উত্তর কোরিয়ায় দূতাবাস পুনরায় চালু করছে ইউরোপীয় দেশগুলো
![ছবি : সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Feb/28/1709118633312.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
ইউরোপীয় দেশগুলো প্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহামারী চলাকালীন জার্মানির দূতাবাস বন্ধ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং পরিদর্শন করেছেন দেশটির একটি প্রতিনিধিদল।
পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জার্মান ফেডারেল পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি দল বর্তমানে প্রযুক্তিগত পরিদর্শন সফরে পিয়ংইয়ংয়ে রয়েছেন।
ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘এটি কয়েক দিনের মধ্যে জার্মান দূতাবাসের স্থান পরিদর্শন করবে এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ হওয়া দূতাবাসটি পুনরায় চালু করার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
প্রসঙ্গত, কোভিড সংকটের সময় পিয়ংইয়ংয়ে অনেক দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, তারা সেই সময় সেখানে কর্মী বা জাহাজ পাঠাতে পারছিল না।
কোভিড সংকটের সময় কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণের অধীনে উত্তর কোরিয়া প্রায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং বড় আকারের সীমানা প্রাচীরসহ বেশ কিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
সম্প্রতি সেই কঠিন বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে পিয়ংইয়ং।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ব্রিটেন ২০২০ সালে দূতাবাস বন্ধ করে ওই বছরের মে মাসে উত্তর কোরিয়া থেকে সব কূটনৈতিক কর্মীদের বের করে নিয়ে এসেছিল। এখন তারাও একটি দল পাঠাতে চাচ্ছে সেদেশে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়ার (ডিপিআরকে) ব্যবহার করে দেশটির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা খুশি যে, কিছু কূটনীতিক পিয়ংইয়ংয়ে ফিরে আসছেন এবং সীমান্ত পুনরায় চালু করার জন্য ডিপিআরকের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ডিপিআরকে সরকারের সঙ্গে লন্ডনে তার দূতাবাসের মাধ্যমে শীঘ্রই যুক্তরাজ্যের একটি প্রযুক্তিগত-কূটনৈতিক দলের সফরের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছি।’
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে সমস্ত কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের সংস্থা এবং মানবিক এনজিওসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পিয়ংইয়ংয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেন।’
কোরিয়ার জন্য সুইডেনের বিশেষ দূত পিটার সেমনেবি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘পিয়ংইয়ংয়ে সুইডিশ কূটনীতিকদের শেষ পর্যন্ত প্রত্যাবর্তনের দিকে কিছু অগ্রগতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু চাওয়া আছে এবং আশা করি যে, আমরা অপেক্ষাকৃত শীঘ্রই আমাদের দূতাবাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবো।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কূটনীতিক জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে দূতাবাসগুলোর ডিভাইসগুলো পরিষ্কার করা এবং মেরামত করা দরকার।
উত্তর কোরিয়াকে পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি সিউলভিত্তিক ওয়েবসাইট এনকে প্রো অনুসারে, পিয়ংইয়ংয়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত নয়টি দেশের দূতাবাস চালু ছিল। তবে শুধুমাত্র চীন, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং কিউবা গত বছর থেকে তাদের দূতাবাসে কর্মীদের সেখানে ফেরার অনুমতি দিয়েছে।