে পারে। রাফাহ শহরটিতে প্রায় দশ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, যে কোনো হামলা হলে ফিলিস্তিনিরা গাজা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। ইসরায়েল বেশ কিছুদিন থেকেই রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়ে আসছে।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে, তারা রাফাহতে বেসামরিক মানুষদের ক্ষতির বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে না।

এর আগে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস রাফাহতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করছি ইসরায়েলকে রাফাহ অভিযান বন্ধ করতে বলুন; কারণ আমেরিকাই একমাত্র দেশ যে ইসরায়েলকে এ অপরাধ করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম। রাফাহতে ছোট পরিসরে হামলা হলেও এখানকার ফিলিস্তিনিরা গাজা উপত্যকা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।

তখন ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেন আব্বাস।

যদিও জো বাইডেন রাফাহতে ইসরাইলের হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেন নি, তবে জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি এবিসি নেটওয়ার্ককে বলেছেন তারা ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে এবং রাফাহতে হামলার আগে তারা দ্বিতীয়বার ভাববে।

 

 

;

রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৩ ফিলিস্তিনি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজার রাফাহ শহরে তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। অবশ্য গাজার মিডিয়া আউটলেট মৃতের সংখ্যা ১৫ বলে জানিয়েছে।

তবে এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রসঙ্গত, রাফাহতে এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য হামাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।

;

আইসিসির গ্রেফতারের শঙ্কায় আতঙ্কে নেতানিয়াহু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় থামছে না ইসরায়েলের আক্রমণ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বিশ্বজুড়ে চলমান আন্দোলনকে তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েল সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, ফিলিস্থিনপন্থী বিশ্বনেতাদের ডাকেও কানে আঙুল দিয়ে বসে আছে তেল আবিব।

আন্তর্জাতিক আইনকে অমান্য করে নির্বিচারে চালানো হচ্ছে হত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ। নারী-শিশুসহ তিলে তিলে শেষ করা হচ্ছে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিকে। অন্যদিকে ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ডেও কিছু করতে পারছে না বিশ্ব।

তবে এবার জানা যাচ্ছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে শনিবার (২৭ এপ্রিল) এমনটাই বলা হয়েছে। দ্যা নিউ আরব অনুসারে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে মারিভ পত্রিকা জানিয়েছে, আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানার আশঙ্কায় অত্যন্ত চাপে এবং আতঙ্কের মধ্যে আছেন নেতানিয়াহু।

শুধু নেতানিয়াহু নন, তার বিশিষ্ট কিছু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও এই গ্রেফতারি নোটিশ আসতে পারে বলে ইসরায়েলের মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে।

ইসরায়েলের মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আর্মি চিফ অব স্টাফ হার্জি হালেভির নাম সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সেই সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে তেল আবিবে জরুরি বৈঠক করেছেন।

এরই মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক বন্ধুদের, বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কখন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে, তা স্পষ্ট নয় এবং এই ধরনের তথ্য প্রকাশ করা আদালতের জন্য আদর্শ নয়।

তবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আশঙ্কা প্রথম বৃহস্পতিবার মার্কিন ট্যাবলয়েড নিউইয়র্ক পোস্টে ব্রিটিশ-ইসরাইলপন্থী ভাষ্যকার ডগলাস মারে একটি মতামতের অংশে প্রচার করেছিলেন।

মারে লিখেছেন, কয়েকদিনের মধ্যে ওয়ারেন্ট জারি হতে পারে। এতে নেতানিয়াহু অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি হবেন না। তবে এটি প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশ্বমঞ্চে একটি বড় ধাক্কা এবং ইসরায়েলের মিত্র ও আইসিসি সদস্যদের ওপর কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করবে।

এর আগে শুক্রবার এক এক্সবার্তায় নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘ইসরায়েলের সহজাত ও আত্মরক্ষার অধিকার খর্ব হয়, আইসিসির এমন কোনো প্রচেষ্টা আমার নেতৃত্বে এ দেশটি মেনে নেবে না। মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গণতন্ত্র ও বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের জব্দ করার হুমকি আপত্তিজনক। আমরা এর কাছে কখনো মাথা নত করব না।’

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য এ ধরনের ওয়ারেন্টের অর্থ কী হবে, তা নিয়ে সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ সম্প্রচারকারী কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, তারা বিশ্বাস করেন ট্রাইব্যুনাল জুনিয়র সেনাদের পরিবর্তে নীতিনির্ধারকদের টার্গেট করবে।

;